Logo
শিরোনাম

মরক্কোর এক গ্রামে সবাই মৃত অথবা নিখোঁজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মরক্কোতে শনাক্তকৃত মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছুঁইছুঁই। সোমবার সেখানে ২ হাজার ৪৯৭ জনের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে। উদ্ধারকাজ পরিচালনার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নেই মরক্কোর কাছে। রীতিমতো শূন্য হাতেই দুর্গত এলাকায় কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর আফ্রিকার দেশটি ব্রিটেন-স্পেন-কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা গ্রহণ করেছে। এদিকে এটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দা হয় মারা গেছেঅথবা নিখোঁজ বলে উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে। খবর বিবিসিরয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের।


প্রত্যন্ত বহু এলাকায় এখনও পৌঁছাতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল। এ প্রসঙ্গে ওই অঞ্চলের একজন বাসিন্দা বলেনভূমিকম্পের সময় ক্যাফেতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বাবা মারা গেছেন। আটকা পড়াদের বাঁচাতে শুক্রবার থেকে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়রা পরস্পরকে সাহায্য করছে। অথচ এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কোনো কর্মকর্তা আসেননি। উত্তর আফ্রিকার দেশটির সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে প্রতিবেশী স্পেন। ব্রিটেনকাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঠিয়েছে ত্রাণবিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দলডগ স্কোয়াড ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।


সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্স আর তুরস্কও। তবে সেই সহায়তা নেওয়া হবে কি নাএখনও নিশ্চিত নয়। তুরস্ককে সহায়তা করতে প্রস্তুততারা রাজি হলেই সহায়তা দেওয়া হবেবলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেব এরদোগান। এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও জানিয়েছেনতার দেশও সহায়তার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। তবে মরক্কোর তরফ থেকে অনুমতি মেলেনি এখনও। 


সবাই মৃত অথবা নিখোঁজমরক্কোর এটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেনএই গ্রামের সব মানুষ হয় হাসপাতালেআর না হয় মৃত। বিবিসি সরেজমিন প্রতিবেদনে বলছেসেখানকার ইট ও পাথরের তৈরি গ্রামের পুরোনো ধাঁচের বাড়িগুলো কোনোভাবেই এই মাত্রার ভূমিকম্প সামাল দেওয়ার মতো ছিল না। গ্রামের ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা হাসান বিবিসিকে বলেনতারা (নিখোঁজরা) সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। তাদের হাতে নিজেদের বাঁচানোর সময়ও ছিল না।


হাসান বলছিলেন তার চাচা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। তাকে সেখান থেকে বের করার কোনো সম্ভাবনাও নেই। গ্রামে কারও কাছে এই মাত্রার ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নেই। আর তিন দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে পৌঁছায়নি। আল্লাহ আমাদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছেন এবং আমরা সবকিছুর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এখন আমাদের সরকারের সহায়তা দরকার। তারা মানুষকে সাহায্য করার বিষয়ে অনেক দেরি করে ফেলেছেবলছিলেন তিনি। হাসান বলছিলেন যে মরক্কোর কর্তৃপক্ষের উচিত সব ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণ করা। কিন্তু তিনি সন্দেহ পোষণ করেন যেনিজেদের অহংকারের কারণে হয়তো তারা সেই সহায়তা নেবে না।


বিবিসি বলছেসবদিক থেকেই শোনা যাচ্ছিল অবিরাম কান্নার আওয়াজ। এটলাস পর্বতমালার মতো মরক্কোর আরও অনেক অঞ্চলেই জরুরি সেবা পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষকে। বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসী হাত দিয়ে বা তাদের কাছে থাকা বেলচাশাবল দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া মানুষ উদ্ধার করছেন। আবার কিছুক্ষণ পর ঐ বেলচা আর শাবল দিয়েই মরদেহের জন্য কবরও খুঁড়তে হচ্ছে তাদের।

বিবিসিকে এ রকম একটি গ্রামের একজন বাসিন্দা বলছিলেনমানুষের কাছে আর কিছুই বাকি নেই। গ্রামে কোনো খাবার নেইশিশুরা পানির পিপাসায় কষ্ট পাচ্ছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের দর্শকের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের দর্শকের প্রতি আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। কথাগুলো বলছিলেন শাকিব খানের বরবাদ সিনেমার নায়িকা ওপার বাংলার ইধিকা পাল।

এই সিনেমার সাফল্যে তিনি অনেকটাই আবেগাপ্লুত। বললেন, প্রিয়তমায় কাজ করার অভিজ্ঞতাটা আসলে আলাদা। কারণ ওটা ছিল আমার প্রথম সিনেমা, খুবই আবেগের। যেহেতু প্রথম সিনেমা ছিল, তাই এই ভাবনাটা মাথায় রাখতে হয়েছে যে, খুব ভালো করতে হবে, যেন দর্শকের ভালোবাসাটা পাই। আমাকে ঘিরে দর্শকের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন ছুঁতে পারি- এমনটাই মাথায় কাজ করেছে বরবাদ-এ কাজের সময়। আর শাকিব খানের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় সিনেমা। এই জুটিকে দর্শক যে ভালোবাসা দিয়েছেন, বরবাদ-এ যেন সেই ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়, এমনটাও ভাবনায় ছিল। সব মিলিয়ে সিনেমা মুক্তির পর যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এটা বলতে পারি- যা প্রত্যাশা ছিল, তার সবই পূরণ হয়েছে।

২০২৩ সালের ২৯ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত হিমেল আশরাফ পরিচালিত এবং আরশাদ আদনান প্রযোজিত প্রিয়তমা সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় ইধিকা পালের। সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে বেশ সফলতার সঙ্গেই নিজের নামের আগে নায়িকা যুক্ত করতে পেরেছেন তিনি। প্রিয়তমা বাংলাদেশের সিনেমার, বিশেষত শাকিব খানের ক্যারিয়ারের ইউটার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এই সিনেমায় ঢালিউড সুপারস্টারের বিপরীতে অভিনয় করে প্রথম সিনেমা দিয়েই বাংলাদেশের দর্শকের মনে ইধিকা জায়গা করে নেন। প্রিয়তমার জনপ্রিয়তায়ই দুই বাংলার দর্শকের কাছে তিনি তারকায় পরিণত হন। এ ছাড়া গেল বছর কলকাতায় দেবের বিপরীতে মুক্তিপ্রাপ্ত খাদান সিনেমায় অভিনয় করেও আলোচনায় ছিলেন অভিনেত্রী।

ইধিকা জানান, এরই মধ্যে সোহমের বিপরীতে আকাশ মালাকারের বহুরূপ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। এই মুহূর্তে রঘু ডাকাত সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত, যাতে তার বিপরীতে আছেন দেব। এটি নির্মাণ করছেন ধ্রুব ব্যানার্জি। আসছে দুর্গাপূজায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানান ইধিকা।


আরও খবর

আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন শাকিব খান

শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫




ছুটি শেষে কাজে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের পর ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া মানুষ। বুধবার  সকাল থেকেই রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে নগরবাসীর এ ফেরার চিত্র দেখা গেছে। 

বাস মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া নগরবাসী। আগামী কয়েক দিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যাত্রী ফেরা শুরু হওয়ায় কোনো কোনো রুটের বাস অনেকটা খালি অবস্থায় ঢাকা ছাড়ছে বলেও এ সময় জানিয়েছেন তারা।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়তি ভাড়া গোনা ছাড়া রাজধানীতে ফিরতে তাদের তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। মূলত বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ কয়েকটি শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজধানীতে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।

সায়েদাবাদে ঢাকায় ফিরে শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে সপরিবারে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। আমি একটি ভোগ্যপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে কাজ করি। কাল থেকে আমার অফিস খুলছে। তাই আজকেই চলে আসতে হলো।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি বছর মানুষের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা, প্রাণহানির খুব একটা ঘটনা ঘটেনি। তবে ঈদের দিনে দেশের দশ জেলায় সড়কে ঝরল ২১ প্রাণ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ৫, বগুড়া ৩, মেহেরপুর ৩, গাজীপুর ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২, কিশোরগঞ্জ ২, ফরিদপুর, নাটোর, মাগুরা ও ঝিনাইদহে ১।

সোমবার (৩১ মার্চ) পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল কেন্দ্রীক। কোথাও মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়েছে। কোথাও আবার মোটরসাইকেলকে চাপা দেওয়ায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ঈদের দিনে এক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছে চট্টগ্রামে। দুই বাসের সংঘর্ষে এতগুলো প্রাণ চলে গেছে।

চট্টগ্রাম: ঈদের দিন সকালে ৭টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় দুই বাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত ও কমপক্ষে ৯ জন আহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আধার মানিক এলাকার মো. আলমের ছেলে রিফাত হোসেন (১৯), একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরফাত হোসেন (২১), একই ইউনিয়নের চকোরিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৫), একই উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ি মৌলভী পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে জিসান হোসেন (২২) ও সাতকানিয়া উপজেলার ডেলিপাড়া এলাকার মো. সাত্তারের ছেলে মো. সিদ্দিক (২০)।

জানা যায়, তারা কক্সবাজারের টেকনাফ কোটবাজার এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। ব্যবসা শেষে মিনিবাস ভাড়া করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছিলেন।

শেরপুর: শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ঝুপুনিয়া সেতুর মোড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অলোক সরকারকে (২০) মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও তার শিশুকন্যা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, শরিফুল ইসলাম (৩২), তার শিশুকন্যা সেজদা (৩)। জানা যায়, উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকায় শরিফুল ইসলাম তার শিশুকন্যা সেজদাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে মহাসড়কের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে যাওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক বাবা-মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর: মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস ও ব্যাটারি চালিত পাখিভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান শোভন (২৯), মোটরসাইকেল আরোহী আল ইমরান (২৮) ও পাখিভ্যানের যাত্রী জুবায়ের হোসেন (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে শহরের আহম্মদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে এই ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর: গাজীপুরে সকাল ১০টার দিকে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ দুইজন নিহত হয়। আহত হয় সিএনজি চালকসহ আরও চারজন। নিহতরা হলেন, শিশু তাবাসসুম (৫) ও তার আত্মীয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় রাজমনি হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের একজন কিশোরগঞ্জ জেলার দ্বীন ইসলাম। তবে নিহত সিএনজি অটোরিকশা চালকের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে। উপজেলার আগরপুর-পোড়াদিয়া সড়কের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন, গোবরিয়া নামাকান্দা গ্রামের কৃষক নোহাজ উদ্দিনের ছেলে শামীম মিয়া (২৫) এবং লক্ষ্মীপুর কাছারীপাড়া গ্রামের কৃষক তারা মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৭)। দুজন পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।

ফরিদপুর: ফরিদপুরে নগরকান্দায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সূর্য বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সূর্য বেগম মিনার গ্রামের তৈয়ব মাতব্বরের স্ত্রী। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সূর্য বেগম রাস্তার ওপর পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেলে মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সূর্য বেগমের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় আব্দুল্লাহ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকেলে লক্ষ্মীকোল বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন আব্দুল্লাহ। বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে যেতেই মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাগুরা: মাগুরার রামনগরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাগুরা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, রামনগর বাজার মোড় এলাকায় সড়ক পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক নারী নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলটি আটক করা হয়েছে। তবে, চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আলমসাধুর চাপায় আরিফ হোসেন নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের চাচাতো ভাই ও আলমসাধুর চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, দুই ভাই সারাদিন আখের রস বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমি আলমসাধু চালাচ্ছিলাম, আর আরিফ আলমসাধুর উপরে থাকা রস চাপা মেশিন ধরে বসেছিল। ফুলবাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে গাড়ির সামনের চাকা খাদে পড়ে। সে সময় আরিফ উপর থেকে নিচে পড়লে ওর মাথার ওপর দিয়ে চাকা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব পালনে পার্বত্য অঞ্চলে ছুটি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, চৈত্র সংক্রান্তিতে এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ আমরা পাহাড়িরা ছুটি পেয়েছি। চৈত্র সংক্রান্তিতে উৎসব উদযাপনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য ছুটি ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

আজ রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রেস উইং আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কর্তৃক নববর্ষ উৎসব সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ অনুভূতি জানান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব।

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান সর্বত্র বিজু মেলা চলছে। গিলা খেলা, বলি খেলা ও বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা চলছে সেখানে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজু উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা তিন জেলায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল খাদ্যশষ্য, ৪৫০ মে.টন গম খাদ্য ইতোমধ্যে দিয়েছি।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বিজু উৎসব সম্পর্কে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগ্রহিত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিজু। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ফুল বিজু সকলের মনকে আনন্দে রাঙ্গিয়ে দিবে এবারের এ আসর।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই ভাই ভাই হিসেবে কাজ করতে চাই। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের এক করে দিয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ঢাকা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে।

প্রেস কনফারেন্সে এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মত শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। 

আজ ২৫ শে মার্চ (সোমবার) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদকে সভাপতি এবং সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাকসুদুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।


মাভাবিপ্রবি শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র সংগঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টামণ্ডলীর সর্বসম্মতিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উপদেষ্টা হিসাবে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সাহা, এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়, সিপিএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, মো: আওরঙ্গজেব আকন্দ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিম, সহকারী রেজিস্ট্রার আজাদ খান ভাসানী।


সংগঠনের বাকি সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান সাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোছা. সুখী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক চৌধুরী, মো. আশরাফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান রাব্বি, আশরাফুল আলম হৃদয়, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল মিয়া, উপ-কোষাধ্যক্ষ 

মো. সজিব শেখ, দপ্তর সম্পাদক এস. এম. জাহিদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সমাপ্তী খান, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. হৃদয় হোসাইন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান ভূঁইয়া, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবিদ ফেরদৌস মিয়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নাইস আক্তার সারা, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকমিজানুর রহমান ইমন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শুভ, কার্যনির্বাহী সদস্য, তুষার আহমেদ,অনিক ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান রাকিব, ইসরাত জাহান এ্যাথি, ইসরাত জাহান ঈশা, সাদিয়া জান্নাত, সিদ্দিক আল ছোয়াদ, মো. নাঈম ইসলাম, নুসরাত জাহান অর্পি, তাসনিম খান অয়োমী, সিফাত,নাসিমুল হাসনাত চৌধুরী আকিব, আমজাদ হোসেন, জিসান রহমান, ফারিয়া আক্তার, মো. ইমরান হোসেন, নোমান হাসান।


সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি তৌকির আহমেদ বলেন, "আজ শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি এর নির্বাহী কমিটি (২০২৪-২৫) এর যাত্রা শুরু হলো। এ কমিটি করার পিছনে আমাদের সম্মানিত উপদেষ্টা স্যারদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ আমাদের সংগঠনের উদ্ধোধনী যাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রথম কমিটি আহ্বায়ক কমিটি করে যাত্রা শুরু করেছিলাম। বর্তমানে সংগঠনের পূর্ণ রূপ দিতে এবং নতুন নেতৃত্ব বের করে আনার জন্য এই নির্বাহী কমিটির প্রয়োজন। আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা করা। সকলের মাঝে ইতিহাসে ঘটে যাওয়া শহিদদের ঘটনা নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষণ ও সঠিক তথ্য প্রচার করা। সত্যনিষ্ঠ গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাসের জ্ঞান বিস্তার করা। ইতিহাস ও সংগ্রামের শিক্ষাকে আধুনিক সমাজে স্থান দেয়া। আমি চাই, এ সংগঠন আজকের পর থেকে এভাবে ধারাবাহিকভাবে ধারা অব্যাহত রাখুক। সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধির চর্চায় এগিয়ে যাক।"

প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদুল হাসান বলেন, "জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সত্যকে জানা এবং সত্যকে জানানোই আমাদের লক্ষ্য। এর দ্বারা সবার মাঝে যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করবে তা ভবিষ্যৎ সংগ্রামের জন্য উৎসাহ যোগাবে ইন শাহ আল্লাহ।

প্রসঙ্গত জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম” এই মূলনীতিকে সামনে রেখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে “শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি”র অফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয়েছে।"


আরও খবর