Logo
শিরোনাম

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : রাজধানীর ডেমরায় বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করতে অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাবলী শবনমের নেতৃত্বে ও তিতাসের মেট্রো বিক্রয় বিভাগ-১ এর উপ মহা ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) প্রকৌশলী মামুনার রশিদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি বিশেষ টিম রাজাখালি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় ডেমরা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রাজাখালির পৌনে ১ কিলোমিটার এলাকার অন্তত ২৫০ টি আবাসিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একই সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সংযোগগুলোর বিতরণ পাইপ মাটির নিচ থেকে উপড়ে ফেলে জব্দ করা হয়। এলাকার বাসিন্দা ফাতোতুজ্জহুরা নামে একজনকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও রেবেকা বেগম নামে আরেক বাসিন্দাকে নগদ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজাখালিতে অভিযানের আগে ডেমরা সংলগ্ন শিমরাইল এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ টি বাড়ির আবাসিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাবলী শবনম বলেন, এখানে দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে গ্রাহকরা গ্যাস ব্যবহার করে আসছিলেন বলে খবর পেয়ে আমরা এ বিচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়েছি। এখানে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে প্রচুর গ্যাস চুরি করা হতো। ভবিষ্যতেও আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। ডিজিএম প্রকৌশলী মামুনার রশিদ বলেন, আমরা ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।


আরও খবর



ঈদে সড়কে মৃত্যু বেড়েছে, মোটরসাইকেলেই বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

ঈদে প্রতিবারই সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এবারের ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিনসহ গত তিন দিনে সড়কে প্রাণহানির পরিমাণটা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক মোটসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনজন পর্যন্ত মারা যাওয়ার খবর আসছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বয়সও বেশি নয়। স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্রও রয়েছেন। ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল আরোহী।নিহতদের মধ্যে পঞ্চগড়ে চারজন, খাগড়াছড়িতে তিনজন, নরসিংদীতে দুইজন, ঢাকায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, যশোরে একজন, নেত্রকোনায় তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন এবং নড়াইলের দুইজন রয়েছেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার এবং আজ তৃতীয় দিন শনিবারও সারাদেশে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

এসব দুর্ঘটনায় শুধু নিহতই নয়, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার সংখ্যাটিও বেশ উদ্বেগজনক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত মোট তিন দিনে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেই (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৪৫৪ জন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যাটিও অনেক। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তরুণ-যুবক।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক তপন দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২৫৬ জন। যাদের মধ্যে ৭৬ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন। পাশাপাশি নিয়ম-নীতি না মানা, কমবয়সি কিশোর ও তরুণদের অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। দল বেঁধে প্রতিযোগিতা ছাড়াও ট্রাফিক তদারকির অভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ। প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের পর কম্বোডিয়ায় ১১ দশমিক ৯, লাওসে ১১ দশমিক ৫, থাইল্যান্ডে ১১ দশমিক ২, ভারতে ৯, মিয়ানমারে ৮ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ৪ দশমিক ৪, ভিয়েতনামে ৪ দশমিক ১, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৫ এবং ভুটানে ২ দশমিক ১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঈদের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের মোট দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশিই মোটরসাইকেলে ঘটে থাকে। তার মধ্যে ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি ঘটে। এই সময় অনেকেই মহাসড়কে যানজট এড়াতে বাড়ির পথে যাত্রা করেন। দেখা যায়, সাধারণ সময়ে হয়তো মোটরসাইকেলে একজন থাকেন; কিন্তু ঈদের সময় স্ত্রী, বাচ্চা এবং নিজে থাকার পরেও পেছনে একটা কাপড়ের ব্যাগ থাকে। যেটা ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। এই কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।


আরও খবর



মে মাসের তাপমাত্রা হবে আরও ভয়ংকর

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

আবহাওয়া অফিস আজ শনিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে বাংলাদেশের সব স্থানে দীর্ঘতম সময়ের তাপদাহ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাসসকে বলেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে।

তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারাদেশে চলমান তাপদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।

দেশ গত ১ এপ্রিল থেকে গত ২৫ দিন ধরে তাপপ্রবাহের দীর্ঘতম সময় প্রত্যক্ষ করছে এবং আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে এ অবস্থা পরবর্তী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক মন্তব্য করেন, আগের তাপদাহের বিপরীতে এ বছর তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেসাও একথা সমর্থন করেন।

দৃশ্যত, প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্বীকার করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করেছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে।

তারা বলছেন, তাপদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ , পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।

বিকেল ৩টায় জারি করা আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, যশোরে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করার এক দিন পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও উচ্চ আর্দ্রতা নগরবাসীদের ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি প্রবল তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় প্রবল তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মতো এপ্রিল মাসে সাধারণত বাংলাদেশ   গরম থাকে, তবে আবহাওয়াবিদদের মতে এ মাসে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল যা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও প্রাধান্য পায়।

নিউইয়র্ক টাইমস অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিটস্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরো অসহ্য করে তোলে।

চরম আবহাওয়ার কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও কিছু করতে পারছে না বা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

আয়াজুর রহমান নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র বলেন, আমার পড়াশোনা বা কিছু করতে ভালো লাগছে না।. . . আমার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না।

পরিস্থিতি গৃহিণী ও নারীদের চরম দুর্দশায় ফেলেছে। বিশেষ করে রান্নার ক্ষেত্রে। এক গৃহিণী বলেন, আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে, মনে হয় চুলার কাছে গেলে আমি মাটিতে পড়ে যাব।

তাপদাহ হাজার হাজার লোককে শহরের মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধা এবং গ্রামীণ খোলা মাঠে জড়ো হতে বাধ্য করে। প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তির জন্য মানুষ বৃষ্টি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করছেন।

তাপদাহের কারণে এপ্রিলের শুরু থেকে হাসপাতালগুলো বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে। এসময় তাপজনিত অসুস্থতা নিয়ে বেশিসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে। এই দীর্ঘায়িত গরম আবহাওয়ায় শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: নিয়াতুজ্জামান বলেন, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টে বিপুল সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং তারা গরমজনিত অন্যান্য রোগেও ভুগছে।

শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)সহ অন্যান্য হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই ধরনের পরিস্থিতির কথা বলছে।

দুই দিন আগে আইসিডিডিআরবির মুখপাত্র এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান  বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ  (আইসিডিডিআর,বি) প্রায় ৫০০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সংকট মোকাবেলায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ জারি করেছে।

ডাক্তাররা হিটস্ট্রোক থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকার এবং সূর্যের সংস্পর্শে আসার সময় আবহাওয়ার উপযোগী পোশাক পরার এবং তাপদাহের সময় পানিশূন্যতা এড়াতে পানির পাশাপাশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার এবং কাজের সময় এক বা দুই ঘণ্টা পর পর বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা: খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের মস্তিষ্ক নির্দিষ্ট মাত্রার তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, যদি তা বেশি হয় তবে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং কিডনির কর্মহীনতাসহ অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

তাপজনিত আঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হলো হিটস্ট্রোক। এটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রে একটি জরুরি অবস্থা হিসেবে অভিহিত করা হয়। ফলে যখন কারও হিটস্ট্রোক হয় তখন তাকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিতে হয়।

হিটস্ট্রোকের কারণে মৃত্যু, ব্রেন এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রতঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছর বা তারও বেশি বয়সী মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে স্বাস্থ্যবান মানুষও ভয়াবহ এই অবস্থায় পড়তে পারেন।

অতি উচ্চ তাপমাত্রা ও পানিশূন্যতার কারণে হিটস্ট্রোক হয়ে থাকে। হিটস্ট্রোক হলে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়। এরফলে শরীর অস্বাভাবিক গরম হয়ে পড়ে।

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো হলো

  • মাথা ঝাঁকুনিসহ ব্যথা
  • মাথা ঘোরা এবং হালকা মাথাব্যথা
  • গরম থাকা সত্ত্বেও শরীর দিয়ে ঘাম বের না হওয়া
  • লালচে, গরম এবং শুষ্ক চামড়া
  • পেশী দুর্বলতা
  • বমি বমি ভাব এবং বমি
  • হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, যেটি শক্তিশালী হতে পারে আবারও দুর্বলও হতে পারে
  • দ্রুত ও অগভীর শ্বাসপ্রশ্বাস (পর্যাপ্ত বাতাস গ্রহণ করতে না পারা)
  • আচরণগত পরিবর্তন: যেমন বিভ্রান্তি ও হতভম্ব হওয়া
  • খিঁচুনি
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে হাসপাতালে নিতে যদি দেরি হয় তাহলে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। 

প্রতিরোধের উপায়


গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললে হিটস্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়। এগুলো হলো : হালকা, ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো। যথাসম্ভব ঘরের ভিতর বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। বাইরে যেতে হলে চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন। বাইরে যারা কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন, তারা ছাতা বা কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন। প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন। মনে রাখবেন, গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। তাই পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন খাওয়ার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি পান করুন।

আক্রান্ত হলে করণীয়


দ্রুত শীতল কোনো স্থানে চলে যান। ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন। ভেজা কাপড়ে শরীর মুছে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করুন। প্রচুর পানি ও খাওয়ার স্যালাইন পান করুন। চা বা কফি পান করবেন না। যদি হিটস্ট্রোক হয়েই যায়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে রোগীর আশপাশে যারা থাকবেন, তাদের করণীয় হলো : রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যান। গায়ের কাপড় খুলে দিন। শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন। সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়ার স্যালাইন দিন। খেয়াল রাখবেন, হিটস্ট্রোকে অজ্ঞান রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ি চলছে কিনা। প্রয়োজন হলে কৃত্রিমভাবে নিঃশ্বাস ও নাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হতে পারে। হিটস্ট্রোকে জীবন বিপদাপন্ন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।


আরও খবর



জারি হতে পারে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও এনবিসিকে বলেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে এনবিসির সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা।

জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করেনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে তাদের।

সূত্র : এনবিসি


আরও খবর

ইসরায়েলে লেবাননের রকেট হামলা

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রবিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।

তিনি বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে। সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেন তিনি।


আরও খবর