Logo
শিরোনাম

খেলায় নয়, ক্রিকেটারদের মন পড়ে থাকে টাকায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলার মান নিচে নেমে গেছে; ক্রিকেটারদের এখন খেলার দিকে মনোযোগ থাকে না; তাদের মন থাকে টাকা উপার্জনের দিকেমন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

ক্রিকেটের ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহারে হওয়া রিটের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে শুনানির শুরুতে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান বলেন, ওয়াকার ইউনিস আইসিসির আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে বার বার কটূক্তি করেছেন। তিনি এটা করতে পারেন না। এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, ওয়াকার ইউনিসের বাড়ি কি পাকিস্তানের পাঞ্জাবে? তাহলে তো তারা একাত্তরে পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারবে না।

আদালত বলেন, তবে আমরা ক্রিকেটের অন্ধ সাপোর্টার হতে চাই না। এটা বলতেই হবে যে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের খেলার মান নিচে নেমে গেছে। এখন ক্রিকেটারদের খেলার দিকে মনোযোগ নেই। তাদের মন থাকে টাকা উপার্জনের দিকে।

এরপর আদালত বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে কটূক্তি করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারা ভাষ্যকারের তালিকা থেকে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহারে আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও বিসিবি প্রেসিডেন্টকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে কটূক্তি করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহার করতে রিট দায়ের করা হয়। রিটে পাকিস্থানের ওয়কার ইউনূসের নাম প্রত্যাহারের জন্য আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে বিসিবিকে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান খান এ রিট দায়ের করেন।

বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ৩৮তম ম্যাচে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে টাইম আউট করেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

আইসিসির নিয়মে টাইম আউট থাকলেও এতদিন এর প্রয়োগ হয়নি। মঙ্গলবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস দুই মিনিটের মধ্যে বল খেলতে না পারায় সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আম্পায়ার ম্যাথুসকে আউট ঘোষণা করেন।

ম্যাথুস খানিকটা ধীরগতিতে ক্রিজে এসে স্ট্যান্স নিয়েছিলেন। সাকিব বল হাতে প্রস্তুত ছিলেন। ওই সময় ম্যাথুস তার হেলমেটে অসঙ্গতি অনুভব করেন। ড্রেসিংরুমে হেলমেট আনার ইঙ্গিত দেন। এতে দুই মিনিটের বেশি সময় চলে যায়। সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আম্পায়ার আউট দেন। ম্যাথুস বারবার বোঝাচ্ছিলেন তিনি প্রস্তুত ছিলেন, হেলমেটের জন্যই এ বিলম্ব।

ম্যাথুস আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর কমেন্ট্রি বক্সে সমালোচনা করেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিস ও শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা ক্রিকেটার রাসেল আরনল্ড। তারা বলেছেন, এ রকম অখেলোয়াড়িসুলভ আচরণ দেখেননি কখনো।

এক পর্যায়ে ধারাভাষ্যকার ওয়াকার ইউনিস সাকিব আল হাসান সম্পর্কে বলেন,‌ গান্ধি (বাজে) ক্রিকেট, ছি ছি সাকিব এটা কী করল। তবে একমাত্র সাকিবের পক্ষেই এমন কিছু সম্ভব। আরও বলেছে, বাংলাদেশ যা করেছে তা ক্রিকেটের চেতনা বিরোধী।


আরও খবর



বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বর্তমান মানসিক শক্তি ধরে রাখতে পারলে চলতি বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত অপরাজিত থেকেই শিরোপা জয় করবে বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইকনিক ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস।

অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট জায়ান্টদের মোকাবেলা করার পরও ভারত এই টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। এখন ট্রফি জয় থেকে মাত্র দুই ম্যাচে দূরে রয়েছে স্বাগতিক দল। আর বর্তমান মানসিকতা ধরে রাখতে পারলে তারাই শিরোপা জয় করতে পারবে বলে মনে করেন ভিভ রিচার্ডস।

আইসিসির ওয়বসাইটে এক কলামে রিচার্ডস লিখেছেন, এবারের আসরে ভারত মানসিকতা হচ্ছে পুরো টুর্নামেন্টেই এভাবে খেলবে। আমি তাদের ড্রেসিং রুমে থাকলে সকল উপায় ব্যবহার করে তাদের এভাবেই এগিয়ে নিতাম। পদ্ধতিটি এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে। এর পরিবর্তন ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ক্যারিবীয় কিংবদন্তী বলেন, আমার বিশ্বাস তারা (ভারত) অপরাজিত থেকেই শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। এটি সত্যিকারার্থে চেষ্টা করার একটি বিষয়। সেখানে এখন আমরা ভালো করছি, সেমিফাইনালে বাজে খেলা হতে পারে- এমন আশঙ্কাও থাকতে পারে। এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে যেকোনোভাবেই তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

রিচার্ডস বলেন, মানসিক শক্তি এমন একটি বিষয় যা বিরাট কোহলির সাফল্যে দারুণ অবদান রাখছে। এটি তাকে দুর্দান্ত স্কোরার ও রেকর্ড নির্মাতায় পরিণত করেছে।

টুর্নামেন্টে কোহলির অসাধারণ রানের প্রত্যক্ষ সাক্ষী রিচার্ডস ভারতীয় এই তারকা ব্যাটারের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

আইসিসি কলামে রিচার্ডস বলেন, বিরাট একজন দক্ষ ক্রিকেটার। তবে অন্যদের কাছ থেকে তাকে আলাদা করেছে তার মানসিক দৃঢ়তা। তিনি সব সময় নিজেকে ধরে রেখেছেন এবং অতীতে যখন আমি তার সাথে কথা বলেছি তখন তার মানসিক দৃঢ়তার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে। যেটি তাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে গেছে। খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড় এমন দৃঢ়তা নিজের মধ্যে ধারণ করে রাখতে পারেন এবং নিজেকে এভাবে গড়ে তুলতে পারেন।

অনেকেই বছরের পর বছর ধরে আমাদের দুজনের মধ্যে তুলনা করে আসছে। এর কারণ মাঠের ভেতর আমাদের ব্যাটিং দৃঢ়তা। আমি বিরাটের সাহসিকতা পছন্দ করি। এমনকি লং অন ও লং অফে ফিল্ডিং করার সময়ও তার বোলারদের একজন যদি প্রতিপক্ষের ব্যাটারের প্যাডে বল দিয়ে আঘাত করেন তখনো তাকে দেখা যায় আপিল করতে। তিনি সব সময় খেলার মধ্যে থাকেন এবং আমি সব সময় এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করি।

সূত্র : বাসস

 

 


আরও খবর

বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




নতি স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে আগের অবস্থান থেকে সরে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, যুদ্ধের পর গাজায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার কোনো পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের।

মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গাজা জয় করতে চাই না, দখল করতে চাইনা এবং শাসনও করতে চাই না। আমরা চাই গাজায় এমন একটি নির্ভরযোগ্য বেসামরিক সরকার আসুক যারা ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করবে না।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের একমাস পূর্তির দিনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজা উপত্যকার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের হাতে থাকবে।

সেই বক্তব্য দেওয়ার ২ দিনের পরই কার্যত আগের অবস্থান থেকে ঘুরে গেলেন তিনি। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণেই আগের অবস্থান থেকে সরেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

তবে ফক্স নিউজকে তিনি বলেছেন, যদি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভবিষ্যতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় তাহলে ফের উপত্যকায় প্রবেশ করবে ইসরায়েলি বাহিনী।

এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কেবল এই নিশ্চয়তা চাই যে ৭ অক্টোবরের মতো ভয়াবহ হামলা আর সেখান থেকে ঘটবে না। যদি ঘটে, সেক্ষেত্রে ফের আমরা গাজায় প্রবেশ করব এবং হামলাকারীকে হত্যা করব। হামাসের মতো আর কোনো গোষ্ঠীকে আমরা সেখানে দেখতে চাই না।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে উপত্যকায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীও।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধার। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

এই যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ পর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশিয়া। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় চীনও। বর্তমানে জাতিসংঘ, ইসলামি বিশ্ব ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের দেশও গাজায় যুদ্ধবিরতি আহ্বানের সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েলের এই অবস্থানকে সমর্থনও করছে। তবে সমর্থনের পাশাপাশি গাজায় মানবিক বিরতি ঘোষণার জন্য ইসরায়েলকে চাপও দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব।

তবে গাজায় কোনো প্রকার বিরতি ঘোষণায় শুরু থেকেই তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি অবশ্য তিনি বলেছেন, যদি হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয় কেবল তাহলেই মানবিক বিরতি হতে পারে। অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, বিরতি না দিলে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার অবশ্য গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা বিরতি দিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিন বিরতি শুরুর তিন ঘণ্টা আগে সেই বিরতির সময় জানানো হবে।

 সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



ধানুয়া স্থলবন্দরে ৫৬ কোটি টাকার অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর আধুনিকায়নে ৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মান কাজ শেষে মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে আধুনিক নবনির্মিত ভবন,বাউন্ডারি ও ওয়েট ব্রীজ স্কেল। 

বন্দর সূত্রে জানা যায়,প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর এক ধাপ এগিয়ে গেলো কামালপুর স্থলবন্দর। উদ্বোধন কালে বন্দরে অন্যান্যের মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউর রাব্বি, বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ খান, ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক মাহাবুর হাসান,প্রকৌশলী মেহেদী হাসান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেনসহ বন্দরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়,এই বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পাথরে দেশের সিকিভাগ চাহিদা পুরন হয়। পাথর ছাড়াও জিরা, আদা,রসুনসহ বিভিন্ন পন্য আমদানি হয়ে থাকে। ২০২১-২০২২ র্অথবছরে এই স্থলবন্দর থেকে সরকাররে রাজস্ব আয় হয়েেছ চার কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০২২-২০২৩ র্অথবছরে আয় হয়েেছ সাত কোটি ১৫ লাখ টাকা। ২০২১-২০২২ র্অথবছরে ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেেক পাথর আমদানি হয়ছে এক লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। ২০২২-২০২৩ র্অথবছরে এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে। এত প্রতি বছর সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। 

ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও বন্দরের ব্যবসায়ী মশিউর রহমান লাকপতি বলেন,৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে বন্দরকে আধুনিকায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা অনেক খুশি। অবকাঠামো যেহেতু শেষ তাই দ্রুত এই বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর দাবি জানান তিনি।


আরও খবর



শিশুদের গণকবরে পরিণত হয়েছে গাজা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা শিশুদের গণকবরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ৬ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, গাজায় শত শত শিশু নিহত হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু আহত হচ্ছে। এই সংঘাত নিষ্পাপ শিশুদের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।  হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বেসমারিক লোকজনকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস।

এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে ওই দিন থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

অপরদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

খবর বিবিসির :


আরও খবর



মাভাবিপ্রবির ৫টি বহুতল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি ) নবনির্মিত পাঁচটি বহুতল ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নবনির্মিত ভবন গুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় মাভাবিপ্রবি থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। উদ্বোধনকৃত ভবনে গুলোর মধ্যে রয়েছে, ১২ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, ৬ তলা বিশিষ্ট শেখ রাসেল হল, ৫ তলা বিশিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা কোয়ার্টার।

২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর ৩৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিশালীকরণ মেগা প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।

১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৯ সালে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়।


আরও খবর