Logo
শিরোনাম

ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওয়ালটন প্লাজার ছয় শতাধিক ম্যানেজার অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখায় ১৪৪ জন সেলস এক্সিকিউটিভস ও প্লাজাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। 

‘জয় প্লাজার জয়, ওয়ালটন প্লাজার জয়’ গানকে সামনে রেখে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে দিনব্যাপী ‘প্লাজা উৎসব-২০২৩’ এর আয়োজন করে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য বিক্রয় এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন প্লাজা’। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটনের পরিচালক ও প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, সাবিহা জেরিন অরণা, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি। 

এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। 

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেকের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন। এর পেছনে বিশেষ অবদান রেখেছে ওয়ালটন প্লাজা। সফলতার এই ধারাবাহিকতা ওয়ালটন প্লাজা বজায় রাখবে বলে তার প্রত্যাশা।

 ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ওয়ালটনের শক্তিশালী সেলস প্লাটফর্ম হচ্ছে প্লাজা। তারা ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় ও মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সবচেয়ে বড় শক্তির উৎস।  

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার বিক্রয় প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪৪ জন ম্যানেজার ও প্লাজার হাতে পুরস্কার, পদোন্নতিপত্র এবং সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ওয়ালটনের পরিচালক এবং প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম।  

পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের নাম্বার ওয়ান ও সর্ববৃহৎ সেলস নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। এটা নিঃসন্দেহে আপনাদের জন্য এক বড় অর্জন। ওয়ালটন প্লাজার প্রতি ক্রেতাদের আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা বজায় রাখাই আপনাদের এখন মূল দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কৌশলগত বিক্রয় পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন তিনি। 

ওয়ালটন ডিজি-টেকের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম জানান, ওয়ালটন প্লাজার ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। সেলস, কালেকশন আর বেনিফিট এই তিনটির সমন্বয়ে দারুণভাবে পুরো ওয়ালটন গ্রুপকে এগিয়ে নিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার চলমান বিক্রয় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সেলস এক্সিকিউটিভসদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন সিইও মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, দেশের ১ নাম্বার সেলস নেটওয়ার্ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার মাধ্যমে আমরা দেশ জয় করতে সক্ষম হয়েছি। স্বপ্ন এখন বিশ্ব জয়ের। ওয়ালটন প্লাজা নিয়ে আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন রয়েছে। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবো আমরা। 

সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা অনিশ্চিত

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ০২ অক্টোবর তার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ যেতে হলে খালেদা জিয়াকে জেলে গিয়ে আবার আদালতে আবেদন করতে হবে। কিন্তু বিদেশে পাঠানোর অনুমতির জন্য আদালতে যেতে রাজি নয় খালেদা জিয়ার পরিবার ও বিএনপি। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের দাবি, সরকার চাইলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে পারে।

এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়ার কথা বলা হলেও খালেদা জিয়ার আবেদন বাতিল হওয়ার পেছনে অন্য কারণের কথা বলছে বিএনপি। দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের শর্ত না মানায় খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথাবার্তা বলে তার পরিবার আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। তাদের ধারণা ছিল, শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে এবার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। সরকারের তরফ থেকেও ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছিল, খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য করা পরিবারের আবেদন ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আবেদন নাকচ করে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদেশে যেতে হলে খালেদা জিয়াকে জেলে গিয়ে আবার আদালতে আবেদন করতে হবে।

রবিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এর আগে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মতামত দিয়েছেন, তা-ই আইনের অবস্থান এবং সেটিই সঠিক।

পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত আইনি ব্যাখ্যা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম যে আবেদনটি ছিল, যা ২০২০ সালের মার্চে নিষ্পত্তি হয়। সেই আবেদনে বলা ছিল, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা যেন করা হয়। তখন দুটি শর্তে তার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর উপধারা-১-এর ক্ষমতাবলে দেওয়া হয়েছিল। শর্তগুলো হলো প্রথমত, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। দ্বিতীয়ত, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। সেই শর্তগুলো মেনে খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং বাসায় ফিরে যান। সেভাবেই সেই দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়। তবে প্রতি ছয় মাস বৃদ্ধি করা যাবে কি না, বিষয়টি উন্মুক্ত ছিল। এরপর সেই সময়সীমা ছয় মাস করে মোট আটবার বাড়ানো হয়েছে।

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যেতে আইনে কেন সুযোগ নেই, সেই ব্যাখ্যা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার অবকাশ আইনে থাকে না। আমরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর উপধারা ১, , , , ৫ এবং সর্বশেষ উপধারা ৬ ব্যাখ্যা করে মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেই মতামত হচ্ছে, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটি অতীত ও শেষ হয়ে গেছে। এটি আর খোলার কোনো উপায় নেই।

এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে বিদেশে পাঠাতে চাইলে তাদের করণীয় সম্পর্কে জানতে জান একজন সাংবাদিক। জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তাকে ফৌজদারি ৪০১ ধারায় দুটি শর্তযুক্তভাবে যে আদেশবলে সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটি বাতিল করে তারপর আবার ফের বিবেচনা করার সুযোগ থাকলে তা করা হবে।

এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে তাকে আদালতে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি অনুমতি দেন, তাহলে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপমহাদেশে ৪০১ ধারার ক্ষমতা যখন সরকার প্রয়োগ করে, তখন সেটিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না বলে সিদ্ধান্ত আছে। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেটি হচ্ছে এখন যে আদেশ আছে, যদি সেটি বাতিল করে তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়, তাহলে আদালতে যেতে পারেন। এ অবস্থায় তিনি আদালতে যেতে পারেন বলে এ রকম সুযোগ নেই।

এরপর একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তাহলে সেই আদেশ বাতিল করা হবে কি না? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বাতিল করাটা অমানবিক হবে, বাতিল করব না।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বাতিল হওয়ার পর গতকাল রাতে কিশোরগঞ্জে বিএনপির রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশে দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দাবি করেন, খালেদা জিয়াকে শর্ত দেওয়া হয়েছিলতিনি যদি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান, তাহলে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসতে হবে। বিএনপি থেকে উত্তর দেওয়ার আগেই অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তার জীবনে গণতন্ত্রের জন্য কোনো শর্ত নেই। ভোটের অধিকারের জন্য, এই দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য কোনো শর্ত নেই। কোনো শর্ত খালেদা জিয়ার নামের সঙ্গে যায় না এবং আমরাও তা মানি না।

এদিকে চিকিৎসার জন্য অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দেওয়ার সরকারি এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ বলে মনে করছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে করা আবেদন আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে, দেশে আইনের শাসন নেই। এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার প্রতি এক ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকার চাইলেই নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিতে পারত এবং বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে পারত।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে পরিবারের করা আবেদন নাকচ হওয়ায় একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে এই ইস্যুকে জোরালোভাবে সম্পৃক্ত করবে বিএনপি। একদফা দাবি আদায়ে জোটগত কর্মসূচির পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে দলীয়ভাবে কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। আজ সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে সরকার নতুন করে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাতে দেখা যায়, আন্দোলনের মাধ্যমে সুরাহার পথ বের করতে হবে।

তিনি বলেন, এর আগে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় আ স ম আবদুর রব এবং প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন কেন পাবেন না? খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার যা করছে তাতে মনে হয়, তাদের কাছে আইন ও বিধিবিধান কিছুই নয়। সরকার পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নেত্রীর যদি কিছু হয়, তাহলে এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বোনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আবেদন মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

লিভার জটিলতা ছাড়াও ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ফুসফুস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৩ দিন ধরে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উনার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। সেজন্য তাকে দ্রুত বিদেশে উন্নত মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো দরকার।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে সরকার তাকে শর্তসাপেক্ষে কারামুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনে ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর এই মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ধামরাইয়ে কারখানার ভিতর থেকে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে করিম টেক্সটাইল মিল লিমিটেড কারখানার ভিতর থেকে অনিক(১৯) নামে এক শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক ( এস আই) শিমুল বিশ্বাস।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়। অনিক করিম টেক্সটাইল কারখানায় রিং অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল।

অনিক নেত্রকোনা জেলার কুমারপাড়া গ্রামের মো: সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে গত দুই মাস ধরে চাকরিতে যোগদান করেন।

জানা যায়, অনিক কারখানার ভিতর ডর্মেটরিতে থাকেন।গতকাল সোমবার দিনগত রাতে অনিককে ডর্মেটরিতে না পেয়ে তার সাথে থাকা সহকর্মীরা রাতে অনেক খোজাখুজি করে। পরে সকালে কারখানার ভিতর ডর্মেটরির পিছনে মেশিনের সাথে অনিকের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি পুলিশকে জানালে আজ মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল প্রায় ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অনিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। প্রেম বা পারিবারিক কারণে এই আত্মহত্যা সংঘঠিত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

করিম টেক্সটাইল লি: কারখানার এইচ আর এডমিন অলি চৌধুরী বলেন, আমি অফিসে আসার সময় জানতে পারলাম অনিক নামে এক শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। আমি কারখানায় এসে পুলিশকে খবর দেয়ার পর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক শিমুল বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

অবশেষে ১০০০ কোটির মাইলফলকে পৌঁছল শাহরুখ খান অভিনীত জওয়ান সিনেমা। আর এ রেকর্ড গড়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের সেরা ইতিহাস গড়লেন বলিউড বাদশাহ।

রোমান্টিক অ্যাকশন সিনেমা জওয়ান গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়ার পর দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলে। সেই ঝড় এখনো থামেনি। ভাঙছে পুরোনো সব রেকর্ড। রেকর্ড ভাঙার দৌঁড়ে মাত্র কয়েক দিন আগেই নিজের অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন শাহরুখ। রাজকীয় কায়দায় আবারও নিজের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কিং খান।

মুক্তির মাত্র ১৭ দিনেই ভারতীয় বাজারে পাঠান সিনেমাকে হারিয়ে দিয়ে শীর্ষের তালিকায় এগিয়ে যায় জওয়ান সিনেমা। ওই রেকর্ড ভাঙার পর আবারও নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙার দৌঁড়ে সাফল্য পেয়েছেন অভিনেতা। বক্স অফিসের রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি জওয়ান সিনেমা ১০০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, মুক্তির মাত্র ১৮ দিনেই দর্শকদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলতে পারায় পাঠান সিনেমার আরেকটি রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে জওয়ান সিনেমাটি।

সমীক্ষা বলছে, পাঠান সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ২৭ দিনে হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছিল। অন্যদিকে জওয়ান সিনেমা তা মাত্র ১৮ দিনেই করে দেখিয়েছে। ১৮ দিন শেষে সিনেমাটির কালেকশন ১ হাজার ৪ কোটি রুপি। তাই সবচেয়ে কম সময়ে ১ হাজার কোটি কালেকশন করা হিন্দি সিনেমার তালিকায় এখন শীর্ষে অবস্থান করছে জওয়ান


আরও খবর

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন অধ্যায়ে পরীর প্রথম নায়ক কে?

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রাজধানীতে ঘণ্টায় ২৩ মিনিট নষ্ট হয় যানজটে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকায় প্রতি ঘণ্টার যাত্রাপথে ২৩ মিনিটই নষ্ট হয় যানজটে এর ফলে নষ্ট হয় কর্মঘণ্টা শ্রমের মান বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতার কারণে বছরে গড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয় ঢাকার বাসিন্দাদের

রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে রিডিউসিং পলিউশন ফর গ্রিনিং সিটিস শীর্ষক আলোচনা সভায় তথ্য জানায়- সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)

ঢাকার সিটি করপোরেশন এলাকার ৫০০ জনের ওপর জরিপ করে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সিপিডি। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- সিপিডির রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-সিপিডির নির্বাহী পরিচালক . ফাহমিদ খাতুন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেলসহ দেশি বিদেশি পরিবেশবিদরা উপস্থিত ছিলেন

সিপিডি আরো জানায়, জরিপে অংশগ্রহণ করা ৭৬ শতাংশ মানুষই মনে করে গত - বছরের বায়ুদূষণের পরিমাণ আরো বেড়েছে। আর ৭৩ শতাংশ মনে করছে এই সময়ে প্লাস্টিক দূষণ আগের তুলনায় বেড়েছে। ৪৩ শতাংশ পরিবার মনে করেন সরাসরি রাস্তায় প্লাস্টিক ফেলার কারণে দূষণ বাড়ছে

আলোচনা অনুষ্ঠানে সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি বায়ুদূষণ রোধে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি

তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে স্থায়ী চিমনি ইট ভাটা বন্ধ করতে একটি নীতিমালা করা উচিত। যেন পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সমস্ত স্থায়ী চিমনি ইট ভাঁটাগুলো বন্ধ করা যায়। একইসঙ্গে ইট উৎপাদন কম দূষণকারী প্রক্রিয়ায় স্থানান্তরিত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন: উন্নত জিগজ্যাগ ভাটা, হাইব্রিড হফম্যান ভাটা, এবং উল্লম্ব খাদ ইট ভাটা। আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা-ভিত্তিক পাওয়ারপ্ল্যান্টগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার সুপারিশও করেন তারা

সুপারিশে আরো বলা হয়, নতুন কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট অনুমোদন করা বন্ধ করতে হবে। ধীরে ধীরে সমস্ত বিদ্যমান কয়লাভিত্তিক পাওয়ারপ্ল্যান্টগুলোকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ফেজ আউট করার পদক্ষেপ নিতে হবে

এছাড়া, পরিবেশ সারচার্জ বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয় সিপিডির গবেষকরা। গবেষকরা জানান, অর্থ আইন পরিবেশ দূষণকারী শিল্প দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের ওপর শতাংশ সারচার্জ নির্ধারণ উচিত। যা পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যয় হবে। প্লাস্টিক দূষণের জন্য মূলনীতি সুপারিশ পলিথিন ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পাশাপাশি প্লাস্টিক পণ্যের রিসাইক্লিংয়ের ওপরে জোর দিতে হবে

পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, আইন করে এসব দূষণ বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য দরকার জনসচেতনতা। বিদ্যমান যেসব আইন আছে, তা আংশিক প্রয়োগ করলেও বাংলাদেশ সোনার বাংলা হয়ে উঠবে। অভ্যন্তরীণভাবে সভা-সেমিনার না করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতার উদ্যোগ নিতে হবে


আরও খবর

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




লালমনিরহাটের মেলা উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লালমনিরহাট সদরের কালেক্টরেট খেলার মাঠে স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি.র আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।  গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকেলে বাণিজ্য ও শিল্প মেলার উদ্বোধন করেন।  এসময় জেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কমিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এই মেলা ৯ মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মেলা বন্ধের দাবিতে লালমনিরহাটে একাধিক মানববন্ধন করে গোশালা বাজার ও গোশালা রোড  ব্যবসায়ীরা সহ খেলাপ্রমি মানুষজন। বিভিন্ন হাটে বাজারে খরচ করতে আসা একাধিক সাধারণ মানুষ জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু কিনতে পারছিনা,ভাত আছে তরকারির জন্য আলুর বলে বিকল্প নাই কিন্তু সেই আলু বাজারে ৪০-৬০ টাকা মূল্যে কিনতে হয়। অপরদিকে শত শত সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, মোটরসাইকেল প্রায় প্রতিদিন চুরি হওয়ায় অনেকের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেনা। তাই এমন সময় এই মেলার অনুমোদন না দিলেই পারতো। গত মেলার সময় থেকে এই মেলা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত সদর সহ জেলায় কমপক্ষে ৭/৮ টি মোটরসাইকেল ও শতাধিক বসতবাড়ি চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব ও মানবিকতার দরুন বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন চোরকে আটক ও গ্রেপ্তার করলেও বিজ্ঞ আদালত থেকে কেউ কেউ জামিনে বেরিয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।  চুরি হচ্ছে একের পর এক বাড়ী ও গাড়ি।

আবার অনেকে বলছেন,এই মেলা ৭ দিনের বেশি চললে চুরি আরও বাড়তে পারে। সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কিংবা সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে চরা দমে আলু বিক্রি বন্ধ না হলে এ জেলার সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষতিরমুখে পরতে পারে।  অপরদিকে এখানকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলা চলায় শহরের দোকানে বেচা বিক্রি কমে যাবে, কর্মচারি, দোকানভাড়া দিতে না পারলে কারও কারও দোকান মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরতে পারে। তবে এখনকার সাধারণ মানুষ,ক্ষুদ্র বয়বসায়ীরা মেলা বন্ধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


আরও খবর