Logo
শিরোনাম

পাকিস্তানের আদলে স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

জহিরুল কবির আমজাদ :তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে বিএনপির মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই। উনারা পাকিস্তানকে কেনো এত অনুকরণ করেন, সেটাই হচ্ছে আমার প্রশ্ন।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুরপাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই তাদের আস্থা নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই তারা নির্বাচনে যাবে। শুক্রবার মির্জা ফখরুলের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তথ্যমন্ত্রীর কাছে। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে মুর্খের মতো বারবার সরকারের অধীনে নির্বাচন কেন বলেন? সেটাই হচ্ছে আমার প্রশ্ন।

হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার তখন শুধু ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনকালীন যে সরকার দায়িত্বে থাকে, পুলিশের একজন কনস্টেবল বদলি করারও ক্ষমতা তাদের থাকে না। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেমন একটি পক্ষ, বিএনপিও একটা পক্ষ। আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।

বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।

পাকিস্তানের আদলে স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই কথাটি পুনর্ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই চাপকে উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরববিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছেযদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়, তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য শনিবার মিসরের কায়রোয় ইসরায়েলকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোয় প্রতিনিধিদল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিন হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি না, তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবে না।

ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয়, তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।


আরও খবর

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন

বুধবার ১৫ মে ২০২৪




নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জন্য ৩০দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কোর্সটি বাস্তবায়ন করছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। রবিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) উপপরিচালক খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান। 

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রানা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুঃ জাবেদ ইকবাল, কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের প্রধানগন, সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ। উক্ত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪০জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণ হলো একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি বাড়ি যাদের চেনা তারা হলেন গ্রাম পুলিশ। তাই গ্রাম পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে ভয় পান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও চৌকস করতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে। তাই আগামীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট গ্রাম পুলিশ বাহিনীর কোন বিকল্প নেই। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান অক্ষরে অক্ষরে পালন ও প্রয়োগ করতে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।


আরও খবর



গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

প্রচণ্ড গরম পড়েছে। ঘরেও থাকা দায়। হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। লোডশেডিং আরও বাড়লে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই বাচ্চাদের জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছে ইমরান হোসেন। কিন্তু দামে মিলছে না। আগের চেয়ে প্রায় ১ হাজার টাকা দাম বেশি চাইছে। একটি সিলিং ফ্যান কিনলাম সেটির দামও বেশি নিল। নবাবপুরে দাম বেশি হলে অন্য জায়গায় তো আরও বেশি হবে।


স্টেডিয়াম মার্কেটে ফ্যান কিনতে আসা রনি জানান, গরমে ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে, সেই সঙ্গে দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।


বাংলাদেশে ফ্যানের সবচেয়ে বড় বাজার নবাবপুর রোডে। সরেজমিন দেখা গেছে, নবাবপুরে প্রতিটি ইলেকট্রিক মার্কেটের সামনে রাখা যানবাহনে বিভিন্ন রকমের ফ্যান বোঝাই করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো যানবাহন থেকে ফ্যান নামিয়ে দোকানে বা গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

নবাবপুর ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের মান ও আকারভেদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে। বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যানের দাম। এসব ফ্যানের দাম পড়ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও বাড়ছে।


বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসির। বেড়েছে দামও।


নবাবপুরের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গরমকাল ফ্যান, রিচার্জ্যাবল ফ্যান ও এসি বিক্রির মৌসুম। এবার গরম বেশি পরায় চাহিদা বেড়েছে। বেচাকেনাও ভালো। তবে সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। বাজারে ১২, ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান বেশি চলছে। তবে স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও ভালো।


নবাবপুরের খুচরা ব্যবসায়ী আমিন জানান, তারা ডিফেন্ডার ও কেনেডি ফ্যান বিক্রি করেন। চায়না ফ্যানের দাম একটু বেশি, দেশিটার দাম একটু কম। ১২ ইঞ্চি রিচার্জ্যাবল ফ্যানের দাম ৩ হাজার ২০০ টাকা, বাংলা ফিটিং চায়নার দাম ৩ হাজার আর দেশি ফ্যানের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা। চায়নাটা তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চার্জ থাকবে। বাকিগুলো কিছুটা কম চার্জ থাকবে। এ ছাড়া ১৪ এবং ১৬ ইঞ্জি ফ্যানও রয়েছে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ফ্যানের দাম কম ছিল। এখন প্রতিদিনই ৫০-১০০ টাকা বাড়ছে। গরম যত বাড়বে দামও তত বাড়তে থাকবে। তিন মাস আগেও এ ফ্যানের দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। গত বছর একই ফ্যানের দাম সাড়ে ৫ হাজার পর্যন্ত উঠেছিল। এবারও যে হবে না তা বলা যাচ্ছে না। এবারও সেদিকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে, মালের সংকট দেখিয়ে আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দেয়। দেখা যায়, সকালে যে দাম ছিল বিকালে তা আরও বেড়ে গেছে।


স্টেডিয়াম মার্কেটের নারায়ণগঞ্জ ইলেকট্রনিকসের বিক্রেতা হানিফ বলেন, গরমে চাহিদা বাড়ায় পাইকারি বাজারে ফ্যানের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আজও প্রতিটি ফ্যানে ২০০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনেছি। কালও প্রতিটি ফ্যানে ১০০ টাকা বাড়তি দিয়েছি। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যানুযায়ী কিনবেন।


বাংলাদেশ ইলেকট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও এফবিবিসিআই পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, এবার ফ্যানের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দামও বেড়েছে। কারণ জিনিসপত্রের দাম এবং উৎপাদন খরচ প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ফ্যান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ১০০ শতাংশ তামার তার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যে কাঁচামাল লাগে তার ৮০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। কপার শিট, অ্যালুমিনিয়াম শিট, এমএস শিট, বেয়ারিং ও ক্যাপাসিটর আমদানি করতে হয়। বৈশ্বিক ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ৩০-৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এ ছাড়া লেবারের মজুরি বেড়েছে। চাহিদার মৌসুমে লেবারদের বেশি মজুরি দিতে হয়। এসব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ খরচ বেড়েছে। যার কারণে ফ্যানের দামও কিছুটা বেড়েছে।


আরও খবর



সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ):

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের বিরুদ্ধে মাসুদ নামে এক যুবককে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভুক্তভোগী মাসুদ মিয়ার মা বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ চার জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে রাহিমা বেগম উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামের বাসিন্দা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের নির্দেশে ফারুক হোসেন, গাজী আরমান ও গাজী শাখাওয়াত সহ ৮/১০ জনের একটি বাহিনী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মামরকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল দায়ানের ছেলে মাসুদ মিয়াকে বাড়ী থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নির্যাতন চালায়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করলে পরে মাসুদ মিয়াকে ছেড়ে দেন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার মুঠোফোনে বলেন, মাসুদ একজন মাদক সেবী তাই তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য লোকজন দিয়ে তুলে এনেছি। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



চাঁদাবাজি ও অপপ্রচার করায় হলুদ সাংবাদিক রাশেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

উখিয়ায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে সাংবাদিক সেজে ''জেএসআর'' চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপে অডিও রেকর্ড পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কথিত টায়ায় সাংবাদিক মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রিপোর্টার্স ইউনিটি উখিয়ার কোর্ট বাজার অফিস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন 'জেএসআর' স্টুডেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দীন।

এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য'তে বলেন, মোহাম্মদ রাশেদ (প্রকাশ টায়ার রাশেদ) গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাংবাদিক পরিচয়ে আমাকে ফোন করে আমাদের শপিংমলে আসেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে ব্লাকমেইল করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় প্রতিষ্টানের নামে ভূয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের হুমকী দিয়ে ফিরে যান। পরে একইদিন রাত ১টায় আমাকে টাকা নিয়ে তার ধুরুমখালী অস্থায়ী অফিসে আসতে বলেন। আমি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপে আবারো টাকা দাবি করে একটি স্যাম্পল অডিও রেকর্ড পাঠিয়েছে বলে মেসেজ করে হুমকী দেন। যার স্কিনসর্ট আপনারা দেখেছেন। চাঁদার টাকা দাবী করার মেসেজটি সে নিজে ডিলিট করে দিয়েছেন। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় রাশেদ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করলে আমি উখিয়ার বিভিন্ন সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে টাকা না দিয়ে আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং রাশেদ নামের কোন গণমাধ্যম কর্মী উখিয়াতে নাই বলে জানান। ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্টান চাঁদা দাবির সব তথ্য নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইতিমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন, কিছু অপসংবাদিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রাশেদ তার নিজস্ব গণমানুষের দর্পন নামের একটি অনুমোদনহীন ভুয়া নিউজ পোর্টালে আমাদের নামে মিথ্যা, ভূয়া, ভিত্তীহীন গুজব প্রচার করে আমাদের প্রতিষ্টানের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। চাঁদা না পেয়ে অপপ্রচার কারী ভুয়া সাংবাদিক রাশেদ যে ১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা অডিট রির্পোট বলে প্রচার করেছে সেটির কোন সত্যতা নেই।

১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে আমার কাছে সব গুলো ডকুমেন্টস আপনারা দেখেন। এই ব্যয় গুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য হয়েছে। এইটাকে দুর্নীতি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমাদের শেয়ারহোল্ডার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ সকল ভিত্তিহীন বিষয়ের কর্ণপাত না করে বিচলিত না হয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর