Logo
শিরোনাম

ইতালিতে শ্রমিক আমদানি, ২ ডিসেম্বর 'ক্লিক ডে'

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার :

ইতালির যর্জা মেলোনি সরকার আগামী ৩ বছরে ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক আমদানির ঘোষনা দিয়েছে। ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক আমদানি করা হবে। 

এ বিষয়ক সরকারি গেজেটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১ লাখ ৩৬ হাজার শ্রমিক আমদানির জন্যে ডিসেম্বরের ২, ৪ এবং ৮ তারিখ থেকে আবেদন জমা নেয়া শুরু হবে। আবেদন ফর্ম ইতমধ্যে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

২ ডিসেম্বর স্থায়ী শ্রমিক বা নন সিজন্যাল শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। এই ক্যাটাগরিতে ৫২ হাজার শ্রমিককে ভিসা দেয়া হবে। ৪ তারিখ গৃহকাজের জন্যে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এতে বেবি এবং বয়স্ক সিটিংসহ প্রায় ১০ হাজার ভিসা দেয়া হবে। ৮ ডিসেম্বর তারিখে সিজন্যাল ক্যাটাগরির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং ৮২ হাজার ভিসা দেয়া হবে।

আবেদন গ্রহণ শুরুর দিনকে ইতালিতে 'ক্লিক ডে' বলা হয়। সুতরাং ২০২৩ সালের ক্লিক ডে হলো- ২, ৪ এবং ৮ ডিসেম্বর। 

এছাড়া সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে ২০২৪ সালের ১ লাখ ৫১ হাজার শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের ক্লিক ডে- ৫,৭ এবং ১২ ফেব্রুয়ারী।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

কোনো শ্রমিক সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। শ্রমিকের পক্ষে নিয়োগদাতা অনলাইনে নির্দিষ্ট ফর্ম পুরণ করে আবেদন করবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের ট্যাক্স প্রদান নিয়মিত এবং গৃহ মালিকদের নির্দিষ্ট অংকের বার্ষিক আয় থাকতে হবে। নিজের বাড়ি বা ভাড়া বাড়ির কন্ট্রাক থাকতে হবে। ইতালিয় ডকুমেন্ট 'কার্তা দি সোজর্ণ'ধারী অভিবাসীরাও শ্রমিক আমদানি করতে পারবেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা গৃহ কাজের জন্যে।

নিয়োগপ্রাপ্ত হতে কী যোগ্যতা লাগবে?

বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। অন্তত ২ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট থাকতে হবে। যারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তাদের কর্মদক্ষতার প্রমাণাদি থাকতে হবে। শিক্ষাগত কোনো সনদ প্রয়োজন হবে না।

কত খরচ হবে?

আবেদন করতে শ্রমিকের খরচ হওয়ার সুযোগ নেই। আবেদনকারী বা নিয়োগদাতার খরচ হয় ১৬ ইউরো। অর্থাৎ আবেদনের সঙ্গে ১৬ ইউরো মূল্যের একটি ডাকটিকেট (মার্কা দা বোল্লো্) সংযোগ করতে হয়। এর বাইরে আবেদন ফর্ম পুরণ করতে যদি কোনো হেল্প ডেক্সের সহযোগীতা নেয়া হয়, সেখানে এক থেকে দেড়শ ইউরো খরচ হতে পারে। কিন্তু একজন শ্রমিক যেহেতু সরাসরি আবেদন করতে পারেন না বা বাংলাদেশে বসে ইতালিয় নিয়োগদাতা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব প্রায়, মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায় একজন 'মধ্যস্বত্বভোগী'। মূলত শ্রমিকের কাছ থেকে সে'ই মোটা অংকের অর্থ নেয়। যা ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড়ায়।

কত টাকা আয় করা যাবে?

যারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তারা নিয়োগের স্তর বুঝে পারিশ্রমিক পাবেন, যা মাসিক ১৫শ থেকে ২৫শ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। যারা অদক্ষ বা মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তারা মাসে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। যদি নিয়োগদাতার সঙ্গে থাকা-খাওয়ার চুক্তি থাকে তবে আয়ের বড় অংশ সঞ্চয় করা যায়, অন্যথায় এতে বড় একটা অংশ বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ একজন মৌসুমী শ্রমিক যদি ইতালি আসতে ৬ লাখ টাকা খরচ করনে, তা কোনো ভাবেই এক সিজনে (৯ মাস) সঞ্চয় করা সম্ভব হয় না।

কতদিন ইতালিতে থাকা ও কাজ করা যাবে?

যারা নন সিজন্যার শ্রমিক হিসেবে আসেন তাদের ইতালিয় ডকুমেন্ট (পেরমেচ্ছো দি সোজর্ণ) নবায়ন করা হয় সাধারণত ২ বছর অন্তর। যারা অদক্ষ বা সিজন্যাল ভিসায় আসবেন তারা সর্বোচ্চ ৯ মাসের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। ৯ মাস পর অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।

বাংলাদেশের জন্যে কী কোটা আছে?

অতীতে বাংলাদেশের জন্যে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের কোটা বেধে দেয়া হলেও এখন কোনো কোটা নেই। মেলোনি সরকার দেশ ভিত্তিক কোটা পদ্ধুতি উঠিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশসহ কোনো দেশের জন্যেই নির্দিষ্ট কোনো কোটা নেই।

আবেদনের শেষ তারিখ কবে?

অতীতে আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ উল্লেখ থাকলেও এবার সরকারি গেজেটে কোনো তরিখ উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ ২০২৩ সালের মোট ১ লাখ ৩৬ হাজারের কোটা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ চলবে। তবে সাধারণত ক্লিক ডে'র প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই কোটা পুরণ হয়ে যায়।

আবেদন করলেই কী ইতালিতে যাওয়া যাবে? 

প্রতিটা আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। আবেদনের সকল শর্ত ঠিক থাকলে এবং কোটার আওতায় থাকলে ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে 'নূল্যা-ওস্তা' (ভিসার অনুমোদনপত্র) বা এনওসি দেয়া হবে নিয়োগদাতার কাছে। নিয়োগদাতা সেটা পাঠাবেন শ্রমিকের কাছে। শ্রমিক সেটা জমা দিয়ে ঢাকার ইতালিয় দূতাবাস বা ভিসা এজেন্সিতে ভিসার জন্যে আবেদন করবেন। সাধারণত নূল্যা-ওস্তায় কোনো অসঙ্গতি না থাকলে ভিসা রিফিউজ করা হয় না। অতীতে দালাল চক্র নকল নূল্যা-ওস্তা দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করার খবর ইতালিয় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।

সিজন্যাল এবং নন সিজন্যাল ভিসার পার্থক্য কী?

সিজন্যাল ভিসা বা স্পন্সর হলো মৌসুমি শ্রমিকদের জন্যে। গৃষ্মের সময়ে ইতালির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিজন্যাল শ্রমিক দরকার হয়। যেমন, পর্যটক নির্ভর ব্যবসা, কৃষি কাজ, ইত্যাদী। এসব কাজের জন্যে প্রতি বছর ইতালিতে ৬ থেকে ৯ মাসের জন্যে সিজন্যাল শ্রমিক আমদানি করা হয়। এই ক্যাটাগরির ভিসাকে স্তাজোনালে বা সিজন্যাল ভিসা বলে। বাংলাদেশে অনেকে এটাকে 'কৃষি ভিসা' নামে জানে।

৬ থেকে ৯ মাসের সিজন্যাল ভিসায় যারা ইতালিতে আসেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হলে বাধ্যতামূলক তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়। না গেলে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে গণ্য হয় এবং দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়। ইতালিতে অবৈধ অভিবাসীরা রেগলার কোনো চাকরি পায় না। পুলিশের চোখ এড়িয়ে হকারি করে জীবন নির্বাহ করতে হয়।

নন সিজন্যাল ভিসা বা 'সুবোরদিনাতো' হলো স্থায়ী শ্রমিকের ভিসা। এই ক্যাটাগরিতে একজন শ্রমিক ইচ্ছা করলে সারাজীবন ইতালিতে থাকতে পারবে, যদি বিশেষ কোনো অপরাধে না জড়ায়। কল-কারখানা, হোটেল-রেষ্ট্ররেন্ট, গৃহ শ্রমিক, নার্স, বেবি সিটার, ইলেট্রিশিয়ান, বাস-ট্রাক ড্রাইভার, মেকানিক, খাদ্য প্রস্তুত এবং সরবরাহ, ভবর নির্মান, জাহাজ নির্মান, টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের জন্যে এই ভিসা দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স ইতালিতে অনুমোদিত না হওয়ায়, ড্রাইভার পদে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ পাওয়া যাবে না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশের ড্রাইভংলাইন্স ইতালিতে অনুমোদিত, ওইসব দেশের প্রবাসীরা আবেদন করতে পারবেন।

ইতালি এখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও অনুকুল একটা দেশ। ২০২২-২৩ সালে ইতালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করতে বাংলাদেশি ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয়া হয়েছে। এর জন্যে ইতালিয় বিশ্ববিদ্যায়লগুলোয় যোগাযোগ করতে হবে। সহজ স্কলারশিপসহ কম খরচে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইতালি এখন এশিয়ানদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় দেশ।

উল্লেখ্য, ইতালিতে সাধারণ বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশ সুনাম আছে। নিয়োগদাতারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের পছন্দ করেন। ২০২২-২৩ সালের এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে ভিসা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে লুট ও ম্যানাজারকে অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণ করা হয়েছে ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে। জানা যায়, ৬০-৭০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার সময় ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মচারীরা নামাজে ব্যস্ত ছিল। ঠিক এই সময়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকে হানা দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে কত টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এ বিষয়ে এখনও তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সেই সাথে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো নিয়ে গেছে তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাসের প্রথম দিকে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ওই ব্যাংকে প্রচুর টাকা জমা ছিল।
পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, একটি সন্ত্রাসী দল ব্যাংকে হামলা করে টাকা এবং অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। তবে কত টাকা লুট করা হয়েছে এবং কোন সন্ত্রাসী দল এ বিষয়ে তিনি এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রুমা উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এবং সেই সাথে ওই সময়ে নামাজে ব্যস্ত ছিল ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ এবং কর্মচারীরা। ঠিক এই সময়ে উপজেলা সদরের ব্যাথেল পাড়া এলাকা থেকে ৬০-৭০ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই এলাকায় যারা ছিল তাদেরকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। রুমা উপজেলা বাজার থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স এবং সোনালী ব্যাংকটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি থাকায় সন্ত্রাসীরা এই সুযোগটি নিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, ঘটনাটি কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এর আগে এই সংগঠনটি ব্যাংক ডাকাতি করবে বলে এরকম একটি কথা রটিয়ে পড়েছিল এলাকায়। এদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় জনমনে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র থেকে তীব্রতর দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই তীব্র দাবদাহে সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদের মধ্যে চট্টগ্রামে ২ জন, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও গাজীপুরে একজন করে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ভ্যাপসা গরমে হাসফাঁস করছে মানুষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে শিশুসহ দুজন। গরমের তীব্রতায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে।

তবে নগরীর হাসপাতালগুলোতে জ্বর, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত মানুষ ভর্তি হচ্ছে। যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বহির্বিভাগের রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান (আরপি) ডা. মো. শাহেদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে ছয় মাস বয়সী এক শিশুসহ ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত বৃদ্ধের নাম ছালেহ আহমদ শাহ (৭০)। ছালেহ আহমদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া এলাকায়।

ছালেহ আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে আনোয়ারা হলি হেলথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আনোয়ারা হলি হেলথের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই ছালেহ আহমদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

এদিকে একই জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় সাফা নামের ছয় মাস বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু ঘটে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ২নং ওয়ার্ড আনজিরমারটেক সৈয়দ আলমের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তার বাবার নাম মো. নিজাম উদ্দীন।

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দীন বলেন, ভোরে মায়ের বুকের দুধ পান করার কিছুক্ষণ পর সাফা ঘুমিয়ে যায়। সে সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। সকাল সাতটায় মেয়েকে কোলে নেওয়ার পর তার শরীর ঠান্ডা অনুভব হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবরিনা আকতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের ধারণা বিদ্যুৎ না থাকায় সে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।

পাবনা : তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ পাবনার জনজীবন। শনিবার (২০ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাপদাহে পাবনা শহরে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ওই ব্যাক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা উনাকে চিকিৎসা চিকিৎসা দিতে পারিনি। নাম-পরিচয় জানার পর আত্মীয়-স্বজন আসছিল। মরদেহ তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা : চু্য়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ। টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের জনজীবন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ তা অতি তীব্র তাপদাহে রূপ নিয়েছে। আজ এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

গাজীপুর : গাজীপু‌র সিটি করপোরেশনের কোনাবা‌ড়ি‌র জেলখানা রোডে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। শ‌নিবার (২০ এপ্রিল) বি‌কে‌লে তার মর‌দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতালের ম‌র্গে পা‌ঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আশরাফ উদ্দিন।

সোহেল রানা গাজীপুর সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের এনা‌য়েতপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। খবর পেয়ে পু‌লিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ক‌রে হাসপাতালের ম‌র্গে পাঠায়।


আরও খবর



ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলার হুমকি ইরানের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি সপ্তাহে দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলায় জেনারেলদের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। গত সোমবার সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হবার পর ইরান ও ইসরালের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

সে হামলার পেছনে ইসরায়েল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলায় ইরানের একজন সিনিয়র জেনারেল নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস ঘোষণা দিয়েছে- সেনাবাহিনীতে যেসব সৈন্য কমব্যাট ইউনিটে রয়েছে তাদের সব ছুটি স্থগিত করা হয়েছে। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে ইরানের দিক থেকে হামলা অত্যাসন্ন। শুক্রবার এই হামলা হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলিদের আহ্বান জানানো হয়েছে তারা যাতে তাদের মোবাইল ফোনের অ্যাপে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জিপিএস সেট করে। এর মাধ্যমে তারা যে কোনো রকেট আক্রমণের সতর্কবার্তা আগে থেকে পাবে।

ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তেও জিপিএস সিস্টেম বিঘ্নিত হচ্ছে। গত ছয়মাস যাবত এই সীমান্তে লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হেজবুল্লার সাথে ইসরায়েলের প্রতিনিয়ত গোলাগুলি হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স দেশটির জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যাতে ভীত হয়ে বাজার থেকে বেশি জিনিসপত্র ক্রয় না করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স প্লাটফর্মে আইডিএফ মুখপাত্র হাগারি লিখেছেন, জেনারেটর ও খাদ্য মজুত করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এটিএম বুথ থেকে বেশি অর্থ তোলার প্রয়োজন নেই।

হামলার দায় নিশ্চিত করেনি ইসরায়েল। আবার অস্বীকারও করেনি। তবে এর পেছনে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীই ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় রীতিমতো হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল।লেবানন সীমান্তে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গেও হচ্ছে গুলিবিনিময়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ইরান-সমর্থিত হুথি ও মিলিশিয়া দলগুলো। তবে এখন পর্যন্ত সম্মুখ সমরে অংশ নেওয়া এড়িয়ে গেছে ইরান।


আরও খবর



নওগাঁয় জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর বাংলা বিষয় এর শিক্ষক মোছাঃ ময়না খাতুন এর বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর এক যুগ ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। 

গত সোমবার "নওগাঁয় জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে বারো বছর চাকরির অভিযোগ" শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে ঐ শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের কোন তথ্য নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে না থাকায় অনুসন্ধানী এই সংবাদটি প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। সেই সংবাদটি রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নজরে এলে তিনি ওই শিক্ষিকার সনদ গুলো যাচাইয়ের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সহ সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার একটি চিঠি করেন।

চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে আসার পর আমি অভিযুক্ত শিক্ষককেসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে সকল প্রকার সনদ সহ অন্যান্য কাগজপত্র অফিসে জমা দিতে বলেছি। এরপর কাগজ পত্র যাচাইয়ের জন্য এনটি আর সিএ দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে সনদ যাচাই প্রতিবাদ পাওয়ার পর পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় চীন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় পড়েছে চীন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন ভয়াবহ বন্যা প্রতি একশ বছরে মাত্র একবারই দেখা যায়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পূর্ব সতর্কতা জারি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গুয়াংদং প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে চুচিয়াং নদীর জলপথগুলোর পানি উপচে পড়ছে। গুয়াংদং চীনের উৎপাদন শিল্পের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। এই প্রদেশে আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে কাল সোমবার পর্যন্ত ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে বন্যার পানি। এতে নিচু ভবনগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়া জলে নিমজ্জ একটি প্যাগোডাও দেখা যাচ্ছে।

প্রাদেশিক জলবিদ্যা ব্যুরোর বরাতে সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে বেঈ রিভার নদীর আশপাশের তিনটি অঞ্চলে একশ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ৫০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অববাহিকা চীনের সবচেয়ে জনবহুল একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে ওই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর শোনা যায়নি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াও চোখে পড়েনি।

গুয়াংদংয়ের পাশের প্রদেশ জিয়াংজি এবং ফুজিয়ানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে।

চীনে প্রায়ই এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহ দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর