মো.নাহিদুল হকঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার উপকুলীয় জনপদে বেড়েছে ব্যাপকহারে তরমুজের চাষ। এখন আবহাওয়া ও পরিবেশ তরমুজ চাষের বেশ উপযোগী। এছাড়াও কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তরমুজ চাষে। তরমুজ অপেক্ষাকৃত সুমিষ্ঠ হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কাছে এর চাহিদাও প্রচুর। উপকূলের বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে রয়েছে তরমুজের সবুজ গাছ।
ফুল ফলে ভরে গেছে কৃষকের স্বপ্নের ক্ষেত। এখনই সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে তরমুজ। উৎপাদন ও দাম ভালো পাওয়ায় কলাপাড়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর দ্বিগুন পরিমান জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, কলাপাড়ার অনেক গুলো ইউনিয়নে তরমুজের ক্ষেতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন চাষীরা। পুরো ভরা মৌসুম জুড়ে চলছে পরিচর্যা, কাটা, পরিবহন ও বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের প্রস্তুতিপর্ব। চাষের উপযোগী জমি কমে যাওয়ায় তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত ধানখালী ইউনিয়নে অনেক কৃষক পার করছে বেকার সময়।
গত মৌসুমে করোনায় সরবরাহ বা বাজারজাত করতে না পারায় দাম পাননি চাষীরা। তবে এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। তবে মিষ্টি পানি সংরক্ষনের জন্য ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো খননের জোর দাবি জানান প্রান্তিক কৃষকরা।
ধুলাস্বর, লতাচাপলী ,ডালবুগঞ্জ ,লালুয়া,মিঠাগঞ্জ,নীলগঞ্জ,ধানখালী ইউনিয়নের তরমুজ চাষিরা বলেন, গত বছর কাজের লোকজনের বেতন দিয়ে ভাল টাকা লাভ হয়েছে। এ বছর এখনও বলতে পারবনা কিন্তু গাছের অবস্থা এখনো ভাল রয়েছে। অনেক টাকা এ বছর তরমুজের পিছনে ব্যয় করছি। আমরা তরমুজ ক্ষেতের পাশাপাশি মিষ্টি কুমরার,করলা,মুসুরি ডাল চাষ করি। গত মৌসুমে করোনায় সরবরাহ বা বাজারজাত করতে না পারায় দাম ভাল হয়নি। এবার সে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠবো। তবে বৃষ্টির কারনে তরমুজ ক্ষেতে ভাইরাস দেখা দিয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত বছর কলাপাড়ায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছিল। সেখানে এবার চাষাবাদ হয়েছে আরো বেশি। ভিক্টর সুগার, ওশেন সুগার, গেন্ডারি, বাংলালিংক, বøাকবেরি, স্থানীয় ও অন্যন্যা জাতের তরমুজ চাষ হয় এ এলাকায়।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ জানায়, কলাপাড়ায় দুই হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হবে।