Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় নৌকার প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ বাবুর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৪, মান্দা আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সোমবার বিকেল ৩ টারদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আঞ্জুমান বানুর দপ্তর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। এ সময় মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। 

এর আগে দীর্ঘ দিন তিনি মান্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে বর্তমান সাংসদ মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এমপি, মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শেখ আবদুল লতিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এমপি পুত্র সেফায়েত জামিল প্রামাণিক সৌরভ, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সুলতান মাহমুদ রায়হান, আফজাল হোসেন ও আতাউর রহমান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক পেয়েছেন।


আরও খবর



প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনে

গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের রাজনীতিতে বাড়ছে ক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

সদরুল আইন,সিনিয়র রিপোর্টার:

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্ষোভ হতাশা বিভেদ এবং বিভক্তি বাড়ছে।

আশাহত মানুষের কাফেলায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন মুখ।নেতৃত্বের অদুরদর্শিতা ও একক স্বার্থের নব ইতিহাসের সমুখে  সরোবমুখগুলো আবার খুঁজছে এমন একটি মুখ, যে মুখ তাদেরকে নিরাশ করবে না।এমন অভিযোগ ও প্রত্যাশা রয়েছে সর্বত্রই।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ঐক্যবদ্ধ কাফেলার সরোব পদচারণা এবং বিভিন্ন জনপদে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠি,সেই ঐক্যবদ্ধতায় ফাটল ধরেছে ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসার বখরা না পেয়ে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা,বিশেষ ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত,সুসম ফ্যাক্টরী ব্যবসা না পাওয়ায় এই জনপদের রাজনীতির অভ্যন্তরে যে চাপা কষ্টের সূচনা হয়েছে তার প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মুখর উদ্দীপণা ও এক মঞ্চে এসে পরিবর্তনের যে স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি ছিল,বাস্তবে তা আর নেই।বাহ্যিকভাবে তা প্রকাশ না হলেও বঞ্চিত নেতৃত্বের আশীর্বাদ আর পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীনরা।

যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায়।ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত মিটিং করে উপজেলায় প্রার্থি কে,তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব।একথা অনস্বীকার্য যে,সিংহভাগ নেতৃত্ব যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গোপনে গ্রহন করেছেন জনমত তাদের দিকেই থাকবে।

যেহেতু এবারের উপজেলা নির্বাচন প্রতিকবিহীন হতে যাচ্ছে,সে কারনে বঞ্চিত নেতৃত্ব এবার তাদের পছন্দের প্রার্থির পক্ষেই অবস্থান গ্রহন করবেন। নির্বাচিত হলে এই প্রার্থিই বঞ্চিতদের বঞ্চণা নিরসনে শক্ত অবস্থান গ্রহন করবেন।আর ঠিক সেসময়ই ক্ষমতাসীনদের সাথে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এছাড়াও এখানকার রাজনীতির মূল চাবিকাঠি চলে যাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে।সেক্ষত্রে বর্তমান নেতৃত্বকে হয় একলা চলো নীতি গ্রহন করতে হবে,না হয় ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সকল শর্তাবলী মেনে নিতে হবে।বাস্তবতা হল উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

কারন তারা যদি ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে নেয় তবে পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ভর হতে হবে।কাঠের পুতুল হয়ে তাদের কথা মেনে চলতে হবে,যা মানা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিকখাতে যাদেরকে বসানো হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় শুরু করতে গেলে অনুসারিদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম হবে এবং রাজনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।দূর্বল হয়ে যাবেন ক্ষমতাসীনরা।ব্যবসায় পরিবর্তন আনতে গেলেই উত্তাল ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে রাজনীতি বর্তমান নেতৃত্বের।সেই ঝুঁকি তারা নেবেন বলে মনে হয় না।

ফলে বর্তমান নেতৃত্ব উপজেলায় তাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে হারাবেন নিজেদের আধিপত্ত।আর এখান থেকেই সূচনা ঘটবে '২৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তনের পদযাত্রা।

তখনও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বই সফল হবেন।কারন সামনের বছরগুলোতে বর্তমান নেতৃত্ব একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন এবং তারা জনক্ষোভের মুখে পড়বেন,যার আলামত দেখা যাচ্ছে এখনই।

অর্থাৎ সরলরেখায় বললে বলা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারনায় যে মুখগুলো প্রার্থি পরিবর্তনের পক্ষে মঞ্চ ও মাঠ কাঁপিয়েছিলেন তাদের অবস্থানের পরিবর্তন আসন্ন। সেই সব নেতৃত্ব উপজেলায় ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রার্থির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করবেন বলে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কাজেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পরিবার উপজেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।আর উপজেলায় যদি সত্যিই তাদের পরাজয় ঘটে তবে গাজীপুর-৩ আসনে '২৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তন ঘটতে পারে।

এছাড়াও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের চোখে এই আসনের কর্মকান্ড নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা হয়েছে তা সুখকর নয়।সেসব অভিযোগ এবং আগামি সাড়ে ৪ বছরে যা যা ঘটবে তাতে জনক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।

সেসব বিষয়সমুহ কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব আমলে নিলে হয়ত বা '২৯ সালে গাজীপুর-৩ আসনবাসি দেখবেন এমন এক নতুন মুখ,যে মুখ হবেন সম্ভাব্য আলোচিত প্রার্থিদের বাইরের কেউ,এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।কাজেই সাধু সাবধান!


আরও খবর



ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ঈদ শব্দটি আরবি। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে সারা বিশ্বের মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

এ বছর ঈদুল ফিতর সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ভিন্ন। টানা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে ভূখণ্ডটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আছে নারী-শিশুসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, সঙ্গে আছে প্রিয়জন হারানোর বেদনা। তীব্র মানবিক সংকটে অনাহার-দুর্ভিক্ষও এখন আর দূরের কিছু নয়। এই অবস্থার ভেতরেই ফিলিস্তিনে এসেছে ঈদ। আর সব ধ্বংস, কষ্ট, বেদনাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে বরণও করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

এমনকি ফিলিস্তিনিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুরু উপলক্ষ্যে আনন্দ উদযাপনে রাস্তায়ও নেমে আসেন। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বুধবার (১০ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাতে ফিলিস্তিনিরা তাকবীর পাঠ করে এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা করে গাজার রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এবারের ঈদ গাজা উপত্যকায় এমন এক সময়ে এসেছে যখন ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটি ব্যাপক অবরোধের পাশাপাশি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে হামাস। ঈদুল ফিতরের আগে দেওয়া ওই বিবৃতিতে হামাস গাজায় ফিলিস্তিনিদের তাদের শক্তি এবং অবিচলতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।

মূলত কয়েকদিন আগেই গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের আক্রমণের ছয় মাস পূর্ণ করেছে এবং সেই আগ্রাসন এখনও চলছে।

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই দলটি টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম তীরে, জেরুজালেমে, অধিকৃত (ঐতিহাসিক) ফিলিস্তিনের পাশাপাশি সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুত শিবিরে থাকা মানুষ গাজায় আমাদের এবং আমাদের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে আমরা আমাদের জনগণকে নিশ্চিত করছি।

হামাস আরও বলেছে, আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমন উপলক্ষ্যে আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোকে অভিনন্দন জানাই।

এসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের লক্ষ্যে সবার প্রকৃত সমর্থন বাড়তে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করে হামাস।


আরও খবর



আল-আকসায় ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে আজ বুধবার। তবে অন্যান্য সব দেশে ঈদ উৎসবে পরিণত হলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সেটি অবাস্তব। ঈদের রাতেও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। স্বজনদের দাফনের মাধ্যমে গাজায় কাটছে ঈদ। ঈদের নামাজে আল আকসা মসজিদে সমবেত হন হাজার হাজার মুসলিম।

ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই শিশু। ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে ছয় মাস বেঁচে থাকা গাজার বাসিন্দা আবুবকর বলেন, 'এবার ঈদ হবে আমাদের আরও প্রিয়জনকে কবর দেওয়ার মধ্য দিয়ে।' খবর আল জাজিরার ও মাকতুব মিডিয়ার।

আবুবকর বলেন, 'অপুষ্টির কারণে আরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, আরও বেশি যুদ্ধে আহত হচ্ছে। প্রতিদিন আরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে।পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বাড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় আঘাত করা হচ্ছে। রাফায় স্থল আক্রমণ করা হতে পারে এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

মধ্য গাজার ফিলিস্তিনি যুবক জানান, এবারের ঈদের কোনো মানে নেই। তার কথায়, 'এটা শুধু দুঃখের। এটা শুধুই অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং বিষাদময়। আমরা উদযাপন করতে পারি এমন কিছু নেই।'

এরপরও আবুবকররা আশা দেখছেন যে, এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের অবসান হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঈদুল ফিতরের বার্ষিক শুভেচ্ছায় গাজা এবং অন্যত্র মুসলমানদের উপর সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে যে গাজা, সুদান এবং আরও অনেক জায়গায়, সংঘাত ও ক্ষুধার কারণে মুসলিমরা সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে রয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষ।


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর



নওগাঁয় জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর বাংলা বিষয় এর শিক্ষক মোছাঃ ময়না খাতুন এর বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর এক যুগ ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। 

গত সোমবার "নওগাঁয় জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে বারো বছর চাকরির অভিযোগ" শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে ঐ শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের কোন তথ্য নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে না থাকায় অনুসন্ধানী এই সংবাদটি প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। সেই সংবাদটি রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নজরে এলে তিনি ওই শিক্ষিকার সনদ গুলো যাচাইয়ের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সহ সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার একটি চিঠি করেন।

চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে আসার পর আমি অভিযুক্ত শিক্ষককেসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে সকল প্রকার সনদ সহ অন্যান্য কাগজপত্র অফিসে জমা দিতে বলেছি। এরপর কাগজ পত্র যাচাইয়ের জন্য এনটি আর সিএ দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে সনদ যাচাই প্রতিবাদ পাওয়ার পর পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর