Logo
শিরোনাম

ক্যান্সার রোধ করে আম

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

পাকা আমের মন মাতানো ঘ্রাণে পাগল হওয়ার দিন এসে গেছে। আমের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা যাদের, তাদের অপেক্ষার পালা ফুরালো। সুমিষ্ট এই ফল খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে রসালো এই ফল যেন প্রাণ ঠান্ডা করার বার্তা নিয়ে আসে। এদিকে অনেকে মনে করেন, আম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এটি কতটা সত্যি ?

আম খেলে ওজন বাড়তে পারে এই ধারণার পেছনে জোরালোভাবে কাজ করে এর মিষ্টি স্বাদ। আমের সুমিষ্ট স্বাদের কারণে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা রয়েছে যে এটি বেশি খেলে ওজন দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা স্থুল কিংবা যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় রয়েছেন তাদের খুব খেতে ইচ্ছা করলেও বেশি আম খেতে পারেন না। এদিকে আম খেলেই যে ওজন বেড়ে যায় এই ধারণার সঠিক কোনো ভিত্তি নেই। বরং আম খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতে পারে।

ফ্যাট কমায়

যারা অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা আমের দিনে প্রতিদিন আম খেতে পারেন। এর কারণ হলো, আমের খোসায় থাকে ফাইটোকেমিক্যাল। এই উপাদান ফ্যাট কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, এতে থাকে প্রচুর পুষ্টিকর তন্তুও। যে কারণে আম খাওয়ার পরে অনেকটা সময় পেট ভরা থাকে। তাই বার বার ক্ষুধা লাগে না। যে কারণে ফ্যাটযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহও কমে আসে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

ত্বক ভালো রাখে

অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। যত পুষ্টিকরই হোক না কেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। একথা সত্যি আমের ক্ষেত্রেও। আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। তাই আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত না খেলে ওজন বৃদ্ধি কিংবা অন্য কোনো সমস্যার ভয় থাকবে না। এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ এবং সি। যে কারণে আম খেলে ত্বক ভালো রাখা সহজ হয়। তাই এই গরমে প্রতিদিন পরিমিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ক্যান্সার রোধ করে

মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার দূরে রাখতে কাজ করে পুষ্টিকর ফল আম। কারণ এই ফলে থাকে প্রচুর বেটা-ক্যারোটিন থাকে। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো অসুখ থেকে বাঁচতে নিয়মিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্র ভালো রাখা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আম। এই ফলে থাকে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। এসব উপাদান হৃদরোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে কাজ করবে।


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




বাবা হওয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে কেন ?

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

সারা বিশ্বেই পুরুষদের মধ্যে আজকাল স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ হলো ভুলভাল জীবনযাত্রা। স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া মানেই তা পরিবার পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ানো।

ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, স্ট্রেসের কারণে সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে প্রতিদিনের কিছু ভুলের কারণে। বিশেষ কিছু অভ্যাস এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যেমন-

আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার পরা

আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস পরার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। এই ভুল করবেন না। দিনে অন্তত ৯-১০ ঘণ্টা অন্তর্বাস ছাড়া থাকুন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালের রিপোর্ট বলছে, টাইট আন্ডারওয়্যার স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়।

কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা

নারী পুরুষ অনেকেই অফিস থেকে বাসায় ফিরে কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু পুরুষরা ভুলেও এই কাজটি করবেন না। কারণ কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করার ফলে তার থেকে যে তাপ উৎপাদন হয়, তা স্পার্মের স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা প্রদান করে।

অত্যাধিক ধূমপান

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা চেইন স্মোকার তাদের স্পার্মকাউন্টেও অনেক সময় সমস্যা থাকে। কারণ নিকোটিন শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। সঙ্গে ধূমপানের ফলে শরীরের স্বাভাবিক ফলুইডের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে কমে স্পার্ম কাউন্টও।

মদ্যপান

ধূমপানের সঙ্গে কমাতে হবে মদ্যপানও। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই বাবা হতে চাইলে এই স্বভাবেও রাশ টানুন। ধূমপান আর মদ্যপান কিন্তু ক্যানাসারেরও কারণ।

অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল

শীতকালে অনেকেই অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। গরমেও অনেকে গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করেন। গবেষকরা বলছেন, এই অভ্যাস শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলে। তাই যাদের এই অভ্যাস আছে, তারা এখনই তা ত্যাগ করুন।

এর পাশাপাশি হেলদি ডায়েট ফলো করুন। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করুন। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন পরবর্তী জীবনে আর কোনো সমস্যাই আসছে না। জীবন হবে সুন্দর, সমৃদ্ধ।

 


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




ইমরানকে পিটিআই থেকে ‘মাইনাসের’ পরিকল্পনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস বা সরিয়ে দিতে তৎপর হয়েছেন পিটিআই থেকে পদত্যাগ করা কিছু নেতা। আর এর নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।

গত ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তার ও এর পরবর্তী সহিংসতার (সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা) জেরে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) থেকে পদত্যাগ করেন বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। তবে তাদের সঙ্গে যোগ দেননি দলটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মেহমুদ কোরেশি। তিনি বর্তমানে জেলে বন্দি আছেন।

এখন এই কোরেশিকে নিজেদের দলে ভেড়াতে চাইছেন দলত্যাগীরা। এ উদ্দেশ্যে বুধবার (৩১ মে) আদিয়ালা জেলে কোরেশির সঙ্গে দেখা করেন ফাওয়াদ চৌধুরীসহ কয়েকজন।

পাক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, ইমরানের সঙ্গ ত্যাগ করে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে কোরেশিকে অনুরোধ করেছিলেন ফাওয়াদ।

আদিয়ালা জেলে বুধবার ফাওয়াদের সঙ্গে আরও ছিলেন সিন্ধ প্রদেশের সাবেক গভর্নর ইমরান ইসমাইল, আমীর কিয়ানি এবং মেহমুদ মৌলভী। কোরেশির সঙ্গে একটি আলাদা কক্ষে বৈঠক করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাদের। তবে কোরেশি তাদের কথায় ইমরানের সঙ্গে ছাড়তে রাজি হননি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।

এই বৈঠকের পর কোরেশির ছেলে জাইন কোরেশি টুইটারে লিখেছেন, শাহ কোরেশি সাহেব দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তিনি একটি আদর্শের নাম। আমরা ইমরান খান ও পিটিআইয়ের আদর্শের সঙ্গে আছি। শাহ মোহাম্মদ কোরেশী রাজনীতি করেছেন নীতি এবং সেবার পদ এবং লোভের নয়।

এক সপ্তাহ আগে ইমরান খান ঘোষণা দেন যদি রাজনৈতিকভাবে তাকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে তার জায়গায় পিটিআইয়ের নেতৃত্ব দেবেন শাহ মোহাম্মদ কোরেশি।

এদিকে কোরেশির সঙ্গে আলোচনা শেষে বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি জানান, দেশকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় নিতে তাদের মধ্যে ভালো আলোচনা হয়েছে।

পাকিস্তানে বর্তমানে একটি গুজব চলছে, যেসব রাজনীতিক পিটিআই ছেড়েছেন তারা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা করছেন। যেই দলে ইমরান বাদে অন্যরা থাকবেন।

সূত্র: দ্য ডন


আরও খবর



বয়সের পার্থক্য কত হলে বিচ্ছেদের ঝুঁকি কম থাকে ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

সম্পর্ক শুরুর সময় একে অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম থেকে পরিণয় পাওয়ার সময়কালটা সব সময়ই আনন্দময়। এমন অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পরতই খুব মোহময়।

তবে সেই প্রেম বা সম্পর্ককে ধরে রাখা, বা পরবর্তীতে বিয়ের পর দাম্পত্য অটুট রাখা মুখের কথা নয়। এক গবেষণায় উঠে এসেছে সম্পর্ক ধরে রাখতে বয়সের আদর্শ ফারাক নিয়ে কিছু তথ্য।

এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বয়সের ফারাক নিয়ে এক গবেষণায় বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছে।

তারা ৩০০০ জনের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছে। সেখানে উঠে এসেছে দুজনের সম্পর্কে ৫ থেকে ৭ বছরের ফারাক, ১০ বছরের ফারাক ও সমবয়সীদের সম্পর্ক নিয়ে তথ্য।

৫ থেকে ৭ বছরের ফারাক: গবেষণায় বলা হচ্ছে, যে দম্পতিদের বয়সের ফারাক ৫ থেকে ৭ বছরের, সেখানে ১৮ শতাংশ সুযোগ রয়েছে বিচ্ছেদের। তুলনামূলকভাবে সমবয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক অনেক বেশি স্থায়ী।

১০ বছরের ফারাক: দুজনের মাঝে বয়সের ফারাক ১০ বছরের হলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ। এছাড়াও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।

২০ বছরের ফারাক: দুজনের বয়সের ফারাক যদি ২০ বছরের হয় তাহলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। সেক্ষেত্রে এও বলা হচ্ছে যে, যদি বয়সের ফারাক ১ বছরের হয়, তাহলে সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩ শতাংশ থাকে।

সম্পর্ক ও সন্তান: গবেষণা এও বলছে যে, সব সময় যে বয়সই একমাত্র বিচ্ছেদের কারণ হচ্ছে, তা নয়। রয়েছে আরও পারিপার্শ্বিক বিষয়। গবেষণায় বলা হচ্ছে, বিয়ের আগে সন্তান এলে সেই জুটির সম্পর্ক বেশ টেকসই হয়, সেক্ষেত্রে বিয়ের পরে সন্তান হওয়ার পরও অনেক সময় বিচ্ছেদের কবলে পড়তে পারেন ৫৯ শতাংশ।

এছাড়াও গবেষণা বলা হচ্ছে, সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে সমবয়সীদের প্রেমে। সেক্ষেত্রে একই বয়সের দুজনের মধ্যে প্রেম সম্পর্ককে স্থায়ী করে বলে ইঙ্গিত গবেষণার।


আরও খবর

রবীন্দ্র তীর্থস্থানে এক বিকেল

বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩




ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ২ হাজার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী দিন দিন বাড়ছেই। গত এক দিনে (মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত) আরো ৯৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২ হাজারর বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মে মাসেই ১ হাজার জন ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (৩১ মে) অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় (৩০ মে সকাল ৮টা থেকে ৩১ মে সকাল ৮টা) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৫ জন। আগের দিন মঙ্গলবার ভর্তি হয়ে ছিলেন ৮৪ জন। তবে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ৯৫ জনের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৮২ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছে ২৮৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ২৪২ জন আর অন্য বিভাগের হাসপাতালে ৪১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ২২ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৭২৬ জন। আর এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন ১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৬৬ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ছয়জন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন ভর্তি হয়, মৃত্যু হয় তিনজনের। মার্চে কারো মৃত্যু না হলেও হাসপাতালে ভর্তি হয় ১১১ জন। এপ্রিলে ভর্তি হয় ১৪৩ জন আর মৃত্যু হয় দুজনের। চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে দুজনের আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন।

দেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় দেশে। সে বছরে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আর মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে শুরু হয় করোনা, ওই বছরে কমে আসে ডেঙ্গুর প্রকোপ। রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪০৫ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয় সাতজনের। এ ছাড়া ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন, মৃত্যু হয় ১০৫ জনের, আর গত বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ৬২ হাজার এবং ২৮১ জন মারা যান।

 


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




নওগাঁয় বিষাক্ত সাপের কামড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নওগাঁয় বিষাক্ত সাপের কামড়ে নিয়ামুল ইসলাম (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার পূর্বরাতে সাপে কামড়ানোর পর তাকে বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মর্মান্তিক এ স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে নওগাঁর মান্দা উপজেলার জামদই গ্রামে।

নিয়ামুল ইসলাম জামদই গ্রামের সৌদি প্রবাসী জৈনক গোলাম রাব্বানী'র একমাত্র ছেলে ও পার্শ্বের বৈদ্যপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিলো।

স্থানীয় সূত্র জানায়, স্কুলছাত্র নিয়ামুল ইসলাম মঙ্গলবার দিনগত রাতে লেখাপড়া শেষে রাতের খাবার খেয়ে তার রুমে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিছানা থেকে নেমে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে পরে।  ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে বিষধর সাপ কামড়ে দিলে সে চিৎকার দিয়ে ছটফট করতে থাকে। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপপ্লেক্সে ভর্তি করানো হলেও এক পর্যায়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে বুধবার সকালে স্বজনরা তাকে নিয়ে রাজশাহী যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিয়ামুল ইসলাম এর মৃত্যুতে গ্রাম সহ আশে-পাশের এলাকায় লোকজনের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।

মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ নূর-এ আলম সিদ্দিকী। 


আরও খবর