Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে কলেজ পড়ুয়া ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে ৩ জন কলেজ পড়ুয়া বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। খবর পেয়ে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার দিবাগত ৮টারদিকে নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত ৩ জনের অপর আরেক বন্ধু গা ঢাকা দিয়েছে। হা ঢাকা দেওয়া বন্ধু হলেন মুক্তার হোসেন।

নিহত ৩ জন নওগাঁর মান্দা উত্তরা ডিগ্রি কলেজ এর একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে। নিহত ৩ জন হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন এর পাকুড়িয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শারিকুল ইসলাম ওরফে পিন্টু (২২), পাকুড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে আশিক হোসেন (২২) ও প্রসাদপুর ইউনিয়ন এর দ্বারিয়াপুর গ্রামের  নেকবর আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান ওরফে নিশাত (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মান্দা উপজেলার বিলউরাইল গ্রামের মাঠে ৪ জন যুবক এক সঙ্গে মাদপান করে। মদ পানের কিছু পরই তারা অসুস্থ হয়ে পরলে। তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ 

নেওয়ার পথে আশিক এর মৃত্যু হয়। অপর দু' জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আনন্দ কুমার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই পিন্টু ও নিশাতের মৃত্যু হয়েছে। 

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী প্রতিবেদক কে ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ৩ জনের মৃতদেহ ময়না তদন্ত এর জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, চাপে আছে গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার বেড়েছে একমাসের ব্যবধানে। সবশেষ গত এপ্রিল মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে উঠেছে। এর আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এরও আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ, চার মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ১০ শতাংশ ছাড়ালো। তবে মূল্যস্ফীতির হার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ বেশি চাপে আছে। একই সঙ্গে যেভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি।

সোমবার (১৩ মে) প্রতিষ্ঠানটি মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

সেখানে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগে মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এদিকে, গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিবিএস প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এপ্রিলে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অথচ গ্রামে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অন্যদিকে, শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শহরে খাদ্যখাতে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।

বিবিএস বলছে, যেখানে এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সেখানে মজুরি সূচক বেড়ে মাত্র ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। তার মানে সংসারের খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে। কৃষিতে ৮ দশমিক ২৫, শিল্প খাতে ৭ দশমিক ৩৬ ও সেবা খাতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কোনো খাতেই ৯ শতাংশের ওপরে মজুরি নেই, অথচ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

 


আরও খবর



দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

দেশে এখন ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার রয়েছেন। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা বেশি।

সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুযায়ী, যারা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তাদেরকে বেকার হিসাবে গণ্য করা হয়। বিবিএস এই নিয়ম অনুসরণ করে থাকে।

এদিকে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে নারী বেকারের সংখ্যা।

বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।

এ বিষয়ে বিবিএসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রান্তিক ভিত্তিতে বেকারের সংখ্যা হেরফের হতে পারে। সাধারণ শীতের সময় কাজের সুযোগ কম থাকে।


আরও খবর



স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক।

 মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এমভি জাহান মনি-৩। 

এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়  জাহাজটি।

পরে ২৩ নাবিককে বরণ করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় নাবিকদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। বন্দরে পৌঁছার পর সেখানে উপস্থিত সকলের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান নাবিকরা। 

বন্দরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে নাবিকদের রওনা দেয়ার কথা।

এর আগে, দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি জাহান মনি-৩। 

সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে ভিড়ে। সেখানে চলছে চুনাপাথর খালাস কার্যক্রম। ‘এমভি আবদুল্লাহ’র দায়িত্ব নিয়েছে নতুন ২৩ নাবিক।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা পরিবহন করে আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ১৪ এপ্রিল ভোরে মুক্তিপণ পাওয়ার পর জলদস্যুমুক্ত হয় জাহাজটি।

পরে জাহাজটি ২২ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে কয়লা খালাসের পর আরেকটি বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করার পরে জাহাজটি ৩০ এপ্রিল ভোরে আরব আমিরাত ত্যাগ করে।


আরও খবর



এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, এই সময়ে ৩৬ শতাংশ ভোট কম না। নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটার এলেও তা গ্রহণযোগ্য।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলার নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।


তিনি আরও বলেন, উপজেলাওয়ারি ভোটার উপস্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনতে কমিশন প্রচারণা চালাবে।

প্রার্থীদেরও প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে সব ব্যবস্থা করবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, মূলত তিনটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি, দ্বিতীয়ত এখন ধান কাটার মৌসুম, তাছাড়া ভোটের আগের রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামীতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি প্রার্থীদের বলেছি, মানুষ হিসেবে যে আমরা শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণ করতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। কারোর ওপর ভর না দিয়ে জনগণের ভালোবাসার ওপর ভর করতে হবে।

প্রার্থীরা আমাদের কথায় সম্মত। তাদের আমরা আশ্বস্ত করতে পেরেছি। সামনের নির্বাচনগুলো আগের থেকে আরও স্বচ্ছ ও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। কোনও ছাড় হবে না।

আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা আস্তে আস্তে ভালো করছি। আগামীতে আমাদের নির্বাচন বিশ্ববাসীর জন্য রোল মডেল হবে।

বেলা ১১টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক বসেন নির্বাচন এই কমিশনার। দুপুর আড়াইটায় বৈঠক শেষ হয়।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের বিপক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল ৯ দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের প্রস্তাব ব্যাপক সমর্থন নিয়ে পাস হয়েছে। ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।

আর্জেন্টিনাসহ নয়টি দেশ বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন। ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

শুক্রবার ভোটাভুটি হয়। জাতিসংঘের এ প্রস্তাব ফিলিস্তিনকে বিশ্বসংস্থাটিতে বাড়তি কিছু অধিকার দেবে। দেশটি বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে।

যে নয়টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দেখতে চায় না, তারা এর আগে ২০১২ সালেও দেশটিকে সংস্থার অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। রাষ্ট্রগুলো হলোআর্জেন্টিনা, চেচনিয়া, হাঙ্গেরি, ইসরায়েল, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পলাউ, পাপুয়া নিউগিনি এবং যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েল যে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হতে দিতে চায় না, সেটা অনুমেয়। দেশটি ধারাবাহিকভাবে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্য হওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়ে আসছে। ইসরায়েলের বন্ধু দেশ যুক্তরাষ্ট্রও ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে আগে ঘোষণা দিয়েই।

শুক্রবার (১১ মে) ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল, তাদের প্রতিনিধি সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবের ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দেবে। ভোটের আগে, জাতিসংঘে মার্কিন মিশনের মুখপাত্র নেট ইভানস বলেছিলেন, ফিলিস্তিনের সদস্য পদের প্রস্তাবে ওয়াশিংটন না ভোট দেবে। অন্যান্য দেশগুলোকেও একই সিদ্ধান্ত নিতে উত্সাহিত করবে।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ পরিষদ যদি এই রেজুলেশন গ্রহণ করে ও ফিলিস্তিনের সদস্যপদের আবেদন নিরাপত্তা পরিষদে পাঠায়, গত এপ্রিলে যা ঘটেছিল তা আবারও ঘটবে বলে আশা করি।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য করার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

চেক প্রজাতন্ত্র ঐতিহাসিকভাবে অনেক বেশিই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলপন্থী। হাঙ্গেরিও ইউরোপে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি রাষ্ট্র। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বহু বছরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ভোট দেয় হাঙ্গেরি।

আরব ও ইসরায়েলের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে আর্জেন্টিনার। যদিও ২০১০ সালে ফিলিস্তিনকে ১৯৬৭ সালে বিদ্যমান সীমানার মধ্যে মুক্ত ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে, গত ফেব্রুয়ারি আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের জেরার্ডো মিলেই ইসরায়েল সফর করেন এবং নিজ দেশের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি দেন। যা বুয়েনস আইরেসের বৈদেশিক নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

এর মধ্যে জাভিয়েও ঘোষণাও দেন, তার সরকার হামাসকে একটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করবে। কেননা, গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে জিম্মি শত শত মানুষের মধ্যে আর্জেন্টিনার নাগরিকও ছিলেন।


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪