Logo
শিরোনাম

রাজাপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান রাজাপুর প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে সম্প্রতি কমিটি গঠিত রাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি রাজাপুর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মহসিন উদ্দিন লিখিত বক্তব্য পাঠ অভিযোগ করেন, ২০১৪ সাল থেকে রাজাপুরে  বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ নামে দুটি সংগঠন ছিল। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি রাজাপুর উপজেলা শাখার কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কোন শিক্ষক এই সমিতির নেতৃত্বে না আসায় রাজাপুরের শিক্ষকদের নিয়ে এ সমিতির অধীনে একটি কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে মহসিন উদ্দিনকে সভাপতি এবং আজাদ খানকে সেক্রেটারি নির্বাচিত করা হয়। অন্যদিকে একই সময়ে রাজাপুরে আরো একটি সহকারী ও একটি প্রধান শিক্ষক সমিতির সৃষ্টি হয় এবং তখন থেকেই শুরু হয় সাংগঠনিক বিরোধ। আমাদের পরিচালিত বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি- (৮০৮-৭৫, ১৯৬২-৬৩), সহকারী শিক্ষক সমাজ-(এস, ১২০৪৮) ও সহকারী শিক্ষক সমিতি-(১২০৬৮) নামে তিনটি সংগঠন সক্রিয় থাকে। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজাপুরের তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলাদাভাবে এমপি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি সবাইকে একত্রিত হয়ে একটি কমিটি করে তার কাছে আসার জন্য নির্দেশ দেন। সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন পর বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি রাজাপুর উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম মাসুম ভাই তিন সংগঠনকে একত্রিত করার উদ্যেগ নিয়ে একটি তারিখ ঘোষণা করেন। ঐ তারিখে সহকারী শিক্ষক সমাজ (১২০৪৮) সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলেও সহকারী শিক্ষক সমিতির (১২০৬৮) শিক্ষকরা আসেনি। কিছুদিন পর সহকারী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ৭৩ নং পশ্চিম ইন্দ্রপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সহকারী শিক্ষক সমাজ এ দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারী সমিতি ভবনে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করে। মিটিংয়ে এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সকল সংগঠনের সক্রিয় ও ত্যাগী শিক্ষকদেরকে নিয়ে একটি মাত্র কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী মিটিং হবে বলে তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ৩ তারিখের ঐ সভাটি ছিল ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক। ঐ তারিখে মিটিং হওয়ার আগেই গোপনে একটি পকেট কমিটি করেছে সে বিষয় আমরা অবহিত ছিলাম না। আমরা বুঝতে পারলাম যে ৩ তারিখে কমিটি গঠনের যে মিটিং হয়েছিল সেটা ছিল শুধুমাত্র "আইওয়াশ”। আমাদের সাথে একত্রে প্রথম দফায় বৈঠক করার বিষয়টিকে তারা মাননীয় এমপি মহোদয়, সকল শিক্ষক ও সাধারনের কাছে প্রচার করেছে যে, তারা সব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়েছে, শিক্ষক নেতাদের মধ্যে আর কোন বিভেদ নেই। এহেন উদ্দেশ্যমূলক কাজটি করার ক্ষেত্রে তারা সকল সাধারন শিক্ষককে পক্ষে আনার জন্য মাননীয় এমপি মহোদয়ের নাম ব্যবহার করেছে এবং বলেছে আমরা রাজাপুরের সকল শিক্ষক একত্রে একটি কমিটি করতে যাচ্ছি। তাদের ডাকে কোন শিক্ষক যদি না আসতে চাইলে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ১০ ফেব্রæয়ারি মিটিং করে একটি কমিটি করার কথা থাকলেও সেটা তারা উদ্দেশ্য মূলকভাবে করেনি। ১১ ফেব্রুয়ারি কোনো এক মাধ্যমে আমাদের হাতে আসে একটি পকেট কমিটির তালিকা। যে কমিটিতে সাংগঠনিক দূরদর্শিতাহীন, অসাংগঠনিক, শিক্ষক কল্যানে কাজ না করা এক প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন কে সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক ওয়ালিউল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করে রেজিস্ট্রেশন ও গঠনতন্ত্র বিহীন “রাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি" নামে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পকেট কমিটি গঠন করে। যে কমিটির কয়েকটি গুরুত্বহীন পদে আমাদের সমিতির কয়েকজনের নামও দেখা যায়, যা ঐ শিক্ষকরা জানে না। পকেট কমিটির তালিকা হাতে পাওয়ার পর বুঝতে পারলাম দেশের সবচেয়ে পুরাতন সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, রাজাপুর শাখার নেতৃবৃন্দদের বাদ দিয়ে যখন এ কমিটি করা হয়েছে তখন ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা গিয়ে মাননীয় এমপিকে বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তীতে তারা ১৪ ফেব্রুয়ারি সমিতি ভবনে হঠাৎ একটি মিটিং আহবান করে পূবের করা পকেট কমিটির তালিকা অনুযায়ী কবির হোসেন নামে এমন এক প্রধান শিক্ষককে সভাপতি ও ওয়ালিউল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে উপস্থিত শিক্ষকদের কমিটি প্রকাশ করে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি রাজাপুর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দদের বাদ দিয়ে একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন সমিতির পকেট কমিটি করায় স্পষ্টই প্রমান হলো যে, রাজাপুরের সকল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন একতাবদ্ধ হয়নি। রেজিস্ট্রেশন বিহীন পকেট কমিটির এহেন মিথ্যা কথা প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে বুদ্ধিদাতা এক প্রধান শিক্ষকের বাসায় বসে গঠন করা পকেট কমিটি আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির রাজাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ.কে আজাদ, সিনিয়র সহ সভাপতি সমীর কুমার দাস, অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম মাসুম, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মাহে আলম মুন্সি, সহ সম্পাদক অহিদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে ফারজানা প্রমুখ।


আরও খবর



রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দেশ। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বৃষ্টি এসে তাপ কমাবে মানুষ সেই আশায় থাকলেও গত এক মাস ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে খুব একটা সহায়ক ছিল না। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে অধিক আর্দ্রতায় শুকাচ্ছে না ঘাম, কাপড় ভিজে লেপ্টে যাচ্ছে শরীরে, আর দ্বিগুণ হচ্ছে অস্বস্তি। এই যখন পরিস্থিতি, এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহে। বাসা-বাড়িতে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।

গত কয়েক দিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানি পাচ্ছেন না ঠিকঠাক মতো।

হঠাৎ রাজধানীর এতগুলো এলাকায় পানির এ সংকটের কারণ জানতে গেলে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েক দিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। মূলত যেখানকার ডিপ টিউবওয়েলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েকদিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। সেসব জায়গায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কিছু এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপ কম থাকায় সেখানেও পানির সংকট তৈরি হয়েছে।

এদিকে লাইনে পানি না পেয়ে যারা টাকার বিনিময়ে ওয়াসার গাড়ির পানি অর্ডার করছেন তারাও ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে পানির চাহিদা জানানো হলে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে, ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না পানি সংকটে থাকা বাসিন্দারা। অভিযোগ এসেছে, ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য হাজার-বারোশ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাফায়েত ইসলাম। গত ৪-৫ দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাই না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা, এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, বাথরুমে যাওয়া যায় না। আমাদের সমস্যা নিরসনে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসাকে।

যাবির হাওলাদার নামে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ওয়াসার মডস জোনে বারবার যোগাযোগ করছি। বারবার অর্ডার দিয়েও আমরা পানি পাচ্ছি না। পানির গাড়ি পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ৬০০ টাকার পানির গাড়ি দ্বিগুণ টাকা দিয়েও অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

একই অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েও। এ ব্যাপারে মডস জোনের আওতায় বাড্ডার বৌবাজার এলাকার ওয়াসার পাম্পের অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে পানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মেশিন চালিয়ে ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে কিছু কিছু এলাকায়। গরমে পানির চাহিদাও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পানি সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে; মূলত সেই সব এলাকাতেই কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসা বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২৯০ কোটি লিটার পানির উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের। গরমকাল এলে রাজধানীতে পানির চাহিদা থাকে ২৬০ কোটি লিটার। সে হিসাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকার কথা না। তবে, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতি নির্ভরশীলতাই পানির বর্তমান সংকটের কারণ।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ওয়াসার সরবরাহ করা পানি আসছে ভূগর্ভ থেকে।

প্রসঙ্গত, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। গঠন করা এই ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে ঢাকা ওয়াসার এ কমিটি।

 


আরও খবর



বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বিসিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

আর কিছুদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো। বাংলাদেশ কবে দল ঘোষণা করবে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।

অবশেষে, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মঙ্গলবার (১৪ মে) ১৫ সদস্যের এই দল প্রকাশ করে তারা।

বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ডি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস ও নেপাল আছে বাংলাদেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।

বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ তানভির ইসলাম, শেখ মাহাদি, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব।


আরও খবর



ডেঙ্গু; ভয়াবহ রূপ নিতে পারে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ঢাকার বাইরে এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল বছরের শুরু থেকেই সেই আশঙ্কাকে বাস্তবতায় রূপ দিয়ে দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তী আরও ২৩ বছরে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাই মাস পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক রোগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তথ্যও এর আগে পাওয়া যায়নি কোনো বছর ২০২২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ২৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য জানানো হলেও চলতি বছরের শুধুমাত্র জুলাই মাসেই মারা গেছেন ২০৪ জন

দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসেই এর মাত্রা বাড়তে থাকে তবে ২০২৩ সালে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু

চলতি মৌসুমে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে জুনে পরবর্তীতে জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে ভয়ঙ্কর হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা কারণ জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি মানুষ জুলাইয়ে আক্রান্ত হয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই মাস ভয়ঙ্কর তবে এটা আরও ভয়াবহ রূপ নিবে আগস্ট মাসে এরপরে এখনো বাকি সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস এমন অবস্থায় মশা নিধন কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনা করা না গেলে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই

কীটতত্ত্ববিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক . কবিরুল বাশার বলেন, এবছর মে মাসে যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন কমিউনিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে জ্যামিতিক হারে এডিস মশা বেড়ে গেছে এখন জুলাই শেষ আগস্ট সেপ্টেম্বর আমাদের জন্য বেশ শঙ্কার এবার মৃত্যুতে এবং ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাংলাদেশি ইতিহাস ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু শুরু হয়েছে জানিয়ে কবিরুল বাশার বলেন, প্রতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবার লক্ষ্য করছি- সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এর পেছনে কারণ কী? আমরা যদি একটু পেছনের দিকে লক্ষ্য করি দেখবো, ফিল্ড লেভেলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে যত ডেঙ্গু হয়েছে, দেখবেন আগস্ট সেপ্টেম্বরে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুটি মাসের একটি মাসে ডেঙ্গু পিক ছিল ২০২১ সালে দেখেছি অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু ছিল এরপর এবার দেখলাম নভেম্বর, ডিসেম্বর পার হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু চলে আসছে জানুয়ারিতেও ৫০০ মতো ডেঙ্গু রোগী ছিল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না 

ঢাকা শহরেলাইট পলিউশনেরকারণে এডিস মশা এখন দিনে হোক বা রাতে সব সময় কামড়ায় জানিয়ে কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, লাইট পলিউশনের বিষয়টি আমরা তিন বছর ধরে গবেষণা করে প্রমাণ করেছি পলিউশন নিয়ে পৃথিবীর কোথাও কথা হয় কিনা জানি না লাইট পলিউশন কিন্তু একটা বিশাল বড় পলিউশন কারণে এডিস মশা তার আচরণে পরিবর্তন করেছে এই পরিবর্তনকে টার্গেট করে আমাদের এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে তিনি বলেন, মশা জন্মানোর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যারা মশার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন তারা টার্গেট করে মশার নিধন করতে হবে এডিস মশা যেখানে হয় সেখানে টার্গেট করে আমাদের তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে হয়তো আমরা পারছি না, কেন পারছি না, সেটা বের করতে হবে এতদিন আমরা মশার জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে চেপে ধরেছি কিন্তু এখন আমরা দেখছি সারা দেশে মশা ছড়িয়ে পড়েছে

বাংলাদেশের উপশহর, উপজেলাতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে কেউ জানে না কেন উপজেলাতে ডেঙ্গু হচ্ছে সে গবেষণাটা কে করবে, সে গবেষণার ফাইন্ডিং কে দেবে সেটি রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে এটা ভাবলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটাকে আরও জোরদার করবে বলে জানান কবিরুল বাশার তিনি বলেন, যখন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, তখন এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ে ভারী বর্ষণ হলে এডিস মশার ডেনসিটি কমবে এখন থেমে থেমে বৃষ্টিটাই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বেই হঠাৎ তাপদাহ বা অতিবৃষ্টি হচ্ছে। তাই সারা বছরই ডেঙ্গু থাকবে। তবে বর্ষার শুরু এবং শেষে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে। তাই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর। আগস্ট মাসে আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে থাকবে এরপর ধীরে ধীরে কমবে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, সংক্রমণ আগস্টে শীর্ষে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে এবারের সংক্রমণকে ডেঙ্গুর দ্বিতীয় ঢেউ বলা যায় কারণ গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নভেম্বর-ডিসেম্বরের পর একটু কম ছিল চলতি বছর মার্চ থেকে বাড়তে শুরু করে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সে সময় আক্রান্ত ছিল ৬২ হাজারের বেশি এবং মারা যায় ২৮১ জন। তবে এবার সেটাও ছাড়িয়ে যাবে মনে হচ্ছে। আক্রান্ত মৃত্যুর যে হিসাব আসছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অনেকের ঘরেই জ্বরের রোগী আছে, চিকিৎসা নিচ্ছে না। ঘরে থেকেই ভালো হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো তো রিপোর্টে আসে না

তবে এভাবে যদি বাড়তে থাকে অবস্থা আগামী এক থেকে দুই মাসে আরও খারাপের দিকে যাবে যত আক্রান্ত হবে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে ডেঙ্গু রোগীর জন্য রক্তের তেমন দরকার নেই জানিয়ে এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু হলে আবার অনেকে রক্ত দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায় তবে রক্ত দেয়ার দরকার নেই ডেঙ্গু মশার জন্য রক্ত তখনই লাগে যখন রোগীর রক্তপাত হয় সেখানে চিকিৎসক চাইলে রক্ত দিতে পারে কিন্তু ডেঙ্গু হলেই যে ব্লাড দিতে হবে এমনটা না ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় না যারা মারা যায় তারা প্লাটিলেট কমের জন্য মারা যায় না অনেকে মারা যায় প্লাজমা লিকেজের ফলে শরীর থেকে লিকুইড চলে যায় যেমন প্রেসার কমে যায়, প্রস্রাব হয় না, কিডনি ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর শকে চলে যায় আর রোগীরা এসব কারণে মারা যায় কারণে অযথা প্লাটিলেট নিয়ে চিন্তিত হবেন না বেশির ভাগ ডেঙ্গু রোগের প্লাটিলেট বা রক্ত লাগে না


আরও খবর



মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে: এবি পার্টি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

 


ডিজিটাল ডেস্ক:


‘মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে’ বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন দলের নেতারা। 


অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, আমদানি-রফতানির নামে ডলার পাচার ও উচ্চ-দ্রব্যমূল্যে জনগণের চরম ভোগান্তির প্রতিবাদে এই মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে এবি পার্টি। 



এতে বক্তব্য রাখেন—দলের আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও পার্টির অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। 


মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে সরকার দলীয় লোকজন ও কিছু আমলা। 


প্রকৃতভাবে এখন দেশে রিজার্ভের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলারে। যদিও সরকার বলছে, এর পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ রয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার।’ 



সোলায়মান চৌধুরী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ কাজ পাচ্ছে না, অথচ প্রতিবেশী একটি দেশের হাজার হাজার মানুষ এখানে অবৈধভাবে কাজ করছে। দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। 


ব্যাংকগুলো জবর দখল করে দলীয় লোকজনের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। রিজার্ভ আজ শূন্য হতে চলেছে। দেশ আজ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার চোরাবালিতে আটকে গেছে।’ 


এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব ও দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।  


আরও খবর



নওগাঁয় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁয় দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিশুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এসড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ৬ মে দুপুরে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কের মহাদেবপুর থানাধীন (নওহাটামোড়) চৌমাশিয়া বাজারে। নিহত শিশু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোটগাড়ী খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের শামিম হোসেন এর ছেলে বাধন হোসেন (১০)। স্থানিয় লোকজন ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, নওহাটামোড় বাজারের কফিল চাউল মিলে লেবার হিসেবে শিশুর বাবা শামিম হোসেন ও তার মা একই চাতালে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার সময় শিশু বাধন চাতালের সামনে সড়ক পারাপার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে নওগাঁ অভিমুখি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী একটি বাস শিশুটিকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু বাধন হোসেন এর মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে স্থানিয় নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছান। শিশু নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দূর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ফাঁড়ি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে   বাসটি সনাক্ত করনের কাজ চলছে একই সাথে আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর