নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চলন্লাত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭ নং কেবিনে ময়মনসিংহের স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী ভুল করে ট্রেনে ওঠায় ওই ছাত্রীকো ধর্ষন করে ট্রেনে কর্মরত এটেনডেন আক্কাস গাজী। জয়দেব পুরে স্কুল ছত্রী তার মায়ের কাছ থেকে ময়মনসিংহে নিজ বাড়ীতে যাওয়ার জন্য ষ্টেশনে অপেক্ষা করছিল কিন্তু ভুলবশত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রপনে উঠে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ। ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থীর আত্ম চিৎকারে ট্রেনে ডিউটিরত অপর পুলিশ সদস্যরা ধর্ষিতা শিশুকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক আক্কাস গাজীকে আটক করার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে থানা লালমনিরহাটের পুলিশের এএসআই রুহুল নিরস্ত্র বাদী হয়ে নারী শিশু ৯(১) ধারায় মামলা রুজু করে বুধবার বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরন করেন। অসুস্থ ভিকটিম শিশুকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের এক্সট্রা ৭৭ নং বেডে চিকিৎসা সহ আলামত পরীক্ষার জন্য প্রেরন করেন এবং আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার আলামত পরীক্ষা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক দল।
ট্রেনে শিশু যাত্রী ধর্ষন ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
রেলের এক কর্বমচারীর এধরনের লুচ্দচামি ঢাকতে ও ধর্ষনের ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে পশ্চিমাঞ্চল রেলের বিভাগীয় কর্মকর্তা ডিআরএম আব্দুস সালাম। এরই মধ্যে তদন্ত টিম আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষক আক্কাস গাজীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করেন মর্মে নিশ্চিত করেন তদন্ত টিমের প্রধান ডিসিও আবদুল্ল্যা আল মামুন । তদন্ত টিমের. অপর সদস্যার হলেন, ডিএমও ডা: মাহফুজ ইত্তেখার ভুইয়া, ডিএমই ক্যারেজ তাসরুজ্জামান বাবু ও কয়ারেজ কর্তা শফিকুল ইসলাম।
জেলহাজতে থাকা ধর্ষক আক্কাস গাজীর বাড়ী বরিশালে। সে পতাং গ্রামের মৃত, বজলু গাজীর ছেলে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ রেওয়ে লালমনিরহাট এর বিভাগীয় ম্যানেজার ( ডিআরম) আব্দুস সালামের মতামত জানতে চাইলে প্রায় ২ ঘন্টাপর মোবাইল ফোন রিসিভ করে কিছু না বলার শর্তে বলেন, তদন্ত টিম সকল বিষয়ে বলবেন।
এখন প্রশ্ন সাধনা মানুষের ওই ৭ নং কেবিনে কোন যাত্রী ছিলকিনা বা ওই যাত্রী কোথায় নেমে যায় সেটা জানতে চায় রেল কর্তৃপক্ষের নিকট।