Logo
শিরোনাম

মা‌লে‌শিয়ায় কু‌মিল্লা বিভা‌গ বাস্তবায়‌নের দাবী‌‌তে সভা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কু‌মিল্লা ব্যুরো ঃ 

মালেশিয়ায় বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির আয়োজনে কুমিল্লার নামে বিভাগ বাস্তবায়নের লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে।

রবিবার ৩জুলাই মালেশিয়া কুয়ালালামপুর জালান আমপাং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বাংলাদেশের সময় বিকেল ৫ টায়  কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।

. অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মালেশিয়া বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সভাপতি অহিদুর রহমান অহিদ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল হামিদ জাকারিয়া।

কুমিল্লার সদর সংসদ সদস‌্য হাজী আ,ক,ম বাহাউ‌দ্দিন বাহার  মালেশিয়ায় শোভাযাত্রা উপলক্ষে মালেশিয়ায় অবস্থিত বৃহত্তর কুমিল্লার প্রবাসীদের উদ্যোগে কুমিল্লার বিভাগ কুমিল্লার নামে হবার প্রস্তাব করা হয়। সেখানে বসবাসরত কুমিল্লার প্রবাসীদের একটাই দাবী জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কুমিল্লার বিভাগ কুমিল্লা নামেই করার জন্যে।

এছাড়াও মালেশিয়া বসবাসরত প্রবাসীরা কুমিল্লা সদর সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারে মাধ্যমে এবং মালেশিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছে সাক্ষরিত কপি দিয়ে কুমিল্লার নামে বিভাগ বাস্তবায়ন প্রস্তাব জানানো হয়।


আরও খবর



ভাড়া কমিয়েও যাত্রী মিলছে না লঞ্চে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ভাড়া কমিয়েও যাত্রী মিলছে না লঞ্চে । ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন নৌপথে লঞ্চযাত্রীর সংখ্যা কমার পেছনে চারটি প্রধান কারণ রয়েছে। এগুলো হচ্ছেপদ্মা সেতুর কারণে রাজধানী ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উন্নত সড়ক যোগাযোগ, মহানগরীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে দুঃসহ যানজট, প্রয়োজনীয় খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণের অভাবে বিভিন্ন নৌপথে তীব্র নাব্যসংকট এবং টার্মিনালসহ এর আশেপাশে ইজারাদারের লোকজন ও কুলি-মজুরের দৌরাত্ম্য। নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য পর্যালোচনা, নৌযান ও বাসমালিক, নৌ ও বাসশ্রমিক, সাধারণ যাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সংকট নিরসনে সাতটি সুপারিশ উত্থাপন করেছে জাতীয় কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন নৌপথে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ লঞ্চযাত্রী কমেছে। এর মধ্যে গত এক বছরেই কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। এই মন্দার কারণে নৌযান মালিকরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন এবং লঞ্চ চলাচল কমে আসছে। ফলে অনেক নৌযান- শ্রমিকও দিন দিন বেকার হয়ে পড়ছেন।

জাতীয় কমিটি জানায়, ঢাকা থেকে লঞ্চে যাতায়াতকারীদের বড় অংশ বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার যাত্রী। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা শহরের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুর বিভাগের ২১ জেলার অত্যাধুনিক সড়ক যোগাযোগ হয়েছে। মানুষ স্বল্প সময়ে আরামদায়ক যাতায়াত করতে পারছে। ফলে বরিশালগামী যাত্রীদের একটি বড় অংশ আর লঞ্চে চড়ছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লঞ্চে ওঠার জন্য যাত্রীদের সদরঘাট পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু গুলিস্তান, দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু (বাবুবাজার ব্রিজ) ও শ্যামপুর থেকে সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে সারা বছর তীব্র যানজট থাকে। এতে মানুষের দীর্ঘ সময় নষ্ট ও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে অনেক মানুষ লঞ্চে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে।

নাব্যসংকটের কারণেও নৌপথে যাত্রী কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নাব্যসংকট নিরসনে পর্যাপ্ত অর্থ দিলেও নদীগুলো যথাযথভাবে খনন করা হচ্ছে না। অনেক নৌপথে নিয়মিত পলি অপসারণের জন্য সংরক্ষণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ফলে মালিকরা ঢাকা থেকে নাব্যহীন নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিকে বাধ্য হয়েছেন।

এছাড়া সদরঘাট টার্মিনালসহ আশেপাশের ঘাটগুলোতে হয়রানির কারণেও লঞ্চযাত্রী কমছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইজারাদারের লোকজন যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মালামালের টোল বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। কুলি-মজুররাও মালামাল নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে এবং বাড়তি মজুরি নেয়। সব মিলিয়ে গত দুই বছরে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ লঞ্চযাত্রী কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জাতীয় কমিটি সংকট নিরসনে সাতটি সুপারিশ হলো :

১. শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ার (জিপিও মোড়) থেকে সদরঘাট পর্যন্ত অবিলম্বে উড়াল সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ সেতু সদরঘাট থেকে একদিকে বাবুবাজার ব্রিজ, অপরদিকে শ্যামপুর পর্যন্ত সংযুক্তকরণ।

২. উড়াল সেতু নির্মাণের আগ পর্যন্ত উল্লিখিত সড়কগুলোকে যানজটমুক্ত রাখতে দুপাশের হকারসহ সব ধরনের অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার।

৩. প্রয়োজনীয় খনন ও পলি অপসারণের মাধ্যমে সব নৌপথে সারা বছর নাব্য সংরক্ষণ।

৪. টার্মিনাল ও আশপাশের ঘাটগুলোতে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ইজারাদার ও কুলি-মজুরের দৌরাত্ম্য বন্ধ। ৫. লঞ্চে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল বন্ধ ও নৌ দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। ৬. টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন, যাত্রীদের বিনামূলে টয়লেট ব্যবহার, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

৭. লঞ্চমালিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান। 


আরও খবর



নওগাঁয় ভ্রাম্যমাণ আদালত এর অভিযানে ভূয়া ডাক্তারের জেল ও জরিমানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় মনিরুল ইসলাম স্বপন (৩৬) নামে এক ভূয়া ডাক্তার কে জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মনিরুল ইসলাম স্বপন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের সততা ক্লিনিকের পরিচালক বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরের সততা ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্যাহ আল মামুন। 

বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা মনিরুল ইসলাম স্বপন এর অপারেশন করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে সততা ক্লিনিকে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের প্রশ্নত্তোরে ওই কতিথ ডাক্তার তার দোষ স্বীকার করে। এসময় তার ক্লিনিকের লাইসেন্স না থাকায় এবং নিজেকে ডাক্তার হিসেবে অপারেশন করার অপরাধে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৬ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৭ দিনের কারাদন্ড আদেশ শোনান ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ক্লিনিকের রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও খোঁজ খবর নিতে বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন জাহান লুনা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাঃ রুহুল আমিন সহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য যে,  ঐ কতিথ ডাক্তার মনিরুল ইসলাম স্বপনের কোন একাডেমিক ও ডাক্তারি সনদ নেই বলে জানা গেছে। এছাড়াও সে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে পোরশা উপেজলার সরাইগাছী সহ বিভিন্ন এলাকার ক্লিনিকগুলোতে অপারেশন করে আসছে বলে জানান একটি মহল।


আরও খবর



দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলার মহড়া চালাল উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলার অনুকরণে মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পূর্ব এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটি বলছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পারমাণবিক হামলার অনুকরণে দুটি স্বল্প-পাল্লার কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হিসেবে কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এই পরীক্ষাগুলো চালানো হয়েছে।বিবিসি বলছে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিম জং উনের দেশটি এমন এক সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল যখন দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক মহড়া চলছে।একে অপরের মিত্র এই দুই দেশের এই ধরনের সামরিক মহড়াকে অবশ্য যুদ্ধের মহড়া হিসাবে দেখে থাকে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান কমান্ড সেন্টার এবং অপারেশনাল এয়ারফিল্ডে’ হামলার অনুকরণে কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়া হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়।দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘শত্রুদের কাছে স্পষ্ট একটি বার্তা পাঠানোও ছিল এই মহড়ার উদ্দেশ্য।’

বিবিসি বলছে, চলতি আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করে। উভয় দেশের ১১ দিনের সম্মিলিত এই সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার একদিন আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই মহড়ায় অন্তত একটি মার্কিন বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান কোরীয় উপদ্বীপের ওপরে উড্ডয়ন করে।উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মঙ্গলবার তার শীর্ষ কমান্ডারদের দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার জন্য মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহড়ায় আকস্মিক আক্রমণ প্রতিহত করার পাশাপাশি ‘দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো অঞ্চল’ দখল করার জন্য পাল্টা আক্রমণ শুরু করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সীমিত সামর্থ্যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাফুফের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে গত কয়েক বছরে অসংখ্য বারই এসেছেন জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। তিনি আজ (শুক্রবার) একটু ভিন্নভাবেই আসলেন। জাতীয় দলের টি-শার্ট পরে হেড কোচের আসনে বসে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলেন মিন্টু। জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এএফসি অ-২৩ বাছাই খেলতে যাচ্ছেন। 

টুর্নামেন্টটিতে ১১ টি গ্রুপ রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা পাঁচ রানার্স-আপ মূলপর্বে খেলবে। বাংলাদেশের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মূলপর্বে খেলার লক্ষ্য নিয়ে যাব। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথমে পয়েন্ট পেলে তখন মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা আরও বাড়বে।’

এই সপ্তাহেই সিনিয়র জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আবার এশিয়ান গেমস রয়েছে। সব মিলিয়ে অ-২৩ দল পূর্ণ শক্তির নয়। বিষয়টি মেনে নিয়েও সর্বোচ্চ প্রত্যাশাই করছেন মিন্টু, ‘বয়স ২৩-এর নিচে এমন সাত জন (মোরসালিন, দিপকসহ আরও পাঁচ জন) খেলোয়াড় সিনিয়র দলে রয়েছে। তারা আসলে অবশ্যই দলীয় শক্তি বৃদ্ধি পেত। কিন্তু সিনিয়র দলের প্রীতি ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। আবার সামনে এশিয়ান গেমস। সেই দলে যারা রয়েছে তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে বিদ্যমান সামর্থ্যের মধ্যে আমরা সর্বোচ্চটা দেব। আমাদের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। তাদের সাম্প্রতিক খেলাগুলো দেখেছি। তারা আমাদের সামর্থ্যের খুব বাইরে নয়।’

সিনিয়র জাতীয় দলে খেলেছেন এমন চারজন রয়েছেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলে। এদেরই একজন ইয়াসিন আরাফাত এই দলটির অধিনায়কত্ব করবেন। জাতীয় দলে এক সময়কার নির্ভরযোগ্য এই ফুটবলার সাফের চূড়ান্ত স্কোয়াডে ডাক পাননি। পুনরায় জাতীয় দলে প্রবেশের চেয়ে জুনিয়র দলের দায়িত্বেই তার আপাতত মনোযোগ, ‘আমি এখনকার দায়িত্ব নিয়েই ভাবছি। এই দলে সেরাটা দিতে চাই। সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই জাতীয় দলেও বিবেচনা করবে।’

গোলের খেলা ফুটবল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গোল স্কোরিংয়েই মূল সমস্যা। এএফসি অ-২৩ টুর্নামেন্টেও এটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে স্বীকার করলেন কোচ মিন্টু, ‘এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। গোল শুধু টেকনিক্যাল নয়, সাইকোলজিক্যালও বিষয়। খেলোয়াড়দেরও বিশ্বাস থাকতে হবে সে পারবে। গোল করতে করতে সে এতে অভ্যস্ত হবে।’ 


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




লিবিয়ায় বন্যায় সাগরে ভেসে গেছে হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টির পানির চাপে দারনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেওয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। সেই বাঁধের পানির কারণেই সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাঁধের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যা হাজার হাজার মানুষকে সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সেই বন্যাটিকে অনেকে সুনামির মতো আখ্যায়িত করেছেন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে অনেক এলাকাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের পানিতে যেসব মানুষ ভেসে গেছেন তাদের মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দারনা শহরের অ্যাম্বুলেন্স সোসাইটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এ শহরটিতেই ২ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখনো ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।

এদিকে ভয়াবহ এই বন্যার পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার স্বঘোষিত পূর্বাঞ্চলের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপর্যস্ত দারনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা বেশ খারাপ।

ওই পুরো দারনা শহরই বন্যার পানিতে সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দারনার এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন আর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মর্গগুলোও মৃতদেহে ভরে গেছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, এই ভয়াবহ বিপদে যারা পড়েছেন তাদের যে উদ্ধার করা হবে সেই পরিস্থিতিও এখন লিবিয়ায় নেই। কারণ ২০১১ সালে সাবেক শাসক কর্নেল মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়ে দেশটি। আর তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শুধুমাত্র যুদ্ধই চলেছে। ফলে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে— বিপর্যয় পরবর্তী বিষয়াবলী যে সামাল দেওয়া হবে এমন কোনো বাহিনী বা অবকাঠামোই তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া গাদ্দাফির পতনের পর গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে যায় লিবিয়া। এর ফলে বর্তমানে দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল আলাদা আলাদাভাবে শাসিত হয়ে আসছে। আর বিভক্তির কারণে কেন্দ্রীয় ও সমন্বিত কোনো উদ্ধার অভিযানও সম্ভব হচ্ছে না।

সুনামি সদৃশ বন্যা সম্পর্কে পূর্বাঞ্চলের সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি যা দেখেছি তা দেখে মারাত্মকভাবে চমকে গিয়েছি। এটি সুনামির মতো ছিল।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, দারনার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পুরো শহরটিকে বাধের পানি সমুদ্রে নিয়ে চলে যায়।

এই ভয়াবহ সুনামির মতো বন্যা থেকে বাঁচতে অনেকে উঁচু বাড়ির আশ্রয় নেন। কিন্তু যাদের কপাল ভালো ছিল না, তারা ভেসে চলে যান সমুদ্রে। আর সেখানেই তাদের সলিল সমাধি ঘটে।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩