Logo
শিরোনাম

অনিয়মিত মাসিক কেন ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময় যদি বার বার পরিবর্তন হতে থাকে, তাহলে তাকে অনিয়মিত মাসিক বলে । অনিয়ম দুইভাবে হতে পারে-ঘন ঘন,নয়তো দেরিতে দেরিতে।


মাসিকের চক্র কিভাবে হিসাব করতে হয় ?

এক মাসিকের প্রথম দিন থেকে আর এক মাসিকের প্রথম দিন পর্যন্ত যে সময় সেটাই হলো এক মাসিক চক্র। সাধারণত ২৮ দিন পরপর মাসিক হয়। যদিও ২১ থেকে ৩৫ দিন অন্তর পর্যন্ত স্বাভাবিকতার তারতম্য হতে পারে। একবার মাসিক হলে সাধারণত ২-৮ দিন থাকে এবং এক মাসিকে মোট ৫-৮০ মিলি পর্যন্ত রক্ত যেতে পারে। এই তিনটার যেকোনো একটার অনিয়ম মানেই অনিয়মিত মাসিক।

কেন হয় ?

বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়। যেমন:

১) সাবালিকা হওয়ার প্রথম ১-২ বছর ডিম্বাশয়ের অপরিপক্বতার জন্য।
২) মেনোপজ হওয়ার আগের ৪-৫ বছর হরমোনের তারতম্যের জন্য।
৩) কিছু কিছু পিল খাওয়ার সময় বা কপার-টি দেওয়া অবস্থায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য।
৪) বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় হরমোনের তারতম্যের জন্য।
৫) খুব বেশি ব্যায়াম করলে।
৬) অতিরিক্ত টেনশনে থাকলে।
৭) হঠাৎ খুব ওজন বেড়ে বা কমে গেলে।
৮) হরমোনজনিত রোগ পিসিওএস হলে।
৯) থাইরয়েড রোগীদের।
১০) স্ত্রী রোগ যেমন-জরায়ুর পলিপ, ফাইব্রয়েড টিউমার, জরায়ুর প্রদাহ ও এন্ডোমেট্রোসিস রোগ হলে।

 কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন ?

কয়েকদিন মাসিক এদিক ওদিক হলেই ডাক্তারের কাছে দৌড়ানোর দরকার নেই। অথবা সাবালিকা হওয়ার কয়েকবছর মাসিক দেরিতে দেরিতে হলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার নেই।

নীচের সমস্যাগুলো থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সমস্যাগুলো হলো:

১) হঠাৎ করে যদি মাসিকের চক্র পরিবর্তন হয় এবং রোগীর বয়স ৪৫ এর কম হয়।
২) ২১ দিনের চেয়ে কম সময়ে বা ৩৫ দিনের চেয়ে বেশি সময়ে মাসিক হলে।
৩) মাসিক ৭ দিনের চেয়ে বেশি থাকলে বা ৩ দিনের চেয়ে কম হলে।
৪) সর্বনিম্ন মাসিক ও সর্বোচ্চ মাসিক হওয়ার দিনের মাঝে ২০ দিনের অধিক তফাৎ থাকলে।
৫)অনিয়মিত মাসিক, কিন্তু বাচ্চা নিতে চান।

কেন মাসিক নিয়মিত হওয়া জরুরি ?

অনিয়মিত মাসিক এর সাথে অনেক দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা জড়িত বলেই মাসিক নিয়মিত হওয়া জরুরি। মেয়েদের পরিপাক, ঘুম, বাচ্চা হওয়া সবই এর সাথে সম্পর্কিত।

ডাক্তার কি করবেন ?

অনিয়মিত মাসিকের রোগীদের গত ৬ মাসের মাসিকের ক্যালেন্ডার রাখতে বলা হয়। কি ধরনের মাসিকের সমস্যা তা ক্যালেন্ডার দেখলে বোঝা যায়। এছাড়া ডাক্তার রোগীর হিস্ট্রি, শারীরিক পরীক্ষা , কিছু রক্তপরীক্ষাসহ আলট্রাসাউন্ড করে জরায়ু ও তার আশপাশে কোন সমস্যা আছে কিনা তা নির্ণয় করবেন।


কিশোরীর অনিয়মিত মাসিক

কিশোরীদের অনিয়মিত মাসিকের কারণগুলো হলো :

১) ডিম্বাশয়ের অপরিপক্বতা, যার কারণে মেয়েলি হরমোন ইসট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের তারতম্য হয় এবং মাসিক যে পর্দা থেকে হয় সে পর্দা নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা এবং ভাঙতে শুরু করে। (পরিপক্ব ডিম্বাশয় হলো সেটা যেটা থেকে প্রতি মাসে একটা করে ডিম্বাণু ফুটে বের হয়। কিশোরীর ডিম্বাশয় পরিণত হতে সাধারণত কয়েক বছর সময় লেগে যায়। এজন্য এ কয় বছর মেয়েদের মাসিক অনিয়মিত হয়, ওজন পরিবর্তন হয় ও মানসিক পরিবর্তন হয়।)
২) পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম, যেখানে অনিয়মিত মাসিকের সাথে হাতে-পায়ে ও মুখে অবাঞ্ছিত লোম হয় এবং ঘাড়ে ও গলায় কালো দাগ পড়ে যায়। ওজন বেড়ে যায়।
৩) এছাড়া যেসব কিশোরীর থাইরয়েডের সমস্যা আছে।

যে সব কিশোরীর মাসিক অনিয়মিত তাদের চিন্তা থাকে কখন মাসিক হবে, কখন মাসিক হবে। তাদের মাসিক কখন হবে বোঝার জন্য কিছু লক্ষণ আছে।

সেগুলো হলো:

১) কোমরের পেছনে ক্রাম্পিং পেইন।
২) ব্রেস্ট ভার ভার লাগা।
৩) মাথা ব্যথা।
৪) ব্রণ।
৫) ঘুমের সমস্যা।
৬) মেজাজ পরিবর্তন।
৭) পেট ফাঁপা।
৮) নরম পায়খানা।

কিশোরীরা কিভাবে তৈরি থাকবে মাসিকের জন্য ?

যেসব কিশোরীর অনিয়মিত মাসিক থাকে তাদেরকে যেন অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে না হয় সেজন্য নিজেকে তৈরি থাকতে হবে। একটা প্যাড এবং অতিরিক্ত একটা প্যান্টি সবসময় তাদের স্কুল ব্যাগে রাখতে পারে, যাতে হঠাৎ মাসিক হলে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে না হয়।

চিকিৎসা

১) জীবনযাত্রা পরিবর্তন, যোগ ব্যায়াম, ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন।
২) প্রজেস্টোরন ট্যাবলেট বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি।
৩) থাইরয়েড সমস্যার জন্য ওষুধ, যদি দরকার হয়।

অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে বাচ্চা নিতে চান?

অনিয়মিত মাসিক অবস্থায় বাচ্চা আসা কঠিন। কেননা অনিয়মিত মাসিক মানে তার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু ফুটছে না। ডিম না ফুটলে বাচ্চা হবে কোত্থেকে। তাই বাচ্চা নিতে হলে ওষুধ দিয়ে মাসিক নিয়মিত করতে হবে। তাতেও যদি বাচ্চা না আসে তবে ডিমফোটার ওষুধ দিতে হবে।

বাচ্চা নেওয়ার বয়সে অনিয়মিত মাসিক

সাধারণত বিভিন্ন স্ত্রী রোগের কারণেই বেশি হয় এ সমস্যা। তাই প্রথমে কোন স্ত্রী রোগ আছে কিনা তা আলট্রাসাউন্ড করে দেখতে হবে। যদি কোন সমস্যা থাকে, সে সমস্যার সমাধানে ওষুধে কাজ না হলে প্রয়োজনে অপারেশনও লাগতে পারে। যদি কোন স্ত্রী রোগ না থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে হরমোনজনিত সমস্যা, যা হরমোন বা পিল দিয়ে ঠিক করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে-যেকোনো অনিয়মিত মাসিকের ফলে রক্তশূন্যতা হতে পারে। তাই রক্তের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করে কম থাকলে আয়রন দিতে হবে। থাইরয়েড সমস্যা থাকলে এর ওষুধ নিয়মিত সকাল বেলা খেতে হবে (কেননা এটা সারা জীবনের রোগ)।

এছাড়া পিসিওএস-যেটা খুব কমন একটা সমস্যা, এটাও সারাজীবনের রোগ। এদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন না করলে, ওজন না কমালে, নিয়মিত ব্যায়াম না করলে নানা জটিল রোগ হতে পারে। এসব রোগীদের সাধারণত দেরিতে দেরিতে মাসিক হয়। সুস্থ থাকার জন্য বছরে কমপক্ষে চারবার মাসিক হওয়া উচিত। তাই কমপক্ষে তিন মাস অন্তর অন্তর মাসিক হওয়া জরুরি। প্রাকৃতিক নিয়মে না হলে, ওষুধ দিয়ে মাসিক করাতে হবে তিন মাস পরপর।

যাদের ঘন ঘন মাসিক হয় তাদের ক্ষেত্রে হরমোন বা পিল ২১ দিন করে কমপক্ষে তিন চক্র দিয়ে মাসিক নিয়মিত করাতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে আরও দীর্ঘদিন ওষুধ লাগতে পারে।

মেনোপজের আগে অনিয়মিত মাসিক

যদি কোন স্ত্রীরোগের কারণে অনিয়মিত না হয় তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নাই। দেরিতে দেরিতে হলে কোন চিকিৎসার দরকার নেই। তবে ঘন ঘন হলে বা একবার হয়ে বেশিদিন থাকলে হরমোন বা পিল কমপক্ষে তিনমাস খেয়ে মাসিক ঠিক করাতে হবে। তবে এতেও যদি সমাধান না হয় তাহলে জরায়ুর সবচেয়ে ভেতরের লেয়ার থেকে মাংস নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোন সমস্যা আছে কিনা। সমস্যা থাকলে সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

যে বয়সেই অনিয়মিত মাসিক হোক না কেন, এটা মেয়েদের জন্য বিশাল দুশ্চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার সময় থেকে মাসিক উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রজননতন্ত্রের সুস্থতার মূল লক্ষণ হলো নিয়মিত মাসিক। এর ব্যত্যয় হলে অবশ্যই গাইনি রোগের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে যাচাই করতে হবে কোন রোগ আছে কিনা। কেননা সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে অনেক জটিল সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

সূত্র: অধ্যাপক ডাঃ মুনিরা ফেরদৌসী, প্রসূতি, স্ত্রীরোগ, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ও সার্জন   শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

 


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




গরম নিয়ে দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কয়েক দিনের টানা গরমের দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন অধিকাংশ জায়গায় আবহাওয়া শীতল থাকার পর ফের উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের। কয়েক জেলায় তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারেও ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ দুঃসংবাদ জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এ সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সোমবার (৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ সময় সারা দেশেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া বুধবার (১০ এপ্রিল) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে। এরপর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।ঐ দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



ইউক্রেনের একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পূর্ব ইউক্রেনে আরও অগ্রসরের দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ইউক্রেনের দাবি, তারা রাশিয়ার অগ্রগতি থামিয়েছে।

রাশিয়ার দাবি, পূর্ব ইউক্রেনের গ্রাম নোভোমিমিকাইলিভকা তারা দখল করে নিয়েছে এবং তা তাদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের মধ্যে নিয়ে এসেছে। খবর রয়টার্সের

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছে, তারা একটি গ্রামকে মুক্ত করেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরো ভালো করেছে।

ইউক্রেনের সেনা কর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়া দোনেৎস্কে ২৩ বার তাদের প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে এগোবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। ইউক্রেনের হাতে এখন অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কমে এসেছে। তাই তারা রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে মাত্র।

গত সপ্তাহান্তে মার্কিন পার্লামেন্টে ইউক্রেনকে ছয় হাজার একশ কোটি ডলার সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সাহায্য ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক দ্য স্টাডি অৎ ওয়ার জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনা এখন তাদের আক্রমণ আরও তীব্র করবে। তারা মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করবে। ইউক্রেনের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র না থাকার সুবিধা তারা নেয়ার চেষ্টা করবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া এই বড় ধরনের আঘাত হানার চেষ্টা করতে পারে।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান সোমবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী সপ্তাহগুলিতে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি মনে করছি, সামনে কঠিন সময় আসছে। তবে অনেকে বলছেন, বিপর্যয় হবে, আমি বলছি, সেরকম কিছু হবে না।'

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে বিমান হামলা করেছে রাশিয়া। সেই হামলায় খারকিভের টিভি সম্প্রচার পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আক্রমণের ফলে ডিজিটাল টিভি সিগন্যাল ব্যাহত হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার আক্রমণের সময় অ্যালার্ম বেজেছিল। তখন কর্মীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ফলে কেউ হতাহত হননি।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় টিভি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টাওয়ারের উপরের অংশ ভেঙে পড়েছে এবং সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেয়া হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে বাইডেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ও বাইডেন রাশিয়ার কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন। রাশিয়া যেভাবে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সাহায্যে আক্রমণ তীব্র করেছে তা নিয়ে কথা হয়েছে। খারকিভে টিভি টাওয়ারে রাশিয়ার হামলার প্রসঙ্গও তাদের আলোচনায় এসেছে।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

আমিরুল হায়দারের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।

রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ঈদের চাল বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বিশেষ ভিজিএফ চাল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। 

রবিবার সকাল থেকে এ সব চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইফুল ইসলাম। ইউপি সচিব মো. সালাহউদ্দিন, ট্যাগ অফিসার মো.রিয়াজুল ইসলাম।

১৭৯৩ জন নারী পুরুষ সুবিধাভোগীরা নিচ্ছেন ১০ কেজি করে চাল।

এ চাল বিতরণকালে অন্যনোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুর রহিম মৃধা, আবু বকর ফরাজী, মো. কাওসার হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পারভীন বেগম।

চাল বিতরণকালে সকল সুবিধাভোগীদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য,  জন্য দোয়া চেয়েছেন।


আরও খবর



পার্বত্য চট্টগ্রামের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙিন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।


আরও খবর