পার্থ সারথী দাস : দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের
টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। এর বাইরে প্রায় সব টিকিট কাউন্টারেই বিক্রি হতো। এবার
ঈদযাত্রা সামনে রেখে প্রথমবারের মতো আন্তঃনগর ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির
সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে।
গত ৭ এপ্রিল থেকে ট্রেনের আগাম
টিকিট বিক্রি শুরু হয় ওইদিন ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিট শেষ হয়ে যায় প্রায়
দুই ঘণ্টায়। সংশ্লিষ্ট সার্ভারে জটিলতা তৈরি হয় পরের দিন, টিকিটপ্রত্যাশীদের ভোগান্তিতে
পড়তে হয়। এবার ট্রেনের টিকিট পাওয়ার যুদ্ধটা প্রকাশ্যে রেল স্টেশনের কাউন্টারে
দেখা গেলো না। দেখা গেছে অন্তর্জালে। কাউন্টারের সামনে আগের মতো সেই নাভিশ্বাস
ভোগান্তি দেখা যায়নি। অবশ্য ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনে সার্ভার জটিলতা
দেখা যায়নি, শত নেতিবাচক
অবস্থার মধ্যে হঠাৎ এটি যেন স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠে যাত্রীদের জন্য। তবে প্রতিদিনের
মতো হাজার হাজার মানুষ টিকিট পাননি-যারা পেয়েছেন, যেন লটারি পেয়েছেন, তারা মনে করেছেন নসিব ভালো, তাই পেয়েছেন।
ঈদযাত্রার টিকিট কিনতে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে রাতজাগা
টিকিটপ্রত্যাশী চোখে পড়েনি। আগাম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে প্রথম মিনিটেই সার্ভারে
ঢোকার চেষ্টা করেন প্রায় ১২ লাখ টিকিটপ্রত্যাশী। অথচ টিকিট দেয়ার সক্ষমতা ছিল
মাত্র ২৫ হাজার ৭৭৮টির। তার মানে, চাহিদার সঙ্গে প্রত্যাশার ফারাকটি আকাশ-পাতাল ব্যবধানের।
প্রত্যাশার সঙ্গে তাই সার্ভার কোনো সময় কাজই করে না!
অনলাইনে হোক বা কাউন্টারে হোক, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের
আন্তঃনগর ট্রেনে বাংলাদেশ রেলওয়ের দৈনিক সক্ষমতা রয়েছে প্রায় ২৬ হাজার টিকিট
বিক্রির। বিশেষ ট্রেন চলাচল করলে তা বেড়ে হয় ২৮ হাজারের মতো। আগাম টিকিট বিক্রির
তৃতীয় দিন ৯ এপ্রিল প্রথম দুই ঘণ্টায় ১ কোটি ৩০ বার প্রবেশ করার চেষ্টা
করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। ওইদিন বিশেষ ট্রেনসহ অন্যান্য ট্রেনের ১৯ এপ্রিলের প্রায়
২৮ হাজার টিকিট বিক্রি হয়। সার্ভারে ঢোকার চেষ্টার প্রবণতা থেকেই বোঝা যায়-
ট্রেনের টিকিটপ্রত্যাশীর চাপ প্রবল থেকে আরও প্রবলতর হচ্ছে।
এবার ঘরে, অফিসে, দোকানে, মাঠে বসে বার বার সার্ভারে ঢোকার এই চেষ্টা চলেছে।
পরিসংখ্যানই স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে-বিপুল সংখ্যক টিকিটপ্রত্যাশী ট্রেনের টিকিট
পাননি। যে পেয়েছে সে আনন্দে ভেসেছে, যারা পায়নি তারা মন মলিন করে হয়তো বাসের বা লঞ্চের বা
বিমানের টিকিট বা ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া করার জন্য ছুটেছে। কারণ ঈদে তো পরিবার পরিজন
নিয়ে বাড়িতে যেতে হবে।
এবার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিজে কেন সার্ভার স্থাপন করে
টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাহলে তো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর ভর করতে
হতো না, সার্ভার
হয়তো আরও সক্ষম হতো, সার্ভার
বিকল হয়ে তা জনভোগান্তির কারণ হতো না। আর কেন-ই-বা টিকিটের সংখ্যা বাড়াচ্ছে
না। ট্রেন, বগি আরও
বাড়ছে না কেন-এসব প্রশ্ন সাধারণ যাত্রীদের।
এ বিষয়গুলোর স্পষ্ট জবাব হলো, বাংলাদেশ রেলওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তব করতে যত
গুরুত্ব দিচ্ছে, যাত্রীসেবা
বাড়াতে সে তুলনায় খুব কমই গুরুত্ব দিচ্ছে। ঈদ সামনে রেখেই শুধু টিকিট বিক্রির
ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটু তৎপরতা দেখানো হয়। টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও আরও
সহজ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের উদ্যোগ বাস্তবায়নে গভীর নীরবতা দেখা যায়। কারণ এই
সংস্থার মহাপরিচালক পদ বার বারই বদল হয়, বহু কর্মকর্তা আবার ‘আমলাতান্ত্রিক ভয়ে’ নেতিয়ে পড়েন। কাজেই যেভাবে চলে আসছিল তাতেই চলে যাওয়া
নিরাপদ মনে করেন তারা। তবে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটাকে এগিয়ে নিতে দলবদ্ধ
আন্তরিক শক্তি সেখানে সঞ্চারনশীল অবস্থায় নেই।
এ কারণে হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, হুট করে নির্দেশ দেয়া হয়, অংশীজন বিশেষ করে যাত্রীদের
মতামতের প্রতিফলন ঘটে না তাতে। তার ফলে যাত্রীসেবার বহু দূরে অবস্থান করছে
গণমানুষের পরিবহন ট্রেন। ট্রেন গণপরিবহন হলেও দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে
কমপক্ষে (গত ২৬ মার্চ পর্যন্ত) ট্রেন টিকিটের নিবন্ধিত গ্রাহক প্রায় ১৪ লাখ। এসব
যাত্রী ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। এবার অনলাইনে টিকিট বিক্রি হওয়ায়
তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষদের একটি অংশ টিকিট নিতে পারছেন-তাদের একটি
ক্ষুদ্র অংশ সে অধিকার ভোগ করতে পারছেন। গত ১ মার্চ থেকে রেলে জাতীয়
পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধিত হয়ে টিকিট কেনার ব্যবস্থা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।
দেশের মানুষের একটি অংশ এখন ই-মেইল আইডি বোঝেন না, টিকিট কাটার অ্যাপ বোঝেন না। অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেননি
তারা।
ফলে অনলাইনে টিকিট কেনার গ্রাহক সুবিধার আওতায় আসতে পারছেন
না। এই অবস্থায় আন্তঃনগর ট্রেনে টিকিটের একটি অংশ কাউন্টারে বিক্রি করার সুবিধা
চালু করার পক্ষে কেউ কেউ বলছেন। এখানে উল্লেখ্য, নিবন্ধিত একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কাটতে পারবেন।
১৪ লাখ নিবন্ধিত গ্রাহক ধরে নিয়ে গ্রাহকের নিজের বা স্বজনদের মাধ্যমে টিকিট কাটলে
ট্রেনে চড়ার সুযোগ মিলবে খুব কম মানুষেরই। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিষয়ে
বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারকদের কথা হচ্ছে, ঈদযাত্রার টিকিটের জন্য ঘণ্টার
পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার দুর্ভোগ কমানোর জন্য আর কালোবাজারি বন্ধে এ উদ্যোগ
নেয়া হয়েছে। কিন্তু জানা গেছে, এখনো কালোবাজারি হচ্ছে। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন রেলস্টেশনের
কাউন্টারের অবস্থা তথৈবচ। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, পুলিশ, রেল কর্মচারীসহ অন্যান্যদের
নিয়ে স্থানে স্থানে চক্র গড়ে উঠেছে।
বিষয়টি অনেকের কাছে অজানা থাকতে পারে। তা হলো-বাংলাদেশ
রেলওয়ে এক যুগেরও বেশি সময় আগে নিজে সার্ভার স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছিল। বিদেশ
থেকে যন্ত্রপাতি আমদানিও করেছিল। সেই সব যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ
রেলওয়ের নিজস্ব তথ্য প্রযুক্তি বিভাগও নেই। আমদানি করা সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার
ব্যবহার করার লোক রেলওয়েতে নেই। তাই পরের ওপর ভর করে চলে। পরের প্রতিষ্ঠানের লাভ
করিয়ে দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট নীতি বাস্তবায়নকারীদের কোনো তুলনা হয় না।
এবার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থায় লাভ নেবে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে
চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কম, সিনেসিস ও ভিনসেন মিলে গঠিত যৌথ কোম্পানি। কাউন্টারের
বিক্রিত প্রতি টিকিটে ২৫ পয়সা পায় সহজ।
অনলাইনে কেনা প্রতি টিকিটে যাত্রীর দেয়া ২০ টাকা সেবা ব্যয় বা সার্ভিস চার্জের সাড়ে ৬ টাকা পায় প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনে টিকিট বিক্রি বাড়ায় প্রতিষ্ঠানটির বেশি লাভ হচ্ছে। এই টাকা গ্রাহককেই দিতে হচ্ছে। অথচ নিজের সক্ষমতা থাকলে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয়ে এটি যোগ হতো। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) নামের প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে প্রথম দিকে ২০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করার ব্যবস্থা চালু করা হয়। তখনো অনলাইনে অব্যবস্থাপনা ছিল। এখন বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের টিকিট বিক্রির অপারেটর সহজ-সিনোসিস-ভিনসেন্ট জেভি। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের চুক্তি স্বাক্ষর হয় প্রায় এক বছর আগে।
সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছে শোনা
গেছে, রেল
মন্ত্রণালয়ের কারও কারও স্বার্থ বাড়াতে সহজকে কাজ দিতে অতি আগ্রহী ছিলেন, তারা এজন্য অনলাইনে শতভাগ
টিকিট বিক্রির বিষয়ে এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন-এই প্রবণতা যাত্রীবান্ধব নয়। এ বিষয়টি
বিশেষজ্ঞ ও রেল সংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ, হতাশা বাড়িয়ে দেয়। রেলওয়ের উচিত- নিজেদের তথ্য প্রযুক্তি
বিভাগ চালুসহ এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা চালু করা। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ চাইছেন তার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকেও
যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় হাতে নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে এই তথ্য জানা গেছে যে, সারা দেশে ৫৪ জোড়া বা ১০৮টি
আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ সব ট্রেনে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার আসনের টিকিট
বিক্রির ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে বিক্রি করা হয় দিনে প্রায় ২৬ হাজার (ঈদের
বিশেষ ট্রেন ছাড়া)। ২০২২ সালে ঈদযাত্রা উপলক্ষে অর্ধেক টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা
হয়েছিল। ওই সময় সার্ভার বিকল হয়েছিল। এবার ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রির শুরু
থেকেই অন্তর্জাল (ভার্চুয়াল) যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছে। ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম
টিকিট বিক্রির শেষ দিনে, তার আগের
দিনে টিকিট প্রত্যাশীর চাপ সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে অন্তর্জালে। তখন পরিস্থিতি কি
হবে-তা ভাবতেই উদ্বেগ, কষ্ট বেড়ে
যাচ্ছে।
জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
জনসংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ। এই অবস্থায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আরও বাড়লে টিকিট
বিক্রির সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি ব্যবস্থা কি চাপ সামাল দিতে পারবে? নাকি অতীতের মতো জটিলতা তৈরি
হবে-এসব প্রশ্ন এখন সঙ্গত কারণেই উঠে আসছে। প্রতিটি ট্রেনে শোভন শ্রেণির (নন-এসি)
আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে আসনবিহীন, তাদের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ট্রেন ভ্রমণ করতে হবে। দাঁড়িয়ে যাবার
টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতীত ও এখনকার
অক্ষমতাপ্রসূত অব্যবস্থাপনার প্রতিফলন দেখা যায় ঈদযাত্রায়। ট্রেনের ছাদে শত-শত
যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে বসে বসে, ট্রেনের
ভেতরে একজনের ঘাড়ে আরও কয়েকজন নিঃশ্বাস ফেলে ফেলে অস্বস্তিতে বাড়ি যান। এই অবস্থা
থেকে দ্রুত পরিত্রাণের সুযোগ নেই। এজন্য সময় লাগবে।
নতুন ট্রেন পরিচালনা করতে হলে অন্যান্য সব ট্রেনের বিলম্ব
ঘটাতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রুটে। কারণ ট্রেন পরিচালনার জন্যও যথেষ্ট সক্ষমতা নেই
বাংলাদেশ রেলওয়ের। সিঙ্গেল রেলপথ ডাবল করা হচ্ছে বিভিন্ন রুটের-এসব উদ্যোগ সময়মতো
বাস্তবে দৃশ্যমান করাও সম্ভব হচ্ছে না। এসব যত দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে ততোই
সুফল মিলবে। আগে বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগ কম ছিল। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে
সরকার রেলে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এই বিনিয়োগের ফলে অবকাঠামো উন্নয়নের বড় বড় প্রকল্প
বাস্তবায়নের কাজ চলছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগসহ বিভিন্ন প্রকল্প মেয়াদ ও খরচ
বাড়ানোর চক্রে ঘুরছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে ট্রেন আরও বাড়ানো যাবে, যাত্রীদের আসনও বাড়বে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হলেও কাউন্টারে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে লোকাল ও মেইল ট্রেনের। তবে এখানেও নতুন ব্যবস্থাপনা নেই। টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে। শক্তিশালী কালোবাজারি চক্র ভাঙতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বাহিনীর অনেকেই জড়িত, কারণ সেখানে তারা কাঁচা টাকার গন্ধে যাত্রীস্বার্থ ও দায়িত্ববোধের বিষয়টি বেমালুম ভুলে যান। এ ব্যাপারেও রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের শক্ত পদক্ষেপ আমরা দেখতে চাই।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক