Logo
শিরোনাম

রাঙ্গাবালীতে নির্বাচনের পরিবেশ অশান্ত করার চক্রান্তের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিবেশ অশান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে একটি পক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। 

এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মু. সাইদুজ্জামান মামুন। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করে পরাজিত হওয়া একটি অপশক্তি জোট বেঁধেছে। সবুজ ছায়া আবাসন গ্রæপের চেয়ারম্যান বাশেদ সিমনের কাঁধে ভর করে এই অপশক্তি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাইদুজ্জামান মামুন আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই বাশেদ সিমন উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণার অজুহাত দেখিয়ে গত শনিবার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের উপনির্বাচন কার্যক্রম চলাকালীন শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করে জনমতে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। সেই সময় কে বা কাদের সঙ্গে তার হট্টগোল হয়েছে, তা সম্পর্কে আমরা অবগত নই। অথচ তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে এবং আমার দলকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। আমি এই অপপ্রচারের নিন্দা জানাই। 

এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু হাওলাদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজিদুল আকনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে,এক নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করার সময়, ভুক্তভোগী ওই নারী নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে হাতে বেকি (হাসুয়া) নেয়। পরে ধর্ষণকারীর দুই পায়ের হাঁটুর নিচে বেকির আঘাত লেগে আহত হয়ে পালানোর সময় ভুক্তভোগী নারীর আত্মচিৎকারে তার ছেলে ও ছেলে বৌ সহ আশেপাশের লোকজন উঠে এসে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান (৫০) কে আটক করে। পরবর্তীতে তারা জরুরী সেবা পেতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে স্থানীয় আদম আলীর সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করান।


শুক্রবার ২৭ (ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ি ঝাউকুটি গ্রামে এঘটনাটি ঘটেছে।এর প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফরের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী শুক্রবার বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী রাতের অন্ধকারে চুপিসারে তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে মাছ ব্যবসায়ী কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বেড়ায় গোঁজানো থাকা বেকি (হাসুয়া) হাতে নিলে আবার ও তাকে ধরতে আসলে হাতে থাকা বেকির আঘাতে তার দুই পায়ের হাঁটুর নিচে লেগে জখম হয়। পরে তার আত্নচীৎকারে ছেলে ও ছেলে বৌ সহ প্রতিবেশী কাদের আলী জাহাঙ্গীর আলম সহ লোকজন উঠে এসে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান কে আটক করে। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লুৎফর কে উদ্ধার করে স্থানীয় আদম আলী নামের একজনের সহযোগিতায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করান। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তার পরিবার সহ স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী চরিত্র হীন লুৎফর রহমান (৫০) এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


এব্যাপারে অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে কল করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।


সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত লুৎফর রহমান দুই বছর আগেও ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। এখন তার বয়স হয়েছে সে তিন সন্তানের জনক ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি থাকতে, এতকিছুর পরেও এই বয়সে মানুষ কিভাবে এমন জঘন্য কাজে জড়ান এটা আমার বোধগম্য নয়। লুৎফর রহমান ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শুনেছি ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় অভিযোগ করেছেন। আশাকরছি এবারে একটা ন্যায় বিচার পাবেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান,এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে,সেটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।


আরও খবর



নতুন নীতিমালা নয়, সংস্কার হবে পুঁজিবাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পুঁজিবাজারের সংকট মোকাবিলায় নতুন কোনো নীতিমালা গ্রহণ করা হবে না, বরং বর্তমান পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সংস্কারের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের সংস্কারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এবং লেনদেন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল।

তবে ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে জেড ক্যাটেগরিতে পাঠানোর পর এবং বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের ফলে বাজারে লেনদেন কমে গিয়ে বর্তমানে তিন থেকে সাড়ে তিনশ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, নতুন নীতিমালার মাধ্যমে কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়া হবে না, বরং অংশীজনদের সুবিধা ও অসুবিধা অনুযায়ী পুঁজিবাজার সংস্কারের মাধ্যমে উন্নতি আনা হবে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




হত্যাচেষ্টায় দৈনিক জনবাণীর সম্পাদকসহ ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দৈনিক জনবাণী পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে দৃর্বৃত্তরা। গতকাল (বুধবার) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলা মোটর এলাকায় প্লানাস টাওয়ার সংলগ্ন পত্রিকাটির কার্যালয়ের পাশে এ হামলা হয়। 

হামলার ঘটনায় জনবাণী পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাজু আহমেদ শাহ,  বিশেষ প্রতিনিধি বশির হোসেন খান এবং অনলাইন মাল্টিমিডিয়া সম্পাদক আতাউর হোসেন আহত হন। সন্ধ্যা ৬টায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সম্পাদক শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত। 


আহত সাংবাদিক বশির হোসেন খান বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ করে ২০/২২ জনের দুর্বৃত্ত দল রড, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তখন আমরা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের ওপর হামলে পড়ে। আমরা তাদের কাউকে চিনতে পারিনি।

এর আগে হামলাকারীরা জনবাণীর পত্রিকার কার্যালয়ে গিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বসুন্ধরা সিটি সেন্টার থেকে অফিসে যাচ্ছিলাম, আমাদেরকে অফিস না পেয়ে দুর্বৃত্তরা আমাদের খোঁজে বের হয়ে রাস্তায় পেয়ে হামলা চালায়। 

পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে জানিয়ে বশির হোসেন খান, তারা (হামলাকারীরা) আমাদেরকে পেয়ে প্রথমে নাম জিজ্ঞেস করে। এরপর হামলা চালায়। এমনভাবে এসেছিল যে, মনে হয়েছে দূর থেকে কেউ দেখিয়ে দিয়েছে। হামলায় সম্পাদকের মাথা, হাত ও পিঠে ক্ষত হয়েছে। সম্পাদককে হত্যার জন্য টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বাংলা মোটর এলাকায় হামলার ঘটনায় আহত চার সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

আইনি পদক্ষেপ নিতে আহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে।


আরও খবর



রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগানে গিয়েছিলাম

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ড. শফিকুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক :

সৌদি সরকারের অ্যাপস এর ঝামেলা মিটিয়ে ওখানে যেতে পারা এখন চ্যালেঞ্জিং। এই অ্যাপস এখন বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের হয়রানির মতো। সার্ভার ডাউন, কিংবা ডাটা এরর কিংবা ভ্যাকেন্সি নেই- এ ধরণের মেসেজ দিয়ে হাজীদের ভূগান্তি দেয়। যাই হোক, চিকন লাইন এখানেও আছে। সেভাবে মুয়াল্লেমের সহযোগিতায়  যেতে সক্ষম হয়েছি।  আমার বৃদ্ধ বাবামার জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল। আর আমার গবেষক মন বেহেশতের বাগান না দেখে যাবে না- এই ছিল পন। যারা ভবিষ্যতে আসবেন তারা আগে থেকেই নুসুক এপস ডাউনলোড করে শিডিওল নিয়ে রাখবেন বা মূয়াল্লেমকে আগে থেকে বুকিং দিতে বলে দেবেন। আগে এটা সহজ হলেও এখন কড়াকড়ি হয়েছে। ভিসা ও অ্যাপস এর কোড মিলিয়ে দেখে। তারপর ঢুকতে দেয়। 

.

মাত্র দশ মিনিট সময় দেয়, ওখানে প্রবেশের পর মন মানসিকতার গভীরতা নরম হয়ে  একেবারে ফানাফিল্লার পর্যায়ে চলে যায়। দশ মিনিট মনে হয় দুমিনিট। দশ মিনিট পেরিয়ে গেলে ওখানকার হুজুর কাম সিকিউরিটির লোকজন তাড়া দেয় ইয়া হাজ্জী ইয়া হাজ্জী বলে বের হতে বলে। ওদের চিতকার চেঁচামেচিতে ধ্যান বা প্রার্থনারত ক্রন্দন বা ফানাফিল্লা পর্যায় ভেঙ্গে বের হবার চেষ্টা করতে হয়। তখনই মনে পড়ে রিয়াজুল জান্নাত ছেড়ে চলে যাবো, দুটি ছবি নিয়ে যাবো না? -তাই কি হয়। ভবিষ্যতে যদি দেখতে মন চায়। তাই দ্রুত বের হতে হতে কয়েকটি ক্লিক করা। আপনারা দেখতে পারেন। 

.

রিয়াজুল জান্নাত কি?

মসজিদে নববির ভেতরে একটা জায়গা আছে, তার নাম রিয়াজুল জান্নাত। রিয়াজুল জান্নাত বলতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে তৈরি করা মসজিদকে বোঝায়। মিম্বর ও হুজরাহর মধ্যবর্তী স্থান। মসজিদে নববিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক এবং তাঁর জমানার মূল মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানকে নবীজি বেহেশতের বাগানসমূহের একটি বাগান বলেছেন। এটাই রিয়াজুল জান্নাত। এই জায়গায় সবুজ-সাদা রঙের কার্পেট বিছানো আছে। মসজিদের অন্য কার্পেটগুলো লাল রঙের। ভিন্ন রঙের কার্পেট দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না রিয়াজুল জান্নাতের সীমানা। এ স্থানে নামাজ পড়া অতি উত্তম।

.

রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগান সম্পর্কে কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ইবনে হাজাম (রা.) বলেন, রিয়াজুল জান্নাতকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে রূপকভাবে। ওলামায়ে কেরামরা রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের মতে, এখানে জিকির করলে রহমত ও সৌভাগ্য লাভ করা যায়। নুরুদ্দিন সামহুদির লেখা অফা আল অফার দ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত, রিয়াজুল জান্নাতে ইবাদত বেহেশতের বাগানে পৌঁছায় এই অর্থে ও তা রূপক অর্থবোধক। আল্লাহ এই স্থানটুকু হুবহু বেহেশতে স্থানান্তর করবেন। এই অংশ অন্যান্য জমিনের মতো নয়। পবিত্র স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো আমরা যেন ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ রাখি। রিয়াজুল জান্নাতের ভেতরে কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোকে রহমতের স্তম্ভ বলে। রাসুল (সা.)-এর তৈরি মসজিদে খেজুরগাছের খুঁটিগুলোর স্থানে উসমানি সুলতান আবদুল মাজিদ পাকা স্তম্ভ নির্মাণ করেন। এগুলোর গায়ে মর্মর পাথর বসানো এবং স্বর্ণের কারুকাজ করা।

.

উস্তুওয়ানা হান্নানা (সুবাস স্তম্ভ)


প্রথমদিকে রাসুল (সা.) মিম্বর ছাড়াই খেজুরগাছের একটি কাণ্ডে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন। পরবর্তী সময়ে জুমার খুতবা দেওয়ার জন্য দুটি সিঁড়ি ও একটি বসার স্থান তৈরি করা হয়। মিম্বরে নববির ডান পাশে খেজুরগাছের গুঁড়ির স্থানে নির্মিত স্তম্ভটি। এতে নিয়মিত সুগন্ধি মাখানো হয় বলে একে সুবাস স্তম্ভ বলা হয়। এটি বর্তমানে স্তম্ভ আকারে আর নেই। একে উস্তুওয়ানা হান্নানাও বলা হয়।

.

উস্তুওয়ানা সারির


সারির অর্থ বিছানা। এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করতেন এবং রাতে আরামের জন্য তাঁর বিছানা এখানে স্থাপন করা হতো। এ স্তম্ভটি হুজরা শরিফের পশ্চিম পাশে জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, সেখানে তাঁর জন্য খেজুরপাতার তৈরি মাদুর এবং একটি বালিশ রাখা হতো। বুখারি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মধ্যস্থতার জন্য এই স্তম্ভের কাছে বিছানা পেতে বসতেন।

.

উস্তুওয়ানা উফুদ (প্রতিনিধি স্তম্ভ)


বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিনিধিদল উস্তুওয়ানা উফুদে বসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে কথা বলতেন। এ স্তম্ভও জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতেন। তিনি তাঁদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতেন ও এর সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করতেন। ফলে বহু গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে। এটাকে ‘গণ্যমান্য মজলিশ’ও বলা হয়, যেখানে বড় বড় সাহাবায়ে কিরামও বসেছেন। একে প্রতিনিধি স্তম্ভও বলে।

.

উস্তুওয়ানা আয়েশা (আয়েশা স্তম্ভ)


নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এমন একটি জায়গা রয়েছে, লোকজন যদি সেখানে নামাজ পড়ার ফজিলত জানত, তাহলে সেখানে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত।’ স্থানটি চিহ্নিত করার জন্য সাহাবায়ে কিরাম চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আয়েশা (রা.) তাঁর ভাগনে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.)–কে সে জায়গাটি চিনিয়ে দেন। এটিই সেই স্তম্ভ। এই স্তম্ভটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর।

.

উস্তুওয়ানা আবু লুবাবা (তওবা স্তম্ভ)


হজরত আবু লুবাবা (রা.) থেকে একটি ভুল সংঘটিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে এই স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হুজুরে পাক (সা.) নিজে না খুলে দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এর সঙ্গে বাঁধা থাকব।’ নবী করিম (সা.) বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে আল্লাহ আদেশ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খুলব না।’ এভাবে দীর্ঘ ৫০ দিন পর হজরত আবু লুবাবা (রা.)–এর তওবা কবুল হলো। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে তাঁর বাঁধন খুলে দিলেন। এটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর অবস্থিত।


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ডব্লিউএইচও প্রধান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। এদিকে হামলার সময় সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সানা বিমানবন্দরে হামলা চালায় ইসরায়েল। ডব্লিউএইচওর প্রধান সেসময় প্লেনে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এসব তথ্য জানিয়ে ডব্লিউএইচওপ্রধান নিজেই এক পোস্টে বলেন, ইসরায়েলের হামলায় আমাদের উড়োজাহাজের একজন ক্রু সদস্য আহত হয়েছেন। বিমানবন্দরে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিমানবন্দরে অবস্থান করা জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্যরাও নিরাপদে আছেন। তবে তাদের যাত্রায় বিলম্ব হয়েছে।

হামলার বর্ণনা দিয়ে তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, এখানে আমাদের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজে উঠতে যাচ্ছি তখন সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিমানবন্দরের উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার, রানওয়েসহ কয়েকটি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ইয়েমেনের রাজধানী সানা এখন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। ইসরায়েলে তাদের পক্ষে হামলা চালানোর একদিন পরই পাল্টা এই হামলা চালালো ইসরায়েলি বাহিনী।


আরও খবর