Logo
শিরোনাম

রহমত, মাগফিরাত, মুক্তি ও শান্তির মাস রমজান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

স্বাগত পবিত্র মাহে রমজান। রহমত, মাগফিরাত, মুক্তি ও শান্তির বার্তা নিয়ে এলো সাধনার মাস রমজান। রমজান আরবি মাসের নবম মাস। এটিকে পবিত্র মাস হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রমজান সব মানুষের জন্যই রহমতস্বরূপ। মানবিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা থাকে এ মাসে। মানুষ চাইলে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে পারে। অফুরন্ত রহমতের বারিধারায় নিজেকে ধুয়ে মুছে পবিত্র করে তুলতে পারে। ইবাদতের ফল্গুধারায় যেন আমরা হারিয়ে যেতে পারি—এজন্যই আমলের তাৎপর্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রমজান মাসের। মূলত বান্দার আল্লাহর দিকে ফেরা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ফাফিররু ইলাল্লাহ। আল্লাহর দিকেই ফিরে এসো।’

পেছন থেকে কোনো বাঘ তাড়া করলে মানুষ যেমন নিজেকে বাঁচাতে চায়, তেমনি আল্লাহর দিকে ভেগে ভেগে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আল্লাহর দিকে ফেরার গুরুত্বপূর্ণ সময় এই রমজান মাস। একবার কেউ যদি আল্লাহর পরিচয় পেয়ে যায়, আল্লাহর ভালোবাসায় আত্মনিমগ্ন হয়- তাকে আর কেউ ফেরাতে পারে না।

আদতে মানুষের জীবনে রহমতের ছায়া, রহমতের কোমল পরশ একান্ত জরুরি। রহমত দিয়েই শুরু পবিত্র রমজান। রহমতের আবহাওয়ার শক্তিও অনেক বেশি। রহমতের বারিতে যেন ধুয়ে নেয় আমাদের গাঁ-গেরাম। শহর-বন্দর। রহমতবর্ষণের ঢলে হারিয়ে যায় বিশ্বের প্রতিটি মুমিন। কী অনাবিল সুখ এসে তাকে আপন করে নেয়। এই রকমের সুখণ্ডতৃপ্তি আর কোথাও পায় না সে। পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রহমতের ১০ দিন। বান্দাকে রহমতের বৃষ্টিতে স্নাত করতেই আল্লাহর এই আয়োজন। রহমতের বৃষ্টি জীবন আলোকময় করার জন্য বড় প্রয়োজন। জীবন রাঙাবার জন্য বড় প্রয়োজন। জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে রহমতের এই রূপালি আবাহন।

রোজার প্রশিক্ষণ এমন সুচারুরূপে গ্রহণ করে বান্দা—কোনো কিছুই তাকে এ বিধিবিধান পালনে বাধা দিতে পারে না। সে ইচ্ছা করলেই পারে খেয়ে ফেলতে কিন্তু খায় না। লুকিয়ে খেতে গেলেও সে আল্লাহর কথা স্মরণ করে। ফিরে আসে। এটা একজন অনুগত মানুষের খণ্ডচিত্রই বটে। এই প্রশিক্ষণ আর কোথাও নেই। রহমতের বারিধারায় স্নাত বলেই আল্লাহর এই বান্দার আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হয়।

রহমতের ১০ দিন শুরু না হতেই সমাজে রহমতের প্রভাব চোখে পড়ে। স্বচক্ষে দেখা যায়। কী পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে রহমতের আবহে। মানুষ সবকিছুতে সংযত হয়। সংযমী হয়। বেচাকেনায়, কথা বলায়, চলায়—ফলে গোটা সমাজেই রহমতের ধারা প্রবাহিত হয়। রহমতের অনন্য বরকত ছড়িয়ে পড়ে।

রোজার প্রতিদান সরাসরি মহান আল্লাহ দেবেন বলে মানুষের আগ্রহও এর প্রতি অনেক। এক হাদিসে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আস-সাওমুলি ওয়া আনা আজজি বিহ’ অর্থাৎ রোজা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় রহমতস্বরূপ এই ঘোষণা। বান্দার অনেক কাছের হয়ে ঘোষণাটি দিয়েছেন তিনি।

মিনকুম মারিজা বাক্য উল্লেখ করে মহান আল্লাহ রুগ্ণ ব্যক্তির রোজাকে বাধ্য করে দেননি। পরে রোজা পালনের ভিত্তিতে সুযোগ করে দিয়েছেন। রোজা রাখতে যার কঠিন কষ্ট হয় অথবা রোগ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তার জন্যই রোজা কাজা করার পদ্ধতি। পরে একসময় রোজা আদায় করে নিতে পারবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে রোগীর প্রতি রহমতের ছায়াই বলা চলে।

শরীয়তের দৃষ্টিতে যে মুসাফির, সে ইচ্ছা করলেই রোজা কাজা করতে পারে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ‘আও আলা সাফারিন’ বলে মুসাফিরকে রোজা কাজা করার সুযোগ দিয়েছেন। এটা অবশ্যই শুধু বাড়ি থেকে বের হলেই চলবে না। কেউ পাঁচ দশ মাইল দূরে গিয়েই সফরের রুখ্সত তথা রোজা থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করতে পারবে না। মাইলের হিসাবে ৪৮ মাইল দূরত্বে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ১৫ দিনের চেয়ে কম সময়ের জন্য যিনি রওনা দেবেন, তিনি মুসাফির বলে গণ্য হবেন। যেহেতু মুসাফিরের রাস্তায় প্রচুর কষ্ট সহ্য করেই পথ চলতে হয়, তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসাফিরের প্রতি রহমতস্বরূপ রোজার রুখ্সতের বিধান করে দিয়েছেন। শুধু তাই না, নামাজেও রুখ্সত দিয়েছেন। বিপদে পড়লে সে জাকাতও গ্রহণ করতে পারবে।

রোজায় প্রতিটি পরিবারে শান্তি ফিরে আসে। কলহ কম হয়। ঝগড়াও কম হয়। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সহনশীল হয়। পরিবারের সব সদস্যের মধ্যেই আলাদা একটা সহনীয় মানসিকতার সৃষ্টি হয়। তাই বিবাদ কমে যায়। পরিবারে শান্তি ফিরে আসে। একে অপরের প্রতি টানও বহু গুণে বেড়ে যায়। রোজার এই রহমতের ছায়া একান্তই পারিবারিক জীবনের প্রশান্তির পাঠশালা।

রোজার প্রথম দশক রহমতের। দ্বিতীয় দশক মাগফেরাতের। তৃতীয় দশক নাজাতের। রহমত কেবল এই ১০ দিনেই আমাদের জন্য থাকে না। সারা জীবনই রহমতের এই আভা মন রাঙিয়ে রাখে। রহমতের বৃষ্টিতে মনের ময়লা ধুয়ে যাক। ফিরে আসুক পরিচ্ছন্ন সুন্দর স্বনির্ভর একটি জীবন। এটাই প্রত্যাশা। আমিন।


লেখক : সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক


আরও খবর



প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর এই চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় এ তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। হিট স্টোকে আক্রান্তদের সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না দিতে পারলে মৃত্যু হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা হিট স্ট্রোকে বেশি মারা যান। পাশাপাশি তরুণদের মৃত্যু ভয় থাকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মাথা ঘুরতে পারে, জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় নিতে হবে। শরীর ঠান্ডা করতে বাতাস দিতে হবে। পাশাপাশি মাথায় পানি দিতে পারলে ভালো। যদি অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা হয়, তত ভালো। দেরি করলে অঙ্গহানি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে ইমার্জেন্সি বিভাগে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আটজন পুরুষ, সাতজন মহিলা। তাদের একজন স্ট্রোকের রোগী থাকলেও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।


আরও খবর



চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

ট্যানারি শিল্পের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।

গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে। সিপিডি অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।


আরও খবর



বন্দর উপজেলা: চেয়ারম্যান মাকসুদ, আলমগীর-ছালিমা ভাইস চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জের  বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের মাকসুদ হোসেন৷ এছাড়া, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীকের মো. আলমগীর এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের ছালিমা শান্তা৷

রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ সাড়ে নয়টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন৷

 বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে৷

ফলাফল অনুযায়ী, সদ্য বহিষ্কৃত জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন ২৯ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়েছেন৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি  দোয়াত-কলম প্রতীকের এমএ রশিদ ১৪ হাজার ৮৩৮ ভোট পেয়েছেন৷ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রশিদ গতবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচন হন৷ এছাড়া, দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল ১২ হাজার ৬২২ ভোট এবং মাকসুদের ছেলে হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী মাহমুুুুদুল হাসান ২৫৫ ভোট পেয়েছেন৷

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আলমগীর ১৭ হাজার ৬০৬ ভোট পেয়েছেন৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গত দুইবারের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু ১৭ হাজার ১ ভোট পেয়েছেন৷ অপর দুই প্রার্থী, টিউবওয়েল প্রতীকের শাহিদুল ইসলাম জুয়েল ১৩ হাজার ৪২৮ ভোট এবং তালা প্রতীকের মোশাঈদ রহমান ৮ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়েছেন৷

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ছালিমা হোসেন পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৫৬ ভোট৷ পরাজিত কলস প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদা আক্তার ২৬ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়েছেন৷

এ উপজেলায় ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন৷


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক কৃষক নিহত ও অপর ৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যাক্তির নাম নাম আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার(৬২)। সে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। শুক্রবার বেলা ৮ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অপর আহতরা হচ্ছেন, হারুণ জোমাদ্দার (৫০), লতিফ জোমাদ্দার (৫৫), রশিদ জোমাদ্দার (৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার(৪৫), জামিলা বেগম(৫০) ও মেহেদী হাসান (৩৫)।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের আকস্মিক হামলায় হাকিম জোমাদ্দার নিহত হন বলে তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার জানিয়েছেন। 

মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার বলেন, বেলা ৭ টার দিকে প্রতিবেশি শহিদুল হাওলাদারসহ ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার ভাই হাকিম জোমাদ্দারের ওপর প্রথম দফায় হামলা করে। 

আহত অবস্থায় হাকিম জোমাদ্দার চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হলে পথিমধ্যে তাকে আটক করে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নিহত হাকিম জোমাদ্দারের ঘাতকদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। 


আরও খবর



গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

আম ফল সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় এত পছন্দনীয় ফল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম পছন্দ করেনা। তাই একে সন্মান দিয়ে ʼফলের রাজাʼ বলা হয়। এই গরমে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি।

কাঁচা আমে অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ থাকে। এতে থাকা ফোলেট বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে উপকারিতা দেয়। পরিপাকজনিত সমস্যা দূর, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। এর আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গরমে প্রশান্তি দেয়

ওয়ার্কআউট করার পর এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস একটি দারুণ সতেজ পানীয় হিসেবে কাজ করে। এটি উত্তপ্ত তাপের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এই পানীয় শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য খনিজের ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। যেহেতু গরমের সময়ে ঘামের কারণে প্রয়োজনীয় খনিজের ক্ষয় হয়, তাই কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা রাখতে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

হজমের সমস্যায় উপকারী

গরমের সময় বেড়ে যাওয়া গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম বেশ ভালো কাজ করে। এটি পাচন রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্লতা, অম্বল, মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবারের সমৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

লিভার ভালো রাখে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এবং এর রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে ফ্যাট শোষণ বাড়ায়।

দাঁতের জন্য উপকারী

কাঁচা আম একটি শক্তিশালী ফল যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা করে এবং এটি দাঁতের গহ্বরের ঝুঁকি কমায়। শক্ত ও পরিষ্কার দাঁত পেতে চাইলে কাঁচা আম খাওয়া শুরু করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, এ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুলকে সুস্থ করে তোলে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন সাধারণ সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করে

বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ দেখিয়েছে যে কাঁচা আম খেলে তা রক্তস্বল্পতা, রক্ত জমাট বাঁধা, হিমোফিলিয়ার মতো রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কাঁচা আম কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে, রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে।

ক্ষতিকর দিক

পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে কাঁচা আম খেলে বদহজম, পেটে ব্যথা, আমাশয় এবং গলা জ্বালা হতে পারে। মনে রাখবেন, কাঁচা আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি পান করবেন না কারণ এটি জ্বালা বাড়ায়।


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪