Logo
শিরোনাম

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের সাব রেজিস্টার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচাঁন,দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হারেজ গণি,বাকলজোড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় আজ বুধবার দুপুরে ৩ জনকে  আটক করা হয়। পরে বিকেলে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এদিকে বিএনপির নেতাদের দাবী,তাদের এক দফা দাবির আন্দোলন দমনের উদ্দেশে বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান পাঠান বলেন,দেশে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে কোর্ট আঙ্গিয়াও বিএনপির লোকজন নিরাপদ না। আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নেতারা কোর্টে গিয়েছিল হাজিরা দেওয়া জন্য। পরে হাজিরা দিয়ে বের হলে পথে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের মুক্তি দাবী করছি।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল আলম জানান,বিস্ফোরক মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতে পাঠানো হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় রাতের অন্ধকারে গ্রাফিতির উপর লিখা "জয় বাংলা" মুছে দিলো ছাত্রদল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগষ্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেদিন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল দেশের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ। এ আন্দোলনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। সে সময় অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর এসব হতাহতের ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রং-তুলি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে ছবি, গ্রাফিতি ও লেখনিতে তুলে ধরে ছাত্রজনতা। রাতের আধারে সেই গ্রাফিতির উপর কে বা কাহারা "জয় বাংলা" লিখেন। গ্রাফিতির উপর "জয় বাংলা" লেখা মুছে দিলো ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হঠাৎ করে গত দু'দিন থেকে নওগাঁ শহরের কেডির মোড় ও মুক্তির মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ের দেয়ালে যেখানে ছাত্রদের গ্রাফিতি অঙ্কন করা ছিল সেখানে ‘জয় বাংলা’ লেখা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই স্লোগানটি লেখেন। এরপর সে গুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। গত সোমবার দুপুরে সেই ‘জয় বাংলা’ লিখা গুলো স্প্রে পেইন্ট ব্যবহার করে মুছে দেন নওগাঁ জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও জিয়া সাইবার ফোর্স। এসময় নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার, জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ এমরান হোসেন, সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম পারভেজ, শ্রমিক দল নওগাঁ সদর থানার সভাপতি আরিফুল হক রানাসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্স এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার বলেন, ছাত্রজতার গ্রাফিতির উপর রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা "জয় বাংলা" লিখেছে। এই "জয় বাংলা" যারা কায়েম করার চেষ্টা করছে তাদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা আর কখনোই বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে পারবে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫টি বছর দেশকে গুজবে পরিণত করেছে। উন্নয়নের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। গত ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে। বাংলার মাটিতে তা কখনো বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।


আরও খবর



শুরু হচ্ছে ওয়াটসঅন অ্যাওয়ার্ডস ও আইটি সার্টিফিকেশন ২০২৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রতি বছরের মত এবারও নতুন প্রজন্মের শিল্পী, সংগীতশিল্পী এবং ব্যবসায়ীদের অবদান নিয়ে ২০২৫ সালের অ্যাওয়ার্ড এবং আইটি সার্টিফিকেশন অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চলেছে বাংলাদেশের ক্রিয়েটিভ কমিউনিটির জন্য নিবেদিত একটি লিডিং প্ল্যাটফর্ম ওয়াটসঅন মিডিয়া। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় রাজধানীর উত্তরায় ওয়াটসঅন একাডেমিতে শুরু হবে বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান।

সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অসাধারণ অবদান রাখা ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়াই এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।

এই বছরের বিশেষ ক্যাটাগরিগুলো: 

আর্টিস্ট ক্যাটাগরিজ: বেস্ট নিউ জেনারেশন আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট অ্যালবাম অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট ব্যান্ড অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট সং অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট ইনোভেটর অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট লেজেন্ড অ্যাওয়ার্ড।

বিজনেস ক্যাটাগরিজ: বেস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার, বেস্ট স্যালন, বেস্ট হেলথ কেয়ার, বেস্ট ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সি, বেস্ট ব্যাংক, বেস্ট এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বিজনেস।

অনুষ্ঠানে থাকবে অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি, লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্স, ডিনার এবং নেটওয়ার্কিং রিসেপশন। এটি শিল্পী, সংগীতশিল্পী, স্টুডেন্ট এবং ব্যবসায়ীদের অসাধারণ অবদান উদযাপনের একটি চমৎকার সুযোগ।

ওয়াটসঅন অ্যাওয়ার্ড এখন বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি কমিউনিটির জন্য একটি প্রতীক্ষিত বার্ষিক ইভেন্ট হয়ে উঠেছে। এটি ক্রিয়েটিভিটি, ইনোভেশন এবং পজিটিভ সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট তুলে ধরার একটি মঞ্চ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্যাম আলিম বলেন, ওয়াটসঅন প্রতিভাবান প্রজন্মকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে যারা আমাদের জন্য একটি ভাল সমাজ গড়ে তুলছে। বিশ্বকে পরিবর্তন করতে ওয়াটসঅনে যোগ দিন।


আরও খবর



অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

কোনো সন্ত্রাসী রক্ষা পাবে না। সে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল হোক আর ইমন হোক, যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটনা ঘটছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারো পুরোনো রূপে ফিরছে। জোড়া খুনসহ কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। গতকালও মিরপুরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান মল্লিক বলেন, আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অন্য সন্ত্রাসীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা খতিয়ে দেখব। প্রতিনিয়ত আমরা কাজ করছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনশৃঙ্খলা যাতে স্বাভাবিক থাকে, জনগণ যাতে স্বস্তিতে ও শান্তিতে থাকতে পারে সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।

৫ আগস্টের পর যেসব সন্ত্রাসী জেল থেকে জামিনে বের হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও ইমন। পিচ্চি হেলালের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর ডাবল মার্ডারের মামলা হয়েছে। এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অথচ তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তারা কোথায়– জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসীকে আমরা ছাড় দেব না। সে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল হোক আর ইমন হোক, যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

রাতে আগে টহল জোরদার ছিল, এখন সেটা কমে গেছে। পুলিশ কি এখনো হারানো মনোবল ফিরে পায়নি– জানতে চাইলে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, আমি তা মনে করি না। পুলিশ মনোবল ফিরে পেয়েছে। বর্তমান কমিশনারের নির্দেশে অক্ষরে অক্ষরে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।

৫ আগস্টের পর কারা কারা কি কি অপরাধে জড়িত। অপরাধের ধরন অনুযায়ী অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে কি না? কারণ ঘোষণা দিয়ে দখলদারি চলছে। জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা তালিকা করেছি, সে অনুযায়ী কাজ করছি।

তিনি বলেন, এলিফ্যান্ট রোডের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। হাজারীবাগ থেকে রাতুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। সে অনুযায়ী আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগানে গিয়েছিলাম

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ড. শফিকুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক :

সৌদি সরকারের অ্যাপস এর ঝামেলা মিটিয়ে ওখানে যেতে পারা এখন চ্যালেঞ্জিং। এই অ্যাপস এখন বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের হয়রানির মতো। সার্ভার ডাউন, কিংবা ডাটা এরর কিংবা ভ্যাকেন্সি নেই- এ ধরণের মেসেজ দিয়ে হাজীদের ভূগান্তি দেয়। যাই হোক, চিকন লাইন এখানেও আছে। সেভাবে মুয়াল্লেমের সহযোগিতায়  যেতে সক্ষম হয়েছি।  আমার বৃদ্ধ বাবামার জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল। আর আমার গবেষক মন বেহেশতের বাগান না দেখে যাবে না- এই ছিল পন। যারা ভবিষ্যতে আসবেন তারা আগে থেকেই নুসুক এপস ডাউনলোড করে শিডিওল নিয়ে রাখবেন বা মূয়াল্লেমকে আগে থেকে বুকিং দিতে বলে দেবেন। আগে এটা সহজ হলেও এখন কড়াকড়ি হয়েছে। ভিসা ও অ্যাপস এর কোড মিলিয়ে দেখে। তারপর ঢুকতে দেয়। 

.

মাত্র দশ মিনিট সময় দেয়, ওখানে প্রবেশের পর মন মানসিকতার গভীরতা নরম হয়ে  একেবারে ফানাফিল্লার পর্যায়ে চলে যায়। দশ মিনিট মনে হয় দুমিনিট। দশ মিনিট পেরিয়ে গেলে ওখানকার হুজুর কাম সিকিউরিটির লোকজন তাড়া দেয় ইয়া হাজ্জী ইয়া হাজ্জী বলে বের হতে বলে। ওদের চিতকার চেঁচামেচিতে ধ্যান বা প্রার্থনারত ক্রন্দন বা ফানাফিল্লা পর্যায় ভেঙ্গে বের হবার চেষ্টা করতে হয়। তখনই মনে পড়ে রিয়াজুল জান্নাত ছেড়ে চলে যাবো, দুটি ছবি নিয়ে যাবো না? -তাই কি হয়। ভবিষ্যতে যদি দেখতে মন চায়। তাই দ্রুত বের হতে হতে কয়েকটি ক্লিক করা। আপনারা দেখতে পারেন। 

.

রিয়াজুল জান্নাত কি?

মসজিদে নববির ভেতরে একটা জায়গা আছে, তার নাম রিয়াজুল জান্নাত। রিয়াজুল জান্নাত বলতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে তৈরি করা মসজিদকে বোঝায়। মিম্বর ও হুজরাহর মধ্যবর্তী স্থান। মসজিদে নববিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক এবং তাঁর জমানার মূল মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানকে নবীজি বেহেশতের বাগানসমূহের একটি বাগান বলেছেন। এটাই রিয়াজুল জান্নাত। এই জায়গায় সবুজ-সাদা রঙের কার্পেট বিছানো আছে। মসজিদের অন্য কার্পেটগুলো লাল রঙের। ভিন্ন রঙের কার্পেট দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না রিয়াজুল জান্নাতের সীমানা। এ স্থানে নামাজ পড়া অতি উত্তম।

.

রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগান সম্পর্কে কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ইবনে হাজাম (রা.) বলেন, রিয়াজুল জান্নাতকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে রূপকভাবে। ওলামায়ে কেরামরা রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের মতে, এখানে জিকির করলে রহমত ও সৌভাগ্য লাভ করা যায়। নুরুদ্দিন সামহুদির লেখা অফা আল অফার দ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত, রিয়াজুল জান্নাতে ইবাদত বেহেশতের বাগানে পৌঁছায় এই অর্থে ও তা রূপক অর্থবোধক। আল্লাহ এই স্থানটুকু হুবহু বেহেশতে স্থানান্তর করবেন। এই অংশ অন্যান্য জমিনের মতো নয়। পবিত্র স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো আমরা যেন ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ রাখি। রিয়াজুল জান্নাতের ভেতরে কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোকে রহমতের স্তম্ভ বলে। রাসুল (সা.)-এর তৈরি মসজিদে খেজুরগাছের খুঁটিগুলোর স্থানে উসমানি সুলতান আবদুল মাজিদ পাকা স্তম্ভ নির্মাণ করেন। এগুলোর গায়ে মর্মর পাথর বসানো এবং স্বর্ণের কারুকাজ করা।

.

উস্তুওয়ানা হান্নানা (সুবাস স্তম্ভ)


প্রথমদিকে রাসুল (সা.) মিম্বর ছাড়াই খেজুরগাছের একটি কাণ্ডে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন। পরবর্তী সময়ে জুমার খুতবা দেওয়ার জন্য দুটি সিঁড়ি ও একটি বসার স্থান তৈরি করা হয়। মিম্বরে নববির ডান পাশে খেজুরগাছের গুঁড়ির স্থানে নির্মিত স্তম্ভটি। এতে নিয়মিত সুগন্ধি মাখানো হয় বলে একে সুবাস স্তম্ভ বলা হয়। এটি বর্তমানে স্তম্ভ আকারে আর নেই। একে উস্তুওয়ানা হান্নানাও বলা হয়।

.

উস্তুওয়ানা সারির


সারির অর্থ বিছানা। এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করতেন এবং রাতে আরামের জন্য তাঁর বিছানা এখানে স্থাপন করা হতো। এ স্তম্ভটি হুজরা শরিফের পশ্চিম পাশে জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, সেখানে তাঁর জন্য খেজুরপাতার তৈরি মাদুর এবং একটি বালিশ রাখা হতো। বুখারি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মধ্যস্থতার জন্য এই স্তম্ভের কাছে বিছানা পেতে বসতেন।

.

উস্তুওয়ানা উফুদ (প্রতিনিধি স্তম্ভ)


বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিনিধিদল উস্তুওয়ানা উফুদে বসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে কথা বলতেন। এ স্তম্ভও জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতেন। তিনি তাঁদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতেন ও এর সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করতেন। ফলে বহু গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে। এটাকে ‘গণ্যমান্য মজলিশ’ও বলা হয়, যেখানে বড় বড় সাহাবায়ে কিরামও বসেছেন। একে প্রতিনিধি স্তম্ভও বলে।

.

উস্তুওয়ানা আয়েশা (আয়েশা স্তম্ভ)


নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এমন একটি জায়গা রয়েছে, লোকজন যদি সেখানে নামাজ পড়ার ফজিলত জানত, তাহলে সেখানে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত।’ স্থানটি চিহ্নিত করার জন্য সাহাবায়ে কিরাম চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আয়েশা (রা.) তাঁর ভাগনে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.)–কে সে জায়গাটি চিনিয়ে দেন। এটিই সেই স্তম্ভ। এই স্তম্ভটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর।

.

উস্তুওয়ানা আবু লুবাবা (তওবা স্তম্ভ)


হজরত আবু লুবাবা (রা.) থেকে একটি ভুল সংঘটিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে এই স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হুজুরে পাক (সা.) নিজে না খুলে দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এর সঙ্গে বাঁধা থাকব।’ নবী করিম (সা.) বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে আল্লাহ আদেশ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খুলব না।’ এভাবে দীর্ঘ ৫০ দিন পর হজরত আবু লুবাবা (রা.)–এর তওবা কবুল হলো। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে তাঁর বাঁধন খুলে দিলেন। এটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর অবস্থিত।


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




২০২৫ হবে গুম-খুন ও গণহত্যার বিচারের বছর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০২৫ সালকে গুম, খুন এবং গণহত্যার বিচারের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০২৫ সাল হবে আওয়ামী লীগ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বছর। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংগঠিত গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার এই বছরেই সম্পন্ন হবে।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, মূল ভবনে প্রধান বিচারপতির সম্মতির পর বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে— ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তও চলছে।

তিনি আরও জানান, হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে ট্রাইব্যুনাল তার বিচারের কাজ চালিয়ে যাবে।

এছাড়া, ৫ আগস্টের চানখারপুলে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল সুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার ও দুই বিচারপতির নেতৃত্বে শুনানি শেষে ১২ জানুয়ারি সুজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫