Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন বরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মো.হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

 টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)  এর  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের নবীনবরন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসআরএম বিভাগের গ্যালারী রুমে  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের (চিত্রক-১৬) শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। 

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জয় কৃষ্ণ সাহা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রকৌশলী এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ উপস্থিত ছিলেন। 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  সহযোগী  অধ্যাপক  প্রকৌশলী এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার যেমন দরকার আছে, ঠিক তেমনিই জীবনে মানুষের মত মানুষ ও রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ এর অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে । কারণ প্রথাগত বইয়ের সাথে তোমার ভালো সম্পর্ক হতেই পারে, কিন্তু বইয়ের বাহিরেও একটা বিশাল জগৎ আছে। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এর মাধ্যমে সুন্দর করে গুছিয়ে  কথা বলা, সৃজনশীল চিন্তাশক্তি বিকশিত করা, বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপনা করা ইত্যাদি গুন গুলো তোমার মধ্যে সঞ্চারিত হবে। তুমি একজন ভালো ছাত্র হতেই পার, কিন্তু তুমি একজন ভালো এডমিনিস্ট্রেটর নাও হতে পারো এবং তুমি একজন ভালো ছাত্র হতে পারো আবার একজন  ভালো শিক্ষক নাও হতে পারো। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সব সময় সবদিক দিয়েই সেরা। তাই এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস বাস্তব জীবনে সাফল্য অর্জন করতে সহায়তা করবে। 

সর্বশেষে তিনি সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও সফল করার জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


আরও খবর



বাংলাদেশে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




বাড়ছে শীতের প্রকোপ, দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। কার্তিক মাসের শুরুতে এই অঞ্চলে শীতের আমেজ অনুভূত হতে শুরু করে। মাঝরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চারপাশ কুয়াশার পর্দায় মোড়ানো থাকে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মহাসড়কে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে বিভিন্ন যানবাহনকে। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া অনেকেই গায়ে জড়িয়েছেন হালকা শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস আর হিম কণা আভাস জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লেও শীতের তীব্রতা সেভাবে নেই।

দিনাজপুর শহরের রামনগর এলাকার ইজিবাইকচালক সাগর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকেই হালকা হালকা শীত অনুভব হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে আজ সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে গেছে। বেশিদূর দেখা যাচ্ছে না। যদিও বা ঠান্ডা নেই সেভাবে। শীত এলে ঠান্ডা আর কুয়াশায় আমাদের গাড়ি চালানো একটু কষ্টকর হয়ে যায়।

পিকআপের চালক রবিউল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর যাচ্ছি। পিকআপের মাল নিয়ে সকাল ৮টায় বের হয়েছি প্রায় এক ঘণ্টায় দিনাজপুর শহরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা হয়ে গেলেও এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রাস্তা দেখা যাচ্ছে না তাই ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে।

কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, শীত আর ঘুন কুয়াশা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। বেশি কুয়াশা হলে আলুর গাছের ক্ষতি হতে পারে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার সকাল ৯ টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



রাজাপুরে স্কুলে ঝুলছে তালা, দুই স্কুলের শিক্ষকদের শোকজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান 

ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা দেখতে পেলেন দুই স্কুলে তালা ঝুলছে। এ ঘটনায় দুই স্কুলের শিক্ষকদের ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও রাহুল চন্দ। অভিযোগে জানা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ইচ্ছেমত স্কুলে আসা-যাওয়া করেন ও দুপুরের পর কিছু কিছু স্কুলে ক্লাস না করিয়ে ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সত্যতা পান এবং দুই স্কুলে তালা ঝুলতে দেখে হতবাক হন। কারন দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ বুধবার দুপুর সাড়ে ৩ টার সময় গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, কর্মচারী ও কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি এবং সকল শ্রেণীকক্ষ তালাবদ্ধ ছিল। যা সরকারী বিধি ভঙ্গের সামিল। কর্তব্যকর্মে অবহেলার কারনে কেন আপনার এবং আপনার অধীনস্থ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না তার কারন আগামী ৩ তিন কার্য দিবস (১৮ নভেম্বর) মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। জানা গেছে, গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারি মাসে ৩ লাখ ৮০ হাজার  টাকা বেতন উত্তোলন করেন এবং ওই স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে ২০৯ জন। এ বিষয়ে গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম রিয়াদুল আলম জানান, স্কুলের ফলাফল প্রকাশ দিবস থাকায় একটানা স্ক¬াস করিয়ে ৩ টার দিকে ছুটি দেয়া হয়েছে। যথাযথভাবে শোকজের জবাব দেয়া হয়েছে। ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুহাম্মদ ইশা জানান, শিক্ষক কম ছিল, তারা ক্লান্ত হয়ে গেছিলো। তাছাড়া বিদ্যালয়ে নারিকেল গাছ রোপনের জন্য কিছুটা আগে ছুটি দেয়া হয়েছিলো। শোকজের জবাব দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউএনও রাহুল চন্দ জানান, দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে, জবাব যুক্তিযুক্তভাবে না দিতে পাররে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদন্ডী গ্রাম। পিতাঃ শ্রী চণ্ডীচরণ শীল। বঙ্গের কবিগানের ভূবনে কিংবদন্তির নায়ক, মরমী গানের ধারায় মাইজভাণ্ডারী গানের সফল সংযোজক, একুশে পদকে ভূষিত, কবিয়াল রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকারই ছিলেননা; তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী। তিন শতাধিক মাইজভাণ্ডারী গান রচনা করে তিনি এই জগৎকে আশ্চর্যরকম ভাবে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। শুধু সংখ্যার বিচারে নয়; গুণগত বিচারেও এগুলো উচ্চমার্গীয়, অনেকগুলোই কালোত্তীর্ণ। এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মূলত সাধনসঙ্গীত। রমেশ শীল তাঁর ব্যাপক কবিয়াল পরিচিতি এবং সৃজনশীল প্রতিভার পরশে মাইজভাণ্ডারী গানে এক নতুন ভাব-জোয়ারের সৃষ্টি করে সাধনসঙ্গীতকে নিয়ে আসেন লোকসঙ্গীতের কাতারে; জনপ্রিয় করে তোলেন যুগপৎ দরবারে ও সুধীমহলে। এ ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের অবদানের সাথে তাঁর অনেকাংশে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলার লোক সঙ্গীতকে পল্লী ও শহর অঞ্চলে সমান তালে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের (১৯০১-১৯৫৯) যে অবদান, মাইজভাণ্ডারী গানকে মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলের পাশাপাশি সুধী-সমাজে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে রমেশ শীলের অবদান প্রায় অনুরূপ। এ প্রসঙ্গে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ ডক্টর ওয়াকিল আহমদের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য-

আধ্যাত্মিক ভাবধারায় রচিত মাইজভাণ্ডারের গান বাংলা লোক সংগীতের সখা-চারণকবি রমেশ শীল ছিলেন এ ধারার প্রধান রূপকার ও প্রচারক। মাইজভাণ্ডারের গান মূলত আধ্যাত্মিক হলেও এতে সমাজচেতনা অনুপস্থিত নয়: প্রতীক ও রূপকের ভাষায় সমাজের সমালোচনাও প্রকাশ পায়। আমার মনে হয়, এই কারণে মাইজভাণ্ডারের গান বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে স্থায়ী আসন লাভ করবে।১

আমাদের ধারণা, রমেশ শীলের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ রেখেই শেষোক্ত মন্তব্যটুকু সংযুক্ত করা হয়েছে।

এতদিন মাইজভাণ্ডারী গান ছিল মাইজভাণ্ডার দরবার ভিত্তিক। রমেশ শীল একে দরবারি মজলিস থেকে বের করে এনে সাধারণ শ্রোতার কাছেও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে লালন সঙ্গীত-সাধক অমূল্য শাহের সাথেও তাঁর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অমূল্য শাহ লালন সঙ্গীতকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার নিয়ম প্রবর্তন করেছিলেন, রমেশ শীলও অনুরূপ মাইজভাণ্ডারী গানকে তাল-মাত্রায় ফেলে গাইবার পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। রমেশ শীলের মাইজভাণ্ডারী গানগুলো উচ্চমার্গীয় সাধন সঙ্গীত হিসেবে রচিত হয়েও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। রমেশ শীলের মাইজভান্ডারী গানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজ জীবনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দ্বন্দ্বের একটি প্রবহমান গতিধারার যথার্থ চিত্রও খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমাদের ধারণা।

মাইজভাণ্ডারী তরিকার উদার, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক বক্তব্যে আকর্ষিত হয়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে এরকম উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- খ্রিষ্টান মাইকেল পেনারু, বৌদ্ধ ধনঞ্জয় বড়ুয়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের গুরুদাস ঠাকুর ও কবিয়াল রমেশ শীল। রমেশ শীল শুধু ঝুঁকে পড়েননি, মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ও পীরমাহাত্ম্য বর্ণনা করে আধ্যাত্মিক উচ্চমার্গীয় সঙ্গীতও রচনা করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও মাইজভাণ্ডারী পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন, তাঁর গানসমূহ দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছিল। কিন্তু সাধারণভাবে অনেকে এটি সহজভাবে নিতে পারেনি। 

চট্টগ্রামের অভিজাত মুসলমান সম্প্রদায়েরই একটা অংশ রমেশ শীলকে, এমনকি রমেশ শীলের কারণে মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকাকেও তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে-


নয়া সুন্নি


নয়া এক ফেরকায়ে বাতেল হায় জাহের


বানাতে হোঁ মুসলমানো-কো কাফের।


নয়া সুন্নি নয়া উনকো আকিদা


আজব সুন্নি সুনিদা হাম নাদিদা।


পুরানে সুন্নিও ছে হেঁ ওয়ো বেজার


কমিউনিষ্ট আওর সেকুলারকা মদদগার।


আজব সুন্নি গজব উনকা তরিকা


রমেশ শীল ভি হায় উনকো এক খলিফা।


শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ নয়, রমেশ শীল স্ব-সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও বিদ্রূপাত্মক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। মাইজভাণ্ডার যাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁকে 'একঘরে' করে রাখা হয়েছিল। তীব্র মনোদুঃখে রমেশ শীল রচনা করেন নিম্নোক্ত গানটি-


আমার প্রাণে খোঁজে মাইজভাণ্ডার।

নিন্দা করলে কি ক্ষতি আমার।


নিন্দুকেরা নিন্দা করুক, 

নিন্দা করা স্বভাব তার।।

কিসে হারাম হল তাল,

তালে লোহা পিটে বানায় দা ছুরি কোদাল,

তালে মাটি পিটে কুলাল ভাণ্ড বাসন হয় তৈয়ার।।

দেখ খোদার তৈয়ার ঢোল, 

দুনিয়াময় চামড়া ছানি ভিতরে তার খোল, 

নানা শব্দে বাদ্য বাজে শুনতে লাগে চমৎকার।।

শুন যত বন্ধুগণ, 

নিন্দুকেরে তোমরা কভু ভেবনা দুশমণ, 

তারা ত্বরিকতের ধোপার মতন ধুয়ে করুক পরিষ্কার।।

খাদেম রমেশের বাণী, 

প্রাণ দিয়েছি পীর কদমে যা করেন তিনি,

ঐসব নিয়ে টানাটানি করা আমার কি দরকার।। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রমেশ শীল শুধু মাইজভাণ্ডারী গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীই ছিলেন না, মাইজভাণ্ডার পরিমণ্ডলের অনেকের বিশ্বাস, রমেশ শীল ছিলেন মাইজভাণ্ডারের ফয়েজপ্রাপ্ত একজন খলিফাও। 


আরও খবর

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




রাজধানীতে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হাইকোর্ট ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু। বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট দায়ের করেন।

বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে রাজধানীতে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে।

রাজধানীর মূল সড়কের চেয়ে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। রাজধানীর খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।

এসব এলাকা ছাড়াও রাজধানীর প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল রয়েছে। ফলে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ এসব বাহনের দৌরাত্ম্য।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪