মইনুল ইসলাম মিতুল : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগ্রহ দেখিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ।গেলো পাঁচ বছরে নানা আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আহবান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
সবশেষ জাতিসংঘে দেয়া ভাষণেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়াকেই সমাধান বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা সময়ের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে প্রায় ১২ লাখ। কিন্তু তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের কোন উদ্যোগেই কার্যকর সাড়া দেয়নি মিয়ানমার। তাই আলোর মুখ দেখেনি রোহিঙা প্রত্যাবাসন।
গেলো ১৩ অক্টোবর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং প্রথমবারের মতো জানিয়েছিলেন; তাঁর দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছে। যা নিয়ে তিনি আশাবাদি। এবং এ সংক্রান্ত অগ্রগতি তাঁরা যথাসময়ে জানাবেন।এরপরই বৃহষ্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এর বৈঠক। একান্ত এই বৈঠক শেষে নিজ মন্ত্রনালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান; আগের আলোচনার ভিত্তিতেই মিয়ানমার প্রত্যাবাসনে রাজি। আর এ বিষয়ে চীনের সাথে দেশটির সুসম্পর্কে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।
পররামন্ত্রী বলেন জানান আসছে নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশা রাখে বাংলাদেশ।
আপাতত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে থাকা প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়ার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে সীমান্তে মর্টার শেল পড়ার মতো আর কোন উত্তেজনা ছড়াবেনা বলেও আশ্বস্ত করেছে নেইপিদো।