Logo
শিরোনাম

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কৃতিত্বে ভাগ বসিয়েছেন করিম বেনজেমা

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একটা কৃতিত্বে ভাগ বসিয়েছেন করিম বেনজেমা। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে দল ২-০ গোলে পিছিয়ে আছে, এই অবস্থায় হ্যাটট্রিক করে দলকে জেতানোর রেকর্ড শুধু রোনালদোর ছিল। পিএসজিকে ৩-১ ব্যবধানে হারানো ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে বেনজেমা এখন সাবেক সতীর্থের পাশে। সেদিন রাতেই আরেক রিয়াল কিংবদন্তিতে ছাড়িয়ে গেছেন বেনজেমা। রিয়ালের জার্সিতে এখন আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর চেয়েও বেশি গোল বেনজেমার।

দুটিই বেশ বড় অর্জন। তাই সেদিন পাগলাটে তৃতীয় গোল দিয়ে যে রোনালদোকেও ছাড়িয়ে গেছেন বেনজেমা, সেটা বুঝতে তাই একটু সময় লেগেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যাওয়ার পর রোনালদো এখন পর্যন্ত ক্লাব ফুটবলে যত গোল করেছেন, বেনজেমার গোল এখন তার চেয়ে বেশি।

২০১৮ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রোনালদো। দলবদলের ক্লাব রেকর্ড গড়ে জুভেন্টাসে নতুন চ্যালেঞ্জ খুঁজতে বেড়িয়ে পড়েন রিয়ালের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০১৭–১৮ মৌসুম শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বিদায় নিয়েছিলেন কোচ জিনেদিন জিদান। এর এক মাসের মধ্যেই রোনালদোর বিদায়ে অথই সাগরে পড়ে রিয়াল। সে অবস্থায় ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করানোর কাজটা সত্যিকার অর্থে নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন বেনজেমা।

ওদিকে নতুন চ্যালেঞ্জ খুঁজতে গিয়ে রোনালদোও জুভেন্টাসের গোল করার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন। টানা দুই মৌসুম ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন, জিতেছেন লিগ শিরোপাও। তৃতীয় মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার মুকুট ধরে রাখলেও সম্পত্তি বনে যাওয়া সিরি ‘আ’ হারিয়ে বসে জুভেন্টাস। তিন বছর ইতালিতে কাটিয়ে এই মৌসুমেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরেছেন। সেখানেও অর্ধমৌসুম পর্যন্ত ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। তবে গোল করার গতিটা ঠিক রোনালদোসুলভ না।

এবার প্রিমিয়ার লিগে ২৩ ম্যাচে মাঠে ছিলেন রোনালদো। তাতে মাত্র ৯ গোল সিআর সেভেনের। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে ৬ ম্যাচে ৬ গোল তার। সব প্রতিযোগিতা মিলে ৩১ ম্যাচে ১৫ গোল। ওদিকে লা লিগায় এ মৌসুমে বেনজেমা ২৪ ম্যাচে ২০ গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল ৭ ম্যাচে ৮টি। এখন পর্যন্ত তিন প্রতিযোগিতা মিলে ৩৩ ম্যাচে ৩০ গোল বেনজেমার। এ মৌসুমে এমন ফর্মেই রোনালদোকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন বেনজেমা।

রোনালদো চলে যাওয়ায় রিয়াল মাদ্রিদে হাহাকার নেমে এসেছিল। প্রতি মৌসুমে অন্তত ৪০ গোল এনে দেন, এমন একজনের অভাব কে পূরণ করবেন? প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, রোনালদোর অভাবটা তার আড়ালে ৯ বছর কাটিয়ে দেওয়া বেনজেমাই পূরণ করে দিয়েছেন। ২০১৮–১৯ মৌসুম থেকে গতকাল পর্যন্ত বেনজেমা রিয়ালের জার্সিতে ১১৭ গোল করেছেন। ওদিকে জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে এ সময়ে রোনালদোর গোল ১১৬টি।

এতে অবশ্য একটা `কিন্তু' আছে। বেনজেমা গোল বেশি করেছেন, ম্যাচও কিন্তু বেশি খেলেছেন। ১৮০ ম্যাচে ১১৭ গোল বেনজেমার। ম্যাচপ্রতি গোল ০.৬৫টি। প্রতি ১২৮ মিনিটে ১ গোল তার। ওদিকে রোনালদো ১৬৪ ম্যাচে ১১৬ গোল করেছেন। ম্যাচপ্রতি গোল ০.৭০টি। প্রতি ১২১ মিনিটে ১ গোল তার। এ তথ্যগুলো বলছে, গোলসংখ্যা এগিয়ে থাকলেও শিকারি হিসেবে এখনো রোনালদোই এগিয়ে।

এতে অবশ্য কোনো প্রশ্ন নেই। রিয়ালে রোনালদো থাকার সময়টাতে যেমন দেখিয়েছেন, শুধু গোল করা নয়, করানোতে আর খেলা সৃষ্টিতেও তার সমান আগ্রহ। রোনালদো-উত্তর যুগে দলের গোল করার সব দায়িত্ব বলতে গেলে তার কাঁধে। গত সাড়ে তিন বছরে বেনজেমার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। আর ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের গোল বেনজেমার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ (৩১ গোল)!

ফলে সতীর্থদের দিয়ে এখন আর আগের মতো গোল বানিয়ে দেওয়া নয়, নিজেকেই গোল বেশি করতে হচ্ছে বেনজেমাকে। এর মাঝেও ২০১৮–১৯ মৌসুম থেকে ৪৩টি গোলে সহায়তা করেছেন। ওদিকে রোনালদো সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন মাত্র ২৫ গোল।

রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর আরেকটি ব্যাপারেও রোনালদো পিছিয়ে পড়েছেন। আর সেটি হলো চ্যাম্পিয়নস লিগ। ইউরোপে সেরার টুর্নামেন্টের রাজা রোনালদো। এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। কিন্তু রিয়াল ছাড়ার পর এই টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত সেমিফাইনালে খেলা হয়নি তাঁর। দুই ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ ম্যাচ খেলে ২০ গোল তার। ম্যাচপ্রতি গোল ০.৬৯টি। প্রতি ১২৮ মিনিটে ১ গোল তার।

এদিক থেকেও বেনজেমা রোনালদোকে টপকে গেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩৩ ম্যাচে ২৩ গোল বেনজেমার। ম্যাচপ্রতি ০.৭০ গোল। ভেঙে বললে প্রতি ১১৭ মিনিটে এক গোল তার।


বিডি টুডেইস


আরও খবর



আল-আকসায় ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে আজ বুধবার। তবে অন্যান্য সব দেশে ঈদ উৎসবে পরিণত হলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সেটি অবাস্তব। ঈদের রাতেও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। স্বজনদের দাফনের মাধ্যমে গাজায় কাটছে ঈদ। ঈদের নামাজে আল আকসা মসজিদে সমবেত হন হাজার হাজার মুসলিম।

ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই শিশু। ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে ছয় মাস বেঁচে থাকা গাজার বাসিন্দা আবুবকর বলেন, 'এবার ঈদ হবে আমাদের আরও প্রিয়জনকে কবর দেওয়ার মধ্য দিয়ে।' খবর আল জাজিরার ও মাকতুব মিডিয়ার।

আবুবকর বলেন, 'অপুষ্টির কারণে আরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, আরও বেশি যুদ্ধে আহত হচ্ছে। প্রতিদিন আরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে।পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বাড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় আঘাত করা হচ্ছে। রাফায় স্থল আক্রমণ করা হতে পারে এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

মধ্য গাজার ফিলিস্তিনি যুবক জানান, এবারের ঈদের কোনো মানে নেই। তার কথায়, 'এটা শুধু দুঃখের। এটা শুধুই অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং বিষাদময়। আমরা উদযাপন করতে পারি এমন কিছু নেই।'

এরপরও আবুবকররা আশা দেখছেন যে, এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের অবসান হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঈদুল ফিতরের বার্ষিক শুভেচ্ছায় গাজা এবং অন্যত্র মুসলমানদের উপর সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে যে গাজা, সুদান এবং আরও অনেক জায়গায়, সংঘাত ও ক্ষুধার কারণে মুসলিমরা সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে রয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষ।


আরও খবর



ঈদে বাড়ি ফেরা হলোনা তাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ সদরের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তারা পরিরবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাহিন্দ্র করে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহত লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২৫) ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাস মাহিন্দ্রাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের শিশু সন্তান মাহিতের (২) মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা-মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকা থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সদরে আসছিলেন লুৎফর। ল্যাংড়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস। এতে লুৎফর, তার স্ত্রী-সন্তান এবং মাহিন্দ্রাচালক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মাহিন্দ্রাকে চাপা দেওয়া বাসটি পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

এদিকে, ত্রিশাল ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।


আরও খবর



দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশের সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৪ মে) দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা গতকালের মতোই উষ্ণ থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কিছু জেলায়। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, কোনো এলাকায় যদি তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে তাহলে তাকে বলে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড এই গরমে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাপমাত্রা হলে তা যেকোনো স্বাস্থ্যবান লোকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি ধীরে ধীরে পান করুন। ঠান্ডা ও বরফজাতীয় পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই সময়ে খুব বেশি ঠান্ডা পানি পান করলে মানবদেহের ছোট রক্তনালিগুলো ফেটে যেতে পারে।

২. বাইরে যখন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়, তখন আপনি বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কখনোই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। সব সময় ধীরে ধীরে উষ্ণ পানি পান করুন।

৩. যদি বাইরে থাকার সময় হাত-পা রোদের সংস্পর্শে থাকে, তাহলে বাসায় ফিরেই তড়িঘড়ি হাত-পা ধোবেন না। এক্ষেত্রে গোসল বা হাত-পা ধোয়ার আগে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

৪. তীব্র গরমের এই সময়ে যতটা সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বিশেষ করে বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে ঘরে থাকাই ভালো।

৫. বাইরে বের হতে হলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখুন। পা ঢাকা জুতা ও হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। স্কিন টাইট বা সিনথেটিক কিছু পরবেন না।

৬. তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করুন। সব সময় পানীয় সঙ্গে রাখুন।

৭. শরীরে অস্বস্তি হলে ওআরএস স্যালাইনে পান করতে পারেন। বাড়িতে শরবত, ফলের রস, লাচ্চি বানিয়েও পান করতে পারেন। এভাবে শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে।

৮. বাইরে বের হলে বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না। যাদের পেশার জন্য রাস্তায় রোদে থাকতেই হবে, তারা কিছু সময় অন্তর ছায়া বা ঠাণ্ডায় থাকার চেষ্টা করুন।

৯. যারা বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন, যাদের কনকনে ঠান্ডা পানি পানের প্রবণতা থাকে এবং গরম থেকে বেরিয়েই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে কাটান তাদের অসুখ চট করে ধরে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রচণ্ড গরম থেকে এসে এসি ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে।

১০. হিট স্ট্রোক ও হিট ক্র্যাম্প এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা পানিতে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন।

১১. পুরোনো বা বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন।

১২. প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করুন।


আরও খবর

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23




আগামী সপ্তাহে আবারও তাপপ্রবাহের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

গত দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে দেশের অনেক জেলাতেই তাপপ্রবাহ কিছুটা কমার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।

শনিবার দেশের তিনটি বিভাগে (খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর) মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ছিল। তবে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে গতকালও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলা এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ রবিবার ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, আজ থেকে দেশের কিছু স্থানে যে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, তা শেষ হওয়ার পরই বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের ওপর দিয়ে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।

আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি। সোমবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর