Logo
শিরোনাম

লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় আসামির আমৃত্যু কারাদন্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে সদর উপজেলায় কামারশালার ব্যবসায়ী হাবিব হত্যা মামলার আসামি এরশাদুল কে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রোববার( ৯ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাটের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত এরশাদুল সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা গ্রামের নুরজামালের পুত্র।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুরে সদর উপজেলার মোগলহাট বুমকা গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব মটর সাইকেলযোগে তাদের কামারশালায় তৈরীকৃত কামারী জিনিসপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী খড়িবাড়ী হাটে যায়। হাট থেকে বাড়ী ফিরতে বিলম্ব হয়।পরে রাত ১১ টার পর পরিবারের লোক হাবিবের ফোনে কল দেয় এবং ফোন বন্ধ পায়। পরদিন ২৭ অক্টোবর সকালে লোক মুখে হাবিবের লাশ সদর উপজেলার কুলাঘাট শিবেরকুটির ধরলা নদীর তীর সংলগ্ন কলা বাগানে পড়ে আছে খবর পায় পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় পুলিশ তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন আসামী এরশাদকে ঢাকার কাওরান বাজার থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাবাদ করে। পরে হাবিবুর রহমান হাবিবকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে এরশাদ স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেয়। আসামীর জবানবন্দি মতে হত্যায় ব্যবহৃত হাতুরী উদ্ধার ও জব্দ করে পুলিশ। সাবেক ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল এর নেতৃত্বে পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চুড়ান্ত অভিযোগ পত্র জমা দিলে আদালত উভয়ের পক্ষের শুনানি শেষে হাজতী আসামী এরশাদকে দন্ড বিধির ৩০২ ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা করে। অর্থ দন্ড পরিশোধে ব্যর্থতায় এরশাদকে আরও ১ (এক) বৎসর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে এবং এরশাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড আমৃত্যু কারাদন্ড হিসাবে বিবেচিত হবে বলে রায় ঘোষণা দেয় আদালত।


আরও খবর



খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, এ বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজ যাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

ধর্মমন্ত্রী জানান, হজ যাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ্জ পালন করতে পারেন সে বিষয় তৎপর রয়েছে সরকার। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক প্রক্রিয়াগুলো আরও কিভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমান বন্দরে, সৌদি আরবে হজ্জের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজ যাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ যাত্রীদের সব ধরনের দায়িত্ব ও সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।


আরও খবর



তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটির তথ্য মতে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজধানী ঢাকার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আগামী আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনে আবহাওয়া পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর



"বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুঃখী-ভাবী-অসহায়দের আশ্রয়স্থল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লক্ষ লক্ষ আশেকানে মাইজভাণ্ডারীদের সরব অংশগ্রহণে মহান ২২শে চৈত্র, গাউসুল আযম, ফানাফিল্লাহ্, বাকাবিল্লাহ্, শেখে ফায়াল, ইউসুফে সানী, জামালে মোস্তফা, হুজুর গাউসুল আযম, শাহ্সুফি সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর ৮৭তম পবিত্র ওরশ শরীফ মাইজভাণ্ডার শরীফসহ সারা বিশ্বে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে 'আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া' পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, জীবনী মুবারক আলোচনা, জিয়ারত, ওয়াজ মাহ্ফিল, ইফতার ও সাহরী আয়োজনসহ ৩ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করেছে। ৫ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফে ইফতারের পূর্বে এবং সাহরীর পূর্বে আলোচনা ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রপৌত্র, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, "গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) আখেরী জামানার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে যুগোপযোগী এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি প্রেমের অনন্য এক তরিকা, 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী তরিকা মূলত ক্বাদেরিয়া তরিকার অনুসরণে প্রবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশে 'ক্বাদেরিয়া' তরিকার মূল দায়িত্ব পালন করছেন হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)। তারই স্নেহধন্য ভ্রাতুষ্পুত্র ইমামুল আউলিয়া, হুযুর গাউসুল আযম হযরত সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এ মহতী তরিকাকে পূর্ণতা দান করেছেন। তিনি গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর সুশোভিত বাগানের শ্রেষ্ঠ প্রষ্ফুটিত গোলাপ। যার সৌরভ আজ বিশ্বজুড়ে। তার মাঝে খিজিরি বেলায়তের ঐশ্বর্য বিরাজমান। তিনি শরীয়তের জ্ঞানে যেমন পারদর্শী ছিলেন, তেমনি প্রবল কষ্ট-সাধনা-রিয়াজতের মাধ্যমে মারেফাতের সীমাহীন খনি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর সুউচ্চ, দুর্গম পাহাড়ে, বনে জঙ্গলে, নির্জনে মহান আল্লাহ্ তায়ালার ধ্যানে নিমগ্ন ছিলেন। তার নূরানী রূপের আলো, আধ্যাত্নিক শক্তি, মানবিকতা, উদারতা, স্নেহ-ভালোবাসার প্রভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছেন। আজও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অজস্র মানুষ বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে নবীপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন, আল্লাহ্ তায়ালা ও ইসলামকে জানছেন। বিচ্ছিন্ন জনপদেও তিনি ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন।

মাইজভাণ্ডার শরীফকে গাউসুল আযম ক্বেবলা ক্বাবা (কঃ) ও গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুই সমুদ্রের মিলনস্থলের মত মহাকাব্যিক স্থানে পরিণত করেছেন। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) এদেশের মাটি-মানুষের আবেগ-ভালোবাসার সাথে মিশে আছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে এ দেশের মানুষের সকল মুক্তি সংগ্রামে এবং অগ্রযাত্রায় তার অবদান অনস্বীকার্য। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) অভাবী, দুঃখী, শোষিত-বঞ্চিতদের আশ্রয়স্থল ; সুখ-দুঃখের সাথী। তিনি মানুষের অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার শিখা জ্বেলেছেন, নবীপ্রেমের জোয়ার এনেছেন, আহলে বাইতগণের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। তার বেলায়তের প্রভাব বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকে নি। কারণ গাউসুল আযম কোন নির্দিষ্ট স্থানের জন্য শুভাগমন করেন না। তিনি সকলের। বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদেরকে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আল্লাহ্ ও রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আহলে বাইতগণের এর ভালোবাসায় জীবন সাঁজাতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, খলিফাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

দোজাহানের বাদশাহ্  হুযুরপুর নূর, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সম্মানিত আহলে বাইতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাতু সালাম নিবেদন শেষে মাহ্ফিলের সমাপনী মুনাজাতে বিশ্ববাসীর কল্যাণে প্রার্থণা করেন শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের 'স্টেট অফ গ্লোবাল ক্লাইমেট' রিপোর্টে ২০২৩ সালকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর বলা হয়েছে। তবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেভাবে গরম অনুভূত হচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের উষ্ণতা বিগত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে কিনা সেই শঙ্কা করা হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, সমুদ্রের তাপ এবং অ্যাসিডিফিকেশন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্তাপ এবং অম্লকরণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের আচ্ছাদন গলে যাওয়া এবং হিমবাহ পশ্চাদপসরণের মতো একাধিক ঘটনাও যা বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়ে চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন তাপমাত্রার (বাড়ার) চেয়ে অনেক বেশি। ২০২৩ সালে আমরা যা প্রত্যক্ষ করেছি, বিশেষত সমুদ্রের অভূতপূর্ব উষ্ণতা, হিমবাহের পশ্চাদপসরণ এবং অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ হ্রাস- এই সব কিন্তু বিশেষ উদ্বেগের কারণ।

জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাব বিশ্বের যে যে অংশে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে রয়েছে এশিয়াও। চলতি বছরে ইতোমধ্যে এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ছবিটা প্রায় একইরকম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও।

হাঁসফাঁস করা এই পরিস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি।

অন্যদিকে, ইরানে গত বছর সর্বাধিক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই নিরিখে এ বছরের চলতি মাসের ছবি বিশেষ আশার আলো দেখাতে পারছে না।

দেখে নেয়া যাক দক্ষিণ এশিয়ার সেই সমস্ত শহর যার তাপমাত্রা এখন সর্বাধিক।

ভারত
গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ওড়িশার বারিপদাতে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ভুবনেশ্বরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে।

পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের তাপ মাপন কেন্দ্রে ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে গত এক সপ্তাহে। পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। বাঁকুড়াও রয়েছে ওই তালিকায়। পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে- রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হবে আগামী তিনদিনে। গত এক সপ্তাহে ওই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে।

হরিয়ানাতেও তাপমাত্রার দিল্লির কাছাকাছি রয়েছে। বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির একাধিক অঞ্চল-সহ পূর্ব উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশরর কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশেই।

চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যশোরে তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে।

পাকিস্তান
এই বছর পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধ প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সিন্ধের নওয়াব শাহতে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি, মহেঞ্জোদারোতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

লাহোরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

উষ্ণতম শহরের তালিকায় বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলের নাম অনেক আগেই নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলুচিস্তানের ন্নকুন্দিতে ৩৭ ডিগ্রি এবং সিব্বিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

অন্যদিকে করাচিতে চলতি মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে করাচীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রসঙ্গত, গত বছর তীব্র দাবদাহের শিকার হয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বেলুচিস্তানের দালবন্দিনে এবং নক্কুন্দিতে জুলাই মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছিল যা অতিক্রম করেছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপ-চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।

মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কা
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার গড় তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলম্বোতে এ সপ্তাহে তাপমাত্রা সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শহর অনুরাধাপুরার বিমানবন্দর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর রত্নপুরায় সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চল প্রদেশে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে গত এক সপ্তাহে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে তা হল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ত্রিঙ্কোমালি শহরেও সর্বাধিক তাপমাত্রা চ্ছিল ৩৫ ডিগ্রি। এটা ত্রিঙ্কোমালি জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর এবং শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রধান বন্দর শহর।

আবহাওয়া দফতরের তরফে ২০২৩-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত শ্রীলঙ্কার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গত বছর ওই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি থেকে ৩২ ডিগ্রির এর মধ্যে ছিল পুরো বছর।

মালদ্বীপ
চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।

মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে- সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল- ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নেপাল
চলতি মাসে নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে কাঠমান্ডুর বাগমতি অঞ্চলের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

অন্যদিকে নেপালের লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, বিরাটনগর বিমানবন্দর এলাকায় গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

নেপালের জ্বালানি, জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের জলবায়ু রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের সারা বছরের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৬ শতাংশ বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে বছর তরাইয়ের নাওয়ালপারাসির দামকাউলি রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা (৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে যা গত ৪৪ বছরে দেখা যায়নি।

 সূত্র : বিবিসি


আরও খবর