Logo
শিরোনাম

নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

  

তরুণদের বলবো, যত বড় বড় মানুষ হোকনা কেন, তুমি তাদের কথাকে নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা | কাউকে ১০০% বিশ্বাস করতে গিয়ে তোমাকে যাতে সারাজীবন কাঁদতে না হয়, ঝড়ের ভিতরে পড়তে না হয় | বড় বড় মানুষ হলেই বড় বড় সত্যের উম্মেষ ঘটবে এমনটা নয় | মানুষ বড় হলে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে, তখন তার মিষ্টি কথায় কে পুড়ে মরলো, কে বেঁচে উঠলো সেটি কখনো সে চিন্তাও করেনা | কারণ এমন মানুষ সব সময় নিজেকে সামনের দিকেই টানতে থাকে, পিছনের ফেলে আসা সময় আর মানুষ তখন তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে যায় |

মানুষ বড় হয়ে উঠলে তার অভিনয়টাও বেড়ে যায়, লোভের নেশায় ক্রমাগত আক্রান্ত হয় | এই মানুষেরাই তাদের নিচে পড়ে থাকা মানুষদের নিয়ে খেলতে ভালোবাসে অথচ তাদের উপরের মানুষদের মিথ্যে আনুগত্য ও পরম বিশ্বাস দেখিয়ে আরও বড় থেকে বড় হবার পথ খুঁজে | পুরো জীবনটাই তাদের এমন অভিনয়ে কেটে যায় | হয়তো অভিনয়ে নিজেকে নায়ক-মহানায়ক হিসেবে প্রমান করতে গিয়ে সবাইকে জোকার হিসেবে দেখার মজা থাকে কিন্তু সুখ থাকেনা | যেখানে সুখ থাকেনা, সেখানে সত্য থাকেনা |

সবাই পৃথিবীতে বড় হবার স্বপ্ন দেখে, প্রতিযোগিতায় নামে | সে নগ্ন প্রতিযোগিতায় সত্যের চেয়ে মিথ্যের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে | খুব কম মানুষই আছে, যারা স্বপ্ন হয়তো দেখে কিন্তু সত্যকে বিসর্জন দিয়ে স্বপ্ন সফল হোক এটা তারা কখনো মন থেকে মেনে নিতে পারেনা | তারা সারাজীবন পিছনে পড়ে থাকলেও তাদের মধ্যে সুখ থাকে, বিশ্বাস দিয়ে বিশ্বাসকে প্রমান করার মতো সাহস থাকে |

তরুণদের বলবো, অন্ধ ভালোবাসায় গা ভাসিওনা, অন্যের বিশ্বাসের স্রোতে ভেসে গিয়ে নিজের বিশ্বাসকে হারিয়ে ফেলনা | তুমি নিজে যাচাই করতে শেখো, সেটা একদিন, দুইদিনে নয়, আরও অনেকটা সময় নাও, তারপর যেদিন তোমার মন সত্য-মিথ্যা উদ্ঘাটন করতে পারবে সেদিনই তুমি বিশ্বাস করতে শেখো | তাহলে তুমি কখনো ঠকবেনা | বিশ্বাস একটা আয়নার মতো, সেটা ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগানো যায়না |

তুমি তোমার বিশ্বাসের পরীক্ষা নাও, সেখানে খাতা, কলম নিয়ে বসো, তারপর মা-বাবার বয়সের ভারে নুয়ে পড়া চোখের চশমাটা তার উপর রাখো | সে চশমাটা তোমাকে বুঝিয়ে দিবে তোমার বিশ্বাস আর ভালোবাসাকে জয় করতে গিয়ে তোমার মা-বাবাকে চোখে চশমা পড়তে হয়েছে | সবার চশমায় বিশ্বাসকে দেখা যায়না, কারণ সবাই চশমার দোষ দিয়ে নিজের চোখের মিথ্যা বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে | বিশ্বাস বিশ্বাসঘাতক হলে সে বিশ্বাসের উপর যত বড় মানুষই দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন তার পায়ের নিচে যে মাটি নেই সেটা হয়তো তার পক্ষে যতক্ষণ ক্ষমতা আছে ততক্ষন বুঝে উঠাটা খুব কঠিন |

তরুণদের তাই আবারও বলবো, তুমি তোমার বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাও, মুখ থুবড়ে মাটিতে বার বার পড়ে গেলেও একসময় তোমার বিশ্বাসেরই জয় হবে | ভাড়া করা বিশ্বাস অনেক সময় ভঙ্গুর হয়


আরও খবর

আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২৪ সালে হজ পালন করতে যারা যাবেন, তাদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে ১৫ নভেম্বর থেকে। নিবন্ধনের সময় আছে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দশ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এখনো এক হাজার নিবন্ধনকারী হজযাত্রী পাওয়া যায়নি। ফলে এবারও বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা পূরণ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। হজযাত্রীদের দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নিবন্ধন শেষ হলে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। তবে শেষ সময়ে নিবন্ধন বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের মতো আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬০৭ জন। এর মধ্যে সরকারিতে ২২৩ এবং বেসরকারিতে ৩৮৪ জন। আগামী বছর হজে যেতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। অর্থাৎ গত ৯ দিনে এক হাজার হজযাত্রীও নিবন্ধন সম্পন্ন করেননি। নিবন্ধনের শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর। এ হিসেবে বাকি ১৭ দিনে বাংলাদেশের কোটা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার আমাদের সময়কে বলেন, হজযাত্রীরা শেষ সময়ে এসে নিবন্ধন করেন। আগামী হজের জন্য আমরা আগেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য কার্যক্রম আগেই শুরু করা হয়েছে। সৌদি আরব আমাদের হজযাত্রীর সংখ্যা চেয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যেই। এ কারণে নিবন্ধন শুরু করা হয়েছে। আমার পরামর্শ, হজযাত্রীরা যেন দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। একই সঙ্গে তারা যেন অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করেন।

সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।

সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ কমেছে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী বছর বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।

হাব জানিয়েছে, হজযাত্রীকে কোরবানি বাবদ আনুমানিক ৮০০ সৌদি রিয়াল নিতে হবে এবং কোরবানি নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করতে হবে। সৌদি আরবে ৩০ থেকে ৪৮ দিন অবস্থান করতে পারবেন। মদিনায় অবস্থান করতে পারবেন পাঁচ থেকে আট দিন।

হজযাত্রীদের নিবন্ধন আশানুরূপ না হওয়া প্রসঙ্গে সিটি নিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদওয়ান খান বোরহান আমাদের সময়কে বলেন, যারা ২৯ হাজার টাকা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন, তাদের এখন নিবন্ধন করার জন্য পুরো টাকা দিতে হবে। সর্বনিম্ন দুই লাখ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করে বাকি টাকা কেউ কেউ এক, দুই বা তিন ধাপে পরিশোধ করতে পারবেন। শেষ সময়ে এসে আমাদের হজযাত্রীদের নিবন্ধনের হিড়িক পড়বে। আমি মনে করি, সময় থাকতে আগেই নিবন্ধন সম্পন্ন করা উচিত। আশা করছি বাকি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোটা পূর্ণ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, গত বছর নয় দফা বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। এর মধ্যেও কোটা পূরণ হয়নি, ৬ হাজার ৭০৭ জন বাকি ছিল। তবে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বাদ দিয়ে সাড়ে ৩ হাজারের কোটা খালি থাকে। নিবন্ধনের কোটা পূরণ না হওয়ার কারণ হিসেবে হজের ব্যয় বেশি বলে ধারণা করা হয়েছিল।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছর ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর

খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা

শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩




অবরোধ : ১৭ দিনে ১৫৪টি আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১৫৪টি আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়া হয়েছে ঢাকা সিটিতে। গড়ে দিনে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে এই কয়েকদিনে। এসব ঘটনায় সারা দেশে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এছাড়া দুজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মারধরের শিকার ও ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এই ১৭ দিনে সারা দেশে ১৫৪টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং সবশেষ ১৩ নভেম্বর সাতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে ৯৪টি বাস, মাইক্রোবাস তিনটি, প্রাইভেটকার দুটি, মোটরসাইকেল আটটি, ট্রাক ১৩টি, কাভার্ড ভ্যান আটটি, অ্যাম্বুলেন্স একটি, পিকআপ দুটি, সিএনজি দুটি, নছিমন একটি, লেগুনা একটি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি একটি, পুলিশের গাড়ি একটি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি এবং দুটি শোরুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ে দিনে পাঁচটি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।

অপরদিকে দেখা গেছে, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়াও দেশের ২৫টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।

এ সময় দেশের সকল বিভাগে দুর্বৃত্তদের দেওয়া অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও সিলেট বিভাগে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে আটটি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, বগুড়ায় পাঁচটি, মানিকগঞ্জে চারটি, ফরিদপুরে চারটি এবং লালমনিরহাটে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সময়ের বিবেচনা দিনের চেয়ে রাতে (সন্ধ্যা ৬টা-সকাল ৬টা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে পিকআপের ধাক্কা, চালক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের তালগাছের সাথে ধাক্কা লেগে  দূর্ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক রায়হান আলী (২৪) নামে এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত পিকআপ চালক রায়হান আলী হলেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার নোনাহার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে। একই দূর্ঘটনায় চালকের পাশে বসে থাকা পিকআপের মালিক একই গ্রামের মৃত আবু তালেব এর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এদূর্ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ বালিকা বিদ্যালয় মোড় নামক স্থানে।

স্থানীয়রা জানান, পিকআপটি মহাদেবপুর থেকে পোরশা যাওয়ার সময় পথিমধ্যে চাঁন্দাশ বালিকা বিদ্যালয় মোড়ে পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি তালগাছের সাথে ধাক্কা লাগার পর ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক রায়হান আলীর মৃত্যু হয় এবং চাপা অবস্থায় থাকলে খবর পেয়ে মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে পিকআপ এর দরজা কেটে রায়হান আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন এবং অপর পাশের দরজা কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় পিকআপের মালিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। 

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


আরও খবর



গাজীপুরে ৪টি আসনে প্রার্থিতায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :উত্তরাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার শিল্প নগরী গাজীপুর টি সংসদীয় আসনের সমন্বয়ে গঠিত। দ্বিতীয় গোপালগঞ্জখ্যাত দেশে ,লীগের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে সমধিক পরিচিত এই জেলা।শিল্পশহর হওয়ায় দেশের সব জেলার মানুষের পদচারনায় মুখর থাকে এই জনপদ

দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতি এই জেলা সমধিক গুরুত্বপূর্ণ।এখানকার মানুষ অত্যধিক রাজনীতি সচেতন।তারপরেও এখানে বিএনপি জাপার বিশাল ভোটব্যাংক রয়েছে।রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতেরও কিছু অস্তিত্ব

এখানকার নির্বাচনগুলোতে জাপা জামাত যেদিকে ভীড়ে ভোটের ফলাফল অনেকটাই সেই প্রার্থির অনুকূলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তবে ভোটের বিচারে আওয়ামীগের সুদৃড় মজবুত ভিত্তি থাকায় অন্য দলগুলোর দৃশ্যমান কর্মসূচি বা ভোটের মাঠে আওয়ামীগের প্রার্থিকে পরাস্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে

এমনি বাস্তবতায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৪টি আসনের প্রার্থিতায় অপরিবর্তন রেখে টি আসনে চমকপ্রদ পরিবর্তন আসছে বলে জানা গেছে

দলটির বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গাজীপুরের টি সংসদীয় আসনের মধ্যে টি আসনে পরিবর্তন আসছে এবং অপর ৪টি আসনের প্রার্থিতায় কোন পরিবর্তন আনছে না আওয়ামী লীগ

তবে কোন আসনে পরিবর্তন আসছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেছে সূত্রটি।বিভিন্ন সূত্র থেকে ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও দলটির মনোনয়ন ঘোষণার আগে বাধ্যবাধকতা থাকায় তা প্রকাশ করার সুযোগ নেই

বিশেষ সূত্রমতে, এমন একটি আসনে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে যা অকল্পনীয়।প্রার্থিতায়ও থাকবে বিশেষ চমক।যার সততা,আদর্শিক দিক প্রশ্নবিদ্ধ নয়,যিনি বিশেষ পরিচিত না হলেও অজ্ঞাত কোন ব্যক্তি নয়

আওয়ামী লীগের মূল শেকড়ের সাথে যার সুনিবীড়ড় ভিত্তি রয়েছে এমন কোন ব্যক্তিকে ওই আসন থেকে নৌকার মাঝি করতে যাচ্ছে দলটি

সূত্রমতে, আসন্ন নির্বাচনে আগেই সবুজ সংকেত প্রদানের যে কথা আলোচনায় ছিল দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি সময় হাতে না থাকার কারনে তা হচ্ছে না।তবে অনেক আসনেই সংকেত প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।বিশেষ করে হেভিওয়েট প্রার্থিরা সংকেত পেয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গণে

কিন্তু দলিয়ভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সবুজ সংকেত পাওয়া প্রার্থিরা বিধি-নিষেধ থাকায় কেউ মুখ খুলছেন না।তবে দেশের ৩০০ আসনেই প্রচারে থাকা মনোনয়ন যারা পাবেন না এসব প্রার্থিদের অনেককেই আকার ইঙ্গিতে নিরুৎসাহীত করা হচ্ছে

থেকে তারা বুঝে যাচ্ছেন যে এবারের জাতীয় নির্বাচনে তারা দলিয় টিকেট পাচ্ছেন না।ইতিমধ্যেই ধরনের প্রার্থিরা তাদের প্রচারণা থেকে নিজেদেরকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন

 


আরও খবর



বকশীগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছেন দলিল লেখকরা। গত রোববার থেকে তারা এই কর্মসূচী পালন করছেন। সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন দলিল লেখকরা। সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মুখোমুখি অবস্থানের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির দাতা গ্রহীতারা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া জানান,চলতি বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন।  যোগদানের পর দলিল লেখকদের সাথে বৈঠক করেন সাব-রেজিস্ট্রার। বৈঠকে সাব-রেজিস্ট্রার দলিল লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা আমাকে সহযোগীতা করবেন,আমি আপনাদের সহযোগীতা করবো। দলিল প্রতি বাড়তি সাড়ে ৫ হাজার টাকা চান তিনি। বাড়তি টাকা না দিলে একটা দলিলও পাশ হবে না। তাৎক্ষনিক দলিল লেখকরা বাড়তি টাকার বিষয়ে আপত্তি জানালে সনদ বাতিলের হুমকিও দেন সাব-রেজিস্ট্রার। সনদ হারানোর ভয়ে দলিল লেখকরা আর কিছু বলার সাহস করেনি। ফলে বাড়তি টাকা দিয়েই দলিল করতে বাধ্যহয় দলিল লেখকরা। এতে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা গ্রহীতারা দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলেন। এই নিয়ে দলিল লেখকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার দলিল প্রতি বাড়তি টাকা দিতে পারবেন না বলে সাব-রেজিস্ট্রারকে জানান দলিল লেখকরা। এতেই দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন সাবরেজিস্ট্রার। বনিবনা না হওয়ায় দলিলের প্রতি পাতার জন্য ১৫ টাকা করে নিতে পারবেন দলিল লেখকরা এমন আদেশ দেন। এর বেশি নিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন এবং এক অফিস আদেশও জারি করেন তিনি। এই নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়। এতে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষনা দেন দলিল লেখকরা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন হিলারী বলেন,বকশীগঞ্জে যোগদানের পরেই দলিল প্রতি বাড়তি অর্থ দাবি করেন সাব-রেজিস্ট্রার। তার দাবি না মানায় কোন কারন ছাড়াই সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকদের সাথে অসাদাচরন,সনদ বাতিলের হুমকি,দলিলের দাতা গ্রহীতাদের নানা ভাবে হয়রানি ও তাদের সাথে খারাপ আচরন করে আসছেন সাবরেজিস্ট্রার মুহাম্মদ তামীম। এই কারনেই সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচী চলবে।  

মেরুরচর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে কষ্ট করে এলাকায় ৫ শতক জমি কিনেছেন। জমি রেজিস্ট্রি নিতে দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। কর্মবিরতির কারনে দলিল করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। 

এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, যখন জানতে পারি আমার নাম ভাঙিয়ে দলিল লেখকরা জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা ও গ্রহীতাদের কাছে বাড়তি টাকা নেয়, ঠিক তখনই আমি দুর্নীতি বন্ধের ঘোষনা দেই।  এতেই দলিল লেখকরা আমার প্রতি মনোক্ষুন্ন হন। দলিল লেখকরা তার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কর্মবিরতি করছেন। অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে তিনি আর নীতিতে অটল থাকবেন বলে জানান।


আরও খবর