Logo
শিরোনাম

ওয়েবমেট্রিক্স র‍্যঙ্কিং: ৭৭ ধাপ পেছালো ঢাবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্স র‌্যাংকিংয়ে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)। এতে তালিকায় ২ ধাপ এগিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে গত বছরের তুলনায় ৭৭ ধাপ পিছিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

দেশের ১৭০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রকাশিত তালিকায় এগিয়েছে বেরোবি। বৈশ্বিকভাবে এর অবস্থান ৩ হাজার ৮৩৫তম। গত বুধবার প্রকাশিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩১ হাজার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ের (২০২৪) প্রথম সংস্করণের (জানুয়ারি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ২০২৩ সালের দ্বিতীয় সংস্করণে (জুলাই) বেরোবির অবস্থান ছিল ৩৩তম।

ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশ সেরা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান ১ হাজার ১২৮তম। গত বছরে ঢাবির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৫১তম। গত বছরের তুলনায় ৭৭ ধাপ পিছিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে দেশের মধ্যে গত বছরের তুলনায় ২ ধাপ এগিয়ে গেলেও বৈশ্বিক অবস্থানে অনড় রয়েছে বেরোবি।

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক ও প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়। ২০০৪ সাল থেকে ওয়েবমেট্রিক্স নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ র‌্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তারা এটি প্রকাশ করে থাকে।

র‌্যাংকিংয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ বলেন, এটি খুবই ভালো খবর। নানা সংকট ও প্রতিকুলতা থাকা সত্বেও আমরা ভালো করছি। আমরা এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব, যাতে করে আমরা সামনে আরো ভালো করতে পারি। ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তা সবার সহযোগিতায় এভাবে এগিয়ে যাক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

মাদ্রিদ ভিত্তিক ওয়েবমেট্রিক্স র‌্যাংকিং সম্পর্কে জানা গেছে, এই র‌্যাংকিং তৈরিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করা হয়।


আরও খবর



ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টিতে ইফতারীর সময় ডাকাতির চেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাক্তার পট্টিতে (স্বর্ণকার পট্টি) দুর্ধর্ষ ডাকাতির চেষ্টা। রবিবার সন্ধ্যায় ইফতার চলাকালীন সময়ে বোমা বিস্ফোরণে ঝালকাঠি শহর কেঁপে উঠে। এৎসময় সাতটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর গ্লাসে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গ্লাস বেদ করে গুলি বের হয়ে যায় কিন্তু গুলিতে কেহ আহত হয় নি। বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা একটি মিনি পিকআপ করে শহরের সাধনা মোড় হয়ে ফায়ার সার্ভিস চাদকাঠি হয়ে ঝালকাঠি বরিশাল সড়কে উঠে ষাইট পাকিয়া হয়ে বরিশাল শহরের দিকে চলে যায়।  এ সময় ষাইট পাকিয়া ও জেলা পুলিশ লাইনের সামনে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এতে ২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ দিকে ১ জন পথচারী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেছে। ঝালকাঠি শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ দিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ডাকাতি চেষ্টা বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে এই ধরনের অরাজকতা ও অপকর্ম প্রতিরোধ করবে। এ দিকে জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোঃ শামীম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটি চক্র সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, সন্ধ্যায় ইফতারের জন্য সবাই যে যার মতো ব্যস্ত ছিল। সেই সুযোগে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা স্থানীয়দের সচেতনতার কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। আমরা সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে সনাক্ত করণের চেষ্টা করছি।


আরও খবর



বগুড়া এ্যাসোসিয়েশন অফ

এমবিএসটিইউ স্টুডেন্টস এর উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বগুড়া এ্যাসোসিয়েশন অফ এমবিএসটিইউ স্টুডেন্টস উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও পথশিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম গেট সংলগ্ন থেকে শুরু করে টাঙ্গাইলের শহরে বিভিন্ন এলাকায় ইফতার বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের নিজ অর্থায়নে নিজের সাধ্যমতো এমন মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

সংগঠনটির সভাপতি রাবিউল হাসান তানভী বলেন "আমরা নিজের দায়িত্ববোধ থেকে চেষ্টা করছি দরিদ্র-অনাহারি মানুষদেরকে একবেলা ইফতারের আয়োজন করার।এভাবেই সকলকে এমন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রইল সকলের প্রতি। 

উক্ত সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হাসিবুল হাসান বলেন "বগুড়া এ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ছিন্নমূল পথশিশু ও অসহায় গরীব মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছি। আমরা নিজ সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি অসহায় দুস্তমানুষের সাথে পবিত্র মাহে রমজানের উৎফুল্লতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার। আমরা মনে করি আমাদের চারপাশে যেসকল দরিদ্র অসহায় মানুষ রয়েছে তাদের পাশে দাড়িয়ে মানবতার হাতকে সামনে অগ্রসর করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেকারণে আজ আমাদের এই ক্ষুদ্রপ্রচেষ্টা। বগুড়া  এ্যাসোসিয়েশন সবসময় মানবতার কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ আমরা আগামীতেও নিজেদের সাধ্যমতো মানবিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করে যাবো।আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২০২৫-২৬ মেয়াদে প্রায় ১শ’ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।জেনেভায় অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে জয়েন্ট রেসপন্স প্যান (জেআরপি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘ জানায়, ১০০টির বেশি অংশীদারের সঙ্গে প্রস্তুত করা এ প্ল্যানে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়সহ ১৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এদিকে এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার সকালে জেআরপি প্রকাশনা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

২০১৭ সাল থেকে এক বছরমেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদের জন্য জেআরপির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন (প্রায় ৯৪ কোটি) ডলার সহায়তার প্রস্তাব শুধু ২০২৫ সালের জন্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অষ্টম বছরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনার বাইরে। যদিও তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন এখনো রয়ে গেছে।

এতে জোর দিয়ে বলা হয়, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি বা তহবিলের ঘাটতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক তৃতীয়াংশের বয়স ১০-২৪ বছর। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, পর্যাপ্ত দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার সুযোগ না পেলে তাদের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাপূর্ণ।

যতক্ষণ না মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হয় এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুকূল না হয়, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী জরুরি সহায়তা তহবিল অব্যাহত রাখতে হবে, বলা হয় বিবৃতিতে।

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর উপকারভোগীরা কারা

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।

পরোক্ষভাবে, জেআরপি অংশীদাররা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে থাকবে। ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মূলত দেশীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়, যেখানে সম্ভব হলে কক্সবাজার ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হয়।

এ ছাড়া, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো স্থানীয় অংশীদার নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়করণকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও আশপাশের উপজেলাগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। দিনটি নিয়ে গত ১৫টি বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও আজ নেই কোনো আয়োজন।

১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণের মধ‍্য দিয়ে তিনি পরবর্তী দিক নির্দেশনা দেন। এদিন লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।

এই ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধের প্রতীক হয়ে ওঠে সেসময়। হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল। এটি বাঙালির রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি যুদ্ধকালে বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করেছে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত সাহস যুগিয়েছে।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের এই ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। প্রতি বছর ৭ মার্চে এই ভাষণটি সারাদেশে মাইকে বাজানোর ব্যবস্থা করতো আওয়ামী লীগ। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় কোথাও নেই আওয়ামী লীগ। ফলে নেই তাদের কোনো আয়োজনও।


আরও খবর



ট্রাম্পের হুমকিকে তোয়াক্কা করছে না গাজার মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি দিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার জনগণকে হুমকি দিয়েছেন। গত বুধবার রাতে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যদি জিাম্মদের আটক রাখে, তবে গাজার সব বাসিন্দা মারা যাবে।

তবে ট্রাম্পের এ হুমকিকে কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না গাজাবাসী। তারা বলছেন- আমাদের হারানো আর কিছুই নেই। খবর আল-জাজিরার।

গাজার ৫৯ বছর বয়সি এক ব্যবসায়ী ইয়াসির আল-শারাফা আল জাজিরাকে বলেন, আমি এসব হুমকিকে আর ভয় পাই না। কারণ গাজার অনেক মানুষের মতো আমিও বিশ্বাস করি- আমার হারানোর কিছুই নেই।

তিনি বলেন, আগে পোশাক ব্যবসায়ী ছিলাম। আমার একটি বড় দোকান, ছয়তলা একটি ভবন, একটি গাড়ি এবং গাজা সিটির তেল আল-হাওয়ায় স্টক রাখার জন্য গুদাম ছিল।

বছরের পর বছরের কঠোর পরিশ্রম এসব করেছিলাম। এখন সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, যুদ্ধ সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। যেদিকেই তাকাই, কেবল ধ্বংস, ধ্বংসাবশেষ আর দুর্দশা। আমাদের শোক করার মতো আর কিছু বাকি আছে কি? আমি এখন শিশুদের জন্য ক্যান্ডি ও স্ন্যাকস বিক্রি করি।

যুদ্ধের সময় দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর, আল-শারাফা ও তার পরিবার যুদ্ধবিরতি শুরু হলে উত্তরে ফিরে আসেন, কিন্তু সেখানে এসে দেখেন এক বিধ্বস্ত এলাকা, যেখানে জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব।

তিনি বলেন, যদি আমরা জিম্মিদের হস্তান্তর করি, তবুও কিছুই বদলাবে না। তারা নতুন অজুহাত তৈরি করে যে কোনো সময় যুদ্ধ আবার শুরু করতে পারে। আমরা পুরো বিশ্ব থেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।

৬২ বছর বয়সি জামিলা মাহমুদ ট্রাম্পের কথাগুলো শোনেননি, তবে বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য এ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের হুমকিগুলো একটি মানসিক যুদ্ধের অংশ, যার উদ্দেশ্য গাজার মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, আমরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। না আছে ইন্টারনেট, না বিদ্যুৎ, না কোনো যোগাযোগের মাধ্যম। প্রতিবারই একটা নতুন পরিকল্পনা আসে– কখনো বলে গাজার মানুষকে জোর করে সরিয়ে দেবে, কখনো বলে ইসরায়েল পুরো গাজা দখল নেবে। আর এখন তারা পুরো গাজার জনগণকে জিম্মিদের কারণে হুমকি দিচ্ছে।

জামিলা মাহমুদ জোর দিয়ে বলেন, যা কিছু ঘটুক না কেন, তিনি কখনোই গাজা ছেড়ে যাবেন না। আমার বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও আমাকে সরাতে পারবে না।

পরিবারের জন্য অল্প কিছু খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৬০ বছর বয়সি আইমান আবু দাইয়েহ আল জাজিরাকে বলেন, তিনি শুধু চান 'হামাস এখন জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিক – একটি চুক্তি গ্রহণ করুক, আলোচনা করুক, এবং বন্দিদের হস্তান্তর করুক, যাতে এই অন্তহীন দুঃস্বপ্ন শেষ হয়।'

এটাই একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ... আমাদের অবস্থান দুর্বল, আর কেউ আমাদের পাশে নেই।

তবে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, শুধুমাত্র জিম্মিদের হস্তান্তর করলেই কি ট্রাম্প ও ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধ শেষ হবে? যদিও এটি ভবিষ্যতে যুদ্ধকে কিছুটা কম বিধ্বংসী করতে পারে।

আইমান আবু দাইয়েহ বলেন, আমরা ৫০ হাজার মানুষ হারিয়েছি। আমার দুই ছেলে মারা গেছে– একজন ২০২৩ সালের অক্টোবরে, আরেকজন ডিসেম্বর। তারা দুজনই তরুণ ছিল। আমার বাড়িটিও ধ্বংস হয়েছে। আমরা যথেষ্ট ক্ষতি ও দুর্ভোগ সহ্য করেছি। আমাদের বিষয়ে আরব দেশগুলো নীরব, ইউরোপের দেশগুলোও নীরব।

তিনি বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই। আমার মনে হয়, সে শুধু হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এসব হুমকি দিচ্ছে। তাদের যা করার বাকি, তা হলো আমাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।


আরও খবর