আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম ব্যাপক কমেছে। গত ৭ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) হ্রাস পেয়েছে। এ নিয়ে বিগত আড়াই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তা কমলো। ফলে সুদের হার কমানোর পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। তাতে মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটেছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ডলার সূচক শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ নিম্নমুখী হয়েছে। বর্তমানে সেটা ১০১ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এতে প্রায় প্রতিটি বৈশ্বিক মুদ্রার মান বেড়েছে।
এদিন সবচেয়ে বেশি লাভের মুখ দেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরো। প্রতি ইউরোর দর স্থির হয়েছে ১ দশমিক ০৮৭২৫ ডলারে। গত ৯ মাসের মুদ্রা যা সবচেয়ে বেশি।
প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিরুদ্ধে বেশ শক্তিশালী হয়েছে জাপানের মুদ্রা ইয়েন। ডলারপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৭ দশমিক ৩৮ ইয়েনে। গত ৭ মাসের মধ্যে তা সর্বাধিক।
ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। প্রতি স্টার্লিং বিক্রি হয়েছে ১ দশমিক ২২৮৮ ডলারে। গত এক মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এছাড়া নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলীয় ডলারের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
২০২২ সালে গত ৪০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি চড়া হয়। এতে মার্কিন অর্থনীতি ধীর হয়। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গা থেকে তা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এতে কঠোর মুদ্রানীতি থেকে সরে আসছে ফেড।
ওসিবিসির বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী মাসগুলোতে সিপিআই আরও কমতে পারে। সবশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক তথ্য সেই আশা জাগাচ্ছে।
গত বছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় সুদের হার বাড়ায় ফেড। ৪বার ৭৫ এবং ১বার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ায় তারা। এতে গ্রিনব্যাকের দর বাড়ে ৮ শতাংশ।