নাইম শেখ-সাইফ
হাসানের জোড়া অর্ধশতকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৭৬ রানের টার্গেট দিয়েও জয়
নিশ্চিত করতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ বল হাতে রেখে ৪
উইকেটে জয় পেয়েছে কুমিল্লা।
শুরুতেই টস জিতে
ব্যাটি করতে নেমে চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে (১৩ বলে ১৪) হারায় ঢাকা। তবে নাইম আর সাইফ
জুটি তাল সামলে নেয়। দ্বিতীয় উইকেটে নাইম আর সাইফ ৭৮ বলে ১১৯ রানের পার্টনারশিপ
গড়েন। নাইম ৪৫ বলে ৬৪ রান করেন। সাইফ করেছে ৪২ বলে ৫৭ রান। শেষদিকে অ্যালেক্স রস
ঝড় তোলেন। ১১ বলে অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন এসএম মেহরব।
কুমিল্লার ম্যাথিউ ফোর্ডে ৩৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন।
এদিকে বেশ ভালো লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে শুরুতেই বড় ধাক্কা
দেয় দুর্দান্ত ঢাকা। প্রথম ওভারেই লিটন দাসকে এলবিডব্লিউ করেন শরিফুল ইসলাম। ৫ বলে
তিনি করেন ৮ রান। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন আরেক ওপেনার
উইল জ্যাকসও। ৫ বলে তিনি করেন ৯ রান।
ইমরুল কায়েসকে শরিফুল
ইসলাম আউট করার পর কুমিল্লা ২৩ রানে হারায় তিন উইকেট। এ অবস্থায় হৃদয়ের সঙ্গে দলের
হাল ধরেন ব্রুক গেস্ট। এই দুজন মিলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। তাদের এই জুটি ৪ চার ও ১
ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৪ রান করা গেস্টকে চতুরঙ্গ ডি সিলভা ফেরালে।
এই জুটি ভাঙার পর আরও
একটি উইকেট হারায় কুমিল্লা। কিন্তু আরেক প্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও ছুটতে
থাকেন তাওহীদ হৃদয়। ৩২ বলে পঞ্চাশ ছুন তিনি। এই ব্যাটার এবারের বিপিএলের প্রথম
সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন। সবমিলিয়ে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে এই টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি
করেন তিনি। হৃদয় মাঠ ছাড়েন একেবারে দলকে জিতিয়ে। ৮ চার ও ৭ ছক্কার অসাধারণ এক
ইনিংসে ৫৭ বলে ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।