Logo
শিরোনাম

জামালপুর-১ আসনে নুর মোহাম্মদ’কে নৌকা দেওয়ার দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

মাসুদ উল হাসান :আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে শিল্পপতি নুর মোহাম্মদ কে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ি,কাঠাঁরবিল ও ডাংধরা এলাকায় নুর মোহাম্মদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেন আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। নুর মোহাম্মদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সভা সমাবেশ করে নুর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছেন তারা। নেতাকর্মীরা বলেন,জননেতা নুর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ দানবীর হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ। তিনি আওয়ামীলীগের তৃনমূলের প্রাণ। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুর মোহাম্মদকে নৌকা দেয়া হলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও অনেক বেশি খুশি হবে। নৌকার জয় শতভাগ নিশ্চিত হবে। তাই নুর মোহাম্মদকে নৌকার দেয়ার জোর দাবি জানান বক্তারা। 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন,সদস্য আবদুল মজিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়া,আবদুস সাত্তার,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুজ্জামান প্রমূখ। এ সময় বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিটলার,নিলাক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার,মনিরুজ্জামান মনির,নজরুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়,জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ালীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি নূর মোহাম্মদ। তিনি দীর্ঘদিন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। গত প্রায় ৩০ বছর যাবত সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন এলাকায়। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই আসনে বেশ কয়েকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যৌথভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে তার নাম দুই নম্বরে থাকায় শেষ পর্যন্ত আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভাবে মাঠে কাজ করেন নুর মোহাম্মদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।  

দীর্ঘদিন ধরে দুই উপজেলায় সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছেন নূর মোহাম্মদ। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার দুই শতাধিক মসজিদে মাইক প্রদান,৩৫ হাজার পরিবারের মাঝে স্যানেটারি ল্যাট্টিন বিতরণ, ১ হাজার নলকুপ বিতরণ, ১ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ,১০ লাখ ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ,আড়াই হাজার মন ধানবীজ বিতরণ,করোনা মহামারিতে গরীব অসহায়দের মাঝে এক কোটি টাকা অনুদান, ৫ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে আর্থিক সহায়তা,১ হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান ও দুই হাজার মানুষকে বয়স্ক  ভাতা দিয়েছেন নুর মোহাম্মদ। যা এখনো চলমান আছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,এতিমখানা, মন্দির, গির্জা,মসজিদ, মাদ্রাসায় জমি দান,ভবন নির্মান করে দিয়েছেন তিনি। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত একটা অবস্থান রয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মূল্যায়ন করে নৌকা দিবে এমনটাই প্রত্যাশা তার কর্মী সমর্থকদের। 

মনোনয়ন প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ বলেন,দীর্ঘদিন যাবত দল,দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পূনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। মনোনয়ন পেলে সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করে এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। সেই সাথে নদী ভাঙন দুই উপজেলার মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করতে পারবো। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন,এই আসন নৌকার দূর্ভেদ্য ঘাটিঁ। যেহেতু সব কিছুরই পরিবর্তন আছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন হওয়াটা সময়ের দাবি। এই দাবি এখন তৃনমুলের। এ আসনে জনপ্রিয় মুখ জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদের বিকল্প নেই। দল তাকে এবার সঠিক মূল্যায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী। জননেতা নুর মোহাম্মদ নৌকা পেলে জয়ের বন্দরে পৌছঁতে আমাদের বেশি বেগ পেতে হবে না। কারন দুই উপজেলার সাধারণ জনগন নুর মোহাম্মদের সাথে আছে।


আরও খবর



বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : তদন্ত প্রতিবেদনে যা জানা গেল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে তারা।

ফায়ার সার্ভিসের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবনের নিচ তলায় থাকা চা চুমুক কফি শপের ইলেকট্রিক কেটলির শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এর মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মূলত ভবনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট গ্যাস জমে থাকার কারণেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া গেছে যে হোটেলে যেখানে বসে মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো, সেখানেও রাখা ছিল সিলিন্ডার। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি, সেটাও স্টোর রুম বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সিলিন্ডারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভর্তি করে রাখা ছিল সেখানে। এ ছাড়া ভবনের রুফটপও উন্মুক্ত ছিল না। মসজিদের পাশাপাশি অফিসসহ আরও কিছু মালামাল ছিল সেখানে।

তদন্তে আরও উঠে আসে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যে ধরনের নকশার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটা পুরোটাই পাল্টে ওই ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। ২০০৩ এর আইন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ট্রেনিংই তারা নেননি। মোটকথা, যতগুলো অনিয়ম করা যায় সবগুলো অনিয়ম ওই ভবনে ছিল। ভেন্টিলেশন পর্যন্ত ছিল না ভবনটিতে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৪৬ জন। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হন। ভবনের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অনেক রেস্তোরাঁ, কফি শপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর সংখ্যাই ছিল বেশি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হতো ভোজনপ্রেমীদের। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না ভবনটিতে।

ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, এ ধরনের ভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার গ্যালন পানি ধারণক্ষমতার ওয়াটার রিজার্ভার না থাকলে আমরা ছাড়পত্র দিই না। কিন্তু সেখানে পানির ক্যাপাসিটি মাত্র ১০ হাজার গ্যালন। পানি ছিল আরও কম।

ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ২০০৩ এবং রাজউক থেকে অনুমোদন করা নকশা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।


আরও খবর



দাবদাহে ‘কপাল পোড়ার’ শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠেও

কৃষকরা বলছেন, তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠের ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও মিলছে না গভীর নলকূপে। এতেকরে একদিকে ফলন কমে যাবার আশঙ্কা অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা

অতিরিক্ত তাপে রাজশাহী, রংপুর খুলনা অঞ্চলের বেশিরভাগ ক্ষেতে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন জমিতে পানি দিতে হিমসীম খেয়ে যাচ্ছে কৃষক। তাদের মনে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে এমন রোদ আর গরমে যেন ধান নষ্ট হয়ে না যায়

রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের ভিওত পানি ধরে থোয়া যাচ্ছেনা। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা(ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে(দিতে পারছে) এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের(ক্ষেত) সবজি রোদে-পুড়ে মরে যাচ্ছে।

তাপে পোড়ার শঙ্কা, সেচে বাড়তি খরচ ফলন কমার আশঙ্কা :

চলতি মৌসুমে সারাদেশে তীব্র তাপাদহের কারণে ধান ছাড়া বাকি সফলী জমি খেত ফেটে চৌচির। রোদে পুড়ছে রোপণ করা বোরো ধান। দিতে হচ্ছে বাড়তি সেচ। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছে, এই তাপদাহে ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় দ্বিগুন বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে

রংপুরের পীরগঞ্জের শরীফ নেওয়াজ গভীর নলকূপ দিয়ে নিজের জমিতে পানি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যর জমিতেও পানি বিক্রি করনে। তিনি সংবাদকে বলেন,আমার মোটর ২৪ ঘন্টা চলে। গতবছর এই সময়ে দুইদিন পর পর একটা জমিতে পানি দিতে হতো। এবার দিতে হচ্ছে একদিন পর পর। এতে আমার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

ওই উপজেলার চতরা এলাকার কৃষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। বছর ধান পাতান (চিটা) হওয়ার আশঙ্কা করছি।

তিনি আরো বলেন, সার, বীজ, তেল শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই প্রতিমণ ধান উৎপাদন খরচ বাড়ছে এখন বাড়তি সেচও দেওয়ার কারণে খরচ আরো বেড়ে গেল।

ময়মনসিংহের কৃষি উদ্যোক্তা . আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে চাইলেও সেই পানির প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ধানের ফুল পলিনেশন করতে পারছে না, অনেক ফুল ঝরে যাচ্ছে। একারণে ধান চাষে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আম, লটকন, মাল্টা, অ্যাভাকাডার মতো গাছের গুটি ঝরে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার যে ফলের বাগান আছে সে বাগান থেকে বৃষ্টির অভাবে গাছ পুষ্টি না পাওার কারণে ফল ফুল ঝরে পড়ছে, যখন বৃষ্টি হবে তখন গাছ পরিপুষ্ট হতে আরো ১৫ দিন সময় নিবে কিন্ত মাঝে যে সময় গেল সেটা তো ফিরে পাওয়া সম্ভবনা। এছাড়া, ক্ষেতে যে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করে তারাও তো তাড়াতাড়ি হাপিয়ে ওঠে এতো আমার শ্রমের অপচয় হচ্ছে।

সার্বিকভাবে বলা চলে, বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই চলে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি

তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম পানি উঠছে পাম্পগুলোতে। আবার দীর্ঘক্ষণ চালানোর কারণে বিল ঠিকই বাড়ছে, কিন্তু ওই পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ শোষণ করতে পারছে না। সব মিলিয়ে কৃষকদের একটা বাজে অবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন:

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক . মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। এখন ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পেরেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর উপরে যদি তাপমাত্রা উঠে এবং এসময় যদি ফুল ফোটে সেগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

তবে, তিনি ধানের দুইটা বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। যেমন; হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সেখানে এখন যেমন রোদ আছে সেই রোদটা খুবই দরকার। আবার কোন কোন অঞ্চল আছে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে আমরা যে আশঙ্কায় আছি- ফুল ফোটা পর্যায়ে যদি টেম্পারেচার বেশি থাকে তবে ধানের চিটা হয়ে যেতে পারে। এমন একটা আশঙ্কার মধ্যে আছি।

বিশেষ করে যেসব এলাকার তাপমাত্রা খুব বেশি সেসব এলাকার ধান নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশী থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

যেসব এলাকায় ধান পেকে গেছে সেসব এলাকায় আমরা ধান তাড়াতাড়ি কেটে ফেলার পরমর্শও তার

কৃষিতে বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় লিফলেট অ্যাপসের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি সংবাদকে বলেন, যেসব এলাকায় ধান দেরিতে আসে সেসব এলাকায় আমরা বলেছি, ধানের গোড়ায় যেন পানি থাকে, সেই পানিটা যেন ধান গাছের শিকড় সহজে টানতে পারে


আরও খবর



১৪ বছরে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ গুণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

২০২১ সাল থেকে চলতি মাসের এখন পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএর সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে নতুন বাজারগুলোতে আমদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নতুন বাজারে গত ১৪ বছরে দশ গুণ রপ্তানি বেড়েছে বলে জানান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ কার্যালয়ে 'রোডম্যাপ টু রিকভারি' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এসময় বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কমে আসায় এবং পোশাকের খুচরা বিক্রিতে কিছুটা গতি সঞ্চার হওয়ায় চলতি জানুয়ারি-মার্চ সময়ে আমাদের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আশার বিষয় হচ্ছে, শিল্পে আমরা নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের পদচারণা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংকটে আমাদের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একই সময় বেশকিছু নতুন কারখানা ও নতুন বিনিয়োগ এসেছে। আমরা বিজিএমইএর দায়িত্ব নেওয়ার পর দিন থেকে অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল ২০২১ থেকে আজ পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএর সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অনুপ্রেরণা।

রপ্তানিখাতে ভালনারিবিলিটি কাটিয়ে উঠার জন্য বরাবরই বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরি উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। নতুন বাজারগুলোতে আমদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা বিগত ১৪ বছরে দশ গুন বেড়েছে, অর্থাৎ ৮৪৯ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৮.৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে নতুন বাজারগুলোতে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১০.৮৩ শতাংশ বেড়েছে, বিশেষ করে তুরষ্কে ৬৩.৩৫ শতাংশ, সৌদি আরবে ৪৭.১৯ শতাংশ, চীনে ৪৪.৭৬ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩৬.৫৪ শতাংশ, রাশিয়ায় ২৫.৬৫ শতাংশ, অষ্ট্রেলিয়ায় ২১.২৯ শতাংশ, দক্ষিন কোরিয়ায় ১৭.১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সংকটময় সময়ে নতুন বাজারে প্রবৃদ্ধি আমাদের রপ্তানিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনেছে। গত তিনটি বছর আমরা বাজার সম্প্রসারণের নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা গত বছর জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়াতে দিনব্যাপী বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট আয়োজন করেছি। আরও বেশকিছু অপ্রচলিত বাজার নিয়ে কাজ করছি, যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব ও ইরাক। যদি এই উদ্যোগগুলো চলমান রাখতে পারি তাহলে এই বাজারগুলোতে রপ্তানি আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

এর পাশাপাশি কৌশলগত কারণে ভার্চুয়াল মার্কেটে আমাদের উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। এই উপলব্ধি থেকে আমরা একটি গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছি, যার প্রতিবেদনটিও আমরা এরইমধ্যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। ভার্চুয়াল মার্কেটে আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিটুবি ও বিটুসি উভয় ক্ষেত্রে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে, যার মধ্যে কিছু নীতি সহায়তা ও নীতি সংস্কারের বিষয়ও রয়েছে। এসব বিষয় এই স্টাডি রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।


আরও খবর



সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ):

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের বিরুদ্ধে মাসুদ নামে এক যুবককে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভুক্তভোগী মাসুদ মিয়ার মা বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ চার জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে রাহিমা বেগম উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামের বাসিন্দা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের নির্দেশে ফারুক হোসেন, গাজী আরমান ও গাজী শাখাওয়াত সহ ৮/১০ জনের একটি বাহিনী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মামরকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল দায়ানের ছেলে মাসুদ মিয়াকে বাড়ী থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নির্যাতন চালায়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করলে পরে মাসুদ মিয়াকে ছেড়ে দেন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার মুঠোফোনে বলেন, মাসুদ একজন মাদক সেবী তাই তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য লোকজন দিয়ে তুলে এনেছি। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে ১৯তম বিভাগ হিসেবে যন্ত্রকৌশল বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী মাভাবিপ্রবিতে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে।

৭ বছর মেয়াদি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্টে বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব সম্প্রসারন, আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কাজ করে চলেছে। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অর্থায়ন করছে।

বিভাগটিতে দক্ষিণ কোরিয়ান অর্থায়নে ল্যাব উন্নয়নে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি যন্ত্রপাতি, ল্যাব সরঞ্জাম ও পুস্তক ক্রয় করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে দৃশ্যমান।

বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যন্ত্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার সুপারভাইজার ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো। ২০১৬ সালে অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ ও তৎকালীন উপাচার্যের সাথে অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ও অটোমেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলার প্রস্তাবনা প্রদান করেন। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বরে মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। পরবর্তীতে প্রিলিমিনারি টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (পিট্যাপ) ক্রমান্বয়ে ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনামন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দেন।

মাভাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জন্য একটি বড় অর্জন।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির একটি সম্মিলিত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের কনসেপ্ট বাস্তবায়নে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪