Logo
শিরোনাম

নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম-আলু-পেঁয়াজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ডিম, তেল, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কমিয়ে নির্ধারণ করা দামে শুক্রবার সকালে কম দামে কেনার আশায় বাজারে গেছেন, তাদের অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরেছেন। সব বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।

সরকার খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আলু ৩৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হবে ১৬৯ টাকায় নির্ধারণ করে দিয়েছে।

ব্যবসায়ীদের কারসাজি রুখতে ১৪ সেপ্টেম্বর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য নির্ধারণ করার পরও এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমছে না। এতে করে ভোগান্তি কমছে না সাধারণ জনগণের।

১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোনো একটি পণ্যও বিক্রি হচ্ছে না। আগের দামেই ভোক্তা পর্যায়ে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

কালে রামপুরা, মালিবাগ এবং শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম আগের মতো ৫০-৫২ টাকা অর্থাৎ প্রতিটি সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি সাদা আলু ৫০ টাকা এবং লাল আলু ৫৫ টাকায় রয়ে গেছে। কমেনি পেঁয়াজের দামও। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি করছেন না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতাদের অজুহাতের শেষ নেই। কয়েকজন বিক্রেতা আবার বলছেন তারা নাকি বেঁধে দেওয়া দামের বিষয়টি জানেন-ই না। তবে অধিকাংশরা বলছেন বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




মা-বাবা-বোন মারা গেলেও বেঁচে আছে সেই শিশুটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়কে জমে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিবারের সবাই প্রাণ হারালেও বেঁচে গেছে হোসাইন নামে সাত মাসের শিশু।

এদিন রাতে ওই রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন মিজান (৩০) ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫)। সঙ্গে ছিল মেয়ে লিমা (৭) ও ছেলে হোসাইন। হঠাৎ করে তারা পড়ে গেলে তাদের তুলতে এগিয়ে আসেন অনিক নামে একজন অটোরিকশাচালক। হোসাইনকে তিনি পানি থেকে তুলে দিতে পারলেও লিমাকে তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারও মৃত্যু হয়।

এদিকে মর্মান্তিক ঘটনায় সাত মাসের শিশু হোসাইনের বাবা, মা, বোন ও তাকে বাঁচাতে আসা অনিক নিহত হয়। স্থানীয়রা বলছেন, অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশু হোসাইন। মায়ের কোলে থেকে ছিটকে পড়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় শিশু হোসাইন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশু হোসাইনকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় আসেন আমেনা বেগম নামে এক নারী। সেখানে একটি গণমাধ্যমকে শিশু হোসাইনের বেঁচে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করেন তিনি।

আমেনা বেগম বলেন, হোসাইনের মা যখন পানিতে পড়ে যায় তখন, হোসাইন মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায় পানিতে। এ সময় অনিক সঙ্গে সঙ্গে এসে হোসাইনকে পানি থেকে তুলে আমার কোলে দেয়। পরে আমি তাকে আমার বাসায় নিয়ে প্রথমে শরীরে গরম তেল দেই। এরপর তাকে নিয়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে হোসাইনকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। রাতে তাকে সেখানে নেওয়া হয়।

চিকিৎসক জানায়, হোসাইন এখন সুস্থ। পরে আমি জানতে পারি হোসাইনের দাদা ও নানা মিরপুর মডেল থানায় আছে, তখন আমি এখানে আসি।

মিজানের স্বজন ও স্থানীয়দের সূত্র জানায়, মিজানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠিতে। গত কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। মিরপুর এলাকায় ভাসমান দোকানে শরবত বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন মিজান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঝিলপাড় বস্তিতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে তাদের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ধামরাইয়ে স্কুল শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার): 

ঢাকার ধামরাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ধামরাই উপজেলার আয়োজনে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফুটবল ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর -২৩) সকাল দশটার দিকে ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ফুটবল ফাইনাল খেলার শুভ উদ্বোধন ও খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,ঢাকা -২০ ধামরাই আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।

এ’সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এনামুল হক আইয়ুব, ধামরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা,ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শ্রী নির্মল কুমার দাস , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন আশরাফী প্রমূখ।


উপজেলার ৩২ দল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল দল টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করেন এর মধ্যে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন দুটি দল। ফাইনালে অংশগ্রহণ কারী দুটি দল হচ্ছে কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় বনাম বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়।


খেলায় কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় ১ -০ গোলে বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে

জয়লাভ করে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মহাদেবপুরে শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরে শারদীয় দূর্গা উৎসব '' দূর্গা পূজা উদযাপন'' উপলক্ষে থানা পুলিশ এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় নওগাঁর মহাদেবপুর থানা ভবন চত্তরে আয়োজিত মতবিনিময় 

সভায় মহাদেবপুর উপজেলা

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সেক্রেটারি সহ ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার, হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এর উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান আহসান হাবিব, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, থানা (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান অনুকূল চন্দ্র, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। 

উক্ত মতবিনিময় সভায় আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে যাতে উদযাপিত হয় এ সংক্রান্তে সকলে তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাট, স্বজন প্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না থাকা সহ ডজন খানেক অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম এর বিরুদ্ধে। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

কলেজ এর সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জাারি (ডিএইচএমএস) পেশাজীবী পরিষদের ২৫ সদস্যের স্বাক্ষরিত ঐ লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কলেজের অনুমোদনের পর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৮শ' ৪৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ও মাসিক বেতন বাবদ জমা নেওয়া টাকা থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এছাড়া কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ও প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে ২ লাখ করে টাকা আদায় করা টাকা ও শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নামে সংগ্রহ করা প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেন আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত। কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাটের বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্বেও কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বজন প্রীতির অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াতের বিরুদ্ধে। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অনুমোদিত নিয়োগ পেলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়া বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। তার স্বজন ও পছন্দের শিক্ষক কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেলেও অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ৪৪ থেকে ৫৭ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বেতন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও ঐসব শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুতি করা ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগকারী ও কলেজ সংলগ্ন নওগাঁ পৌর সভার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, স্বজন প্রীতি আর অনিয়ম কাকে বলে তার চূড়ান্ত উদাহরণ হলো নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার বাবা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা হলেও এবং কলেজের নামে এক খন্ড জমি দান না করলেও তাকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া তার শালিকা হাফিজা আক্তার ও ভায়রা রুহুল আমিন কে প্রভাষক হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া তার চাচা শ্বশুরের ছেলে কামরুল ইসলাম কলেজ এর প্রশাসনিক শাখার একটি পদে চাকরি করেন। বলা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। অহিদুজ্জামান নামে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রভাষক অভিযোগ করেন, কলেজ এর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি ঐ কলেজে প্রভাষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কলেজ অনুমোদনের পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৬৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তার। বার বার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেও তা পাননি। উপরোন্তু চলতি মাসের জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে জানান, তাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। তার কলেজে আসার প্রয়োজন নেই। অহিদুজ্জামান বলেন, আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কাগজ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। অথচ আমাকে কলেজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৭ লাখ টাকার উপরে বকেয়া বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না। এ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অহিদুজ্জামানের মতো আরো ৪ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত শামীম  বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কলেজ এর কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় কলেজ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাদের বহিষ্কার করেছেন। 

বহিষ্কৃত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম জাকির হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁর আবারও শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হলেন আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় বারের মতো শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন। এর আগে গত বছর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এছাড়াও শুদ্ধাচার চর্চায় এ বছর জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন। গত মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। নিয়মিত কাজের ফাঁকে সময় পেলেই ছুটে যান বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কোমল মতি শিশুদের শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে নিজ অর্থায়নে পুরুস্কার হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তাদের মাঝে বিতরণ করেন। শিক্ষা উপকরণ হিসেবে উপহার দেন স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্সসহ বিভিন্ন ধরনের খেলার সামগ্রী।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, কোমলমতি শিশুদের ক্লাসে গিয়ে কথা বলা, শিশুদের সাথে মেশা আমার এক প্রকার আনন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে না গেলে একটা খারাপ লাগা কাজ করে। তাই আমি নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাই। শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাই এবং তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে মুক্তিযুদ্ধের বই উপহার দেই। কারন আজকের দিনের এই শিশুরা আগামীতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করবে বলে আমি বিস্বাস করি। আমার এই পুরষ্কার আগামীতে আমাকে ভালো কাজে আরো উৎসাহ যোগাবে।


আরও খবর