Logo
শিরোনাম

নওগাঁয শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিদায় সংবর্ধণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন কে অবসর জণিত বিদায় সংবর্ধণা দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সভা শেষে মঙ্গলবার দুপূরে উপজেলা পরিষদ হল রুমে এই  সংবর্ধণা প্রদান করা হয় । রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু । 

অনুষ্ঠানে রাণীনগর ইউআরসি ইনিট্রাক্টর মনিরুজ্জামান, সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু রায়হান, সাইদুর রহমান, জয়ন্ত কুমার সরকার,  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির সভাপতি শাহানা ফেরদৌস সহ অন্যরা । এ সময় সমিতির নেতৃবৃন্দ, প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ উপস্তিত ছিলেন।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

বৈশাখের শুরু থেকেই দেশে বইছে তীব্র দাবদাহের কারনে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না।

আবহাওয়াবিদ বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ জানান, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র গরমের কারণে মুরগি মরে যাওয়ার শঙ্কায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান শেওড়াপাড়ার মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন। তিনি বলেন, এ সময়ে দাম কমার কথা না, গত সপ্তাহেও ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গরমে হিট স্ট্রোক করছে মুরগি। তাই ক্ষতি এড়াতে ছোট ছোট মুরগি কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

শুক্রবার বাজারে সব ধরনের সবজি গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, শিমের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রোকলি ৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



এবার ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে মক্কায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজযাত্রীরা।

আর এবার মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারেএমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজসংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবার পবিত্র রমজানে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর হজেও মুসল্লির ঢল নামবে।


আরও খবর



প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর এই চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় এ তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। হিট স্টোকে আক্রান্তদের সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না দিতে পারলে মৃত্যু হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা হিট স্ট্রোকে বেশি মারা যান। পাশাপাশি তরুণদের মৃত্যু ভয় থাকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মাথা ঘুরতে পারে, জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় নিতে হবে। শরীর ঠান্ডা করতে বাতাস দিতে হবে। পাশাপাশি মাথায় পানি দিতে পারলে ভালো। যদি অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা হয়, তত ভালো। দেরি করলে অঙ্গহানি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে ইমার্জেন্সি বিভাগে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আটজন পুরুষ, সাতজন মহিলা। তাদের একজন স্ট্রোকের রোগী থাকলেও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।


আরও খবর



রাজশাহীতে তীব্র খরায় ঝরছে আমের গুটি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

অব্যাহত তাপপ্রবাহপোকার উপদ্রব  সেচ সংকটে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। আমচাষীদের ভাষ্যচলতি মৌসুমে এমনিতেই রাজশাহীতে গাছে আম এসেছে কম। যা আছে তা ঝরে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক বাগানের অন্তত ৫০ শতাংশ গুটি ঝরে গেছে। বিরূপ  আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে গাছে পাতা ছাড়া কিছুই থাকবে না।

কৃষি বিভাগ  ফল গবেষকরা বলছেনকিছু গুটি ঝরে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেগুলো টিকে আছে সেগুলো ভালোভাবে পরিচর্যা করলে আর ঝরবে না। গুটি ঝরে পড়া রোধে গাছের গোড়ায় রাতে অথবা খুব ভোরে সেচ দিতে হবে। বড় গাছগুলোয় এক বছর পর পর ফলন হয়। কোনো বার কম তো কোনো বারে বেশি। তবে যারা প্রকৃত আমচাষীতারা বাণিজ্যিকভাবে ঘন পদ্ধতিতে আম চাষ করছেন। এতে তারা লাভবানও হচ্ছেন। কারণ ছোট গাছগুলোয় প্রতি বছরই ভালো আম ধরে এবং গুটি ঝরে পড়ে না। তাছাড়া আমচাষীরা এসব গাছ ঠিকভাবে পরিচর্যাও করতে পারেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছেচলতি মৌসুমে রাজশাহীচাঁপাইনবাবগঞ্জনওগাঁ  নাটোরে ৯৩ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমির আমগাছে ফলন এসেছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন। তবে এককভাবে শুধু রাজশাহী জেলার ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমির গাছে আম ধরেছে যা গত বছরের চেয়ে ২৪ হেক্টর বেশি। চলতি বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে  লাখ ৬০ হাজার ১৬৫ টন।

রাজশাহীর আমচাষী  ব্যবসায়ীরা জানানচলতি মৌসুমে বাগানে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। সেই মুকুল থাকলেই অনেক আম হতো কিন্তু গত ২০  ২১ মার্চের বৃষ্টির কারণে মুকুলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আগে যেসব গাছে মুকুল এসেছিলসেগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সেগুলো এখন প্রচণ্ড খরায়  পোকার উপদ্রবে ঝরে যাচ্ছে। আমগাছে পানি  কীটনাশক প্রয়োগ করেও গুটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রতি বছরই আমের কিছু গুটি ঝরে যায়। কিন্তু চলতি মৌসুমে অনেক বাগানে ৫০-৬০ শতাংশ গুটি ঝরে গেছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতেরাজশাহীতে গত ২৩ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস।


 আর ২৫-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল ৪১-৪২ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ৩০ এপ্রিল ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ৫২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস বলছেআগামী কয়েকদিন  তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিহারীপাড়া গ্রামের আসিফ ইকবালের ৩০ বিঘার বাগানে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। বড়মাঝারি  ছোট সব রকমই গাছ আছে বাগানটিতে। ৭২ জাতের আম রয়েছে বাগানে।

তিনি বলেন, হপার পোকা  আচা পোকা বাগানে আমের ক্ষতি করছে।


 এছাড়া আম ছিদ্রকারী পোকা উড়ে এসে হুঁল ফুটিয়ে চলে যাচ্ছে। সেজন্য কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। অতিরিক্ত খরার কারণে গাছে থাকা অবস্থাতেও আমের বোটা শুকিয়ে কুচকে যাচ্ছে। যারা পরিমিত সেচ  সঠিক মাত্রায় কীটনাশক স্প্রে করতে পারছেন তাদের গাছে আম এখনো বেশ বিদ্যমান আছে। কিন্তু যারা করতে পারছে না তাদের আম দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী জেলার বেশির ভাগ আম বাগান চারঘাট  বাঘা উপজেলায়।


 বাঘা উপজেলার সাদি এন্টারপ্রাইজ কয়েক বছর ধরে বিদেশে আম রফতানি করছে।  প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আসাফুদ্দৌলা বলেন, এবার বেশির ভাগ গাছে আম নেই। চাষীরা গাছের কোনো পরিচর্যা করছেন না। ফলে যেসব গাছে কিছু আম আছেসেখানেই পোকার উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। এখন বাগানে মাছি পোকালেদা পোকানাশক বিষ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

গোদাগাড়ী উপজেলার আমচাষী তৌহিদুর রহমান পারভেজ বলেন, প্রচণ্ড গরমে আম শুকিয়ে কালো রং ধারণ করছে। এছাড়া পোকা ছিদ্র করায়  বোটার রস খাওয়ায় আম শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। এতে আমের ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি। অনুমোদিত মাত্রার বাইরে ওষুধ ব্যবহার করিনি


 শ্রমিকরা আগেই সতর্ক করেছিলেনশুধু অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ দিয়ে পোকার আক্রমণ থেকে আম বাঁচানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তার বাগানের সব আম পোকায় শেষ করে দিয়েছে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার এমনিতেই আমের মুকুল কম ছিল। তার ওপর ফুল ফোটার সময়ে ২০  ২১ মার্চ বৃষ্টি হয়ে আমের অনেক মুকুল নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো টিকে ছিল সেগুলো রোদের তাপে ঝরে পড়ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্যশারমিন সুলতানা বণিক বার্তাকে বলেন, রাজশাহীতে বৃষ্টির অভাব  প্রচণ্ড খরার কারণে আমের মুকুল ঝরে পড়ছে। খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সতর্কতার সঙ্গে গাছ পরিচর্যা করতে হবে।  ক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় অল্প পরিমাণ পানি  পরবর্তীতে ইউরিয়া  পটাশ সার দিতে হবে। এছাড়া আমের গুটি রক্ষায় বরিক এসিডও স্প্রে করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন


, আমের মৌসুমে গাছে যে পরিমাণ মুকুল আসে তা কিন্তু শতভাগ থাকবে নাএটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে  বছর গাছে কিছুটা মুকুল কম এসেছে। তবুও এখন পর্যন্ত গাছে যে পরিমাণ মুকুল বা গুটি আছে সেগুলো বড় হলে আমের সংকট হবে না।


আরও খবর