Logo
শিরোনাম

কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে এলো অলিভ রিডেল প্রজাতির দুটি মৃত কচ্ছপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

মো.নাহিদুল হকঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটা সৈকতে এবার পাওয়া গেলো বিলুপ্তপ্রায় অলিভ রিডেল প্রজাতির সামুদ্রীক দুটি মৃত কচ্ছপ। একটির ওজন প্রায় ২৫ কেজি, অন্যটির ওজন ২০ কেজি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তেত্রিশকানি এলাকায় এ দু’টিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে ডলফিন রক্ষা কমিটি ও ইকোফিস-২ ব্লুগার্ড সদস্যরা কচ্ছপ দুটিকে উদ্ধার করে কিছু অংশ শ্যাম্পল রেখে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। তবে কচ্ছপ দুটির মাথায় এবং পেছনের অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জেলেদের জালের আঘাতে কচ্ছপ দুটি মৃত্যু হতে পারে স্থানীয়রা ধারনা করেছেন।

পটুয়াখালী জেলা বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক তারিকুল ইসলাম জানান, কি কারনে কচ্ছপ দুটি মৃত্যু হয়েছে সেটি নিশ্চিত বলা যাচ্ছেনা। ঘটনাস্থলে মহিপুর বনবিভাগের কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ দিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতি বর্হিভূত এবং গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।

 এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজাজামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দুঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, সরকারের প্রতিনিধিগণ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের লক্ষে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

 এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বরাবরের মতো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সাথে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।


আরও খবর

ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মা

রবিবার ১২ মে ২০২৪




কঠিন হয়ে পড়ছে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ডলার সংকটের কারণে গত বছর জটিলতায় পড়ে যান বিদেশগামী অনেক শিক্ষার্থী। ওই সময় অনেক ব্যাংক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি পরিশোধের জন্য স্টুডেন্ট ফাইল খুলতে গড়িমসি করে। ডলারের সে সংকট এখনো কাটেনি। এর মধ্যে নতুন করে ডলারের বিপরীতে টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকে আরো কঠিন করে ‍তুলেছে।

শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বিদেশে নয়, টাকা অবমূল্যায়নের কারণে যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, তার প্রভাবে দেশেও শিক্ষার ব্যয় আরো বেড়ে যেতে পারে। 

ইউনেসকোর হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে উচ্চ শিক্ষায় বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৭৯৯ জন। কয়েক বছর ধরে এ সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২১-এর তুলনায় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশ। সাধারণত দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ ডলারে পরিশোধ করতে হয়। 

বিদেশে উচ্চ শিক্ষাপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে খরচ পাঠান। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিশেষ ব্যাংক হিসাবের (স্টুডেন্ট ফাইল) মাধ্যমে বিদেশে এ অর্থ পাঠান। এছাড়া কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে দেখাতে হয়। ফলে কোনো দেশের মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বাড়লে ওই দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে যায়।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে ডলারের নতুন বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বর্তমানে প্রতি ডলারের দর ১১৭ টাকা। এর আগে মুদ্রাটির বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। এছাড়া জানুয়ারি ২০২০ থেকে চলতি মাস পর্যন্ত টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বাবদ গত তিন অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেনের পরিমাণ ১৩০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেনদেন হয় ৪১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ কোটি ৯৯ লাখ (প্রক্ষেপিত) ডলারে। আর চলতি অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে ৩৭ কোটি ৩ লাখ ডলার।

শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোই বেশি চাপে পড়বে। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান ও এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বেড়ে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যয়ও বেড়ে যাবে। ফলে মধ্যবিত্ত যেসব পরিবারের সন্তান বিদেশে লেখাপড়া করছে তাদের ওপর বেশি চাপ তৈরি হবে। তবে শুধু বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই নয়, ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়ে দেশেও শিক্ষায় খরচ বেড়ে যেতে পারে।

উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যেসব দেশ বেছে নিচ্ছেন তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান ওপেন ডোরস রিপোর্ট ২০২২-২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। দেশটিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৬৩। এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন ১০ হাজার ৫৯৭ জন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন আতিকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমেরিকান একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেয়েছি। ওই সময়ের হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ সব মিলিয়ে যে টাকা ছিল এখন সে তুলনায় প্রায় দেড় লাখ টাকা বেশি প্রয়োজন হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘‌আমাদের দেশে বেশির ভাগ পরিবার মধ্যবিত্ত এবং এখন অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কষ্ট করে হলেও বিদেশে পড়ালেখা করতে পাঠাচ্ছে। ডলারের এ মূল্যবৃদ্ধির জন্য এমন পরিবারগুলো সমস্যায় পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৬৮৩, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারির তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেশটিতে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রাইজিং স্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দ্য আউটলুক ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট মবিলিটি: অ্যামিড আ চেঞ্জিং ম্যাক্রোইকোনমিক ল্যান্ডস্কেপ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গে বিদেশগামী শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির সম্পর্কও তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ অর্থনৈতিক বিষয়গুলো জড়িত থাকায় যেসব দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার এবং অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলক ভালো সেসব দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতাও বেশি। প্রতিবেদনটিতে বিদেশে শিক্ষার্থী প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সার্বিক ব্যয় বেড়ে গেছে বলে জানান অস্ট্রেলিয়াগামী শিক্ষার্থী ফাহিম উল্লাস। তিনি বলেন, ‘‌আমি মাত্র এক সপ্তাহ আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি প্রদান করেছি, নয়তো অতিরিক্ত ৯০ হাজার টাকা দিতে হতো। তবে ফি জমা দিলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ ত্যাগের ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক খরচ বেশ বেড়ে যাবে। এছাড়া যদি ডলারের বিনিময় হার না কমে তাহলে ডিগ্রি অর্জন পর্যন্ত ব্যয়ও কয়েক লাখ টাকা বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের মতো বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের প্রতি বেশ নেতিবাচক একটি প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।

ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানও। তিনি বলেন, ‘‌ডলার সংকটের কারণে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে সমস্যা হচ্ছিল। অনেকে কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কিনে কিংবা অন্য মাধ্যমে ডলার সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমন অবস্থায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, ‘‌এতদিন ডলারের ঘোষিত মূল্য ১১০ টাকা থাকলেও শিক্ষার্থীদের ১১৫-১৭ টাকায়ই ডলার কিনতে হতো। ব্যাংক যদি এখন এটা নিশ্চিত করতে পারে যে শিক্ষার্থীরা ১১৭ টাকায়ই ডলার কিনেতে পারবে, তাহলে হয়তো চাপটা তুলনামূলক কম বাড়বে। তবে ডলারের বাজার যদি অস্থিতিশীলই থাকে তাহলে সংকট আরো তীব্র হয়ে উঠবে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে।

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা কঠিন হওয়া প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক সদস্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘‌ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় বাড়বে। বিষয়টি শিক্ষার্থীর ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটি নির্ভর করবে তার বা তার পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর। তবে আমাদের এখন উচিত দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে উৎসাহিত করা। দেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বেশ সুনামও কুড়িয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের আরো সচেষ্ট হতে হবে।

 


আরও খবর



রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর



৩১ দিন পর মুক্ত জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি।আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ঈদ পরবর্তী ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ পরবর্তী সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সোনালি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শেওড়াপাড়ায় মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, ঈদের পর ২২০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি আজ শুক্রবার হওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

তিনি বলেন, আজ দুই-তিন মাস ধরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। এই দাম ১০ টাকা কমলে ২০ টাকা বাড়ছে। গরমে দাম আরো বাড়তে পারে।

এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে আলু ৪৫ টাকা আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা।


আরও খবর