Logo
শিরোনাম

সমালোচনা শুনার সময় নাই : লিটন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ কাটাচ্ছে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের সাথে জিতলেও তারপর টানা হারে বাড়ি ফেরার টিকিট নিশ্চিত হয়েছে টাইগারদের বাংলাদেশের এই ব্যার্থতায় সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দর্শকদের সমালোচনায় বিদ্ধ ক্রিকেটারদের তবে এসব সমালোচনা দেখার সময় নেই লিটন দাসের 

ব্রডকাস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস বলেন, ‘মিডিয়া কী বলছে সেটি দেখার মতো সময় নেই আমাদের আমরা আশা করবো যেন সবাই আমাদের সাপোর্ট করে কেউ সাপোর্ট না করলেও কিছু করার নেই আমরা চাই সবাই সাপোর্ট করবেন, এটা নতুন কিছু না ব্যর্থতা আসবে সফলতাও আসবে আপনারা এতদিন সাপোর্ট করে আসছেন দর্শক হিসেবে আপনাদের জন্যই আমরা ক্রিকেটটাকে এত উপভোগ করি বাংলাদেশের মানুষ অনেক সাপোর্ট করে আশা করি এরপরেও সাপোর্ট করবেন

লিটন আরও বলেন, ‘সামনের যে দুটি ম্যাচ আছে সেগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ হবে। আর আমি সবসময় একটা কথা বলি, আজ যদি প্রথম বলে আউট হয়ে যাই, তাহলে পরের ম্যাচে সুযোগ আসবে কীভাবে ভালো করা যায়। সবার জন্যই এটা প্রযোজ্য। আপনি ব্যর্থ হবেন, পরের ম্যাচে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায় সেটিই ভাববেন। আমি চেষ্টা করবো দলীয়ভাবে যেন ভালো খেলতে পারি ।


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




কাকরাইলে সাদপন্থিদের বড় জমায়েত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তাবলিগ জামায়াতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবেন। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে তারা এ ঘোষণা দেন।

এর আগে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান নেন সাদপন্থিরা। এ কারণে ভোর থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

সাদপন্থিদের ব্যাপক সমাগমে কাকরাইল মসজিদের আশপাশের রাস্তায় যানচলাচল সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় সুরাপন্থিরা সকালে মসজিদ থেকে সরে যান।

এ বিষয়ে রমনা জোনের ডিসি গণমাধ্যমকে জানান, জুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন। আজ তারা অবস্থান ছেড়ে দিয়েছেন। এখন দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন সাদপন্থিরা।

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোনো অবনতি না ঘটে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শান্তিপূর্ণভাবে বের হয়ে যান জুবায়েরপন্থিরা, তারপর সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা।

জুমার নামাজের আগমুহূর্তে রাস্তা থেকে সারে যান অবস্থানকারীরা। এর আগে তারা ৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এরপর ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতি কার্যকর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর চারটায় এই চুক্তি কার্যকর হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তি উভয় পক্ষ মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও লেবাননের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন নিশ্চিত করেন যে, স্থানীয় সময় ভোর চারটায় যুদ্ধ বন্ধ হবে। এর মধ্য দিয়ে লেবানন সীমান্তে ১৪ মাস ধরে চলা লড়াই অবসানের একটি পথ তৈরি হয়। ইতোমধ্যে এই লড়াইয়ে হাজারও মানুষের প্রাণ গেছে।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার ১০-১ ভোটে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পরপরই হোয়াইট হাউসে বক্তৃতা দিতে আসেন বাইডেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে তার কথা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪ টায় যুদ্ধবিরতি শুরু করতে তারা দুজনেই সম্মত হয়েছেন। বৈরিতার স্থায়ী অবসানের লক্ষ্য নিয়ে এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পরিকল্পনা করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের যা অবশিষ্ট আছে, তাদের আর ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে দেওয়া হবে না।

চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। একই সময়ে লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েল সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেবে, যাতে হিজবুল্লাহ সেখানে আবার কোনো অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ না করতে পারে।

এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তাদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসান ফাদলাল্লাহ লেবাননের আল জাদেদ টিভিকে বলেছেন, এ চুক্তি লেবাননের রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের সম্প্রসারণকে সমর্থন করলেও হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। হাজারো মানুষ আমাদের প্রতিরোধে যোগ দেবে। আমাদের নিরস্ত্র করার যে প্রস্তাব ইসরায়েলি দিয়েছিল, সেটা ভেস্তে গেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন এক্স পোস্টে লিখেছে, এ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় ইসরায়েলি ও লেবানিজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহু মাস ধরে চলা আলোচনার চূড়ান্ত পরিণতি।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




নেপথ্যে পরকিয়া, নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০২ ডিসেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে কোহেলী আক্তার (৯) ও তার বাবা কোরবান আলী (৩২) দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সারে ৯ টারদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ছোট সন্তানকে সাথে নিয়ে স্ত্রী এক যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর কারনে অভিমানে বাবা কোরবান আলী তার মেয়ে কোহেলী আক্তারকে সাথে নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারনা করছেন স্থানিয়রা। বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সোমবার বিকালে মর্গে প্রেরন করেছেন।

নিহত বাবা ও মেয়ে হলেন, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মেয়ে কোহেলী আক্তার রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কোরবান আলী একজন বাকপ্রতিবন্ধী মানুষ। সে কথা বলতে পারতো না এবং কানেও কম শুনতো। তার স্ত্রীর এক যুবকের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে এবং গত সোমবার পূর্বরাতে ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে সেই যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। শিশু সন্তান সহ স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় স্বামী কোরবান আলী

মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। আজ সকালে কোরবান আলী তার মেয়েকে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হোন। সকাল সারে ৯ টারদিকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চকের ব্রিজ এলাকায় পৌছালে সেখানে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এক সাথে আত্মহত্যা করেছেন বলেই ধারনা করছেন স্থানিয়রা। স্থানীয়রা আরো জানান, রেল লাইনের উপর বাবা ও মেয়ের দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়। বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে মুক্ত জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরি পানার ফুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার হেমন্ত :

সবুজের মাঝখানে সাদা হালকা বেগুনি ও গোলাপী রঙে বিভিন্ন খালবিল, ডোবার জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ফুটে উঠেছে অযত্নে বেড়ে উঠা কচুরি পানার ফুল। দেখলে মনে হবে যেন ফুলের চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে জলাশয় গুলো। প্রস্ফুটিত এইসব ফুলের অপরুপ সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন ফুল প্রেমী সহ-নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের মাথা ধুল্ল্যার ছড়ার পাড় নামক এলাকায় ফুলবাড়ী সদর টু বালার হাট পাকা সড়কের পাশে মুক্ত জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরি পানার ফুল গুলো। সড়কের পাশে এই অসাধারণ কচুরি পানার ফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নজর কাড়ছে সবার দু'চোখ দৃষ্টি পটে মনোমুগ্ধকর কচুরি পানার ফুল দেখে মানুষের হৃদয় জড়িয়ে যায়।

জানাগেছে কচুরি পানা মুক্তভাবে ভাসমান এক ধরনের বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস অ্যামেরিকায়, চকচকে সবুজ ডিম্বাকৃতির পাতা বিশিষ্ট কচুরিপানা পানির উপরিভাগে জন্মায় ও বংশবিস্তার করে। এর কান্ড থেকে দীর্ঘ তন্ত্রময় বহুধা বিভক্ত মুল বের হয় যার রং বেগুনি কালো। এক একটি কান্ড থেকে ছয়টি পাপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়ে থাকে এবং ফুলের পাপড়ি গুলো অত্যন্ত নরম হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদ দ্রুততম ভাবে বংশ বিস্তার করে থাকে, এদের সাতটি প্রজাতি রয়েছে। সৌন্দর্য্য বিলানোর পাশাপাশি এই উদ্ভিদ টি মানুষ ও প্রকৃতির নানা উপকারে আসে।এটি দেশীয় মাছের বংশবিস্তার ও জলাশয়ের পানি ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে থাকে। কিছু কিছু মাছ এটাকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে,আবার এটি থেকে তৈরি জৈব সার কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পানির উপর কচুরি পানার স্তূপ করে এর উপর সবজি চাষ করা যায়, এছাড়াও এটি গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সবমিলিয়ে এই কচুরি পানার বহুমাত্রিক গুণ রয়েছে।


উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে খাল বিল,ডোবা, নিচু জমি পুকুর ও জলাশয়ে ফুটে আছে কচুরি পানার ফুল। ফুটন্ত এইসব ফুলের সৌন্দর্যে আসা-যাওয়ার পথে বিমোহিত হচ্ছেন ফুল প্রেমী মানুষ সহ-পথচারীরাও বিশেষ করে কোমলমতি শিশুদের খেলনা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ফুল। সৌন্দর্য প্রেমীরা এসব ফুলের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন আঙ্গিকে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে আনন্দ পান, আবার কেউ কেউ ফুলের সঙ্গে নিজেকে ও ক্যামেরা বন্দি করছেন পরম আনন্দে। কচুরি পানা ফুলের মুগ্ধতায় মন জুড়িয়ে যায় স্থানীয়দের।ছড়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা সাজু কাজি, জোনাব আলী ও বাবুল মিয়া বলেন,বর্তমানে এলাকার প্রায় জলাশয়েই কচুরি পানার ফুল ফুটে রয়েছে,আমরা জলাশয় পরিস্কার করে এই সব কচুরি পানা উপরে তুলে রোদে শুকিয়ে রান্না বান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি।

উপজেলার বেড়াকুটি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুল প্রেমী প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মুক্ত জলাশয়ে এক সঙ্গে ফুল ফুটে থাকার যে সৌন্দর্য তা অন্যকোন ফুল থেকে পাওয়া যায় না।এই ফুলের পাপড়ি নকশা খচিত হত্তয়ায় এর প্রেমে পড়তে বাধ্য হয় মানুষ। কচুরি পানা ফুল গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি ফুল।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, কচুরি পানা এক ধরনের বহুবর্ষজীবী ভাসমান উদ্ভিদ। কচুরি পানার মাধ্যমে জৈব সার প্রস্তুত করা যায় যা কৃষি কাজে আসে, বর্তমানে কোথাও কোথাও এই উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি জৈব সার বাণিজ্যিক ভাবে বেচাকেনা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ভাসোমান সবজি চাষেও কচুরি পানা ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও এই উদ্ভিদ টি গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানো সহ-নানাবিধ কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই উদ্ভিদের ফুল ও দেখতে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর,এর বংশবিস্তার খুব দ্রুততম ভাবে হয়ে থাকে। এজন্য নিচু ফসলি জমিতে বিশেষ করে ধানের জমিতে এর বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি,তা নাহলে দ্রুত বংশবিস্তার করে ফসলের ফলকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।


আরও খবর



ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ যাত্রায় যুক্তরাজ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট।

রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ যাত্রায় অন্তর্বর্তী সরকার কী ধরনের সহায়তা চায়, সেই অনুযায়ী পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার চেষ্টা করবে যুক্তরাজ্য।

রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করবেন আর সেটা উন্মোচিত হওয়ার আশা রাখছি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পৃথক কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি। তবে আমরা সরকারকে সমর্থন করতে চাই। কারণ, এখন একটা ক্রান্তিকাল চলছে।

এটা বাংলাদেশে আমার দ্বিতীয় সফর জানিয়ে ক্যাথরিন বলেন, গত ১১ বছর পর ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী হিসেবে এখানে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় এবং জাতীয় পুনর্মিলনকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এ বিষয়ে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সংকল্পকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এ দেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত দৃঢ় বন্ধুত্ব রয়েছে, তাই আমরা শক্তিশালী সম্পর্ক গড়তে চাই। আমরা অর্থনীতি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা, অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তা নিয়ে কথা বলেছি।


আরও খবর