আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে জনগণকে জিম্মি করে অতি লাভ ও লোভে ব্যবসা না করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অবৈধভাবে পণ্য মজুতদারি, সংরক্ষণ এবং যেকোনো সিন্ডিকেট গঠন থেকেও বিরত থাকতে হবে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
বাজারে যেকোনো ধরনের জনস্বার্থবিরোধী সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব শেখ হাসিনা মেনে নেননি, নিবেন না এবং প্রশ্রয়ও দেবেন না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যেসব ব্যবসায়ী রমজানকে টার্গেট করে জনস্বার্থবিরোধী এবং বাজার অস্থিতিশীল করার কাজ করেন, তাঁদের সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি সংযমী হতে হবে।
পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এক দেশের ঘটনাপ্রবাহ অন্য দেশে প্রভাব ফেলে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন সংকটে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েকটি পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বাজারেও কয়েকটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, আশার কথা হলো, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করে এমন বিষয়ে কখনো নীরব থাকেনি, থাকবেও না। তিনি জনগণের জীবনমানের সুরক্ষায় গ্রহণ করেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এরই মাঝে বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি জোরদার করা হয়েছে, এ ব্যবস্থা জনস্বার্থে আরও সম্প্রসারিত হবে।
রমজান মাসকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, রমজানে কোনো পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই এবং ঘাটতি হবে না।
পর্যাপ্ত পণ্য মজুত থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। এসব অসাধুচক্রের বিরুদ্ধে সরকার সোচ্চার বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, রমজান মাসে কোনো অসাধু চক্রের কারসাজি সফল হতে দেওয়া হবে না। দেওয়া হবে না কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টাকে সফল হতে।
আর এ জন্য ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। বাজার ব্যবস্থায় মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেই বাজার পরিস্থিতি মনিটর করছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
সুত্রঃপ্রথম আলো