Logo
শিরোনাম

নিত্যপণ্যের বাজারে রমজানের প্রভাব

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রমজান শুরুর আগেই বাজারে নিত্যপণ্যের দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাড়িয়ে দিয়েছে দাম। সবজির বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

ইফতার আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন, শসা, লেবু ও কাঁচামরিচের দামে লেগেছে আগুন। অনেক গ্রাহক আগেভাগেই এসব পণ্য বেশি পরিমাণে কিনে মজুদ করছেন। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।

নগরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাফিয়ে বাড়ছে বেগুনের দাম। শসা ও লেবু বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচামরিচের দামও প্রতিদিন বাড়ছে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি বেগুন সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। কয়েকদিন আগেও পণ্যটি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লেবুর দাম। বাজারে ভালো মানের প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে একটি লেবু কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া শতক ছাড়াচ্ছে শসা। মান বিবেচনায় পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ক্ষিরা। কাঁচামরিচ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে নতুন করে বাড়ছে আলুর দাম। বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ টাকায়।


অপরদিকে চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিড়ার দামও বাড়তি। মাছ-মাংসের বাজারেও একই চিত্র। বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়, মশুর ডাল কেজি ১৪০ টাকা, চিড়া প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা ও খেজুর মানভেদে ২৯০ টাকা থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল ৫৫ টাকা, আতপ চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০টা থেকে ৮৫০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা এবং রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার রয়েছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। এসব সিন্ডিকেট সরকারকেও জিম্মি করে ফেলে। রমজান মাসে পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি হওয়ার পরও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




বায়ুতে আয়ু টান : অ্যাকশনের এখনই সময়

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

মোস্তফা কামাল :

বায়ুদূষিত শহরের তালিকায় অবিরাম ঢাকার শীর্ষত্ব অটুট আবারও। এর মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির সংযোগ নেই। একেবারেই অরাজনৈতিক। রোগাক্রান্ত রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দলীয়-অদলীয় সব মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর।

আশপাশের খবরও ভালো নয়। সর্বশেষ শনিবারের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১২৬টি শহরের মাঝে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয়তে উগান্ডার কাম্পালা শহর। শীর্ষ চারে নেমে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি পাঁচে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ। সেই হিসাবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস পরপর দুদিনই খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতির ব্যাপকতা বাড়ছেই। গত বছর থেকে বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত। শীতকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বরাবরই বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষত শীতকালে দূষণের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের নজরে ধরা পড়েছে ঢাকার বাতাসে দূষণের প্রধান কারণ বা উৎস অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম .)

বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি তৈরি করে। এর চেয়ে বড় কথা বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর কত মানুষের মৃত্যু হয়, সংক্রান্ত তথ্য আমাদের নেই। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে গত বছরের নভেম্বরে একটি সমীক্ষা দিয়েছিল ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-বিএমজে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।

রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা বাস্তবতায় ঢাকা বা অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ নিয়ে আমাদের ভাবনার সময় কই! এই বাতাসে যে বুকভরে শ্বাস নিতে পারছি না, এজন্য আমরা নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দায়ী করতে অভ্যস্ত। অনেকে জানিও না শ্বাসের সঙ্গে যেসব দূষিত বায়ু দেহে ঢুকে তা আয়ুতে টান ফেলে কোন গন্তব্যে নিয়ে ঠেকাচ্ছে আমাদের! ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নিতে বলা হয়েছে। নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরনো ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতেও বলা হয়েছে।

বাস্তবে কে শোনে কার কথা! এসব নির্দেশনা বা ডাকদোহাইর খবর আমরা অনেকে জানিও না। বায়ুদূষণ ত্বকের কী ক্ষতি করে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম .)-এর মাত্রা বাড়লে তা ত্বকের রন্ধ্র দিয়ে ঢুকে ত্বকের বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে। বিশেষ করে সোরিয়াসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। বায়ুদূষণ সোরিয়াসিস রোগীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এমনকি করোনাও আমাদের দমাতে পারেনি। ত্বক বা নিঃশ্বাস সমস্যা আর কী করবেÑ এমন একটি মনমানসিকতা অনেকেরই।

সরকারের দিক থেকেও বায়ুদূষণকে মোস্ট প্রায়োরিটিতে নেওয়ার লক্ষণ নেই। মানুষের কাছেও বুকভরে শ্বাস নেওয়ার বাইরে আরও কত বিষয়। পরিবেশকর্মীরা কিছু কর্মসূচি পালন করলেও সেগুলো পত্রিকায় সিঙ্গেল কলাম বা ব্যাক পেজের নিউজ। আর টেলিভিশনে জায়গা সেকেন্ড পার্টে বা খুচরা নিউজের সঙ্গে। ঢাকাকে বায়ুদূষণমুক্ত করতে চাইলে সরকারকে এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। রাজনৈতিক বা দলীয় সরকারের জন্য তা একটু জটিল। তারা সমস্যা স্বীকারই করতে চায় না, যদি না দলীয় কারও ক্ষতি হয়ে যায়! ইটভাটা, যত্রতত্র কল-কারখানা, গ্যারেজগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। যে কারণে পরিবেশ নিয়ে কথা বলা ব্যক্তিরাও ক্ষমতায় গেলে তা চেপে যান। এখন কিন্তু পরিবেশ নিয়ে কাজ করার মহাসুযোগ।

ঢাকার বায়ুদূষণের একটা বড় উৎস নির্মাণকাজ। ইটভাটা, কারখানা, যানবাহন, বর্জ্য পোড়ানো থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দূষিত বায়ুতে থাকার কারণে বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বছর মাস কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে ২০১৯ সালে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির দশমিক শতাংশ ক্ষতি করছে। বায়ুদূষণ দূর করা সময়সাপেক্ষ হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বায়ুমানের দুর্যোগপূর্ণসময়ে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। নিয়ম-কানুনের তদারকি চালু করতে পারে শক্ত হাতে। কারণ বাদ সাধার হোমচোমড়ারা এখন মাঠে নেই।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো এলাকায় পরপর দিন ঘণ্টা বায়ুর মানসূচক ৩০০ বেশি থাকলে ওই এলাকায় বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা উভয়ে মিলে নিতে পারে। এই জরুরি অবস্থার সময়ে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা, দূষণকারী শিল্পকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ, যান চলাচলে কঠোরতা জারি এবং স্বাস্থ্যগত সহায়তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বায়ুমান ৩০০-এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হয়।

আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ পর্যায়ে থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার রীতি আছে। এসব রীতি জরুরি বিবেচনায় প্রচলন শুরুতে দৃশ্যত কোনো বাধা নেই। বলা হয়ে থাকে, ‘উন্নয়নপরিবেশ রক্ষাদুটি বিপরীত শব্দ। উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই। ফলে বিশে^ উন্নত উন্নয়নশীল দেশসমূহে দূষণ বেশি! তবে সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলংকা, লাওস, ভুটান, ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তবে পৃথিবীব্যাপী এখন দূষণকে দেখা হচ্ছেবিপর্যয়হিসেবে।

প্রকৃতির বাইরে মানবসৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশ দূষণের প্রতিকার চাইলে বাংলাদেশে এর চেয়ে জুতসই সময় আর আসবে, সেই আশা নেই। শিল্প-কলকারখানার ময়লা বর্জ্য পদার্থ, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক সারের ব্যবহার, যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের সূচনাটা অন্তত শুরু হোক। ইটভাটার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুসহ গোটা পরিবেশের কী সর্বনাশ করছে তা নতুন করে প্রচারের আর দরকার নেই। তা কমবেশি সবারই জানা। বিষয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কীর্তিমান উপদেষ্টা তো আছেনই।

 বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, বর্জ্যদূষণ তার ভালো করেই জানা। নিয়ে অনেক কাজের স্বাক্ষর রয়েছে তার। তাই নতুন সচেতনতা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে পদক্ষেপ। তার হাত দিয়ে অন্তত মহরতটা হয়ে যাক না। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা পরিবেশ ধ্বংস করতে করতে এমন একটা সময় আসবে যখন থাকবে শুধু অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দূষণ আর রোগগ্রস্ত জীবন। তখন কোনো কিছুর বিনিময়ে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সুস্থ জীবনযাপন করা বাস্তবতা সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক-কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




ঝালকাঠি সাংবাদিক সংস্থার নতুন কমিটি

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান, রাজাপুর. ঝালকাঠি :

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঝালকাঠি জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে মো. এমদাদুল হক স্বপন এবং উপধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঝালকাঠি কলেজ রোডস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে সকল কর্মকর্তা ও সদস্যদের উপস্থিতিতে বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংস্থার জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুর সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি এমদাদুল হক স্বপন ঐ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন।

মধ্যাহ্ন বিরতীর পর বিকেলে সভা শেষে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঝালকাঠি জেলা শাখার ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষনা দেয়া হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নতুন কমিটির নাম ঘোষনা করেন প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক দুরযাত্রা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক, এ সংগঠনের উপদেষ্টা জিয়াউল হাসান পলাশ।

আগামী দুই বছরের জন্য ঘোষিত নতুন এ কমিটিতে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ছাড়াও অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন সহ-সভাপতি হাসনাইন তালুকদার দিবস, মো. আউয়াল গাজী ও মাহাবুবুর রহমান। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হয়েছেন মো. মাসুম খান, মো. রুবেল খান, মাহাবুবুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম পান্নু।


এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. নুরুজ্জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিয়াজ মোর্শেদ, কোষাধাক্ষ পদে মো. বাবুল মিনা, দপ্তর সম্পাদক পদে কামরুজ্জামান সুইট, প্রচার সম্পাদক পদে মো. খলিলুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে কাজী আবুল খায়ের মাসুম, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে অঞ্জন হালদার নির্বাচিত হয়েছেন।

এ কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন আরো ৭ জন। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেন গুপ্ত, মো. ওমর ফারুক, আসাদুজ্জামান সোহাগ, মো. খরলিলুর রহমান, প্রভাষক মো. আমির হোসেন, মো. বুলবুল মল্লিক এবং অধ্যাপক অমরেশ রায় চৌধুরী।

 ২৩ সদস্য বিশিষ্ট্য কার্যনির্বাহী কমিটি ছাড়াও আরো ১২ জন রয়েছে সাধারন সদস্য পদে। এরা হলেন:  

হাসিবুর রহমান, মো. কামাল হোসেন মৃধা, আল মাসুদ সবুজ, এইচ এম গিয়াস উদ্দিন, মো. মাসুম বিল্লাহ, সুদেব মালাকার, সাইফুল্লাহ পনু শান্ত, একেএম মঞ্জুরুল হক, শংকর দাস পবন, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, আসাদুজ্জামান আরেফিন,এবং আসাদুজ্জামান নিশাত।


আরও খবর



ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বাসাবোতে

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ২২২ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। এ সময় ঢাকার বাতাসে পিএম২-এর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের চেয়ে ২৯.৩ গুণ বেশি রয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

এ সময় ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে বাসাবো এলাকায়। ৩৩৯ একিউআই স্কোর নিয়ে এই এলাকার বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় এরপরে রয়েছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা (২৯৮), ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এলাকা (২৫৫), কল্যাণপুর (২৪৬), গুলশান ২-এর রব ভবন এলাকা (২৩০), বেচারাম দেউড়ি (২২২), গুলশান লেক পার্ক (২২২), তেজগাঁওয়ের শান্তা ভবন এলাকা (২১৫), মহাখালীর আইসিডিডিআরবি (২০২) এলাকায় বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

এদিকে আজ সকাল ৯টায় বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তানের কাবুল (২২৮)। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা (২২২), তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (২১৫) ও মিসরের কায়রো (২১৪)। এ সময় শহরগুলোতে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস বিরাজ করছে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান।

সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫




ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যেন ফাটল সৃষ্টি না হয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে যেন কোনো ফাটল সৃষ্টি না হয়। সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সবচাইতে জরুরি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখা। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই জাতীয় ঐক্যকে গণ ঐক্যে রূপান্তরিত করে সেটাকে রাজনৈতিকভাবে আমরা যেন সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারি, রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে আসতে পারি এবং সেই ঐক্যকে ধরে রেখে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেটাই আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিল তাদের সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে চাই। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন এখন যেকোনো রকমের অনৈক্যের বিজ আমাদের ভেতরে বপন করতে না পারে কোনো সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন, আমরা এসেছি, কথা বলেছি, আমাদের পরামর্শ যা দরকার রাষ্ট্র পরিচালনা হিসেবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে সেটা আমরা দিয়েছি।

ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনো পরামর্শ ছিল কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত ঘোষণাপত্র নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। আমরা প্রশ্ন করেছি যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র আসলেই সাড়ে ৫ মাস পরে কোনো প্রয়োজন ছিল কি না? যদি থেকে থাকে সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী? সেটা নির্ধারণ করতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে সেখানে যেন কোনো ফাটল সৃষ্টি না হয় সেখানেও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। যদি কোনো রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয় সে দলিলটাকে আমরা অবশ্যই সম্মান করি। কিন্তু সেটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের পরামর্শ নেওয়া হয় সেই দিকটা নিয়ে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। যেন জাতীয় ঐক্যে কোনো ধরনের ফাটল সৃষ্টি না হয়। আমাদের মধ্যে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।

ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী ছিল— জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলিল প্রণয়ন বিষয়ে আমরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছি, ইত্যাদি বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।

খসড়া নিয়ে কোনো আপত্তি আছে কি না— জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য কোন ধরনের বক্তব্য না দিয়ে চলে যান।


আরও খবর



দেশজুড়ে ফের শৈত্যপ্রবাহের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

কয়েকদিনের স্বস্তির পর আবারও দেশজুড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে বাড়ছে ভোগান্তি। এর মধ্যে দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আগামী তিন দিন আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেইসঙ্গে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কয়েকটি বিভাগে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে সরকারি সংস্থাটির পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান এই তথ্য জানান। তিনি জানান, আগামী ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা দেশের উত্তরাংশে (২-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর