Logo
শিরোনাম

অবৈধ উপায়ে আর যাওয়া যাবে না যুক্তরাজ্যে

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল ঠেকাতে কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা করছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। গত বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা দেন, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর আইন করবেন তিনি।

আর সুনাকের সেই ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার দেশটির সংসদে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়। এরপর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় রাজপ্রাসাদে। সেখানেও অনুমোদন পাওয়ায় এখন এটি আইনে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের নতুন এ আইনটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য খারাপ বা দুঃসংবাদ হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ এখন দেশটিতে কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকা বা অন্য কোনো অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করলে কোনোভাবেই আশ্রয় পাবেন না। অবৈধভাবে প্রবেশ করার পর যদি কেউ ধরা পড়েন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে তৃতীয় কোনো দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া কেউ যদি একবার অবৈধ উপায়ে এসে ধরা পড়েন তাহলে তিনি আর কখনো যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।

আইনের মাধ্যমে অবৈধদের ধরা ও ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সরকারের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ফলে খুব বিশেষ কোনো কারণ না থাকলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে সরকারি সংস্থাগুলো বাধ্য থাকবে। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো সাগর পথের ছোট নৌকাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা বন্ধ করা।

তবে আইনটির বিরোধীতা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা বলছে, এটি যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার অঙ্গীকারের পরিপন্থি।

অবশ্য যুক্তরাজ্য নতুন আইনটি করার ক্ষেত্রে কিছু যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ৪৫ হাজার আশ্রয় প্রত্যাশী যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে এবং দিন দিন এটি বেড়ে যাচ্ছে।

সরকার আরও জানিয়েছে, এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের থাকার জন্য তাদের প্রতি বছর প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এছাড়া এসব অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীরা নৌকাতে চড়ার জন্য অপরাধী চক্রকে অর্থ প্রদান করছে। যার মাধ্যমে চক্রগুলো আর্থিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে।

ঋষি সুনাক প্রশাসন চাচ্ছে, অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় স্থানান্তর করতে। তবে এক্ষেত্রে আইনি বাধার মুখে পড়েছে তারা।

এদিকে বিতর্কিত নতুন আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেও এটি এখন থেকেই কার্যকর শুরু হবে না। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ধীরে ধীরে আইনটি প্রয়োগ করা শুরু হবে। কারণ এটি এখনই কার্যকর করার মতো প্রস্তুতি বা সক্ষমতা সরকারের নেই।

সূত্র: বিবিসি


আরও খবর



পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার দুপুরে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রু হলে শপথ নেন তিনি।

এর মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন ৭১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা সম্মিলিতভাবে সকল বাধা অতিক্রম করব, আমাদের সকল পরিকল্পনা সফল করব এবং জয়ী হবো।

সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির সাবেক এজেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ১৯৯৬ সালে। পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।


আরও খবর



জাপানে চালু হলো সিক্স-জি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের অনেক দেশই যখন ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের স্বপ্ন দেখছে সেখানে জাপানের প্রযুক্তিবিদরা চালু করে ফেলল সিক্স-জি নেটওয়ার্ক। যার গতি ফাইভ-জির চেয়ে ২০ গুণ বেশি।

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের প্রথম সিক্স-জি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে জাপান। নতুন এ প্রটোটাইপ ডিভাইসটি তৈরি হয়েছে ডোকমো, এনটিটি করপোরেশন, এনইসি করপোরেশন এবং ফুজিটসুসহ দেশটির টেলিকম কোম্পানির যৌথ প্রচেষ্টায়।

গত মাসে নতুন ডিভাইসটির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে দাবি করা হয়, তাদের সিক্স-জি প্রোটোটাইপটি ফাইভ জির চেয়েও ২০ গুণ বেশি দ্রুত গতিসম্পন্ন। প্রোটোটাইপটি ১০০ হার্জ ব্যান্ড ব্যবহার করে ১০০ জিবিপিএস গতি অর্জন করতে পারে। আর বাইরে একই গতি অর্জন করতে এটি ব্যবহার করে ৩০০ হার্জ ব্যান্ড।

বর্তমান বিশ্বে মোবাইল নেটওয়ার্কিংয়ে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি বলে বিবেচিত ৫জি। এর তাত্ত্বিক গতি সর্বোচ্চ ১০ জিবিপিএস। তবে দেশভেদে ৫জি নেটওয়ার্কের গতি ভিন্ন ভিন্ন।

জাপান ছাড়াও সিক্স-জি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, সিক্স-জির আগমনের সঙ্গে মানুষ রিয়েল-টাইম হলোগ্রাফিক যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। ভার্চুয়াল এবং মিশ্র বাস্তবতার জগতেও মানুষ নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানের নতুন প্রোটোটাইপটি ৩২৮ ফুট এলাকায় পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় যে ফল এসেছে, তা অবশ্যই প্রেরণাদায়ক। তবে, একে এখনই চূড়ান্ত সাফল্যের মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না বলে মত প্রযুক্তিবিদদের।

তাদের মতে, নতুন সিক্স-জি শুধুমাত্র একটি ডিভাইসে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার রয়ে গেছে এখনও। তাছাড়া নতুন এ প্রযুক্তি কার্যকর করতে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারগুলোকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং সিক্স-জি ইনবিল্ট অ্যান্টেনাসহ নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনতে হবে।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




মাভাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ এসোসিয়েশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদ উদ্যোগে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তায় হেল্পডেস্ক ও  তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন বিতরণ করা হ‌য়ে‌ছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল ) সকাল থে‌কে  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যয় একাত্তরের সামনে  ক‌্যাম্প স্থাপন ক‌রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থীদের এই সেবা প্রদান করেন মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের শিক্ষার্থীরা।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন আর সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন নেতৃ‌ত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয় একাত্তরের  সামনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করা  এবং তথ্য সহায়তা ও সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সাংগঠিন সম্পাদক  শাহ্- পরান শুভ  বলেন,

প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার সময় নারায়নগঞ্জ -মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ  (মাভাবিপ্রবি) সর্বাত্মক চেষ্টা করে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের হেল্প করার।তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এবার ভিন্ন কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করছি।

তীব্র গরমে দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করানোর মতো মহৎ কাজ আর কি হতে পারে!

 তাই এডমিশন যুদ্ধে ছুটে আসা শিক্ষার্থী,গার্ডিয়ান সেই সাথে  মহান পেশায় জড়িত রিক্সা চালক মামা, কর্তব্যরত পুলিশ, বিএনসিসি মেম্বার, আনসার ও সেচ্ছাসেবী  সবাইকে পানীয় বিতরণ করেছি।আলহামদুলিল্লাহ আমরা আল্লাহর রহমতে ১৬০০+ গ্লাস শরবত, পানি ও স্যালাইন এর আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি।

 এ ছাড়াও এই এরপাশাশি  আমরা হেল্প ডেস্ক ও ছাউনী ব্যবস্থা করতে পেরেছি।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন শুরু হবে ২৬ মে থেকে। আবেদন করা যাবে ১১ জুন পর্যন্ত।

আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।


শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একই দিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে।

দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে। যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত শিডিউলে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল ১২ জুলাই প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে।

সব ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্টের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা পাবনায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে একই সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন সারা দেশেই একই অবস্থা দিনের বেলায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাসম্ভব ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রোক ছাড়াও নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে অবস্থায় বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী মহিলা, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সঙ্গে জড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার তাপ সতর্কতার মধ্যে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিএমডির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের মধ্যে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে এমতাবস্থায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে 

তাপপ্রবাহের এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘর থেকে বের না হতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। যশোরের বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষ। যশোরের রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে গতকাল। অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। শহরের রিকশাচালকরা বলছেন, রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। আয় রোজগার কমে গেছে। এতে সংসার খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আয় হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা শহরের হকার-ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে কম, তাই বেচা-বিক্রি বেশি একটা হচ্ছে না। এখানে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩৫ রোগী। যার মধ্যে ১৫ জনই শিশু রোগী।

এদিকে লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এদিকে পানির স্তরও নেমে গেছে, টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। যশোরের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত ১৩ দিন ধরে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। কৃষিজমির স্যালোমেশিনের পানি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন তারা। কোথাও কোথাও স্যালোমেশিনেও কম পানি উঠছে। ছয় লিটার তেল ব্যয় করেও সাড়ে তিন বিঘা ধানের আবাদি জমি ভেজানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। যেসব গ্রামে গভীর নলকূপ (ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল) রয়েছে সেখানে পানি নেয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।  

চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ। অবস্থায় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের। জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। জাকির হোসেনের বাবা আমির হোসেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমির হোসেন বলেন, ‘তীব্র গরমে মাঠের ধান মরার মতো অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে মাঠে যায় জাকির। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে স্ট্রোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পরই মারা যান একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৬০) কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জেলায়। শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৪১., বৃহস্পতিবার ৪০., বুধবার ৪০. মঙ্গলবার ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তা ছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, টানা তাপপ্রবাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানবশূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। অন্যদিকে, তীব্র গরম থেকে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে ঠাণ্ডা পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে

চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা জেলাও। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলার ঈশ্বরদীতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন গতকাল জেলা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েক দিন ধরে পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোক করে মারা যান সুকুমার দাস নামে একব্যক্তি। তিনি শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারিনি


আরও খবর