Logo
শিরোনাম

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে

দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ- মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা বিশৃংখলা যুগকে বলা হতোআইয়ামে জাহেলিয়াত যুগ

তখন মানুষ হানাহানি কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।


মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।


এদিকে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ দোয়া মাহফিল

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা চরিত্র গঠন বিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ক্রোড়পত্র প্রকাশ

এছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

সূত্র: বাসস


আরও খবর

হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁ-৬ এমপি হেলালের হাতেই নৌকার বৈঠা দিলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল। রবিবার ২৬ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে চ‚ড়ান্তভাবে জানান দিয়েছেন নৌকার মাঝির নাম। এমপি হেলালের নাম ঘোষণা হওয়ার পরপরই নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এর আগে গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন কে হচ্ছে গুরুত্বপ‚র্ণ এই আসনের নৌকার মাঝি। 

তপশিল ঘোষণা হওয়ার পর শুরু হয়েছিল মনোনয়ন ফরম দেওয়ার লড়াই। ফলে এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১০জন। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত রবিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে এমপি হেলালের নাম ঘোষণা দেন। বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলালের হাতেই নৌকার বৈঠা তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য নাম প্রকাশ হওয়ার পরপরই ধন্যবাদ দিতেও ভ‚লেননি এমপি হেলাল।

নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে সর্বশেষ আসন নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) এটি। জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬। এ আসনটি জাতীয় সংসদের ৫১ নম্বর নির্বাচনী এলাকা। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৩লক্ষ ১৯হাজার৩৩৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১লক্ষ৬১হাজার৭৭ জন, নারী ১লক্ষ৫৮হাজার২৭১ জন এবং হিজড়া ২জন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন তৎকালীন ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত নেতা ইসরাফিল আলম। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আবারও আসনটি দখলে রাখেন ইসরাফিল আলম। গত ২০২০ সালের ২৭জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইসরাফিল আলম। এরপর উপনির্বাচনে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলালকে নৌকার মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। উপ-নির্বাচনে বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল জয়ী হওয়ার পর সাংগঠনিকভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা ও বিভিন্ন উন্নয়নম‚ল কাজের জন্য তিনি আবারও পেয়েছেন বলে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী মনে করছেন। 

এমপি হেলাল বলেন, গত উপ-নির্বাচনে ৩৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এ আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে সংসদে গিয়েছিলাম। এমপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ধরে রেখেছি। আবারও এ আসনটি তাকে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমি আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্যায় অবিচার দ‚র করে সাম্যের সমাজ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, সিইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এবং আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বাদ পড়লেন আ.লীগের শতাধিক এমপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দলের বর্তমান সংসদ সদস্যদের (এমপি) মধ্যে অনেকেই বাদ পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার ফলে কিছু আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের বাদ পড়তে হবে।

২৩ নভেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়েছে। সংসদীয় বোর্ডের এই সভায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, দলের মধ্যে এমন আলোচনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না দলের নেতাদের অনেকেই।

তাদের মতে, আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়নে একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা ছিল। বিএনপির নির্বাচনে আাসার সম্ভাবনা এখন আর নেই। কিন্তু তারপরও যে দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে, সে সব দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার একটা বিষয় রয়েছে। এর পাশাপাশি অতি বিতর্কিত কিছু এমপি বাদ পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপিসহ কিছু দল নির্বাচনে না আসায় ২০১৮ সালের তুলনায় এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জোট বা জোটের বাইরে থাকা দলগুলোর জন্য একটু বেশি আসন ছাড় দিতে হবে। কারণ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে কিছু দল ও জোটকে নির্বাচনে আনার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এই দলগুলোকে কিছু আসন ছাড় দিতে হবে। এই সব দলের সাংগঠনিক অবস্থা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থীর সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

আর তাছাড়া আসন সমঝোতার নিশ্চয়তার ভিত্তিতেই এই দলগুলো নির্বাচনে আসবে। এতে এমন কিছু আসনে ছাড় দিতে হবে, যেখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগেরই এমপি আছেন। বর্তমানে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির যে আসনগুলোতে এমপি রয়েছে, গত নির্বাচনের মতো এবারও ওই আসনগুলোতে ছাড় দিতে হবে। এর বাইরে আরও কিছু আসন তারা দাবি করতে পারে। অর্থাৎ নতুন করে জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোকে যে সব আসন ছাড়তে হবে সেগুলোতে বর্তমানে আওয়ামী লীগেরই এমপি রয়েছেন। এর ফলে দলের কিছু এমপি মনোনয়ন থেকে বাদ পড়বেন।

এছাড়া কিছু আসনে এমনিতেই দলীয় প্রর্থীর পরিবর্তন আসতে পারে। গত ৫ বছরে যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন, যা দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন, জনপ্রিয়তা হারিয়েছেনএরকম কিছু এমপি এবার মনোনয়ন পাবেন না। তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০টির মতো আসন হতে পারে, যেখান থেকে বর্তমান এমপিরা বাদ পড়বেন। তবে দলীয় মনোনয়ন ৩০০ আসনেই চূড়ান্ত করা হবে। এর পর জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দলের প্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হবে যাতে সমঝোতা হলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩৩৬২টি। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে প্রতিটিতে গড়ে ১১ জন করে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে দলীয় প্রার্থী মনোয়নের কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট্ট ৭২টি আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর ৩০০ আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর তালিকা ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান।

তবে বাদ পড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিলেও কত জন বাদ পড়েছেন, সেটা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, কয়জন বাদ পড়ছেন এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়েছেন।

এ অবস্থায় কত আসনে পরিবর্তন এসেছে, কারা বাদ পড়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংসদীয় বোর্ডের একজন সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা বলতে চাননি। তিনি বলেন, আমাদের এ বিষয়ে কথা বলা নিষেধ। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না।


আরও খবর



ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনে হুমকির মূখে রক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পাবনা জেলা প্রতিনিধি :

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলামপাড়া এলাকায় রক্ষা বাঁধের সন্নিকটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মেতেছে বালু খেকোরা। এতে হুমকির মূখে পড়েছে ২০১৭ সালে দুই শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রক্ষা বাঁধ। প্রভাবশালী কথিত যুবলীগ নেতার নের্তৃত্বে বালু উত্তোলন করা হলেও ভয়ে এলাকার লোকজন কেউই কিছু বলতে সাহস পায়না। ইতোপূর্বে সাঁড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ঘাট হতে ইসলামপাড়া এলাকা পর্যন্ত বাঁধের সন্নিকটে বালু উত্তোলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়। এতে ওই এলাকার কিছু কিছু স্থানে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙন শুরু হওয়ায় পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা আতংকিত। সাঁড়ার ব্লকপাড়া, থানা পাড়া ও ইসলামপাড়া এলাকার কিছু অংশ ব্যাপকভাবে ভেঙে ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে এরইমধ্যে বালুর বস্তা ডাম্পিং করার কাজ চলছে। অপরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু উত্তোলনের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।  বালু উত্তোলন প্রতিরোধে নৌ পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৫ জুন ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন এবং কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন বালু কাটা বন্ধে পদ্মায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বালু কাটা ও পরিবহনের কাজে জড়িত শ্রমিকরা গ্রেফতার হলেও মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা দখল করে গড়ে ওঠেছে অবৈধ বালু মহাল। বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রকরা বালুমহাল বলছেন না, বলছেন বালুর খোলা। অন্যান্য স্থান হতে বালু এনে এখানে স্তুপিকৃত করে ব্যবসা করছেন বলে তাদের দাবি। লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ এসব দেখেও দ্যাখেন না। নির্বিঘ্নে বালুর ব্যবসার কাজে অনেকেরই সহযোগীতা রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলমান হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগ গ্রহন করে বালু উত্তোলনে মেতেছে চক্রটি। বিগত প্রায় ১৫ দিন ধরে নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। প্রথমদিকে দিনের বেলায় বালু উত্তোলন করা হলেও গত কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে ‘চুপেচাপে’ নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। সাঁড়ার ওই এলাকায় পাহাড় সমান বালুর স্তুপ সাজিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই শুধু ম্যানেজ করেই বছরের বছর জমিয়ে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। খরচ বলতে নৌকা ভাড়া, চাঁদা আর লেবার খরচ। 

সরেজমিনে ইসলামপাড়া এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা কেউই বালু চক্রের হোতার নাম বলতে রাজী হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীরা জানান, বালুর উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত, তারা খুবই প্রভাবশালী। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতেও নদীতে বালু কাটা হয়েছে। নদী থেকে মাত্র ১০-২০ মিটার দূরে বসতবাড়ি। ভাঙনে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বসতবাড়ি বিলীনের আশংকায় তারা আতঙ্কগ্রস্থ। এরইমধ্যে ভাঙনে প্রায় ৫০ একর জমি নিশ্চিহ্ণ হয়েছে। অভিযান হয় কিন্তু তবে মুল হোতারা সবসময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থাকে বলে অভিযোগ করেছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন ঠেকাতে নিয়মানুযায়ী বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে। নদীর অপর প্রান্তের কিছুটা আগে জেগে উঠা চর এবং অবৈধভাবে বালু উত্তেলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এখন নদীর স্রোত সরাসরি প্রবাহিত না হয়ে এই এলাকায় এসে আছড়ে পড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে হলে বালু উত্তোলন বন্ধের পাশাপাশি গতিপথ পরিবর্তনের জন্য দ্রুত ওই চর এলাকায় ড্রেজিং করে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে। তবে পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিইএন-২) বীরবল মন্ডল বলেন, পদ্মা নদীর পানি প্রবাহ মূলত আপস্ট্রিমের পানি প্রবাহ। এভাবে যদি বালু কাটা হয় তাহলে হঠাৎ বণ্যা হলে  রা বাধটাকে ধ্বংস হবে। 

লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদুল হক বালু উত্তোলনকারীদের সাথে তাদের কোন সখ্যতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বালু কাটার বিষয়টি এখনও আমাদের নলেজে নাই। 

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বলেন, নদীতে অভিযান পরিচালনার জন্য লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশের ফাঁড়ি রয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


আরও খবর



গাজায় ৮ হাজার ৭৯৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গত অক্টোবর ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী এরপর গত ২৭ অক্টোবর ট্যাংক অন্যান্য সাঁজোয়া যান নিয়ে স্থল হামলা শুরু করে তারা ২৫ দিন ধরে গাজায় তাদের বিরামহীন হামলা চলছেই

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নির্বিচার হামলায় যত মানুষ নিহত হয়েছেন তার মধ্যে হাজার ৬৪৮ জনই হলো শিশু

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বুধবার জানিয়েছে, তারা গাজায় হামাসের ১১ হাজার স্থাপনার উপর হামলা চালিয়েছে এতে হামাসের অনেক সদস্য নিহত অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

তবে পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন তথ্য। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় এখন পর্যন্ত যত মানুষ নিহত হয়েছেন তার মধ্যে ৭০ শতাংশই হলো নারী শিশু। যারা কোনোভাবেই ইসরায়েলে হামলা চালানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না

হামাসের অবকাঠামোর উপর হামলার অজুহাতে বেসামরিকদের ভবন, হাসপাতাল, জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র কোনো কিছুই ইসরায়েলের দখলদার সেনাদের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। গতকালও তারা ঘনবসতিপূর্ণ একটি শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। এতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন


আরও খবর



নোয়াখালীতে স্কুলের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর। 

সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,  গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি।  এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস চলছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আব্দুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার বলেন, শুক্রবার ঝড় হইসে। আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হইসে। সকালে গিয়ে দেখি স্কুলটাও নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। খোলা মাঠে ক্লাস করতেসি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে। 

ফাতেমা  নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে শঙ্কায় আছি। ভবন নির্মাণ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমাদের একটা স্থায়ী ভবন চাই।

অভিভাবক ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন,  এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ম্পিকার মরহুম মালেক উকিলের পুত্র  ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আমি ঊর্ধ্বতনকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য। সেই সাথে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণেরও দাবী জানান তিনি। 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।


আরও খবর

স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩