ইয়াশফি রহমান : বিশ্বকাপে সেরা পারফরমার কে- এ নিয়ে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে বিতর্ক লেগেই আছে। কারো দৃষ্টিতে মেসি, কেউ মনে করেন নেইমারই সেরা। আবার ফ্রান্সের সমর্থকরা মনে করেন একা এমবাপ্পেই জেতাতে পারেন দলকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে লিওনেল মেসি আছেন আর্জেন্টিনাতে। পিএসজির সঙ্গে এখনো যোগ দেননি তিনি। ওদিকে আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে নেইমারও নিষিদ্ধ ছিলেন এদিন। তাদের ছাড়াই গতকাল মাঠে নেমেছিলেন কিলিয়ান এমবাপের মতো তারকা। তবে নিজেকে প্রমাণ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
লিগের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দল লেঁসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছে পিএসজি। যার ফলে নতুন বছরের শুরুতে ভেঙে গেছে পিএসজির প্রায় আট মাসের দীর্ঘ অপরাজেয় যাত্রাও।
প্রতিপক্ষের মাঠে পিএসজি পিছিয়ে পড়েছিল ম্যাচের শুরুতেই। গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুমাকে ঘোল খাইয়ে প্রথম গোলটা আদায় করে নেন স্বাগতিক দলের প্রেমিস্লাভ ফ্রাঙ্কোভস্কি।
পিএসজি অবশ্য সমতা ফিরিয়েছে একটু পরই। মেসি-নেইমারদের ভীড়ে তেমন সুযোগ না পাওয়া হুগো একিতিকে করেন গোলটি। তবে সে সমতা পিএসজি ধরে রাখতে পেরেছে মোটে মিনিট বিশেকের মতো সময়। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ডিফেন্ডার মারকিনিয়োসকে দ্বৈত লড়াইয়ে হারিয়ে, ডনারুমা নাগালের বাইরে দিয়ে করা শটে গোল করেন লইঁ ওপেন্দা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিএসজির জালে আরও এক গোল জড়ায় লেঁস। ওপেন্দার বাড়ানো বলে অ্যালেক্সিস ক্লদ-মরিসের গোল ৩-১ গোলে এগিয়ে দেয় স্বাগতিকদের। প্রথম গোলের জবাব দিলেও শেষ দুটোর জবাব আর দিতে পারেনি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। যে কারণে প্রায় আট মাস পর আবারও হারের কবলে পড়ে পিএসজি। গত ২০ মার্চ মোনাকোর কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল দলটি।
তাদের এই হারের পরও অবশ্য ১৭ ম্যাচ শেষে পিএসজি আছে লিগের শীর্ষেই। তবে দুইয়ে থাকা লেঁসের সঙ্গে ব্যবধান অনেকটাই কমে এসেছে। ৪৪ পয়েন্ট অর্জন করা প্যারিসিয়ানরা লেঁস থেকে এগিয়ে এখন মাত্র ৪ পয়েন্টে।