Logo
শিরোনাম

মশার কামড়ে নতুন রোগের আতঙ্ক!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

মশার কামড় খাননি, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। তবে কার শরীরের গন্ধ কেমন, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে, পতঙ্গটি কার প্রতি কতটা আকৃষ্ট হবে। নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এ গবেষণার ফলাফল গত শুক্রবার (১৯ মে) কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাটি করেন জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহকারী অধ্যাপক কোনর ম্যাকমেনিম্যান এবং গবেষক দিয়েগা গিলারদো ও স্টেফানি রানকিন-টার্নার। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল এডগার সিমুলুনডুর নেতৃত্বাধীন জাম্বিয়ার মাকা রিসার্চ ট্রাস্ট।

মশা সাধারণত ফল-মূল ও লতা-পাতার রস খায়। তবে ডিম ফোটাতে স্ত্রী মশার অতিরিক্ত প্রোটিনের দরকার হয়। তখন তারা মানুষসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত খেতে হুল ফোটায় বা কামড়ায়। তবে ভয়ের কথা হলো, কামড়ের মাধ্যমে তারা পরজীবী ও ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। এতে করে যত ধরনের অসুখ হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো ম্যালেরিয়া। এখনো প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় ছয় লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।

গবেষণায় মূলত আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ায় প্রজাতির মশার আচরণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গবেষকরা দেখতে পান, মানুষের শরীরের ঘামে থাকা নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদানের কারণে মশার আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের শরীরের ভিন্ন ভিন্ন গন্ধে মশা কতটা আকৃষ্ট হয়, তার তুলনা করা হয়। দেখা যায়, এ পতঙ্গ ২০ মিটার বা ৬৬ ফুট দূর থেকে গন্ধ শনাক্ত করতে পারে।

গবেষকরা দেখতে পান, কার্বোক্সিলিক অ্যাসিডের প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। এ অ্যাসিডের মধ্যে রয়েছে বিউটিরিক, যা দুর্গন্ধযুক্ত পনিরে পাওয়া যায়। এ অ্যাসিড মানুষের ত্বকে সৃষ্টির জন্য দায়ী একধরনের ব্যাকটেরিয়া। পাশাপাশি ইউক্যালিপটল নামের একধরনের রাসায়নিকের প্রতিও তাদের আকর্ষণ বেশি, যা গাছগাছালিতে থাকে।

গবেষণাটির সহলেখক এডগার সিমুলুনডু বলেন, এ গবেষণার ফলাফল মশাকে প্রলোভনে ফেলা বা বিমুখ করার নতুন ধারণা সামনে নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে মশাকে মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পথ বন্ধ করা যেতে পারে। এতে করে আফ্রিকা অঞ্চলে মহামারিতে পরিণত হওয়া ম্যালেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।

 সূত্র : সিএনএন।


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




অননুমোদিত পরিবহন এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ ) । যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বাইরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরো বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য রিকশা , স্কুলভ্যান , ইজিবাইক , স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার কিংবা ঘোড়ার গাড়ির মতো অননুমোদিত যানবাহনের ব্যবহার সড়কে রয়েছে। এর পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন বাস - মিনিবাস , মাইক্রোবাস , সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মতো যানবাহনও সড়কে চলছে।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ( এসকাপ ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই এমন যানবাহন ( ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট ) চলাচলে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের দুই শহর খুলনা ও ঢাকা। এর মধ্যে খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর রাজধানীতে অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাব - রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই প্রতিবেদনের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইউএন - এসকাপের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা মদন বি রেগমি। তিনি জানান , এশিয়া মহাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা। শহরটিতে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্টের মোড শেয়ার ৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার মোড শেয়ার ৫৪ শতাংশ। ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ( ৫০ শতাংশ ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা ( ৩৮ শতাংশ ), ভারতের সুরাট ( ৩০ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং ( ১৭ শতাংশ ), কম্বোডিয়ার নম পেন ( ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ( ১১ শতাংশ ) ও ভারতের জয়পুর ( ১১ শতাংশ ) ।ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ কোনো দেশের রাস্তায় কী ধরনের যানবাহন চলাচল করবে , সেসব যানবাহনের মডেল কী হবে এ ধরনের বিষয়গুলো ওই দেশের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়। এটাকে আমরা টাইপ মডেল অনুমোদন বলি।

 এ টাইপ মডেলের অনুমোদন নিয়েই যানবাহন আমদানি বা উৎপাদন করে সেগুলো রাস্তায় চালানো হয়। কিন্তু অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এ ধরনের যানবাহনকে আমরা বলি ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট । যেহেতু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে না , সেহেতু এসব যানবাহনের কাঠামোগত দুর্বলতা , নিরাপত্তার ঘাটতির মতো বিষয়গুলো থেকেই যায়। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ বর্তমানে ২০ ধরনের যানবাহনকে রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স , অটোরিকশা , অটো টেম্পো , বাস , কার্গো ভ্যান , কাভার্ড ভ্যান , ডেলিভারি ভ্যান , হিউম্যান হলার , জিপ , মাইক্রোবাস , মিনিবাস , মোটরসাইকেল , পিকআপ , প্রাইভেট কার , স্পেশাল পারপাজ ভেহিকল , ট্যাংকার , ট্যাক্সিক্যাব , ট্রাক্টর , ট্রাক ও অন্যান্য। বিআরটিএর তথ্য বলছে , চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ ২০ ক্যাটাগরিতে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি।

 সড়ক পরিবহন আইন - ২০১৮ অনুযায়ী , এসব ক্যাটাগরির যানবাহন ছাড়া সড়ক - মহাসড়কে চলাচল করা সব ধরনের মোটরযানই অবৈধ। অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষে থাকা খুলনা শহরজুড়ে রয়েছে ইজিবাইকের দাপট। এসব যানবাহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে খুলনা সিটি করপোরেশন ১০ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। যদিও এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ , অনুমতি পাওয়া ১০ হাজারের বাইরে আরো প্রায় ৪০ হাজার ইজিবাইক বর্তমানে এ শহরে চলাচল করছে। মূলত ইজিবাইকের কারণেই খুলনা অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। অন্যদিকে প্যাডেলচালিত রিকশা , ব্যাটারি রিকশা , ইজিবাইক , বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার যানবাহনের আধিক্যের কারণে ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।এসব যানবাহন কিন্তু লুকিয়ে চলে না।

 কর্তৃপক্ষের সামনে দিয়েই চলে। আবার ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের অননুমোদিত যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন বা আমদানি করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে এসব যানবাহনকে কেন্দ্র করে একটা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। যখন এসব যানবাহন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল , তখন কর্তৃপক্ষ অলস বসে থেকেছে ’ , বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন , ‘ এটা ঠিক যে অননুমোদিত যানবাহনগুলোয় নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। কাঠামোগত ত্রুটিসহ নানা ধরনের অসংগতি আছে। কিন্তু এসব যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া উচিত হবে না।

বরং অননুমোদিত যানবাহনগুলোর কাঠামোগত মানোন্নয়ন , নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে , এসব যানবাহন যেন কখনই শহরের মূল সড়ক ও মহাসড়কের গণপরিবহন না হয়। শুধু শহরের ফিডার রোড ও সরু সড়কগুলোতেই এসব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোতে অননুমোদিত পরিবহনের আধিক্যের বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তবে তারা বলছেন , মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকার স্বার্থে চাইলেও এসব অননুমোদিত যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ বাংলাদেশের শহরগুলোকে বলা হয় রিকশার শহর। সংস্কৃতিগতভাবেই কিন্তু এটা চলে আসছে।

 দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শহরে বসবাস করে। এসব মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য রিকশা , ইজিবাইকের মতো যানবাহন দরকার। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই যদি আমরা এসব যানবাহন বন্ধ করে দিই , তাহলে পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকার কী হবে ? ’ ‘ এটা মানুষের বিহেভিয়ারেরও বিষয়। অনেক কিছু জোর করে পরিবর্তন করা যায় না। যখন বিকল্প আসবে , মানুষ সেটাকে বেছে নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন , ‘ ঢাকার মতো জনবহুল একটা শহরে কিন্তু চাইলেই আমরা রিকশা তুলে দিতে পারি না। তবে আমরা বসে নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় ঢাকা শহরে ঘোড়ার গাড়ি ছিল। এখন কিন্তু তা উঠে গেছে। আমরা ঢাকার বেশ কয়েকটি শহরে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি - হুইলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেশ থেকে সব ধরনের অননুমোদিত যানবাহন তুলে দেয়া হবে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

আবারও বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। তেলের এ দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের এ নতুন দাম কার্যকর করবে ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। ভোজ্যতেলের আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ দাম নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা।

নতুন মূল্য অনুযায়ী খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ননএমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩৪০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে তার নিজ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে "চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়" নামের একটি নন এমপিও বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ঐ প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করে বলেন, নন এমপিওভুক্ত ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কোঠা পূরণ করতে এই অনিয়ম করছেন তারা।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার মধ্যে একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এজন্য এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হয়। ২০২৩ সালে ঐ বিদ্যালয়ের ১১৭ জন পরীক্ষার্থী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তার প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩/১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত (নন এমপিওভুক্ত) চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে এই অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে ও জানান তারা। অনুসন্ধানে দেখা যায়  চলতি ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ঐ বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঐ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১০৪ জন বাকি ১৩ জন শিক্ষার্থীদেরকে না জানিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে ফরম করিয়ে পরীক্ষা দেওয়াচ্ছেন। সেই ১৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ জন বিজ্ঞান বিভাগের আর ৮ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগের। বিজ্ঞান বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীরা হলেন, মরিয়ম আক্তার, উর্মিলা, সীমা খাতুন, হিরা এবং সাহরিয়া আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন, হাফিজা আক্তার, ইসরাত জাহান ইভা, সুমি আক্তার, তাসমিন, রাজিয়া সুলতানা রিয়া, রাজ্জুমা এবং নাহিদা আক্তার। এর মধ্যে হাফিজা আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলীসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করায় তাকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এজন্য হাফিজা আক্তারের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অত্র বিদ্যালয়ে আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে লেখাপড়া করেছি। করোনাকালীন সময়ে জিএসসি পরীক্ষায় আমরা সকলে অটোপাস করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে কোন সনদপত্র দেয়া হয়নি। এবারের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। ঐ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমাদের ১৩ জন শিক্ষার্থীদের কাউকে উপবৃত্তির টাকাও দেয়া হয়নি। আমার মত আরো ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য স্কুলে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমাদের ১৩ জন ছাত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেসব বিষয়ে আমরা কেউ জানতাম না। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে আমরা জানতে পারি চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে গোটগাড়ি শহীদ মামুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ১১২ নং রুমে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।আর বাকি ১০৪ জন এই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে মান্দার প্রসাদপুরে “মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ" কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, তারা জেএসসি পরীক্ষাও ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে দিয়েছে। ঐ পরীক্ষার্থীরা কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে এবং ক্লাস করেছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সাক্ষাত করতে বলেন।

চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী আপনার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছে কি না সেটা জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রতিষ্ঠানে অনেকে লেখাপড়া করে গ্রামের প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাতে সমস্যা কি?

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। স্বীকৃতি প্রাপ্ত এক স্কুলের শিক্ষার্থীকে অন্য কোনো স্কুলের শিক্ষার্থী হিসাবে দেখিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এরপরেও যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে 


আরও খবর



নওগাঁয় দুদু

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর দাবি আদায়ে সারা দেশে আন্দোলন আরো জোরদার করতে হবে বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আরো বলেছেন, শিগগির নতুন আন্দোলনের ডাক আসবে। সেই আন্দোলন কে আমরা আগামী জুনের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।

শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে তিনি নওগাঁয় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, নির্যাতন, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি'র প্রতিবাদ সহ সরকার পতনের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলা বিএনপির আয়োজনে নওগাঁ জেলা শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, আমাদের নেতা নতুন করে আন্দোলন শুরু করছেন। এর আগে পরীক্ষা হিসাবে বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহী, খুলনা, ঢাকাসহ সব বিভাগে সমাবেশ হয়ে গেছে। এবার কিন্তু নতুন পর্যায়ের আন্দোলন হবে। এটা হচ্ছে শেষ আন্দোলন। শিগগির নতুন আন্দোলন কর্মসূচি আসছে। এই আন্দোলনকে আমরা আগামী জুনের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।

তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, আমরা বলেছি, বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে। কিন্তু তারা সেটা করেনি। আমাদেরকে আইন ভাঙতে বাধ্য করবেন না। প্রয়োজন হলে জেল ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসব। এখনো সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। সম্মান থাকতে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান। এরপর যদি যান বেইজ্জতি হবে। তখন বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে মাফ করবে না।

এসময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষমতা নেই। এখন প্রশাসনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। পুলিশ ও প্রশাসন সহায়তা না করলে আপনারা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিদায় নেবেন। পুলিশ যদি একটুখানি বিশ্রামে যায় আর প্রশাসনের লোকজন যদি আওয়ামী লীগকে চিনতে না পারে তাহলে তাদের বিদায় নিতে বেশি সময় লাগবে না।

নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কর্নেল (অবঃ) আব্দুল লতিফ খান, কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জোহা খান, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌর সভার মেয়র নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আব্দুল মতিন প্রমুখ।


আরও খবর



ধুলোয় নাজেহাল দিল্লির মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় তীব্র গরমে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির দেখা নেই, উল্টো তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। সাধারণ দৃশ্যমানতার জন্য দিল্লিতে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

১৬ মে দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আপাতত দুদিনের জন্য রাজধানীর মানুষ এ তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। মঙ্গলবার থেকে দুদিন বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজধানীতে। তবে তারপর থেকেই আবার প্রচণ্ড গরম পড়বে। দিল্লির আবহাওয়া তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে ।

আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্থানের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। সেই কারণেই দিল্লিতে মঙ্গল ও বুধবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই সঙ্গে ধুলোর ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজধানীতে। বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে, কমে যাচ্ছে দৃশ্যমানতা। স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকেই শহরের বাতাসে ধুলোর আধিক্য দেখা যায়। বিমানবন্দরের সামনে দৃশ্যমানতা ১১০০ মিটারে নেমে গেছে। ফলে বিমান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।

দিল্লির বাতাসে ধুলোর আধিক্যের জন্য রাজস্থানের ওপরের ঘূর্ণাবর্তকেই দায়ী করা হচ্ছে। ওই ঘূর্ণাবর্তের জন্য হালকা বৃষ্টি হতে পারে রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতে।

ওড়িশাতে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু কিছু এলাকায়।

এদিকে, মঙ্গলবার থেকে তিন দিন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ১৯ মে পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে পূর্ব অরুণাচল ও মেঘালয়ে।

সূত্র : এবিপি।


আরও খবর