মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র
গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে পেরে না উঠে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে দেশটির
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ১১ জন সদস্য। এ নিয়ে দেশ ছেড়ে সীমান্তের এপারে
আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৭ জনে।
মঙ্গলবার (৬
ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত
করেন।
তিনি জানান, মিয়ানমারের
অভ্যন্তরে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত
দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের ১১৭ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি সদস্যরা
তাদের সবাইকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমার
ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ
করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আইনমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের
অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
অন্যদিকে,
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম
ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না
দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, জান্তা সামরিক বাহিনীর আরও বেশ কয়েকটি
ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মিসহ জাতিগত স্বাধীনতাকামীরা। এছাড়া গত চারদিনে তাদের
হাতে প্রাণ হারিয়েছে দেশটির অন্তত ৬২ জন সেনা। জান্তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারজুড়ে
হামলা জোরদার করেছে সশস্ত্র এই জাতিগত স্বাধীনতাকামীরা।
গত পাঁচ দশকেরও বেশি
সময় ধরে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে দেশটির বিভিন্ন
সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তার রাষ্ট্রক্ষমতা
দখলের পর এ সংঘাত বেড়ে যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে
মিয়ানমারের সঙ্গে।