Logo
শিরোনাম

নাঈমের ঘূর্ণিতে ৩৯৭ রানে শেষ শ্রীলঙ্কার ইনিংস

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

নাঈম ইসলামের ঘূর্ণিতে ৩৯৭ রানে শেষ হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। ১৯৯ রান করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। আর নাঈম ইসলাম একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাথিউসের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৮ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। সোমবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন আগের দিন অপরাজিত থাকা শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমাল।

তবে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ৬৬ রানে বিদায় নেন চান্দিমাল। একই ওভারের পঞ্চম বলে ব্যাট করতে নামা নিরোশান ডিকওয়েলাকে ৩ রানে বিদায় করে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন নাঈম। ৩২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে শ্রীলঙ্কা।  

লাঞ্চ বিরতির পর মাঠে নেমেই উইকেটের দেখা পান সাকিব আল হাসান। ওভারের দ্বিতীয় বলে রামেশ মেন্ডিসকে (১) বোল্ড করার পরের বলেই ব্যাট করতে নামা লাসিথ এমবুলদেনিয়াকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পেলেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি শ্রীলঙ্কার।

পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে স্বস্তি ফেরালেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সাকিবদের। ব্যাট হাতে থিতু হয়ে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নিতে থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তাকে সঙ্গ দিয়ে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বিশ্ব ফার্নান্দো। কিন্তু চা বিরতির আগে শরিফুল ইসলামের বলে মাথার হেলমেটে লেগে চোট পান তিনি। ফলে চার বিরতির পর এই ব্যাটারের বদলি হয়ে নামেন আসিথা ফার্নান্দো।

ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাট করে গেলেও শেষ পর্যন্ত নাঈম ইসলামের পঞ্চম শিকার হন আসিথা। ২৭ বলে ১ রান করে বোল্ড হন তিনি। ডাবল সেঞ্চুরির আশায় একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় হলো না ম্যাথিউসের। নাঈমের স্পিন ঘূর্ণিতে ডাবলের এক রান আগেই সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৩৯৭ বলে ১৯৯ রান করে বিদায় নেন এই ব্যাটার। ৩৯৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে ১০৫ রান খরচায় একাই ৬ উইকেট শিকার করেন নাঈম। এটিই টেস্টে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এছাড়া ৩৯ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। একটি উইকেট পান তাইজুল ইসলাম।


আরও খবর



রাতেও জ্বলবে সুন্দরবনে আগুন, ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

 পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ড্রেনের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ওই এলাকায় পৌঁছালেও আগুনের কাছেই যেতে পারেনি। সন্ধ্যা হওয়ায় এবং কাছাকাছি কোনও পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল করিম বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ ও দুর্গম এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে ছুটে যাই। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খুঁজি। কিন্তু কাছাকাছি কোনও পানি পাওয়া যায়নি। অনেক দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বনরক্ষীদের চেষ্টায় অল্প পানি সরবরাহ করে প্রাথমিকভাবে আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেটি করা হয়েছে।

 রবিবার সকালে আমরবুনিয়া এলাকার ভোলা নদী থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে জ্বলছে, রাতের মধ্যেও ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

কী করে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ডিএফও নুরুল করিম বলেন, এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয় কয়েকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারন উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেবে এই কমিটি।

মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে প্রথমে আগুন লাগে সুন্দরবনের ড্রেনের ছিলা এলাকায়। বিকাল সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও বনরক্ষীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করতে পারেনি। রবিবার ভোর থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবেন তারা।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকালে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগুন লাগার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। সকাল  থেকে কাজ শুরু করে। 


আরও খবর



ডেঙ্গু; ভয়াবহ রূপ নিতে পারে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ঢাকার বাইরে এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল বছরের শুরু থেকেই সেই আশঙ্কাকে বাস্তবতায় রূপ দিয়ে দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তী আরও ২৩ বছরে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাই মাস পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক রোগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তথ্যও এর আগে পাওয়া যায়নি কোনো বছর ২০২২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ২৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য জানানো হলেও চলতি বছরের শুধুমাত্র জুলাই মাসেই মারা গেছেন ২০৪ জন

দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসেই এর মাত্রা বাড়তে থাকে তবে ২০২৩ সালে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু

চলতি মৌসুমে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে জুনে পরবর্তীতে জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে ভয়ঙ্কর হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা কারণ জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি মানুষ জুলাইয়ে আক্রান্ত হয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই মাস ভয়ঙ্কর তবে এটা আরও ভয়াবহ রূপ নিবে আগস্ট মাসে এরপরে এখনো বাকি সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস এমন অবস্থায় মশা নিধন কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনা করা না গেলে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই

কীটতত্ত্ববিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক . কবিরুল বাশার বলেন, এবছর মে মাসে যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন কমিউনিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে জ্যামিতিক হারে এডিস মশা বেড়ে গেছে এখন জুলাই শেষ আগস্ট সেপ্টেম্বর আমাদের জন্য বেশ শঙ্কার এবার মৃত্যুতে এবং ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাংলাদেশি ইতিহাস ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু শুরু হয়েছে জানিয়ে কবিরুল বাশার বলেন, প্রতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবার লক্ষ্য করছি- সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এর পেছনে কারণ কী? আমরা যদি একটু পেছনের দিকে লক্ষ্য করি দেখবো, ফিল্ড লেভেলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে যত ডেঙ্গু হয়েছে, দেখবেন আগস্ট সেপ্টেম্বরে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুটি মাসের একটি মাসে ডেঙ্গু পিক ছিল ২০২১ সালে দেখেছি অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু ছিল এরপর এবার দেখলাম নভেম্বর, ডিসেম্বর পার হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু চলে আসছে জানুয়ারিতেও ৫০০ মতো ডেঙ্গু রোগী ছিল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না 

ঢাকা শহরেলাইট পলিউশনেরকারণে এডিস মশা এখন দিনে হোক বা রাতে সব সময় কামড়ায় জানিয়ে কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, লাইট পলিউশনের বিষয়টি আমরা তিন বছর ধরে গবেষণা করে প্রমাণ করেছি পলিউশন নিয়ে পৃথিবীর কোথাও কথা হয় কিনা জানি না লাইট পলিউশন কিন্তু একটা বিশাল বড় পলিউশন কারণে এডিস মশা তার আচরণে পরিবর্তন করেছে এই পরিবর্তনকে টার্গেট করে আমাদের এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে তিনি বলেন, মশা জন্মানোর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যারা মশার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন তারা টার্গেট করে মশার নিধন করতে হবে এডিস মশা যেখানে হয় সেখানে টার্গেট করে আমাদের তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে হয়তো আমরা পারছি না, কেন পারছি না, সেটা বের করতে হবে এতদিন আমরা মশার জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে চেপে ধরেছি কিন্তু এখন আমরা দেখছি সারা দেশে মশা ছড়িয়ে পড়েছে

বাংলাদেশের উপশহর, উপজেলাতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে কেউ জানে না কেন উপজেলাতে ডেঙ্গু হচ্ছে সে গবেষণাটা কে করবে, সে গবেষণার ফাইন্ডিং কে দেবে সেটি রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে এটা ভাবলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটাকে আরও জোরদার করবে বলে জানান কবিরুল বাশার তিনি বলেন, যখন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, তখন এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ে ভারী বর্ষণ হলে এডিস মশার ডেনসিটি কমবে এখন থেমে থেমে বৃষ্টিটাই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বেই হঠাৎ তাপদাহ বা অতিবৃষ্টি হচ্ছে। তাই সারা বছরই ডেঙ্গু থাকবে। তবে বর্ষার শুরু এবং শেষে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে। তাই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর। আগস্ট মাসে আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে থাকবে এরপর ধীরে ধীরে কমবে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, সংক্রমণ আগস্টে শীর্ষে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে এবারের সংক্রমণকে ডেঙ্গুর দ্বিতীয় ঢেউ বলা যায় কারণ গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নভেম্বর-ডিসেম্বরের পর একটু কম ছিল চলতি বছর মার্চ থেকে বাড়তে শুরু করে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সে সময় আক্রান্ত ছিল ৬২ হাজারের বেশি এবং মারা যায় ২৮১ জন। তবে এবার সেটাও ছাড়িয়ে যাবে মনে হচ্ছে। আক্রান্ত মৃত্যুর যে হিসাব আসছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অনেকের ঘরেই জ্বরের রোগী আছে, চিকিৎসা নিচ্ছে না। ঘরে থেকেই ভালো হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো তো রিপোর্টে আসে না

তবে এভাবে যদি বাড়তে থাকে অবস্থা আগামী এক থেকে দুই মাসে আরও খারাপের দিকে যাবে যত আক্রান্ত হবে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে ডেঙ্গু রোগীর জন্য রক্তের তেমন দরকার নেই জানিয়ে এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু হলে আবার অনেকে রক্ত দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায় তবে রক্ত দেয়ার দরকার নেই ডেঙ্গু মশার জন্য রক্ত তখনই লাগে যখন রোগীর রক্তপাত হয় সেখানে চিকিৎসক চাইলে রক্ত দিতে পারে কিন্তু ডেঙ্গু হলেই যে ব্লাড দিতে হবে এমনটা না ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় না যারা মারা যায় তারা প্লাটিলেট কমের জন্য মারা যায় না অনেকে মারা যায় প্লাজমা লিকেজের ফলে শরীর থেকে লিকুইড চলে যায় যেমন প্রেসার কমে যায়, প্রস্রাব হয় না, কিডনি ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর শকে চলে যায় আর রোগীরা এসব কারণে মারা যায় কারণে অযথা প্লাটিলেট নিয়ে চিন্তিত হবেন না বেশির ভাগ ডেঙ্গু রোগের প্লাটিলেট বা রক্ত লাগে না


আরও খবর



৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো এবারের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আগুন ঝরা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে তাপদাহে ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই কাতর সবাই।

তপ্ত দুপুরে গরমের তীব্রতায় নাগরিক জীবনের এমন হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। গত বছর টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে।

আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ সকাল থেকেই বয়ে গেছে গরম হাওয়া। রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।

টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। তারপরও আগের স্টেশনগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে।

এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। তিনি বলেন, এতে বলা যায়, ৭৬ বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে গেল। এবার টানা যেমন তাপপ্রবাহ হয়েছে, আবার এর বিস্তৃতিও বেশি ছিল। এ বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা আগে কখনোই ছিল না।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এই তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এই মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এবার টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয়বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।


আরও খবর



দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই। ঢাকায় ফিরে জিম্বাবুয়েকে আবারও হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। ওপেনারদের শতরানের জুটির পর লোয়ার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৩ রানে অল আউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পরবর্তী ১০ উইকেট নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারায় মাত্র ৪২ রানে। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই পেসার প্রথম ওভারে বিদায় করলেন ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে তিনে নামেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

সিরিজের আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে রাজার রান ছিল মোট চার। এ দিন তিন নম্বরে তানজিম হাসানের এক ওভারে বাউন্ডারি মারেন তিনটি। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসকে এগোতে দেননি তাসকিন।

শর্ট অব লেংথে পিচ করে তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে ঢোকে তাসকিনের বল। রাজা জায়গা দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন অন সাইডে খেলতে। বল ছোবল দেয় মাঝের স্টাম্পে। ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরলেন রাজা। খানিক পর মারুবানি বিদায় নেন। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ে আরও বিপদে পড়েন ক্লাইভ মান্ডান্ডের বিদায়ে।

৫৭ রানে ৪ ব্যাটার ফিরে গেলে হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও ক্যাম্ববেল। তবে দলকে ১০০'র কাছে নিয়ে গিয়ে বার্ল বিদায় নেন মুস্তাফিজকে উইকেট দিয়ে। একই ওভারে লুক জঙ্গিয়েকেও বিদায় করেন আইপিএল থেকে ফেরা এই পেসার। এরপর ৩১ রান করা জনাথান ফিরে যান দলীয় ১০৩ রানে। শেষ ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারাজ আকরামকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ, তুলে নেন নিজের তৃতীয় উইকেট।

শেষ পভারে জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। তৃতীয় বলে সাকিবকে ৬ হাঁকিয়ে পরের বলে মুজারাবানি হন স্ট্যাম্পিং। যদিও সেটিকে ওয়াইড ডেলিভারি দেন আম্পায়ার। পরের বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট। ৫ রানের জয় নিশ্চিত করে আরও একটি জয় তুলে নায় বাংলাদেশ।

এদিনে আগে ব্যাট করতে করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটির পর পরের দুই টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ হাসান। ঢাকায় ফিরে শুরুটা দারুণ করেন এই তরুণ। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে দ্রুত রান তুলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে মুজারাবানির বলে প্রথম বাউন্ডারি অবশ্য ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান তানজিদ। তবে পরের ওভারে সিকান্দার রাজার বলে স্কুপ ও কাট করে তিনি মারেন দুটি চার।

পরে রিচার্ড এনগারাভা আক্রমণে এলে চমৎকার ড্রাইভে মারেন বাউন্ডারি। পরে বুক সমান উচ্চতার বলে দারুণ কাট শটে মারেন আরেকটি চার। সৌম্য ও তানজিদের জুটিতে পাওয়ার প্লে'তে ৫৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সৌম্যকে দর্শক বানিয়ে তানজিদ দ্রুত রান তুলে ৩৪ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর দুজনের ব্যাটে দলের রান পৌঁছে যায় ১০০'তে। এর মাঝে একবার জীবনও পান তানজিদ।জীবন পেয়ে কিছুই করতে পারেন নি তানজি। আর মাত্র ১ রান যোগ করে তিনি ফেরেন ড্রেসিং রুমে। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি। লুক জঙ্গুয়ের বলে বড় শটের খোঁজে শর্ট মিড উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়েন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে তিনি করেন ৫২ রান।

একই ওভারে জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ইয়র্কার অন সাইডে খেলার চেষ্টা এলবিডব্লিউ হন সৌম্য সরকার। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার। ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। ক্রিজে তখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেন নি হৃদয়। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করে সোজা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ৮ বলে ১২ রান করা তরুণ ব্যাটসম্যান। এর খানিক পর ক্রিজে নেমেই এক রান করে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। ব্রায়ান বেনেটের রাউন্ড দা উইকেট থেকে সোজা যাওয়া ডেলিভারি ভুল লাইনে ডিফেন্ড করে বোল্ড হলেন সাকিব।

দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। খানিক পর এই স্পিনারের ওভারেই বোল্ড হন শান্ত। ৭ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন শান্ত। সিরিজের চার ম্যাচে তার সংগ্রহ কেবল ৪৫ রান। এরপর এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় ডিপ থার্ড ম্যাচে ধরা পড়েন ৭ বলে ৬ রান করা জাকের। ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে টিকতে পারেননি বাকিরাও। দ্রুত বিদায় নেন রিশাদ, তানজিদ সাকিব ও তাসকিনও।

১০১ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের ৩৭ রানে হারিয়ে বসে ৯ উইকেট। শেষের দিকে মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম মিলে দলকে ২০ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজকে বিদায় করে ১৪৩ রানে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন মুজারাবানিরা।


আরও খবর



দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, সাময়িক বরখাস্ত ৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

গাজীপুর মহানগরের কাজীপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কার ঘটনায় তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা হলেন- আপ ঘুন্টি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯টি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হয়েছেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

স্টেশন মাস্টার জানান, কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) চারজন আহত হয়েছেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসন আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আহত চারজনকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন অপেক্ষা করছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।


আরও খবর