Logo
শিরোনাম

সাংগ্রাই উৎসবে মেতেছে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা,নতুন বছরকে স্বাগত জানায় একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

মো.নাহিদুল হকঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আদিবাসি রাখাইন সম্প্রদায়েদের তরুণ-তরুণীরা মেতেছে পানি খেলায়। একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় তারা। একই সঙ্গে চলে নাঁচ-গান ও আতিথীয়তা। আর উৎসব স্থলে নিজস্ব সংস্কৃতির নতুন পোশাকে দলবেঁধে জড়ে হয় যুবক-যুবতি, আবাল-বৃদ্ধা ও শিশুরা।

বর্ষবরণ বা সাংগ্রাই উপলক্ষে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলাতলীর রাখাইন পল্লীতে বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস আইসিডিপি রাখাইন প্রকল্পের উদ্যোগে রাখাইন যুব ফোরাম এ উৎসবের আয়োজন করেন।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জলকেলি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধন করেন কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মি. ফ্রান্সিস ব্যাপারী। এসময় কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে ভিক্ষু ইন্দ্রবংশ, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক আঃ রাজ্জাক খান, কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এসকে রঞ্জন, সাংবাদিক উত্তম কুমার হাওলাদার,মো.হাবিবুল্লাহ খান রাব্বি, রাখাইন সমাজপতি বাবু তেননান রাখাইনসহ রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সংঞ্চালনা করেন, কারিতাস আইসিপি প্রকল্পের সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা বাবু মংম্যা।

স্থানীয় রাখানইদের সূত্রে জানা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সাংগ্রাই উৎসবে যোগ দেয়। করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর উৎসব করতে পারেনি তারা। তবে এবছর উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে রাখাইন পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উৎসব মূখর পরিবেশ।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া রাখাইন কিশোরী টেংনে বলেন, সব দুঃখ দুর্দশা ভুলে নতুন করে পথ চলার জন্যই এ উৎসবে মিলিত হয়েছি। একই কথা বললেন চোচো রাখাইন,খেংনচানসহ আরোও অনেকে।

রাখাইন গৃহবধূ মায়া বলেন, সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে পুরো মাস জুড়ে প্রতিটি রাখাইন পল্লীর ঘরে রান্না নিরামিষ ভোজের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও  তৈরি হয় হরেক রকম বিন্নি চালে পিঠাপুলি। বয়োবৃদ্ধ নিনিসে রাখাইন জানিয়েছেন, পাঁপ মোচনের ব্রত হয়ে উৎসবের এই দিনে সাকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৌদ্ধ বিহারে পরিস্কার পোশাকে গমন প্রার্থণা করা হয়েছে।

কারিতাস আইসিপি প্রকল্পের সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা বাবু মংম্যা বলেন, রাখাইনের ইতিহাস ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌছে দেবার জন্য কারিতাস প্রতি বছরের মতো এবছরও এ উৎসবের আয়োজন করেছে। 

কারিতাস’র আঞ্চলিক পরিচালক মি. ফ্রান্সিস ব্যাপারী বলেন, এক সময় রাখাইন শিশুরা তাদের ভাষায় কথা বলতে পারলেও লিখতে পারত না। শিশুদের মাতৃভাষা শিখানের জন্য ভাষা কেন্দ্র চালু হওয়ায়  এখন তারা লিখতে ও পড়তে পারে। কারিতাস রাখানদের সংস্কৃতি ধরে রাখতে এ অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে।






আরও খবর



ঝালকাঠিতে স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় স্বামী কারাগারে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দফায় দফায় যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতনের পর ১৩ মে ২০২৩ তারিখে গর্ভের ভ্রণ নষ্ট করেছেন অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী। ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে পাওয়া গেছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

সবশেষ স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় মঙ্গলবার জামিন নিতে গেলে ঝালকাঠি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মেহেদী হাসান বাপ্পীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এখন মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগীদের হুমকিও দিচ্ছেন এই প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিবার। তিনি

নাচলমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেবরা আরিফুর রহমান খানের ছেলে। মেহেদী হাসান বাপ্পী পরিবার পরিকল্পনা চাকরি করেন।

নির্যাতীত নারীর মা অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে তার মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেন

মেহেদী হাসান বাপ্পী কাছে এক বছর যেতে না যেতে শুরু হয় মেয়ের উপর অত্যাচারের ও তার কাছে টাকা দাবি করেন।

নির্যাতনের শিকার নারী অভিযোগ করেন, স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী তার কাছে টাকা দাবি করেন দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি তারপরে প্রায় শারীরিক নির্যাতন করত ।

কিন্তু প্রায় ছয়মাস আগে পেটের ওপর আঘাত করে চারমাস বয়সি গর্ভের ভ্রণ নষ্ট করেছেন স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী।এরপরই তিনি বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলাতেই সোমবার স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী কারাগারে গেছেন। এখন বিভিন্নভাবে মেহেদী হাসান বাপ্পী লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তিনি আইনি সহায়তা দাবি করেছেন।মেহেদী হাসান বাপ্পী কারাগারে থাকায় স্বীকার করেন তার স্বজনরা।


আরও খবর



মে মাসের তাপমাত্রা হবে আরও ভয়ংকর

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অফিস আজ শনিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে বাংলাদেশের সব স্থানে দীর্ঘতম সময়ের তাপদাহ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাসসকে বলেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে।

তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারাদেশে চলমান তাপদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।

দেশ গত ১ এপ্রিল থেকে গত ২৫ দিন ধরে তাপপ্রবাহের দীর্ঘতম সময় প্রত্যক্ষ করছে এবং আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে এ অবস্থা পরবর্তী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক মন্তব্য করেন, আগের তাপদাহের বিপরীতে এ বছর তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেসাও একথা সমর্থন করেন।

দৃশ্যত, প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্বীকার করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করেছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে।

তারা বলছেন, তাপদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ , পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।

বিকেল ৩টায় জারি করা আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, যশোরে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করার এক দিন পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও উচ্চ আর্দ্রতা নগরবাসীদের ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি প্রবল তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় প্রবল তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মতো এপ্রিল মাসে সাধারণত বাংলাদেশ   গরম থাকে, তবে আবহাওয়াবিদদের মতে এ মাসে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল যা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও প্রাধান্য পায়।

নিউইয়র্ক টাইমস অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিটস্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরো অসহ্য করে তোলে।

চরম আবহাওয়ার কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও কিছু করতে পারছে না বা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

আয়াজুর রহমান নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র বলেন, আমার পড়াশোনা বা কিছু করতে ভালো লাগছে না।. . . আমার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না।

পরিস্থিতি গৃহিণী ও নারীদের চরম দুর্দশায় ফেলেছে। বিশেষ করে রান্নার ক্ষেত্রে। এক গৃহিণী বলেন, আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে, মনে হয় চুলার কাছে গেলে আমি মাটিতে পড়ে যাব।

তাপদাহ হাজার হাজার লোককে শহরের মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধা এবং গ্রামীণ খোলা মাঠে জড়ো হতে বাধ্য করে। প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তির জন্য মানুষ বৃষ্টি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করছেন।

তাপদাহের কারণে এপ্রিলের শুরু থেকে হাসপাতালগুলো বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে। এসময় তাপজনিত অসুস্থতা নিয়ে বেশিসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে। এই দীর্ঘায়িত গরম আবহাওয়ায় শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: নিয়াতুজ্জামান বলেন, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টে বিপুল সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং তারা গরমজনিত অন্যান্য রোগেও ভুগছে।

শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)সহ অন্যান্য হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই ধরনের পরিস্থিতির কথা বলছে।

দুই দিন আগে আইসিডিডিআরবির মুখপাত্র এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান  বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ  (আইসিডিডিআর,বি) প্রায় ৫০০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সংকট মোকাবেলায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ জারি করেছে।

ডাক্তাররা হিটস্ট্রোক থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকার এবং সূর্যের সংস্পর্শে আসার সময় আবহাওয়ার উপযোগী পোশাক পরার এবং তাপদাহের সময় পানিশূন্যতা এড়াতে পানির পাশাপাশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার এবং কাজের সময় এক বা দুই ঘণ্টা পর পর বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা: খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের মস্তিষ্ক নির্দিষ্ট মাত্রার তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, যদি তা বেশি হয় তবে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং কিডনির কর্মহীনতাসহ অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যসহ সবজির দাম লাগামহীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবজির দাম আরও বেড়েছে। প্রচ- গরমে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগি ও ডিমের দামও বেড়েছে। রাজধানীতে প্রতি ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কয়েকদিন আগেও এই ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা বাড়লেও বাজারে ডিমের সরবরাহ এখনো কম। এ ছাড়া তীব্র গরমে মরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই আগেভাগে বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগি। এতে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। এর প্রভাব পড়ছে ডিমের দামে। অস্থিরতা থামছে না মুরগির বাজারেও। গরমে মুরগি লালন-পালন ব্যাহত হওয়ার অজুহাত থেকে মুক্তি মিলছে না ক্রেতাদের। বাজারে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা আর দেশি জাতের জন্য গুনতে হবে ৭০০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, গরমের প্রভাব পড়েছে সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের খেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে বাজারে দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে সব সময় ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অধিকাংশ সময় ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ছিল।এ ছাড়া বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের মতো সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা মাহমুদ খান বলেন, সবজির সরবরাহ কম। গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। গ্রামগঞ্জের মোকামগুলোতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দাম ৮-১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। সেভাবে ঢাকার বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রচ- গরমের কারণে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও ৬০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দাম কমেনি। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে।

 

শনির আখরা বাসিন্দা ইমরান বলেন, যেভাবে মুরগির দাম বাড়ছে তাতে কেনাই মুশকিল। সাধারণ মানুষ মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্রয়লার মুরগির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েই চলছে। অথচ এক-দেড় বছরে বেতন বাড়েনি এক টাকাও। সাধারণ ক্রেতার কথা ভেবে বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখি না। এত দাম দিয়ে সাধারণ নিম্নআয়ের ক্রেতাদের ব্রয়লার মুরগি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়।


আরও খবর



রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর



সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিন ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তীব্র গরমের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মাউশির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ওইদিনের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দাবদাহের মধ্যে না খুলে আগামী সাত দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এমন অবস্থার মধ্যে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় মাউশি।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪