
নিজস্ব প্রতিবেদক :
লালমনিরহাট সদরের কালেক্টরেট খেলার মাঠে স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি.র আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকেলে বাণিজ্য ও শিল্প মেলার উদ্বোধন করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কমিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এই মেলা ৯ মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মেলা বন্ধের দাবিতে লালমনিরহাটে একাধিক মানববন্ধন করে গোশালা বাজার ও গোশালা রোড ব্যবসায়ীরা সহ খেলাপ্রমি মানুষজন। বিভিন্ন হাটে বাজারে খরচ করতে আসা একাধিক সাধারণ মানুষ জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু কিনতে পারছিনা,ভাত আছে তরকারির জন্য আলুর বলে বিকল্প নাই কিন্তু সেই আলু বাজারে ৪০-৬০ টাকা মূল্যে কিনতে হয়। অপরদিকে শত শত সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, মোটরসাইকেল প্রায় প্রতিদিন চুরি হওয়ায় অনেকের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেনা। তাই এমন সময় এই মেলার অনুমোদন না দিলেই পারতো। গত মেলার সময় থেকে এই মেলা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত সদর সহ জেলায় কমপক্ষে ৭/৮ টি মোটরসাইকেল ও শতাধিক বসতবাড়ি চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব ও মানবিকতার দরুন বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন চোরকে আটক ও গ্রেপ্তার করলেও বিজ্ঞ আদালত থেকে কেউ কেউ জামিনে বেরিয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। চুরি হচ্ছে একের পর এক বাড়ী ও গাড়ি।
আবার অনেকে বলছেন,এই মেলা ৭ দিনের বেশি চললে চুরি আরও বাড়তে পারে। সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কিংবা সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে চরা দমে আলু বিক্রি বন্ধ না হলে এ জেলার সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষতিরমুখে পরতে পারে। অপরদিকে এখানকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলা চলায় শহরের দোকানে বেচা বিক্রি কমে যাবে, কর্মচারি, দোকানভাড়া দিতে না পারলে কারও কারও দোকান মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরতে পারে। তবে এখনকার সাধারণ মানুষ,ক্ষুদ্র বয়বসায়ীরা মেলা বন্ধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।