Logo
শিরোনাম

জাবিতে গৃহবধূ ধর্ষণ: মূলহোতার দায় স্বীকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

সম্রাট মনির : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন (৪৪) ও তার অন্যতম সহায়তাকারী মো. মুরাদ হোসেন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা ধর্ষণের ঘটনায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। ফলে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তিনদিনের রিমান্ড শেষে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।

এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত।

৩ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে হলের পাশে জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।


আরও খবর



গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশু নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু আহত কিংবা নিহত হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ এ কথা জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ইসরায়েলের হামলায় শিশুদের হতাহত হওয়ার এ মারাত্মক পরিসংখ্যান সামনে আনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় দপ্তরও (ওসিএইচএ)।


আরও খবর



গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে গম সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গেল ২০২৩ সালে সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সেই সময়ে এক কেজিও গম সংগৃহীত হয়নি। ফলে গমের বাজার এখন প্রায় পুরোটায় আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটার দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেলেও দেশের বাজারে এই দুটি পণ্যের দাম এখনও চড়া রয়েছে।


কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অন্য দিকে বেসরকারি পর্যায়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম।


জানা গেছে, বর্তমানে দেশে গমের চাহিদা রয়েছে ৮৫-৮৬ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রতি বছর গম উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন এবং সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গম আমদানি হচ্ছে ৭৪-৭৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশের উৎপাদন দিয়ে বড় জোড় ১০ শতাংশ চাহিদা মিটছে।
সূত্র জানায়, দেশে গমের উৎপাদন আগের তুলনায় কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি বছর একটু একটু করে গমের উৎপাদন বাড়ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে ১১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গমের সরকারি মজুদ হচ্ছে ৩ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিকূল বাজার মূল্যের কারণে গত বছর (২০২৩ সাল) সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ অভিযানে ১ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো গম সংগৃহীত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, আমদানি নির্ভরতা বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার মূল্য অধিকাংশ সময়ে ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা প্রতি কেজি গমের দাম ছিল ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা এবং খোলা আটার দাম ছিল ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। চলতি বছরের (২০২৪ সাল) গত মার্চে এর দাম ছিল যথাক্রমে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ৪২ টাকা ৮৯ পয়সা।


খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত গমের আন্তর্জাতিক বাজার দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ (মার্চ ২০২০-মার্চ ২০২৪) বছরের মধ্যে গমের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২২ সালের মার্চে। ওই সময় প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য ছিল- ইউএসএ লাল নরম ৪২৫ ডলার, ইউক্রেনের গম ৪৩৮ ডলার, রাশিয়ার গম ৪১০ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ৪০৮ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ৩৯৩ ডলার। ওই সময়ে দেশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গম ও খোলা আটার দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৩৪ টাকা ৮৫ পয়সা।


বর্তমানে (২০২৪ সালের মার্চের হিসাবে) প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য হচ্ছে- ইউএসএ লাল নরম ২৩২ ডলার, ইউক্রেনের গম ১৯৭ ডলার, রাশিয়ার গম ২০৪ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ২২২ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ২৫০ ডলার। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অনেক কম হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার দাম ২০২২ সালের তুলনায় বেশি।


জানা যায়, স্বাধীনতার আগে দেশে গম উৎপাদিত হতো ১ লাখ মেট্রিক টনের মতো। স্বাধীনতার পর এক দশকে বেড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন হয়। গত ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনে রেকর্ড হয়, ওই সময় গম উৎপাদিত হয়েছিল ১৯ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এরপর আর গমে উৎপাদন সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



দামের উত্তাপে পুড়ছে মাংস-সবজির বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

উৎসব এলেই ভারি হয় ব্যবসায়ীদের পকেট। পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা। ব্যতিক্রম হয়নি ঈদুল ফিতরেও।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে পটল ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। ঈদের সালাদের অন্যতম অনুষঙ্গ গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

শসায় বেড়েছে ২০ টাকা আর কাঁচামরিচে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে হয়েছে সেঞ্চুরি। বাড়তি দরের তালিকায় আছে টমেটো এবং লেবুও। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ বাজার শাক-সবজিতে ভরপুর।

শুধু সবজি আর সালাদের অনুষঙ্গ নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ঠেকেছে ৫০-৫৫ টাকায়। আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদামজাত করে মজুতের ফলে বাজারে দেখা দিয়েছে পণ্যের সংকট। পাশপাশি ঈদের কারণে পণ্যও আসছে কম। তাতেই চড়েছে বাজার।

এদিকে, একদিনের ব্যবধানে গরুর মাংসের কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও।

আর গত ২৫ মার্চ গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়া মাংস বিক্রেতা খলিলের দোকানেও কেজিতে বেড়েছে ৫৫ টাকা। দাম বাড়িয়ে কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।


আরও খবর



নওগাঁয় নিরাপদ সড়কের দাবীতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে সড়কে এক শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে চলমান এই তীব্র রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থী। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘন্টাব্যাপি শহরের তাজের মোড় ও ব্রীজের মোড় সড়কে চোখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান করে ঐ শিক্ষার্থী। সে নওগাঁ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।

এসময় শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার হাতে থাকা পোষ্টারে লিখা ছিল “সড়কে নিরাপত্তা চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই, দূর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ চাই”। এসময় স্থানীয় পথচারীরা এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

পথচারী জুলফিকার রহমান বলেন, আমরা সড়কে কেউ নিরাপদ নই। বাসা থেকে বের হলে সুস্থ্যভাবে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। এক ছোট্ট শিশু শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগ সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবারই উচিত নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার হওয়া।

নিগার সুলতানা ও তানহা খাতুন নামের আরো দুই পথচারী বলেন, তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাচ্চাটির এমন প্রতিবাদ ও দাবী খুবই যোক্তিক। আমরা তার দাবীকে সমর্থন করছি। তাকে দেখে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। প্রতিদিনই সড়কে তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবীতে সবাই এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া জানায়, প্রতিদিন টিভি, পত্রিকাতে দেখি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর। রাস্তায় বের হলে বা স্কুলে যাওয়ার পথে আবার বাড়িতে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। প্রতিদিন এত মৃত্যুর খবর দেখে খুবই কষ্ট পাই, ভয়ও লাগে। বেশ কয়েকদিন আগে নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় বাবা-মা। আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু। এখন ভাবুন সেই শিশুটির এখন কি হবে। সারা জীবনের জন্য শিশুটি বাবা-মার আদর-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে গেল। আমি চাই নিরাপদ সড়ক। নিরাপদে সড়কে চলাফেরা করতে চাই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার বাবা সঙ্গীত শিল্পী খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, গত ১৮ এপ্রিল সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান মারা যায় সড়ক দূর্ঘটনায়। পাগল হাসান আমার সহকর্মী ও বন্ধু ছিলো। এর আগে ১৭ এপ্রিল নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় এনামুল হক ও বৃষ্টি আক্তার নামের দম্পত্তি আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছরের শিশু জুনাইদ ইসলাম। এই ঘটনাগুলো আমার মেয়ের মনে মারাত্মকভাবে দাগ কেটে যায়। আমার মেয়েটি এত মৃত্যুর খবর প্রতিদিন শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না। যার কারণেই সে বলেছে, আব্বু আমি নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে চাই। মেয়ের এই মহৎ ও যৌক্তিক চাওয়াকে না বলতে পারিনি। যার কারণে তাকে পুরো সমর্থন জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আজ আমার ছোট্ট মেয়েটা একাই যেভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরাপদ সড়কের দাবি করছে ঠিক সেভাবে দেশের সবাই যদি এমন করে সচেতন হতো ও দাবিগুলো তুলে ধরতো তবে, প্রতিদিন এমন প্রাণহানির মত ঘটনা অনেকটাই কমিয়ে আসতো। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, সবাই যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে সেই উদ্যোগের বাস্তবায়ন চাই। আর তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগন, যানবাহন চালক ও মালিকদের একসাথে কাজ করার আহব্বান জানাচ্ছি। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি এ এস এম রায়হান আলম বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবীতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি যানবাহন চালক ও মালিকদের সচেতনও করছি। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার এমন উদ্যোগ আমাদের মুগ্ধ করেছে। এমন দাবী ও সচেতনতাবোধ যদি সবার মাঝে জাগ্রত হতো তবে সড়ক দূর্ঘটনা অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা সম্বব হতো। তার এমন উদ্যোগ ও দাবীকে সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



সংকটে হজযাত্রীরা, ভিসা জটিলতায় তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

গত ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল হজ ভিসা আবেদনের সময়। এই সময়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় 

হজ করতে ইচ্ছুকদের অনেকেই ভিসার আবেদন করতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ সৌদিতে হাজিদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে না পারা। তবে এই সংকটের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। এ অবস্থায় বিশালসংখ্যক হজযাত্রীর হজ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল সৌদি সরকারের কাছে ভিসার জন্য আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হজের ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে ৯ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে হজ ফ্লাইট।

 

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক বলেন, কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, সেজন্য অংশীজন ও হজের সাথে সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা হয়েছে। তিনটি এয়ারলাইন্স থেকে বিমান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।

ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন,


বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে ইচ্ছুক হজযাত্রীদের বেশির ভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা এর 

অন্যতম কারণ। অল্প কয়েক দিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও 

সম্ভব না।

তিনি বলেন, সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ 

করা হয়েছিল। পাশাপাশি হজ এজেন্সিগুলো এ সময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা 

আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করতে 

হবে।

তবে অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, এখনো যেহেতু অনেক হজযাত্রীই ভিসার আবেদন করতে পারেননি- 

তাই এ অবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করা প্রায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ হজযাত্রীর সবাই ভিসা পাবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

হজ এজেন্সিগুলোর মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন ২৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার বাড়ি ভাড়ার টাকা সরকারের কাছে জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় সে অর্থ আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। একই সঙ্গে মোয়াল্লেম ভিসাও অনুমোদন করা হয়নি। এসব চ্যালেঞ্জের মুখে এবার হজ ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাড়ি ভাড়ার টাকা জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় এখনো সবার অর্থ 

সৌদি আরবের আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। ফলে মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানের জন্য মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলরকে তাগিদ দেওয়া হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তাই এ জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ই দায়ী।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন অবস্থানে মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত 

এজেন্সিগুলোর বিষয়ে বেশ কঠোর অবস্থায় মন্ত্রণালয়। তাই হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময়ই বলা হয়েছিল, এ বছর ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসার আবেদন করা যাবে। কিন্তু এই সময়ে অর্ধেকের বেশি হজযাত্রী ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এ ছাড়া অনেক এজেন্সি নির্দিষ্ট সময়ে টাকাও জমা দেয়নি। ফলে শেষ সময়ে এই বিপুলসংখ্যক টাকা ট্রান্সফার করতেও সময় লাগছে।

এজেন্সিগুলোকে দোষারোপ করে মন্ত্রণালয় বলছে, হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে গত বছরের ৩০ জুন 

এজেন্সিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এই ইস্যুকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়েছে। এখন শেষ সময়ে তারা বাড়ি ভাড়া করতে পারছে না বলে মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছে। প্রতিবারই তারা এ কাজগুলো করে মন্ত্রণালয়কে চাপে রাখে। এ ছাড়া সৌদি আরবে হাজিদের থাকা-খাওয়ায় কোনো সমস্যা হলে দায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি 

দিয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি হজ ও ওমরা হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিয়ম পরিবর্তন করেছে সৌদি সরকার। এর অংশ হিসেবে 

এখন থেকে যেকোনো ভিসায় ওমরাহ পালন করা যাবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল দেশটির 

হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তায় বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে ওমরাহ পালন করা যাবে। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে ওমরাহ করতে কোনো বাধা নেই।

 অবস্থায় ওমরাহ করতে ইচ্ছুক অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সিকে টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ 

উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এজেন্সি মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন বলেন, নতুন নিয়মের কারণে হঠাৎই ওমরা ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। তবে হজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আবার ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করবে তারা। এ ক্ষেত্রে হজ প্রত্যাশীরা চাইলে এজেন্সির কাছ থেকে টাকা ফিরিয়ে নিতে পারেন অথবা ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করলে আবেদন করতে পারেন।

উল্লেখ্যচাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ বা ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর