Logo
শিরোনাম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগ্রহ মিয়ানমারের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগ্রহ দেখিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ।গেলো পাঁচ বছরে নানা আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আহবান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

সবশেষ জাতিসংঘে দেয়া ভাষণেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়াকেই সমাধান বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা সময়ের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে প্রায় ১২ লাখ। কিন্তু তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের কোন উদ্যোগেই কার্যকর সাড়া দেয়নি মিয়ানমার। তাই আলোর মুখ দেখেনি রোহিঙা প্রত্যাবাসন।

গেলো ১৩ অক্টোবর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং প্রথমবারের মতো জানিয়েছিলেন; তাঁর দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছে। যা নিয়ে তিনি আশাবাদি। এবং এ সংক্রান্ত অগ্রগতি তাঁরা যথাসময়ে জানাবেন।

এরপরই বৃহষ্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এর বৈঠক। একান্ত এই বৈঠক শেষে নিজ মন্ত্রনালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান; আগের আলোচনার ভিত্তিতেই মিয়ানমার প্রত্যাবাসনে রাজি। আর এ বিষয়ে চীনের সাথে দেশটির সুসম্পর্কে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।

পররামন্ত্রী বলেন জানান আসছে নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশা রাখে বাংলাদেশ।

আপাতত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে থাকা প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়ার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে সীমান্তে মর্টার শেল পড়ার মতো আর কোন উত্তেজনা ছড়াবেনা বলেও আশ্বস্ত করেছে নেইপিদো। 

আরও খবর



আগুনে পুড়লো লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ডেমরার ধার্মিকপাড়ায় একটি গ্যারেজে আগুন লেগে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস পুড়ে গেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসের আগুন

ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নিসোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তের পর জানা যাবে


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




শনিবার শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুত মাভাবিপ্রবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল)। এ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।

জানা যায়, এবছর বিজ্ঞান এ ইউনিটে প্রায় ১২ হাজার আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিবে ১ লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষার্থী। ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেবে ৪৫৬০ জন শিক্ষার্থী। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত মাভাবিপ্রবি ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ জানান মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ৪৫৬০ জন, বি ইউনিটে ২১২৯ জন ও সি ইউনিটে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এছাড়াও আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায়  ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাভাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

উল্লেখ্য মাভাবিপ্রবি জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে টাঙ্গাইল শহরের দুই প্রবেশদ্বার (আশেকপুর বাইপাস ও রাবনা বাইপাস) থেকে বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। 

এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবির পরিবহন পরিচালক ড. মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম লিটন জানান, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ২৭ এপ্রিল, ৩ মে ও ১০ মে তারিখে নগর জলফৈ বাইপাস থেকে একটি বাস এবং রাবনা বাইপাস থেকে একটি বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে আসবে। ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারিত দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ট্রিপ বন্ধ থাকবে। উল্লিখিত সময় ব্যতীত ছাত্র-ছাত্রীদের সব ট্রিপ পূর্বের ন্যায় অপরিবর্তিত থাকবে


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ দিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতি বর্হিভূত এবং গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।

 এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজাজামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দুঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, সরকারের প্রতিনিধিগণ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের লক্ষে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

 এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বরাবরের মতো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সাথে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।


আরও খবর



উখিয়ায় নিহত বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় মাটি পাচারকারীদের ট্রাকের চাপায় নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ রবিবার রাত ৯টায় গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামে তার দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে ভবেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বহন করা মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি  ভিটিকান্দি তার নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে, সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়। অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে ঐ এলাকার বাতাস। সাজ্জাদুজ্জামান'কে একনজর দেখতে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী ভিড় করেন।

এদিকে ছেলে'কে হারিয়ে দিশাহারা পুরো পরিবার। বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বাবা শাহজাহান মাস্টার মা ওম্মে কুলসুম। শোকে স্তব্ধতায় পুরো গ্রাম। পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছুটে আসছে গ্রামের বাসিন্দারা। 

নিহতের বাবা শাহজাহান মাস্টার বলেন, শনিবার গভীর রাতে উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড়ের মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে  মোটরসাইকেলে করে আমার ছেলে সাজ্জাদ ঘটনাস্থলে গেলে মাটি পাচারকারীরা ট্রাক চাপা দিয়ে আমার ছেলে'কে হত্যা করে। রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ছেলের কর্মস্থল উখিয়ায়

প্রথম জানাজার পর আমার ছেলের মরদেহ গ্রামে পৌঁছায়। এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানান শেষে তাকে ভবেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, নিহত সাজ্জাদুজ্জামান কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ভুক্ত উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগদান করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় বাইকারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদ এলেই মহাসড়কে বেড়ে যায় মোটরসাইকেলের চলাচল। দুই চাকার এ মোটরযানে করে বাড়ি ফেরেন অনেকেই। তাই এ সময় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনাও বেড়ে যায় চোখে পড়ার মতন। এবার এ বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ প্রশাসন। মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ব্যবস্থা করা হচ্ছে আলাদা লেনের।

সূত্রমতে, দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন করে দেওয়া হবে এবারের ঈদযাত্রাকে ঘিরে। এক্সপ্রেসওয়ের ৪০ কিলোমিটার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার মুন্সিগঞ্জ জেলার আওতাধীন। এই অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত দুই শতাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবারের ঈদযাত্রায়। মহাসড়কে তিন চাকার যান নিয়ন্ত্রণেও তদারকি করবে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই মোটরসাইকেল চলাচল বহুগুণ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনাও। তাই এবার ঈদের আগে দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।

এর অংশ হিসেবে সড়কের কোথাও যেন পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে না রাখা হয় সেটিও তদারকি করবেন পুলিশ সদস্যরা।

ঈদযাত্রা ঘিরে নিজেদের প্রস্তুতির ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেছেন, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অংশ চলে গেছে এ জেলার ওপর দিয়ে। তাই এবার ঈদে বাড়ি ফেরা নিরাপদ করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে।

তিনি জানান, এবারই প্রথম মোটরসাইকেলের জন্য স্পেশাল লাইন থাকবে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে। তিন চাকার যানবাহন যেন ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করতে না পারে সে ব্যবস্থাও থাকবে।


আরও খবর