Logo
শিরোনাম

শিশুর জন্মগত হৃদরোগে চিকিৎসা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মানুষে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র থাকা মূলত একটি জন্মগত ত্রুটি সাধারণত গর্ভাবস্থায় শিশুর হৃৎপিণ্ডের বিকাশজনিত সমস্যা কারণে এই ছিদ্র দেখা দিতে পারে
বাংলাদেশ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের করা সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গিয়ে, দেশটিতে প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে আট থেকে নয়জন এই হৃদপিণ্ডের ছিদ্রজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে

তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করছেন- বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রধান এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. খলিফা মাহমুদ তারিক। যদি শুরুতেই সমস্যাটি ধরা পড়ে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব। তবে যদি দেরী হয়, জটিলতা ততো বাড়ে

এর চিকিৎসা কেমন হবে সেটা নির্ভর করে ছিদ্রটি হার্টের কোথায় আছে এবং ছিদ্রটি কতো বড় সেটার ওপর।হৃদপিণ্ডের ছিদ্রের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ-এনএইচএস এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে

হৃদপিণ্ডে ছিদ্র
মানুষের হৃৎপিণ্ডের চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে। ওপরের দুটি হল অলিন্দ বা অ্যাট্রিয়া নিচের দুটি নিলয় বা ভেন্ট্রিকল। ওপরের দুটি অ্যাট্রিয়া ইন্টারএট্রায়াল সেপ্টাম নামক পর্দা দিয়ে আলাদা করা থাকে এবং নিচের দুটি ভেন্ট্রিকল আলাদা করে রাখে ইন্টারভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাম নামে আরেকটি পর্দা

শিশুরা হার্টের বিভিন্ন অংশে ছিদ্র নিয়ে জন্মাতে পারে। ওপরের প্রকোষ্ঠের পর্দায় কোন ছিদ্র থাকলে তাকে অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট (এএসডি) বলা হয়। নিচের পর্দার মধ্যে কোন ছিদ্র থাকলে তাকে ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (ভিএসডি) বলে

এই ছিদ্রের কারণে হার্ট ফুসফুসের মধ্যে রক্ত চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। মানবদেহের ফুসফুস রক্তে অক্সিজেনের যোগান দেয়। আর সেই অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সারা শরীরে পরিবহনের কাজ করে হৃদপিণ্ড

শরীরের দূষিত রক্ত মহাশিরার মাধ্যমে প্রথমে হৃদপিণ্ডের ডান অলিন্দে প্রবেশ করে তার পর ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। এই নিলয় থেকে দূষিত রক্ত ফুসফুসীয় ধমনীর মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায়

ফুসফুস ওই দূষিত রক্তে অক্সিজেনের যোগান দেয়। এরপর ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত হৃদপিণ্ডের বাম অলিন্দে প্রবেশ করে এরপর বাম নিলয়ে যায়। হৃদপিণ্ডের বাম নিলয়ে আসা এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ বিশুদ্ধ রক্ত মহা-ধমনীর মাধ্যমে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়

হার্টে ছিদ্র থাকলে অর্থাৎ এএসডি বা ভিএসডি থাকলে ফুসফুসের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রক্ত চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। কারণ ছিদ্রটি রক্তের স্বাভাবিক গতিপথে বাধা দেয়

বাম অলিন্দ থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বিশুদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, এএসডি এর কারণে কিছু বিশুদ্ধ রক্ত ডান অলিন্দে চলে যায়। এতে বিশুদ্ধ রক্ত দূষিত রক্তের সাথে মিশে যায় এবং ফুসফুসের দিকে প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়

আবার ভিএসডি থাকলে বাম নিলয়ের কিছু বিশুদ্ধ রক্ত ছিদ্র দিয়ে ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। এতে বিশুদ্ধ দূষিত রক্ত একসাথে মিশে যায়। এই রক্তই আবার ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে। ছিদ্র বড় হলে বা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে হার্ট এবং ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে

এতে ফুসফুসের ধমনীতে রক্তচাপ বেড়ে যায়। হৃৎপিণ্ডকে তখন রক্ত পাম্প করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এতে হার্টের ভালভের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়

এছাড়া ফুসফুসের ধমনীতে উচ্চ রক্তচাপ বা পালমোনারি হাইপারটেনশন দেখা দিতে পারে। যা স্থায়ীভাবে ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। এতে ফুসফুস অক্সিজেন সরবরাহে ব্যর্থ হয়। যা শিশুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে

শিশুর হার্টে ছিদ্র কেন হয়
শুরুতেই বলা হয়েছে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র হওয়া একটি জন্মগত ত্রুটি। অর্থাৎ শিশু হার্টে ছিদ্র নিয়েই জন্মায়। বাহ্যিক কোন কারণে হার্টে ছিদ্র হওয়ার নজির নেই।
মাতৃগর্ভে শিশুর হৃৎপিণ্ড একটি নল থেকে বিকশিত হয়, এরপর সেটি চারটি প্রকোষ্ঠে ভাগ হয়। সেই প্রকোষ্ঠের দুটি অংশ আলাদা করতে পর্দা গড়ে ওঠে।
এই প্রক্রিয়া চলাকালীন কোন সমস্যা হলে ছিদ্র দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন, ডা. খলিফা মাহমুদ তারিক

জেনেটিক সমস্যা যেমন: ডাউন সিনড্রোম থাকলে শিশুর হার্টে ছিদ্র দেখা দিতে পারে। সেইসাথে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে যদি মায়ের রুবেলা হয় তাহলে শিশুর হার্টে ছিদ্র বা হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ে

মায়ের যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকে।গর্ভকালীন মায়ের ভাইরালজনিত ইনফেকশন হলে। মা গর্ভকালীন অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগলে। সেইসাথে মায়ের মদ তামাক জাতীয় পণ্য খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এবং বিভিন্ন মাদক সেবনের কারণেও এমনটা হতে পারে

এছাড়া গর্ভবতী থাকাকালীন মা যদি খিঁচুনি প্রতিরোধী ওষুধ, কোলেস্টরেল কমানোর ওষুধ, ব্রণের ওষুধ এবং মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন। সেটিও শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াও শিশুর হার্টে ছিদ্র দেখা দিতে পারে

লক্ষণ
শিশু বড় হতে থাকলে তাদের ছুটোছুটি বাড়ে। এতে হার্টের ওপর চাপ বাড়ে। তখন লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। হার্টের ছিদ্র ছোট-বড় হওয়ার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো কেমন হবে

  • যদি ছিদ্র ছোট হয়, তাহলে শিশু জোরে জোরে শ্বাস নেয়, ঘন ঘন কাশি শ্বাসকষ্ট হয় এবং শ্বাসনালীতে ইনফেকশন বা নিউমোনিয়া হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়
  • তার সম বয়সী অন্য শিশুদের মতো পরিশ্রম করতে পারে না। সামান্য খেলাধুলা বা ছোটাছুটি করলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীর দুর্বল লাগে, ক্লান্তিতে ঝিমিয়ে পড়ে
  • অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন বা এরিথমিয়া, ছিদ্র দিয়ে রক্ত প্রবাহের কারণে হার্ট থেকে মারমার জাতীয় শব্দ বের হয়। বুক ধকধক করতে থাকে, অনেক সময় খালি চোখে বুকের মাংসপেশির লাফানো দেখা যায়
  • সব সময় জ্বর বা অসুস্থতা থাকে
  • খেতে পারে না, ক্ষুধামন্দা
  • খাওয়ার সময় ক্লান্ত হয়ে যায়, কান্নাকাটি করে বা অল্পতেই ঘামতে থাকে
  • কান্নার সময় দম আটকে যাওয়া
  • শারীরিক বৃদ্ধি দেরিতে হওয়া, বয়সের সাথে ওজন না বাড়া
  • কাজে বা পড়ালেখায় মনোযোগ থাকে না
  • পা, পায়ের পাতা পেট ফুলে যায়

যদি ছিদ্র বড় হয়, তাহলে উপরের সমস্যার পাশাপাশি শিশু উচ্চ-রক্তচাপে ভোগে। ফুসফুসে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহের অভাবে অক্সিজেন স্বল্পতায় অনেক সময় শিশুর ঠোঁট, জিহ্বা নীল হয়ে ওঠে। ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে

চিকিৎসা
সাধারণত চেস্ট এক্স-রে, ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (EKG), ইকোকার্ডিওগ্রাম, কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে এই ছিদ্র আছে কী না তা শনাক্ত করা হয়। হার্টের জন্মগত এসব ছিদ্রের চিকিৎসা নির্ভর করে ছিদ্রের আকার অবস্থানের ওপর। ছোট আকারের ছিদ্র কয়েক মাস পর নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়

হার্টের এই ছিদ্র বড় নাকি ছোট সেটা নির্ভর করে রোগীর বয়সের ওপর। বিষয়ে মি. তারিক বলেন, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য চার থেকে পাঁচ মিলিমিটার ছিদ্র অনেক ছোট। কিন্তু এই ছিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক বড়।

হার্টে ছিদ্রের কারণে যেহেতু দূষিত বিশুদ্ধ রক্ত মিশে যায়। ছিদ্র ছোট হলে কম রক্ত মিশ্রিত হয়, ছিদ্র বড় বলে বেশি রক্ত মিশে।সেক্ষেত্রে ছোট ছিদ্রগুলো বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগ করে ফুসফুসের বাড়তি রক্তের চাপ কমিয়ে রাখা হয়

তবে মাঝারি বা বড় আকারের ছিদ্র হলে জটিলতা প্রতিরোধ করার জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম দিকে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।আবার রক্তনালীর ভালভের খুব কাছে ছিদ্র থাকলে অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় নেই

অস্ত্রোপচার সাধারণত শিশু জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের মধ্যে করা হয়। সবচেয়ে ভালো স্কুলে ভর্তি করার আগে অস্ত্রোপচার সেরে নিলে।
সার্জন বুকের দেয়ালে একটি ছেদ তৈরি করে অস্ত্রোপচার করে থাকেন।সার্জন সরাসরি ছিদ্রটি সেলাই করতে পারেন বা ছিদ্রের উপরে একটি প্যাচ বসিয়ে দিতে পারেন। হার্টের টিস্যু প্যাচ বা সেলাইয়ের অংশটি নিরাময় করে

এভাবে অস্ত্রোপচারের ছয় মাসের মধ্যে টিস্যুটি সম্পূর্ণ ছিদ্রটিকে ঢেকে দেয়।আবার কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশনের মাধ্যমেও অস্ত্রোপচার করা হয়। এজন্য শিশুর পায়ের রক্তনালীতে একটি পাতলা, নমনীয় টিউব (ক্যাথেটার) ঢুকিয়ে হার্টের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ক্যাথেটারের আগায় জালের মতো ডিভাইস বসানো থাকে

এরপর হার্টের ছিদ্রের ভেতরে ডিভাইসটি ঢুকিয়ে জালটি ছিদ্রের আশেপাশের পর্দায় ছড়িয়ে বসানো হয়।সময়ের সাথে সাথে শরীরের নতুন কোষ ডিভাইসের ওপর তৈরি হতে থাকে। অন্তত ছয় মাসের মধ্যে যন্ত্রটি শরীরের নিজস্ব অংশ হয়ে যায়

এই ধরণের অস্ত্রপচারে কাটাছেঁড়া না হওয়ায় কম সময় লাগে, শিশুরা অল্প সময়েই সেরে ওঠে।তবে ছিদ্র অনেক বড় হলে বা ছিদ্রটি জটিল জায়গায় হলে ওপেন হার্ট সার্জারি ছাড়া উপায় নেই। শিশুর জন্মের দুই মাস বয়সের পর থেকে এই অস্ত্রপচার করা সম্ভব

করণীয়
শিশুর হার্টে ছিদ্র শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শিশুর প্রতি বেশি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই খেলাধুলা, ছুটোছুটি বা কায়িক শ্রম হয় এমন কাজ থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।যদি ছিদ্র বড় হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করাতে পারলে ভালো। এতে শিশুটি দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে

চিকিৎসার পর শিশুরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও চিকিৎসকরা দীর্ঘসময় ধরে তাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এজন্য নিয়মিত ফলো-আপ ভিজিট করতে হবে।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে হার্ট বড় হয়ে যেতে পারে। সেই সাথে হৃৎপিণ্ডের ভেতরের পৃষ্ঠে রক্তের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এন্ডোকার্ডাইটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে, হার্টের ভালভ নষ্ট হওয়া, এরিথমিয়া এমনকি হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




নারায়ণগঞ্জে কাভার্ডভ্যানে আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল : নারায়ণগঞ্জে একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

 ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কে ওই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম। তিনি বলেন, শাহ সিমেন্ট কোম্পানির কাভার্ডভ্যানটি রাস্তার একপাশে দাঁড় করানো ছিল। অজ্ঞাতপরিচয় কিছু লোক এসে পেট্রোল ঢেলে কাভার্ডভ্যানটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, হেফাজতে থাকা ওই ব্যক্তি মাইক্রোবাস চালক। আগুন দেওয়ার পর তার মাইক্রোবাসে চড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা ৷ তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগে অন্যরা পালিয়ে গেলেও মাইক্রোবাসসহ আটক হন চালক।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে লাহোরে জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শীতের শুরুতেই ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাব। পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে, বায়ুদূষণের কারণে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরসহ উত্তর-পূর্ব পাকিস্তানের বেশ কিছু শহরে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি এক দিনের জায়গায় বাড়িয়ে করা হয়েছে চারদিন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দশনা বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দ্বিতীয়-জনবহুল শহর লাহোর এবং পার্শ্ববর্তী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্য জেলাগুলোতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বায়ুদূষণের কারণে সৃষ্ট ভারী ধোঁয়াশার কারণে সপ্তাহে চারদিন ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি এসব কথা জানান। তিনি বলেন, এখন থেকে অফিস, স্কুল, কলেজ, সিনেমা, পার্ক এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেস রোববার ছাড়াও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবারও বন্ধ থাকবে।

তবে বাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে শনিবার ও রোববার। মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ধোঁয়াশার কারণে চলমান পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত লাহোর, গুজরানওয়ালা, হাফিজাবাদ এবং নানকানা সাহিব জেলায় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, প্রশাসন ইতোমধ্যেই উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং ফসল পোড়ানো ও বাতাসে ধোঁয়াশা সৃষ্টিকারী অন্যান্য কারণগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আনাদোলু বলছে, লাহোর শহরটি পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী এবং এখানে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করেন। বিষাক্ত ধোঁয়ার স্তরে আচ্ছন্ন এই শহরটি বর্তমানে নয়াদিল্লি এবং ঢাকার পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে একটি।

অবশ্য লাহোরের এই বায়ুদূষণের জন্য নাকভি প্রতিবেশী ভারত থেকে বাতাসে ভেসে আসা ধূলিকণা ও দূষিত নানা বস্তুকে দায়ী করেছেন। মূলত ভারতীয় পাঞ্জাবের ধান চাষীদের খড় ও বিচুলি পোড়ানোর কারণে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বাতাসে মিশে তা দূষিত করে ফেলে এবং সেই বাতাস একদিকে দিল্লি ও অন্যদিকে লাহোরকেও সমস্যার মধ্যে ফেলছে।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর অক্টোবরের শেষের দিক থেকে বায়ুদূষণ শুরু হয় ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও। এই দূষণের প্রধান কারণ দিল্লির দুই সীমান্তবর্তী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার গ্রামগুলোতে বিপুল পরিমাণ খড়-বিচুলি পোড়ানো।

শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এসব গ্রামের দরিদ্র মানুষ খড়-বিচুলি পোড়ান, কিন্তু সেই আগুনের ফলে সৃষ্ট ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বাতাসে ভেসে দিল্লির বায়ুতে মিশে যায়। আর এটাই পার্শ্ববর্তী লাহোর ও পাকিস্তানি পাঞ্জাবের অন্যান্য স্থানে বায়ুদূষণের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।

লাহোরের স্থানীয় আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, ধোঁয়া এবং অন্যান্য দূষণকারী বস্তু বাতাসের মাধ্যমে ভারতীয় পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে লাহোরে প্রবেশ করে থাকে। মূলত জলন্ধরের কৃষকরা প্রতি বছর নভেম্বরের শুরুতে বপনের মৌসুমে তাদের ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলেন।

এদিকে ধোঁয়াশা এবং বায়ুদূষণের কারণে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে শত শত লোকের গলা ব্যথা এবং চোখে চুলকানি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা জনসাধারণকে বেশি বেশি পানিসহ আরও তরল পান করার এবং শ্বাসকষ্ট এড়াতে বাড়ির ভেতরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



১০টি আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী যারা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের বিপরীতে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে ৩ হাজার ৩৬২টি। 

এর মধ্যে ১০টি আসনে একক প্রার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কাজ শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, শনিবারই জানা যাবে আগামী নির্বাচনে কারা হবেন নৌকার মাঝি।  

বুথ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলটির নেতারা। 

 গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জন্য অন্য কেউ নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়ে ফরম তোলেননি। একই তালিকায় রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। 

এছাড়াও ঢাকা-৩ আসনের জন্য এককপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন নসরুল হামিদ বিপু। এই তালিকায় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন ও শেখ তন্ময়। 

এসব নেতার আসনে আর কোনো প্রার্থী নৌকার মনোনয়নের প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেননি। ফলে এ ১০ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে।

ঢাকা-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন। ঢাকা-৩ আসন থেকে একমাত্র তিনিই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

 বিগত নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ আসনে একমাত্র তিনিই দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ট্রাস্টি।

এদিকে বাগেরহাট-১ আসন থেকে শেখ হেলাল উদ্দিনের বিপরীতে দলের আর কোনো প্রার্থী ফরম নেননি। শেখ হেলাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আপন চাচাতো ভাই।

 অন্যদিকে শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তার আসন থেকেও অন্য কেউ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম নেননি।

অন্য দিকে শেখ হেলালের আরেক ভাই শেখ সালাহউদ্দিন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য। তার আসনেও নৌকা প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেননি কেউ।

এদিকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী মাদারীপুর-১ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তার আসনেও মনোনয়ন প্রত্যাশায় অন্য কেউ ফরম নেননি।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ দেশের জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না বলেও জানিয়েছে দেশটি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি সমর্থন করে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় সময় (১৩ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এছাড়া সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গটিও ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।

এদিকে ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, আপনি জানেন- বাংলাদেশ এবং ঢাকা গাজার মতো আরেকটি উত্তপ্ত স্থান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে খুব শিগগিরই এটি গাজা উপত্যকায় পরিণত হবে। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ এবং এখানে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র এবং অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে। আমেরিকা মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে ভূমিকা পালন শুরু করার পর বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব আশাবাদী হয়ে ওঠেছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল প্রধান রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সাথে কাজ করছে। কেন মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশের ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি অনেকবার যা বলেছি এবারও সেটিই বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ তার জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত।

পরে ওই সাংবাদিক বলেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দলের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা কারাগারে থাকা অবস্থায় সংলাপ কীভাবে হবে? এবং সরকার ক্র্যাকডাউন চালিয়ে যাওয়ায় বিরোধীদের কারা সেই চিঠি পেয়েছেন, সেটাও ভাবছি। গার্মেন্ট কর্মীও নিহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? এই অবস্থার মধ্যে সংলাপ কীভাবে হতে পারে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকের প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই, তবে তেমন কিছু করা থেকে আমি বিরত থাকব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না। আমরা একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে অন্য কোনও দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।

 


আরও খবর



আ.লীগের প্রার্থী হচ্ছেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

এখন দেশের অনেক তারকাই নাম লেখাচ্ছেন নির্বাচনে। পর্দার পাশাপাশি রাজনীতির মাঠও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারকারা। সামনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সম্প্রতি নিরবাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

আসন্ন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বহু তারকার নাম উঠে এসেছে। চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়ক আলমগীর, অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের পাশাপাশি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসেরও শোনা যায়। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা।

জানা গেছে, এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেও, তাকে আর প্রার্থী হতে দেখা যায়নি। তবে এবার নাকি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই ঢালিউড কুইন।

এ প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, নারীদের কাছে আলাদা একটি জায়গা রয়েছে আমার। বিশেষ করে ব্যক্তিত্ব, সন্তানের মা এবং একজন নারী হিসেবে। তাই প্রার্থী হওয়ার সেই সুযোগ যদি আমাকে করে দেয়, তাহলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করব।

চিত্রনায়িকা আরও বলেন, এবার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমার কাছে মনে হয় নারীদের তুলে ধরতে একজন নারীই প্রয়োজন। যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সবসময় নারী নেতৃত্বকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন।

অপু বিশ্বাস বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র হচ্ছে কর্মজীবী মানুষদের ঘিরে। কিন্তু সেখানে অস্থিরতা বিরাজ করলে আমাদের কাজের জায়গা একেবারেই সংকুচিত হয়ে যায়।

তাই আমি মনে-প্রাণে চাইব আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসুক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমাদের যে উন্নয়ন করেছে, এটার বিকল্প আর কিছু নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনি আসলেই মা। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসুক, এই কামনাই আমার থাকবে। কিছু দিন পরই তো জাতীয় নির্বাচন। এ জন্য অপেক্ষা করছি।

অনেক আগে থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অপু বিশ্বাস। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচার অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছেন তিনি।


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩