Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে অন্তসত্ত্বা গৃহবধুসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি হত্যা মামলা তুলে নিতে জের হিসেবে একই পরিবারের ৫ মাসের অন্তসত্তা গৃহবধুসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এদের মধ্যে গুরুত্বর জখমী তুহিন মোল্লা (২৮) ও জহিরুল মোল্লা (৩৫ কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বলইবুনিয়া ইউনিয়নের দোনা গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

অভিযোগে জানাগেছে, দোনা গ্রামের ব্যবসায়ী এনামুল মোল্লার স্কুল পড়–য়া ছাত্র লিমন মোল্লা (১০) কে গত এক বছর পূর্বে হাত পা বেঁধে নিমমভাবে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তখন ইমরান কাজীকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হলে মামলাটি থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে বাদির পরিবারকে হুমকি ও চাপ সৃষ্টি করে আসছে।  

ঘটনারদিন শুক্রবার একই গ্রামের প্রতিপক্ষ ওই মামলার আসামির পিতা জহিরুল কাজীর নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হত্যা মামলার বাদি এনামুল মোল্লার স্ত্রী ৫ মাসের অন্তসত্তা গৃহবধু লিমা বেগম (২৫), তার ভাই জহিরুল মোল্লা (৩৫), বোনের ছেলে তুহিন মোল্লা (২৮), শিক্ষার্থী আজিজুল বেপারি (১৯), নাসরিন বেগম (২০)কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা অবনতি হলে খুমেক মেডিকেলে স্থান্তরিত করা হয়েছে। আহত দু’জনের মাথায় হাড় কাটা একজনের ডান হাত জয়েন্ট ভাঙ্গা গৃহবধুর ৫ মাসের অন্তসত্ত¡া বলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যরত চিকিৎসক মনিকা মল্লিক জানিয়েছেন। এদিকে ভূক্তভোগী পরিবারের এনামুল মোল্লা বাদি হয়ে ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর



তীব্র দাবদাহ থেকে কবে মুক্তি মিলবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

টানা অন্তত দুদিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদফতর ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদফতর

চলতি এপ্রিলে ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এরপর ঢাকা, খুলনা রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা বাড়ে এবং দুদিন তা অব্যাহত থাকে

এপ্রিল কক্সবাজার সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। আজ শুক্রবার ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভাঙে

১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ জলবায়ু সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা এর স্থায়িত্ব বাড়ছে

রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। সম্প্রতি আবহাওয়া অধিদফতরের প্রকাশিত 'বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন' প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা-দুটোই বাড়লেও এর মধ্যে দ্রুত বাড়ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা


আরও খবর



৩০ বছরেও হালনাগাদ হয়নি ওষুধের তালিকা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো দেশের মানুষ যাতে সুলভ মূল্যে কিনতে পারে, সে জন্য ১৯৯৩ সালে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ওষুধের তালিকা করেছিল সরকার ৩০ বছর আগে তৈরি করা ওই তালিকার অনেক ওষুধই এখন উৎপাদন করে না কোম্পানিগুলো ছাড়া চিকিৎসকেরাও ব্যবস্থাপত্রে আরও উন্নত কার্যকর ওষুধ লেখেন কিন্তু তালিকাভুক্ত না হওয়ায় এসব ওষুধ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে রোগীদের এই অবস্থায় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করা জরুরি বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রাইমারি, সেকেন্ডারি টারশিয়ারিএই তিন ভাগ করা আছে সে অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসকেরা প্রাইমারি হেলথ কেয়ার তালিকাভুক্ত ওষুধ লিখবেন সেকেন্ডারি পর্যায়ের চিকিৎসায় আরও একধাপ ওপরের ওষুধ লিখবেন আর টারশিয়ারি পর্যায়ে চিকিৎসায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ লেখা যাবে

রোগের ধরন অনুযায়ী প্রাইমারি হেলথ কেয়ার তালিকার ১১৭টি ওষুধকে ১৩টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে এসব জেনেরিক ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে অন্যান্য ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে নিজ নিজ কোম্পানি তালিকাভুক্ত ওষুধের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ তৈরির বাধ্যবাধকতা রয়েছে কোম্পানিগুলোর ওপর কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান এসব ওষুধ তৈরি করছে না ফলে তালিকার বাইরের ওষুধ কিনতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে রোগী স্বজনদের

হৃদ্রোগ-সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য ওষুধের আটটি জেনেরিকের নাম লেখা আছে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার তালিকায়, এগুলোর একটি হলো নিফিডিপিন এখন এর পরিবর্তে চিকিৎসাপত্রে অ্যামলোডিপিন জেনেরিকের ওষুধ লেখেন চিকিৎসকেরা ছাড়া অ্যাটেনোলোলের পরিবর্তে বিসোপ্রোলোল নেবিভোললের ব্যবহার হচ্ছে

সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্লক্সাসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেটের পরিবর্তে ফ্লুক্লক্সাসিলিন ব্যবহৃত হয় এখন। আর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের সমস্যায় ডায়াজিপাম ওষুধের পরিবর্তে ক্লোনাজিপাম, থায়োপেনটাল ওষুধের পরিবর্তে প্রোপফল ইনজেকশন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ওষুধগুলো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহার হলেও তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় তা অন্তর্ভুক্ত হয়নি

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু আজহার বলেন, সময়ের প্রয়োজনে উন্নত নতুন নতুন অনেক ওষুধ বের হয়েছে। কারণে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের ওষুধ অনেকে লিখছেন না। এই তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এটি করা না হলে ভুল ওষুধ প্রয়োগের ঝুঁকি তৈরি হবে

দেশে বর্তমানে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করছে ২৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে দেশে জেনেরিক ওষুধ ছিল ৩৫০-৪০০টি। বর্তমানে এর সংখ্যা বেড়ে হাজারে পৌঁছেছে। কিন্তু সরকার কর্তৃক দাম নির্ধারণের ওষুধের তালিকা আর বাড়েনি

সম্প্রতি দেশের সর্ববৃহৎ ওষুধের পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড, বাবুবাজার বাদামতলী এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী এবং ফার্মাসিস্টদের সঙ্গে তালিকাভুক্ত ওষুধ নিয়ে কথা হলে তাঁরা বলেন, দেশে এখন নতুন নতুন ওষুধ তৈরি হচ্ছে। কারণে চিকিৎসকেরাও এসব ওষুধ আর ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন না। ব্যবস্থাপত্রে না থাকায় কেউ ওসব ওষুধ দোকানে তুলছেন না

২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের অ্যামক্সোসিলিন, অ্যাম্পিসিলিন, টেট্রাসাইক্লিন ওসব ওষুধের কার্যকারিতা থাকলেও এখন থার্ড ফোর্থ জেনারেশনের ওষুধ দেশে এসেছে। কারণে অনেকে আগের ওষুধ লিখছেন না। তবে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের তালিকা আপডেট করা উচিত।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হালিমুজ্জামান বলেন, ১১৭টি তালিকাভুক্ত ওষুধই দরকারি। এসব ওষুধের দাম না বাড়ানোয় কোম্পানিগুলো উৎপাদন করছে না। যারা করেছে, তাদের ৭০-৮০ শতাংশ লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে। কারণে এসব দরকারি ওষুধ ভারত থেকে পাচার হয়ে দেশে আসছে। ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করার বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্পমালিকদের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে মন্ত্রী হালনাগাদ করার বিষয়ে তাগিদ দেন


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের দাম লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর কার হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

 


আরও খবর



রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দেশ। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বৃষ্টি এসে তাপ কমাবে মানুষ সেই আশায় থাকলেও গত এক মাস ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে খুব একটা সহায়ক ছিল না। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে অধিক আর্দ্রতায় শুকাচ্ছে না ঘাম, কাপড় ভিজে লেপ্টে যাচ্ছে শরীরে, আর দ্বিগুণ হচ্ছে অস্বস্তি। এই যখন পরিস্থিতি, এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহে। বাসা-বাড়িতে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।

গত কয়েক দিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানি পাচ্ছেন না ঠিকঠাক মতো।

হঠাৎ রাজধানীর এতগুলো এলাকায় পানির এ সংকটের কারণ জানতে গেলে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েক দিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। মূলত যেখানকার ডিপ টিউবওয়েলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েকদিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। সেসব জায়গায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কিছু এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপ কম থাকায় সেখানেও পানির সংকট তৈরি হয়েছে।

এদিকে লাইনে পানি না পেয়ে যারা টাকার বিনিময়ে ওয়াসার গাড়ির পানি অর্ডার করছেন তারাও ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে পানির চাহিদা জানানো হলে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে, ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না পানি সংকটে থাকা বাসিন্দারা। অভিযোগ এসেছে, ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য হাজার-বারোশ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাফায়েত ইসলাম। গত ৪-৫ দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাই না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা, এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, বাথরুমে যাওয়া যায় না। আমাদের সমস্যা নিরসনে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসাকে।

যাবির হাওলাদার নামে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ওয়াসার মডস জোনে বারবার যোগাযোগ করছি। বারবার অর্ডার দিয়েও আমরা পানি পাচ্ছি না। পানির গাড়ি পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ৬০০ টাকার পানির গাড়ি দ্বিগুণ টাকা দিয়েও অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

একই অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েও। এ ব্যাপারে মডস জোনের আওতায় বাড্ডার বৌবাজার এলাকার ওয়াসার পাম্পের অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে পানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মেশিন চালিয়ে ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে কিছু কিছু এলাকায়। গরমে পানির চাহিদাও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পানি সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে; মূলত সেই সব এলাকাতেই কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসা বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২৯০ কোটি লিটার পানির উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের। গরমকাল এলে রাজধানীতে পানির চাহিদা থাকে ২৬০ কোটি লিটার। সে হিসাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকার কথা না। তবে, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতি নির্ভরশীলতাই পানির বর্তমান সংকটের কারণ।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ওয়াসার সরবরাহ করা পানি আসছে ভূগর্ভ থেকে।

প্রসঙ্গত, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। গঠন করা এই ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে ঢাকা ওয়াসার এ কমিটি।

 


আরও খবর