ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের খবরে দেশে
হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম। মাত্র দুইদিনের
ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
এদিন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫
থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত শনিবারও ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি
হয়েছিল। এ ছাড়া দাম বেড়েছে দেশি পেঁয়াজেরও। বাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের দেশি
পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা একদিন আগেও ছিল ৮০ টাকার মধ্যে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারেও বেড়েছে
পেঁয়াজের ঝাঁজ। শনিবার প্রতি কেজি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫০
টাকা। অথচ রবিবার সকালে বিক্রি হয়েছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায়। আর সন্ধ্যা নাগাদ দাম আরও
বেড়ে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সোমবার সকালেও একই দামে বিক্রি
হচ্ছে। দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্কসহ এলসি করা পেঁয়াজ
এখনও দেশে আসেনি। কিন্তু এরইমধ্যে দেশের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে
দিয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে সরবরাহ কম থাকায়
পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
শ্যামবাজারে বিক্রমপুর পণ্য আড়তের খোকন ইসলাম বলেন, ভারতের শুল্ক আরোপের পর থেকে
প্রতি ঘণ্টায় বাজার চড়া হচ্ছে। দফায় দফায় আমদানিকারকরা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে। এখন
পেঁয়াজের সংকটও তৈরি হচ্ছে। অনেক আড়তে পেঁয়াজ নেই। এর ফলে দাম বাড়ছে।
এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের কোনো
সংকট নেই। গত কয়েক বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। পণ্যটির বার্ষিক চাহিদা ২৮
লাখ টন। আর গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)
সভাপতি গোলাম রহমান বলেন,
যে কোনো অজুহাতে পণ্যমূল্য বাড়ানোই ব্যবসায়ীদের প্রবণতা। বাড়তি
শুল্কায়নের পেঁয়াজ এখনও দেশে আসেনি। অথচ এরই মধ্যে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ
বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হতে হবে।
এর আগে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে
ভারত। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক বলবৎ থাকবে।