Logo
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্প মাদকের আস্তানা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৫নং জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালান চক্র। রোহিঙ্গাদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রেবেশের অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে সক্রিয় ছিল নবী হোসেনের গড়ে তোলা এই চক্র। উখিয়া-টেকনাফের হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু ও রেজু আমতলী সীমান্ত ব্যবহার করে ইয়াবা, মদ, বিয়ার ও স্বর্ণ পাচার করে আসছে নবী হোসেন চক্র।

নবী হোসেনের চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ডসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে আটক একাধিক মাদক ও স্বর্ণ পাচারকারীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে নবী হোসেন, মোবাশ্বর, ফয়সালসহ শতাধিক গডফাদারের নাম। সীমান্তে মাদকসহ নানা অপরাধ দমনে নবী হোসেনকে জীবিত অথবা মৃত ধরে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। এর পর থেকে নবী হোসেন মিয়ানমারের সীমান্তে আত্মগোপনে থেকে মাদক কারবার চালিয়ে গেলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক মাদক চোরাচালান ও অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে নবী হোসেন গ্রুপের সেকেন্ড-ইন কমান্ড মোবাশ্বর। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা অনুপ্রেবেশের সময় সপরিবারে মোবাশ্বর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উখিয়ার পালংখালী জামতলী ১৫নং ক্যাম্পের সি-ব্লকে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমারের কোয়াচিবং এলাকার রহিম বক্স ও সাজেদা বেগমের বড় ছেলে মোবাশ্বর। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহণের এক বছর না পেরোতে নবী হোসেন গ্রুপের হাত ধরে জড়িয়ে পড়ে অপরাধ জগতে। সে থেকে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ও স্বর্ণ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত মোবাশ্বর ও তার অপরাপর সহযোগীরা।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে মিয়ানমার থেকে অবৈধপথে আনা ১০টি স্বর্ণের বারসহ মোবাশ্বর চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানাস্থ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন। আটক পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়ের করে মোবাশ্বরকে জেল হাজতে পাঠায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ওই মামলায় ৭ মাস কারাভোগের পর ২০১৯ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও চোরাকারবারে জড়িয়ে পড়ে মোবাশ্বর। মোবাশ্বর এরই মধ্যে সুকৌশলে বাংলাদেশি জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড ও পাসপোর্টের মালিক বনে গেছেন, যেখানে বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের পাসপোর্ট করতে গেলে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে রোহিঙ্গা মোবাশ্বর কোনো অদৃশ্য ছায়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেল সেটা এখনো অজানা।

মোবাশ্বরের ছোট ভাই মৌলবি ফায়সালের বসবাস পালংখালীর শফিউল্লাহ কাটা ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অ-৬ ব্লকে। মৌলবি ফয়সাল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে ওই ব্লকে লোকচক্ষুর অন্তরালে গড়ে তুলেছেন বিশাল মাদক সিন্ডিকেট। মোবাশ্বরের মাদক ও স্বর্ণের চোরাচালান বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে কাজ করে তারই আপন ভাই মৌলবি ফয়সাল। মৌলবি ফয়সাল বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে সৌদি আরব গিয়ে মসজিদ, মাদরাসার নাম দিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে নিজে আত্মসাৎ করে। মৌলবি ফয়সালেরও রয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।

মোবাশ্বর জেলে থাকাকালীন মাদক ও স্বর্ণ ব্যবসার যাবতীয় চোরাই কারবার পরিচালনা করত তারই আপন ভাই ক্যাম্প-১৫ তে বসবাসরত কায়সার। কায়সার ইয়াবাসহ আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেল-হাজতে ছিল, ইয়াবাসহ পুলিশের কাছে ধরা পড়ে মিথ্যা তথ্যে হেলাল নাম লিপিবদ্ধ করেন এজাহারে, যাতে সহজে জামিনে আসা যায় এবং এতে ঠিকানা উল্লেখ করেন বালুখালী। গত বছর জামিনে এসে আবারও রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে কায়সার উরফে হেলাল।

মোবাশ্বরের বড় বোন ক্যাম্প-১৬ তে বসবাসরত জান্নাত আরা প্রকাশ জন্নতি ও তার প্রবাসী বড় ভাই ফেরদৌসের স্ত্রী মিয়ানমার কোয়াচিবং এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে বুলবুল প্রকাশ বুলবুলিকে দিয়ে শরীরে লুকিয়ে ইয়াবা পাচার করে থাকে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তাদের ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচারের প্রধান টার্গেট বয়স্ক মহিলা, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহজে ফাঁকি দেওয়া যায়। তাদের দিয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ভিআইপি হোটেলগুলোতে অল্প বয়সি রোহিঙ্গা তরুণী (যৌনকর্মী) সরবরাহ করে থাকেন বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গা নেতা।

গত ৫ বছর ধরে ইয়াবা গডফাদার মোবাশ্বর নানা অপকর্ম করে গেলেও তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না, কেউ প্রতিবাদ করলে রাতের আঁধারে নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যরা তুলে নিয়ে গিয়ে অকথ্য নির্যাতন করে।

মোবাশ্বরের মাদক কারবার ও ক্যাম্পে খুন, গুমে জড়িত থাকার বিষয়ে ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাবিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রাতে ক্যাম্পে বহিরাগতদের আনাগোনা চোখে পড়ে, তবে এরা কারা চিহ্নিত করা যাচ্ছে না, মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গুটিকয়েক অস্ত্রধারী মাদক কারবারি আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে প্রকৃত অপরাধীরা।

১৬নং ক্যাম্পের চেয়ারম্যান সুরত আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধে জড়িতদের তালিকা করে আমর্ড পুলিশকে দেওয়া হয়েছে ওনারা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে মাদক, স্বর্ণ, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে, তাদের ধরতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গপুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খালি গায়ে, খালি হাতে মিয়ানমার থেকে ২০১৭ সালে ৭ লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলেও ৫ বছরের ব্যবধানে মাদক, স্বর্ণ চোরাচালান ও মানব পাচার করে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন, তারা ক্যাম্পের বাইরে এসে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। অবৈধভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট করে রোহিঙ্গারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে যা অদূর ভবিষ্যতে এদেশের জন্য অশনিসংকেত বয়ে আনবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ অপরাধী মোবাশ্বর ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে নবী হোসেন সিন্ডিকেটের অনেক স্পর্শকাতর গোপন তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ রোহিঙ্গা ও পালংখালী ইউনিয়নের সুশীল সমাজের নেতারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, মোবাশ্বর ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে।


আরও খবর



রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক। মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজার ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের পরিবার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

রানাপ্লাজা ধ্বসে নিহত শ্রমিক আখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ের লাশটাও পাইনি। ঘটনার ছয় মাস পর ডিএনএ সেম্পলের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাদের গাফিলতিতে মেয়েকে হারালাম তাদের আজও বিচার হলো না। আমরা বিচার চাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তখন চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় মামলা করে রাজউক। পাশাপাশি ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ এগারো বছরে বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

এর মধ্যে হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু হলেও, অন্য মামলায় রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ। আসামিপক্ষ বলছে, মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন ভবন মালিক সোহেল রানা। অন্যদিকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।


আরও খবর



গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

আম ফল সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় এত পছন্দনীয় ফল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম পছন্দ করেনা। তাই একে সন্মান দিয়ে ʼফলের রাজাʼ বলা হয়। এই গরমে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি।

কাঁচা আমে অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ থাকে। এতে থাকা ফোলেট বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে উপকারিতা দেয়। পরিপাকজনিত সমস্যা দূর, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। এর আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গরমে প্রশান্তি দেয়

ওয়ার্কআউট করার পর এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস একটি দারুণ সতেজ পানীয় হিসেবে কাজ করে। এটি উত্তপ্ত তাপের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এই পানীয় শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য খনিজের ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। যেহেতু গরমের সময়ে ঘামের কারণে প্রয়োজনীয় খনিজের ক্ষয় হয়, তাই কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা রাখতে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

হজমের সমস্যায় উপকারী

গরমের সময় বেড়ে যাওয়া গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম বেশ ভালো কাজ করে। এটি পাচন রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্লতা, অম্বল, মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবারের সমৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

লিভার ভালো রাখে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এবং এর রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে ফ্যাট শোষণ বাড়ায়।

দাঁতের জন্য উপকারী

কাঁচা আম একটি শক্তিশালী ফল যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা করে এবং এটি দাঁতের গহ্বরের ঝুঁকি কমায়। শক্ত ও পরিষ্কার দাঁত পেতে চাইলে কাঁচা আম খাওয়া শুরু করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, এ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুলকে সুস্থ করে তোলে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন সাধারণ সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করে

বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ দেখিয়েছে যে কাঁচা আম খেলে তা রক্তস্বল্পতা, রক্ত জমাট বাঁধা, হিমোফিলিয়ার মতো রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কাঁচা আম কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে, রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে।

ক্ষতিকর দিক

পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে কাঁচা আম খেলে বদহজম, পেটে ব্যথা, আমাশয় এবং গলা জ্বালা হতে পারে। মনে রাখবেন, কাঁচা আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি পান করবেন না কারণ এটি জ্বালা বাড়ায়।


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো এবারের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আগুন ঝরা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে তাপদাহে ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই কাতর সবাই।

তপ্ত দুপুরে গরমের তীব্রতায় নাগরিক জীবনের এমন হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। গত বছর টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে।

আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ সকাল থেকেই বয়ে গেছে গরম হাওয়া। রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।

টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। তারপরও আগের স্টেশনগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে।

এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। তিনি বলেন, এতে বলা যায়, ৭৬ বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে গেল। এবার টানা যেমন তাপপ্রবাহ হয়েছে, আবার এর বিস্তৃতিও বেশি ছিল। এ বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা আগে কখনোই ছিল না।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এই তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এই মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এবার টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয়বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।


আরও খবর



সংকটে হজযাত্রীরা, ভিসা জটিলতায় তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

গত ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল হজ ভিসা আবেদনের সময়। এই সময়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় 

হজ করতে ইচ্ছুকদের অনেকেই ভিসার আবেদন করতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ সৌদিতে হাজিদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে না পারা। তবে এই সংকটের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। এ অবস্থায় বিশালসংখ্যক হজযাত্রীর হজ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল সৌদি সরকারের কাছে ভিসার জন্য আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হজের ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে ৯ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে হজ ফ্লাইট।

 

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক বলেন, কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, সেজন্য অংশীজন ও হজের সাথে সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা হয়েছে। তিনটি এয়ারলাইন্স থেকে বিমান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।

ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন,


বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে ইচ্ছুক হজযাত্রীদের বেশির ভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা এর 

অন্যতম কারণ। অল্প কয়েক দিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও 

সম্ভব না।

তিনি বলেন, সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ 

করা হয়েছিল। পাশাপাশি হজ এজেন্সিগুলো এ সময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা 

আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করতে 

হবে।

তবে অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, এখনো যেহেতু অনেক হজযাত্রীই ভিসার আবেদন করতে পারেননি- 

তাই এ অবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করা প্রায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ হজযাত্রীর সবাই ভিসা পাবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

হজ এজেন্সিগুলোর মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন ২৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার বাড়ি ভাড়ার টাকা সরকারের কাছে জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় সে অর্থ আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। একই সঙ্গে মোয়াল্লেম ভিসাও অনুমোদন করা হয়নি। এসব চ্যালেঞ্জের মুখে এবার হজ ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাড়ি ভাড়ার টাকা জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় এখনো সবার অর্থ 

সৌদি আরবের আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। ফলে মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানের জন্য মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলরকে তাগিদ দেওয়া হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তাই এ জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ই দায়ী।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন অবস্থানে মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত 

এজেন্সিগুলোর বিষয়ে বেশ কঠোর অবস্থায় মন্ত্রণালয়। তাই হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময়ই বলা হয়েছিল, এ বছর ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসার আবেদন করা যাবে। কিন্তু এই সময়ে অর্ধেকের বেশি হজযাত্রী ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এ ছাড়া অনেক এজেন্সি নির্দিষ্ট সময়ে টাকাও জমা দেয়নি। ফলে শেষ সময়ে এই বিপুলসংখ্যক টাকা ট্রান্সফার করতেও সময় লাগছে।

এজেন্সিগুলোকে দোষারোপ করে মন্ত্রণালয় বলছে, হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে গত বছরের ৩০ জুন 

এজেন্সিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এই ইস্যুকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়েছে। এখন শেষ সময়ে তারা বাড়ি ভাড়া করতে পারছে না বলে মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছে। প্রতিবারই তারা এ কাজগুলো করে মন্ত্রণালয়কে চাপে রাখে। এ ছাড়া সৌদি আরবে হাজিদের থাকা-খাওয়ায় কোনো সমস্যা হলে দায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি 

দিয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি হজ ও ওমরা হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিয়ম পরিবর্তন করেছে সৌদি সরকার। এর অংশ হিসেবে 

এখন থেকে যেকোনো ভিসায় ওমরাহ পালন করা যাবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল দেশটির 

হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তায় বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে ওমরাহ পালন করা যাবে। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে ওমরাহ করতে কোনো বাধা নেই।

 অবস্থায় ওমরাহ করতে ইচ্ছুক অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সিকে টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ 

উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এজেন্সি মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন বলেন, নতুন নিয়মের কারণে হঠাৎই ওমরা ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। তবে হজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আবার ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করবে তারা। এ ক্ষেত্রে হজ প্রত্যাশীরা চাইলে এজেন্সির কাছ থেকে টাকা ফিরিয়ে নিতে পারেন অথবা ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করলে আবেদন করতে পারেন।

উল্লেখ্যচাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ বা ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



গজারিয়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন চিহ্নিত মাদক কারবারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল,জেলা প্রতিনিধি  মুন্সিগঞ্জ :

আসন্ন ০৮ এপ্রিল প্রথম ধাপে দেশের কয়েকাংশে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই যাত্রায় অনুষ্ঠিত হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডোনেশন তৎপরতা বেড়েছে স্থানীয় মাদক কারবারীদের। স্থানীয় সূত্র জানা যায় ক্ষমতায় যেতে মড়িয়া মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয়  চক্রটি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও সরাসরি মাদক কারবারে সাথে জড়িত বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আতংক ২২ মামলার আসামি,  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু। এই নির্বাচনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পেয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীক। বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ও তার আশেপাশে এলাকায় তার পেশীশক্তির প্রভাবে চালান রমরমা মাদক ব্যবসা। নিজের আপন বড় ভাই বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বর্তমান ও দুইবারের চেয়ারম্যান সেই সুবাদে তার এলাকায় মাদক কারবার ও পেশীশক্তির সংশ্লিষ্ট আধিপত্যতা রয়েছে দীর্ঘদিনের।


মাদক কারবার জমি দখল চাঁদাবাজি করে বাগিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যম হিসেবে এই পরিবার বেছে নিয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে। অভিযোগ রয়েছে নিজের আপন বড় ভাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে খরচ করেছেন মাদক কারবার হতে বাগিয়ে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা।

বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম মন্টু মানেই একটি ভয়াভয় অংতকের নাম। এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় তীব্রভাবে দাবী করে বেড়াচ্ছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যান্ডিডেট হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী মোঃ ফয়সাল বিপ্লবের নিজস্ব ব্যাক্তিগত প্রার্থী হিসেবে এবং তিনিই তাকে এই নির্বাচনে পাশ করিয়ে দিবেন এমন গুঞ্জন ও আংতক বিরাজ করছে স্থানীয় ভোটাদের মাঝে।  এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকরা ও তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে ভয় পায়। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় এলাকায় এমন সংবাদ হারহামেশাই বলাবলি হচ্ছে সাইফুল ইসলাম মন্টুর মাদক কারবার ও পেশীশক্তির মাধ্যমে আয় করা অর্থের ভাগ পান বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লব। তাই এই মর্মেই বোধহয় এমন পেশীশক্তি অধিপত্যেতা বজায় রেখেছেন তিনি। বারবার নানারকম অপকর্ম প্রশাসনের নাকের ডগায় করেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেড়িয়ে যান সদম্ভে।

এই প্রার্থী ছাড়াও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গজারিয়া উপজেলায় চিহ্নিত মাদক কারবারিদের ডোনেশন (বিনিয়োগ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় একাধিক প্রার্থী পক্ষে। মাদক কারবারিদের নির্বাচনে লগ্নি করা অর্থ লুফে নিচ্ছেন একাধিক প্রার্থী বিনিময়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পাশ করলে করতে পারবেন নিরাপদ মাদক ব্যবসা।


এই তালিকায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু শীর্ষে অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে একাধিক প্রার্থীর পক্ষে।

এই তালিকায় মাদক কারবারী না হলেও মাদকসেবী হিসেবে এলাকায় খ্যাতি রয়েছে আরেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুনায়েত হোসেন মনির পেয়েছেন তালা প্রতীক।

মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশে পরের অবস্থানে রয়েছে বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এই নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি পেয়েছেন পদ্মফুল প্রতীক তিনিও মুন্সীগঞ্জ -০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লবের নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালাচ্ছেন জনসংযোগ কালে। তার একাধিক কোটিপতি মাদক কারবারি ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশীশক্তিশালীদের সাথে রয়েছে নানা সম্পর্ক।

এই তালিকায় তারপরের অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেসা উত্তরা ও আরেকজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুসরাত বেগম মিতু তাদের নির্বাচনী প্রচরনা ও গনসংযোগ কালে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তারাও গুপ্তসন্ধি করেছেন এলাকাবেধে স্থানীয় মাদক কারবারিদের সাথে এমন খবর চাউর হয়েছে স্থানীয় ভোদের মাঝে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম ও মনসুর আহাম্মেদ খান জিন্নাহ্ শিবিরেও ভয়ংকর মাদক কারবারিদের আঁতাত করা সর্ম্পক ও যোগসাজশ রয়েছে এবং এই সব মাদক কারবারিদের দেখা যায় তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় সরব উপস্থিতি হিসাবে।

এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত ও আংতকিত গজারিয়া উপজেলাবাসী মাদক ব্যবসায়ী ও পেশীশক্তিশালীরা ক্ষমতায় গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করবে সারা গজারিয়া উপজেলা জুড়ে।

স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানতে পারি ভালো প্রার্থী না থাকায় সচেতন ভোটাররা ভোট বয়কট করবেন সেই হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে গজারিয়া উপজেলার এই নির্বাচন স্মরনকালের সব থেকে কম ভোটার উপস্থিতি হবে।


আরও খবর