Logo
শিরোনাম

রাণীনগর-আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  

 নওগাঁর রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। "প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মাট বাংলাদেশ" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার দুই উপজেলায় পৃথক পৃথকভাবে উদ্বোধনী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। 

রাণীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ প্রাঙ্গনে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বাস্তবায়নে এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রাণালয় এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এমপি ওমর ফারুক সুমনসহ অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ,উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা রফি ফয়সাল তালুকদার,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক,মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

অপর দিকে আত্রাই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক,জেলা পরিষদ  সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল,ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা ডা. আবু আনাছসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীতে খামারিরা রাণীনগরে ৩০টি এবং আত্রাই উপজেলায় ৩০টি স্টলে বিভিন্ন জাতের পশু-পাখি প্রদর্শনে অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



ট্রাম্পের শুল্কে পোশাক খাতে শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তবে ওই আদেশে পণ্যভিত্তিক শুল্ক হারের তালিকা বা কাস্টমস গাইডেন্স দেওয়া হয়নি। এতে বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাতে এক ধরনের বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান শুল্কের বাইরে যদি ৩৭ শতাংশ শুল্ক যোগ করা হয়, তাহলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশের পোশাকের ওপর কার্যকর শুল্ক বর্তমান গড় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৮ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়াবে। অর্থাৎ ঢাকা থেকে ১০০ ডলারের টি-শার্ট বা জিন্সের চালানে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে আমদানি শুল্ক বাবদ প্রায় ৪৯ ডলার দিতে হবে, যা বর্তমানে মাত্র ১১ দশমিক ৫৬ ডলার।

দেশের অন্যতম বৃহৎ ডেনিম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীর বলেন, 'আমরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ ট্রাম্পের আদেশে পরিষ্কারভাবে এটিকে 'অতিরিক্ত' শুল্ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ৯ এপ্রিলের আগে আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না।'

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আদেশের দ্বারা নির্ধারিত শুল্কের হারগুলো প্রযোজ্য অন্য কোনো শুল্ক, ফি, কর বা চার্জের অতিরিক্ত। তবে তারা দেশ বা পণ্য অনুসারে আর কিছু জানায়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আমরা এখনো পরিষ্কার নই। এটি ৩৭ শতাংশ হতে পারে, কিংবা যদি বর্তমান মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) হারের সঙ্গে যোগ করা হয় তাহলে ৫২ শতাংশেরও বেশি হতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য ইতোমধ্যে অনেক পণ্যে ১৫ শতাংশের ওপরে আছে।'

অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির জানান, তার প্রতিষ্ঠান এখনো ক্রেতাদের কাছ থেকে হালনাগাদ ট্যারিফের তথ্য পায়নি।

'তবে বিভিন্ন সূত্র পরামর্শ দিয়েছে, বর্তমান হারকে প্রতিস্থাপন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে, অথবা বর্তমান হারের সঙ্গে যোগ হতে পারে।'

উচ্চ হারের সংকেত দিয়েছে ব্র্যান্ড

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি পোশাক ব্র্যান্ড ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নতুন শুল্ক ৪৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ হতে পারে।'

'সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করেই আমরা কৌশল প্রণয়ন করছি। আর নির্বাহী আদেশে স্পষ্টভাবে এটাকে বাড়তি শুল্ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শুল্ক সমন্বয় হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর মূলে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে বৃহত্তর উদ্বেগ।

তার ভাষ্য, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বাণিজ্য অর্থনীতি, যা আমদানির ওপর নির্ভর করে। এই পদক্ষেপ শুধু শুল্কের জন্য নয়, বরং তারা বাণিজ্য প্রবাহকে ওয়াশিংটনের অনুকূলে নিতে চায়।'

যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিটি অন্যান্য শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বৈশ্বিক সোর্সিং কীভাবে পরিবর্তিত হতে পারে তার একটি ধারণা দিয়েছেন।

চীনের পোশাকের শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যেখানে ভিয়েতনামের শুল্ক ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। ভারতের ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ও পাকিস্তানের ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বাজারের ৯ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে। এছাড়া বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ২৪ শতাংশই হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ২০২৪ সালে দেশটিতে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এতে চীন ও ভিয়েতনামের পরে তৃতীয় পোশাক সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এ খাতে ৪০ লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন এবং বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশেরও বেশি তৈরি পোশাক।

রপ্তানিকারক এবং নীতিনির্ধারকরা একমত যে, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার এখনই সময়।

অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির বলেন, 'আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো অবস্থান রয়েছে। কিন্তু অন্য দেশগুলো যদি শুল্ক হার কমিয়ে দেয়, তাহলে আমরা দ্রুত বাজার হারাব।'

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং রপ্তানিকারকরা অবিলম্বে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীর বলেন, 'অন্যান্য দেশ এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। আমাদেরও একই কাজ করতে হবে এবং তা দ্রুত করতে হবে। এখনও একটি কার্যকর ফলাফল খুঁজে বের করার সুযোগ আছে।


আরও খবর



এসএসসি পরীক্ষা পেছাতে আন্দোলনের ডাক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

জুলাই-আগস্টের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে গত আট থেকে নয় মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলনে সরব ছিল দেশ। যৌক্তিক-অযৌক্তিক, যার যা দাবি ছিল তা নিয়েই অস্থির করে তোলা হয়েছিল রাজপথ। এখনো এসবের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

তবে এবার সরাসরি দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

সূত্র জানায়, পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা এক মাস পেছানোসহ দুটি দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে এসএসসির পরীক্ষার্থীরা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

তাদের দাবি দুটি হলো

এক. পরীক্ষা ১ মাস পেছানো

দুই. সব পরীক্ষায় ৩-৪ দিন বন্ধ দেয়া

শিক্ষার্থীদের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে শুরু হয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পর্যন্ত এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। আর অন্য জেলার শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডে আন্দোলন করবেন।

দাবির যৌক্তিকতা হিসেবে পরীক্ষার্থীরা বলছে, রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এক মাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

তারা আরও জানিয়েছে, গরমে একটানা পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। গরমে একটানা পরীক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কেন্দ্রও দূরে। তাই প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে তিন-চার দিন বিরতি দিতে হবে।


আরও খবর



২৬ মার্চ বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ২৬ মার্চ বঙ্গভবনের আশপাশের এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের যানবাহনে সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য বঙ্গভবনের আশপাশ এলাকায় চলাচলরত অন্যান্য গাড়ি চালকদের জন্য ২৬ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো:

১। সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স (গুলিস্তান) হতে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত (টয়েনবী সার্কুলার রোডে) সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

২। অ্যালিকো গ্যাপ হতে দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা ও রাজউক ক্রসিং পর্যন্ত (ডিআইটি রোডে) সকল প্রকার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

৩। পার্ক রোডের উত্তর প্রান্ত হতে ইত্তেফাক মোড় (টয়েনবী সার্কুলার রোড) অভিমুখী কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করবে না।

৪। শাপলা চত্ত্বর ও দৈনিক বাংলা হতে রাজউক-গুলিস্তানগামী সকল বাস দৈনিক বাংলা, ইউবিএল, প্রেসক্লাব হয়ে চলাচল (আসা-যাওয়া) করবে কিংবা অন্য কোন সুবিধাজনক বিকল্প রাস্তায় চলাচল করবে।

৫। দৈনিক বাংলা হতে রাজউক অভিমুখী কোন বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল করবে না।

উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো বঙ্গভবনে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

উল্লিখিত রাস্তাগুলো পরিহার করে অন্য কোনো সুবিধাজনক বিকল্প রাস্তায় চলাচল করার জন্য গাড়ি চালকদের অনুরোধ করা হলো। এ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ফলে রাস্তা ও এলাকায় যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটায় ডিএমপি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে ডিএমপির বিবৃতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও তাদের সমভাবাপন্ন বিভিন্ন সংগঠন সাম্প্রতিক সময়ে ঝটিকা মিছিল করেছে। এরই মধ্যে তাদের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার এক বিবৃতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এই তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশের গতিবিধি অনুসরণ করে তারা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে দু–এক মিনিট মিছিল করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশ বলছে, ছাত্রলীগ ও সমভাবাপন্ন সংগঠনগুলো এসব মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়। এসব দুর্বৃত্তকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অনেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন ও বেআইনি এসব সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সর্বসাধারণকে এসব সংগঠনের বিচ্ছিন্ন অপতৎপরতা সম্পর্কে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি। ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার ভোরে ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ–মিছিল করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ–মিছিলটি করা হয়। বিক্ষোভ-মিছিলের একটি ভিডিও ফুটেজে উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন মিয়াকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।


আরও খবর



৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

অবরোধে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। ঢাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর আরও শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে অংশ নিতে ওই এলাকায় জড়ো হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অবরোধ আর যানজটের কারণে সড়কে চলাচলকারী মানুষ পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। অবরোধের কারণে সৃষ্ট যানজট ইতোমধ্যে মহাখালী পর্যন্ত চলে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কের অবস্থা খারাপ। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। চারদিকের সড়ক বন্ধ। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। শিক্ষার্থীরা উঠে গেলেই কেবল সচল হবে সড়ক।

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আমরা বলেছি, তোমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন চলো সচিবালয়ে, শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তোমাদের দাবিগুলো পৌঁছে দিই। তারা রাজি হয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা আগেও একাধিকবার একই দাবি উত্থাপন করেছি, কেউ কর্ণপাত করেনি। এখন আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি। দাবির ব্যাপারে কথা বলতে হলে আমাদের কাছে আসতে হবে। সচিবালয়ে কেউ যাবে না।

তাদের অবরোধের কারণে তেজগাঁও-মগবাজার সড়কে যানজট সীমাহীন আকার ধারণ করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।


আরও খবর