Logo
শিরোনাম

মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে কাদেরিয়া তরিকার মজবুত সেতুবন্ধন বিদ্যমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আল্লামা শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি আল বাগদাদি বলেছেন, রমজানকে আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর আস্তানা-এ-ঈছাপুরী দরবার শরিফে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর (রহ.) ৪০তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি বলেন, হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)'র ওপর কোরআর নাজিলের পাশাপাশি রেসালত ঘোষণা হয়েছে রমজানে। ‘লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুল্লাহ’ পর্যন্ত রেসালতের এই বাণিও রমজানে হয়েছে। কোরআন শরিফ মক্কার জমিনে জবলে নূরে, গারে হেরায় রাসুলের ওপর নাজিল হয়েছে; যেটি উম্মুল কিতাব, সেই কারণে মক্কার নাম হয়েছে উম্মুল কোরা। হজরত জিব্রাইলকে (আ.) ফেরেশতাদের সর্দার বলা হয়; তিনি সব ফেরেশতার সরদার হয়েছেন রাসূলের কাছে আসার কারণে। চট্টগ্রামকে ‘মদিনাতুল আউলিয়া’ সম্বোধন করে বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ জেয়ারত ও আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর ওরসে হাজির হতে পেরেছি। এজন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া শুকরিয়া। তিনি বলেন, আপনারা অত্যন্ত ভাগ্যবান; কারণ আপনারা অলি আল্লাহর শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। অলিদের আশপাশে আছেন। এ সময় তিনি মাইজভান্ডার দরবার শরীফ যিয়ারতকালে হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী'র আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে কাদেরিয়া তরিকার মজবুত সেতুবন্ধন বিদ্যমান মন্তব্য করে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, ১৫৭১ সালে আব্দুল কাদের জিলানির বংশধর সৈয়দ হামিদুদ্দিন আল কাদেরি গৌরী তিনি সে সময় বাগদাদে বিচারক ছিলেন। বাংলাদেশের তখনকার সুলতান তাকে গৌরে নিয়ে আসেন বিচারের কাজ করার জন্য। সে থেকেই তারা এ দেশেই রয়ে গেছেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামে চলে যান। আমাদের পূর্বপুরুষরা চট্টগ্রামে ইসলামের অনেক খেদমত করেছেন। এ ধারাবাহিকতায় মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে আমাদের পূর্বপুরুষরা অবস্থান করেন। তিনি আরো বলেন, হজরত গাউছুল আজম সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানির (রা.) বংশধর মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ জেয়ারত করেছেন। তাসাউফ তরিকত সহ সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা হয়েছে। এতে কাদেরিয়া তরিকার সাথে মাইজভান্ডারী তরিকার সেতুবন্ধন আরও মজবুত হয়েছে। আমরা একসঙ্গে সারা বিশ্বে ইসলাম ও কাদেরিয়া তরিকার জন্য কাজ করবো। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চলছে। তারা সেহেরি ও ইফতার পর্যন্ত করতে পারছে না। আমরা দোয়া করছি, ইহুদি-নাসারাদের নির্যাতন মোকাবেলায় আল্লাহ পাক মজলুম ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদেরকে শক্তি দান করুক। প্রধান আলোচক আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করি মানুষকে আলোকিত করার। কারণ একজনকে আলোকিত করলে তার মাধ্যমে ১০০ মানুষ আলোকিত হবে। এ ১০০ মানুষের সঙ্গে যারা সম্পর্ক রাখবে তারাও আলোকিত হবে। এভাবে হাজার হাজার মানুষ আলোকিত হবে। সুফিবাদের মাধ্যমে ইসলামকে ছড়িয়ে দেওয়াই মাইজভাণ্ডার শরিফসহ সুফি দরবারগুলোর মূল উদ্দেশ্য। সুফিজমই হচ্ছে আসল ইসলাম যারা মানুষের ক্ষতি করে না। সব সময়ই কল্যাণ চিন্তা করে। কারণ ইসলাম হচ্ছে শান্তি, কল্যাণ ও সম্প্রীতির ধর্ম। সে ধারাতেই মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ যুগ যুগ ধরে পরিচালিত হচ্ছে।

৪০ তম এই ওরস মাহফিলে শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানির শাহজাদা শেখ সৈয়দ আবদুর রহমান আল জিলানি আল বাগদাদি, শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর আওলাদ শাহজাদা সৈয়দ সফিউল আজম, সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, সৈয়দ আমানুল্লাহ আহসান, সৈয়দ এহসানুল করিম, সৈয়দ ফয়জুল আজিম ও সৈয়দ মশিউর রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রাম আদালত চত্বরের ঘটনায় ইসকন অনুসারীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে। জানাজার সময় লাখো মানুষ উপস্থিত থেকে এই তরুণ আইনজীবীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, নাগরিক কমিটির সদস্য সারজিস আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সাইফুল ইসলামের জানাজার সময় উপস্থিত সবাই গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে বিদায় জানান। তার অকাল মৃত্যুতে, লাখো মানুষের চোখে অশ্রু ছিল এবং চট্টগ্রাম শহর যেন শোকের মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। সাইফুলের মৃত্যুর শোক, যেন সবার হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। এই শোকাবহ মুহূর্তে, তার শেষ বিদায়ে উপস্থিত সকলের মন একত্রে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে সাইফুল ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। জানাজার আগে আইনজীবী নেতারা বক্তব্য রাখেন এবং সাইফুলের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। প্রথম জানাজার পর, সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পান।

এদিকে, সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। পরে, তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে ইসকন সদস্য ও চিন্ময়ের অনুসারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা আদালত চত্বরে অবস্থিত মসজিদে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। পরে, সাইফুলকে ধরে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।


আরও খবর



আ.লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না তা ঠিক করবে জনগণ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ বিএনপি দিচ্ছে না জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কে রাজনীতি করবে আর কে করবে না সেটা ঠিক করবে জনগণ। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কাউকে বাধা দিতে পারে না। কিন্তু বিগত সময়ে গণহত্যা চালানো শেখ হাসিনাসহ সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরের ইস্কান্দার মজুমদার বাড়ি প্রাঙ্গণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিচ্ছে বলে কিছু গণমাধ্যমে আসা খবরের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি। গণমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে আসেনি। আমরা বলেছি আওয়ামী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করবে কি করবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন কারা রাজনীতি করবে কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছু না।

জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ঐক্য যেন কোনোভাবে বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের দস্যুরা পালিয়েছে। দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, নতুন সরকার জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করে একটা নির্বাচন দেবেন। সে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে রাতারাতি সব সম্ভব না। আমরা বলেছি নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।

বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জেলে থাকার কারণেই গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন খালেদা জিয়া। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন।

মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তাকে ছোট স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে থাকতে হতো। যার কারণে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন। ছয় বছর জেলে থাকলেও কখনো মাথা নত করেননি খালেদা জিয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব। ফেনী-১ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ রবিনসহ অনেক জাতীয় নেতা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আ.লীগকে বারবার গা‌লি দি‌তে চাই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বললেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বারবার ফ্যাসিস্ট বলতে চাই না। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ভুল যে করবে সে সরি (ক্ষমা চাইবে) বলবে, করাপশন (দুর্নীতি) যে করবে তার শাস্তি হবে। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সেই শাস্তি নিশ্চিত হবে, কোনও অবিচার করে নয়, কারও ওপর জুলুম করে নয়। কিন্তু বারবার তাকে গালি দিতে হবে এটা আমি খুব ভালো মনে করি না। অতীতে যারা রাজনীতি করেছেন তারা রাইট করুক আর রং করুক, তারা তো করে গেছেন। এখন আমরা কী করবো? তাদের নিয়ে শুধু পড়ে থাকলে আমাদের লাভ কী হবে? তারা যা করেছেন তার সাক্ষী জাতি হয়ে গেছে। জাতি বিচার করবে।

লন্ডনে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) আয়োজনে মতবিনিময় সভায় ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যে বাংলাদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও দলীয় পরিচয়ে কোনও বৈষম্য থাকবে না। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সবাই সমানাধিকার ভোগ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুসলিমদের মসজিদ পাহারা দেওয়া না লাগলে হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিতে হবে কেন? নিশ্চয়ই এমন কিছু কাজ আমরা করেছি, যার কারণে ওটা (মন্দির) পাহারা দেওয়া লাগে। ওই কারণটা দূর করতে হবে। যাতে কারোরই কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাহারা না দিতে হয়।

নারী অধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, মা, বোন, মেয়েদের বাদ দিয়ে একটা সমাজ উন্নত হবে, এমন চিন্তা করা বোকার স্বর্গে বাস করার সমান। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী সব পেশায় মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ আফগান ও পাকিস্তান হবে না, বাংলাদেশ হবে তারুণ্যসমৃদ্ধ ঐক্যবদ্ধ একটি দেশ।

বিবিসিসিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল দেওয়ান মাহদির পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শাহগীর বখত ফারুক, ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন, মুহিব চৌধুরী, ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা প্রমুখ।


আরও খবর



গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নারী-শিশুসহ আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত ১৪ মাসে গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ উপত্যকার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দক্ষিণ গাজা উপত্যকার আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি অস্থায়ী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী, শিশুসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্য উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। হামলায় নারী ও শিশুরা ‘পুড়িয়ে মারা’ গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বসতিগুলোতে নজিরবিহীন হামলায় চালিয়ে অন্তত ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৪ হাজার ৫৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। আর ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় হাটু সমান পানির নিচে পাকা সড়ক, নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন,সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে পাকা সড়কটি জলাবদ্ধতা (হাটু সমান) পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মানুষ। সড়কের উপর জমে থাকা পানি নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা দু' ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারীসহ প্রায় ২শ' অংশ গ্রহন করেন। জন-মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে স্থানিয় জনপ্রিয় অনলাইন 'মহাদেবপুর দর্পণ' পরিবার মানববন্ধন এর আয়োজন করেন। গত এক বছরের ও বেশি সময় ধরে মহাদেবপুর বকের মোড় থেকে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেট হয়ে মডেল স্কুল মোড় পর্যন্ত পাকা সড়কের প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও হাসপাতালের সামনে ও উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের সামনের জনগুরুত্বপূর্ন পাকা সড়কের উপর হাটু সমান পানি জমে থাকার কারনে সড়কে কয়েকটি বড় গর্ত ও খানা খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক দিয়ে চলাচল রত প্রায় যানবাহন দূর্ঘটনার শিকার হয়। কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন শতাধিক গাড়ি উল্টে যাত্রীরা পানিতে পড়ে যান। ময়লা দুর্গন্ধ যুক্ত পানিতে কাপড় চোপর নষ্ট হয় মানুষের। ঘটনাটি নিয়ে একাধিকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ এই সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনই পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই নিরুপায় হয়ে দূর্ভোগের শিকার লোকজনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সড়কের উপর থেকে পানি সরানোর দাবিতে মহাদেবপুর দর্পণ পরিবার মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

মহাদেবপুর দর্পণের প্রকাশক, বার্তা সংস্থা এফএনএস এর মহাদেবপুর প্রতিনিধি, নারী নেত্রী কাজী রওশন জাহান এতে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহাদেবপুর দর্পণের সম্পাদক, দৈনিক সংবাদ এর মহাদেবপুর প্রতিনিধি কাজী সাঈদ টিটো, বার্তা সম্পাদক ও মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, দৈনিক যায়যায়দিনের বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ও মহাদেবপুর মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইউসুফ আলী সুমন, দৈনিক আজকের পত্রিকার মহাদেবপুর প্রতিনিধি এম, আর, রাজ, পরিবেশবিদ ও পাখি গবেষক মুনসুর সরকার, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক অসিত দাস, এনায়েতপুর ইউপির সাবেক মেম্বার রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ওয়াজেদ আলী, হারুন অর রশিদ হারুন, বিশিষ্ট অটো বয়লার ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি আজমেরি হোসেন প্রমুখ। বক্তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসনের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিস ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, মানববন্ধন চলাকালেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ এই সড়কের উপর বালু ও খোয়া ফেলে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেয়।


আরও খবর