Logo
শিরোনাম

সুশিক্ষিত মায়েরাই, আলোকিত প্রজন্ম উপহার দিতে পারেন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,"প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পৃথিবীতে পবিত্র শুভাগমনের পূর্বে নারী জাতির কোন মর্যাদা, অধিকার ছিল না। নারী জাতি ছিল পুরুষদের দাসীতুল্য। ইসলামের আবির্ভাবের সাথে সাথে অন্ধকারাচ্ছন্ন সভ্যতায় মানবতার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। প্রিয় নবিজী (দ) নারী জাতিকে অনন্য মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। ইসলাম নারীদের শিক্ষা অর্জনকে আবশ্যক করেছে। ইসলাম বলে, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। ইসলাম নারীদের ন্যায্য অধিকার সুরক্ষিত করেছে। বিয়ের সময় নারীদের জন্য মোহরানার বিধান করে দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীদের যথাযথ সম্মান বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলামের জন্য নারী জাতির অবদান অনস্বীকার্য। হযরত মা খাদিজা (রাঃ), হযরত মা ফাতিমা (আঃ), হযরত মা আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) সহ অগণিত রমণী ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।"

সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন,"প্রিয় নবিজী (দ) এর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে মানবজাতি আজ বিপদগ্রস্ত, নারীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। আজ পদে পদে নারীরা নিগৃহীত, নিপীড়িত হচ্ছেন। যৌতুক প্রথা, বাল্য বিবাহ, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নারীজাতির সম্মানকে সমুন্নত রাখতে তাদের পরিবার, শিক্ষাক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নারীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। কারণ সুশিক্ষিত মায়েরাই, আলোকিত প্রজন্ম উপহার দিতে পারেন।"

৮মার্চ, ২০২২ কুমিল্লার চান্দিনায় এক সুন্নী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মুফতি বাকি বিল্লাহ্ আযহারী, মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। 

দোজাহানের বাদশাহ্, হুযুরপুর নূর, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সম্মানিত আহলে বাইতগণের প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, ডক্টর সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলেন টিউলিপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক নিজের বিষয়ে মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ড ওয়াচডগে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া একাধিক ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন– এমন অভিযোগ ওঠার পর এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা এক চিঠিতে টিউলিপ মন্ত্রিত্বের কোনো বিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না সে বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, গত কয়েক সপ্তাহে আমি গণমাধ্যমের বিষয়বস্তু হয়েছি, যার অনেক কিছুই সঠিক নয়। যেখানে আমার আর্থিক ও আমার পরিবারের বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উঠে এসেছে।

আমি একদম স্পষ্ট যে আমি কিছু ভুল করিনি। যাইহোক, সন্দেহ এড়ানোর জন্য আমি চাই আপনি স্বাধীনভাবে এগুলো নিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করবেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে লন্ডনের কিং’স ক্রস এলাকায় অবস্থিত ২ শয্যাকক্ষের একটি ফ্ল্যাট ২০০৪ সালে টিউলিপ সিদ্দিককে আবদুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার উপহার দিয়েছিলেন বলে জানানো হয়। মোতালিফ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এবং টিউলিপের খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা) দিয়ে ২০০১ সালের জানুয়ারিতে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন আবদুল মোতালিফ। বেশ সস্তাতেই পেয়েছিলেন তিনি, কারণ একই বছর আগস্ট মাসে সেই ফ্ল্যাটটির পার্শ্ববর্তী আরেকটি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)।

যুক্তরাজ্যের ইলেক্টোরাল রোল ডেটার তথ্য বলছে, ২০০৪ সালে উপহার হিসেবে পাওয়ার পর কিং’স ক্রসের সেই ফ্ল্যাটটিতে কয়েক বছর ছিলেন টিউলিপ। এরপর তার অন্য ভাই-বোনরা ছিলেন আরও বেশ কয়েক বছর। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন টিউলিপ। সেখান থেকে বাৎসরিক ৯০ হাজার পাউন্ড (১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা) উপার্জন হচ্ছে তার।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত লেবার পার্টির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য শাখার ‘লবিং ইউনিট অ্যান্ড ইলেকশন স্ট্র্যাটেজি টিম’-এ সংশ্লিষ্ট ছিলেন তিনি। তার নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রেও এ সংশ্লিষ্টতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

তবে কোনও নির্বাচনী হলফনামায় ফ্ল্যাটটির বিষয়ে উল্লেখ করেননি টিউলিপ। হলফ নামায় তিনি যুক্তরাজ্যের হাইগেট এবং হ্যাম্পস্টেড এলাকার ফ্ল্যাটের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন। ৭০ বছর বয়সী আবদুল মোতালিফ বর্তমানে পূর্ব লন্ডনে মুজিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে থাকেন। মুজিবুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একজন সাবেক এমপির সন্তান।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। মুজিবুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, তিনি ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে কিনেছিলেন। কিন্তু আর কোনও তথ্য জানাননি তিনি।

লন্ডনের ভূমি রেজিস্ট্রি রেকর্ডে দেখা যায়, ২০০৪ সালের নভেম্বরে তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটির একক মালিক হন টিউলিপ সিদ্দিক। আর তখন তিনি কেবল লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছিলেন এবং তার কোনও উপার্জন ছিল না। ফ্ল্যাটটির কোনও মর্টগেজও ছিল না এবং এর কোনও দামও উল্লেখ ছিল না। এর ফলে ফ্ল্যাটটি যে কেনা হয়নি এবং তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, সেটির প্রমাণ মিলেছে। ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পদত্যাগের চাপ জোরাল হয়েছে।

ব্রিটেনের টরি এমপিরা দাবি জানিয়ে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক যদি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে তার মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।


আরও খবর



সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড : নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

সচিবালয়ে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির সদস্যরা আজ শুক্রবার সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি তদন্তের পর বলা যাবে।

তিনি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ড নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো অবস্থা হয়নি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছি। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি কথা বলা যাবে।

এদিকে সচিবালয়ে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে আগের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সদস্য সচিব করে বৃহস্পতিবার রাতে আট সদস্যের এই কমিটি গঠনের তথ্য এক অফিস আদেশে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।


আরও খবর



রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগানে গিয়েছিলাম

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ড. শফিকুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক :

সৌদি সরকারের অ্যাপস এর ঝামেলা মিটিয়ে ওখানে যেতে পারা এখন চ্যালেঞ্জিং। এই অ্যাপস এখন বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের হয়রানির মতো। সার্ভার ডাউন, কিংবা ডাটা এরর কিংবা ভ্যাকেন্সি নেই- এ ধরণের মেসেজ দিয়ে হাজীদের ভূগান্তি দেয়। যাই হোক, চিকন লাইন এখানেও আছে। সেভাবে মুয়াল্লেমের সহযোগিতায়  যেতে সক্ষম হয়েছি।  আমার বৃদ্ধ বাবামার জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল। আর আমার গবেষক মন বেহেশতের বাগান না দেখে যাবে না- এই ছিল পন। যারা ভবিষ্যতে আসবেন তারা আগে থেকেই নুসুক এপস ডাউনলোড করে শিডিওল নিয়ে রাখবেন বা মূয়াল্লেমকে আগে থেকে বুকিং দিতে বলে দেবেন। আগে এটা সহজ হলেও এখন কড়াকড়ি হয়েছে। ভিসা ও অ্যাপস এর কোড মিলিয়ে দেখে। তারপর ঢুকতে দেয়। 

.

মাত্র দশ মিনিট সময় দেয়, ওখানে প্রবেশের পর মন মানসিকতার গভীরতা নরম হয়ে  একেবারে ফানাফিল্লার পর্যায়ে চলে যায়। দশ মিনিট মনে হয় দুমিনিট। দশ মিনিট পেরিয়ে গেলে ওখানকার হুজুর কাম সিকিউরিটির লোকজন তাড়া দেয় ইয়া হাজ্জী ইয়া হাজ্জী বলে বের হতে বলে। ওদের চিতকার চেঁচামেচিতে ধ্যান বা প্রার্থনারত ক্রন্দন বা ফানাফিল্লা পর্যায় ভেঙ্গে বের হবার চেষ্টা করতে হয়। তখনই মনে পড়ে রিয়াজুল জান্নাত ছেড়ে চলে যাবো, দুটি ছবি নিয়ে যাবো না? -তাই কি হয়। ভবিষ্যতে যদি দেখতে মন চায়। তাই দ্রুত বের হতে হতে কয়েকটি ক্লিক করা। আপনারা দেখতে পারেন। 

.

রিয়াজুল জান্নাত কি?

মসজিদে নববির ভেতরে একটা জায়গা আছে, তার নাম রিয়াজুল জান্নাত। রিয়াজুল জান্নাত বলতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে তৈরি করা মসজিদকে বোঝায়। মিম্বর ও হুজরাহর মধ্যবর্তী স্থান। মসজিদে নববিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক এবং তাঁর জমানার মূল মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানকে নবীজি বেহেশতের বাগানসমূহের একটি বাগান বলেছেন। এটাই রিয়াজুল জান্নাত। এই জায়গায় সবুজ-সাদা রঙের কার্পেট বিছানো আছে। মসজিদের অন্য কার্পেটগুলো লাল রঙের। ভিন্ন রঙের কার্পেট দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না রিয়াজুল জান্নাতের সীমানা। এ স্থানে নামাজ পড়া অতি উত্তম।

.

রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগান সম্পর্কে কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ইবনে হাজাম (রা.) বলেন, রিয়াজুল জান্নাতকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে রূপকভাবে। ওলামায়ে কেরামরা রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের মতে, এখানে জিকির করলে রহমত ও সৌভাগ্য লাভ করা যায়। নুরুদ্দিন সামহুদির লেখা অফা আল অফার দ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত, রিয়াজুল জান্নাতে ইবাদত বেহেশতের বাগানে পৌঁছায় এই অর্থে ও তা রূপক অর্থবোধক। আল্লাহ এই স্থানটুকু হুবহু বেহেশতে স্থানান্তর করবেন। এই অংশ অন্যান্য জমিনের মতো নয়। পবিত্র স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো আমরা যেন ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ রাখি। রিয়াজুল জান্নাতের ভেতরে কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোকে রহমতের স্তম্ভ বলে। রাসুল (সা.)-এর তৈরি মসজিদে খেজুরগাছের খুঁটিগুলোর স্থানে উসমানি সুলতান আবদুল মাজিদ পাকা স্তম্ভ নির্মাণ করেন। এগুলোর গায়ে মর্মর পাথর বসানো এবং স্বর্ণের কারুকাজ করা।

.

উস্তুওয়ানা হান্নানা (সুবাস স্তম্ভ)


প্রথমদিকে রাসুল (সা.) মিম্বর ছাড়াই খেজুরগাছের একটি কাণ্ডে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন। পরবর্তী সময়ে জুমার খুতবা দেওয়ার জন্য দুটি সিঁড়ি ও একটি বসার স্থান তৈরি করা হয়। মিম্বরে নববির ডান পাশে খেজুরগাছের গুঁড়ির স্থানে নির্মিত স্তম্ভটি। এতে নিয়মিত সুগন্ধি মাখানো হয় বলে একে সুবাস স্তম্ভ বলা হয়। এটি বর্তমানে স্তম্ভ আকারে আর নেই। একে উস্তুওয়ানা হান্নানাও বলা হয়।

.

উস্তুওয়ানা সারির


সারির অর্থ বিছানা। এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করতেন এবং রাতে আরামের জন্য তাঁর বিছানা এখানে স্থাপন করা হতো। এ স্তম্ভটি হুজরা শরিফের পশ্চিম পাশে জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, সেখানে তাঁর জন্য খেজুরপাতার তৈরি মাদুর এবং একটি বালিশ রাখা হতো। বুখারি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মধ্যস্থতার জন্য এই স্তম্ভের কাছে বিছানা পেতে বসতেন।

.

উস্তুওয়ানা উফুদ (প্রতিনিধি স্তম্ভ)


বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিনিধিদল উস্তুওয়ানা উফুদে বসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে কথা বলতেন। এ স্তম্ভও জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতেন। তিনি তাঁদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতেন ও এর সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করতেন। ফলে বহু গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে। এটাকে ‘গণ্যমান্য মজলিশ’ও বলা হয়, যেখানে বড় বড় সাহাবায়ে কিরামও বসেছেন। একে প্রতিনিধি স্তম্ভও বলে।

.

উস্তুওয়ানা আয়েশা (আয়েশা স্তম্ভ)


নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এমন একটি জায়গা রয়েছে, লোকজন যদি সেখানে নামাজ পড়ার ফজিলত জানত, তাহলে সেখানে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত।’ স্থানটি চিহ্নিত করার জন্য সাহাবায়ে কিরাম চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আয়েশা (রা.) তাঁর ভাগনে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.)–কে সে জায়গাটি চিনিয়ে দেন। এটিই সেই স্তম্ভ। এই স্তম্ভটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর।

.

উস্তুওয়ানা আবু লুবাবা (তওবা স্তম্ভ)


হজরত আবু লুবাবা (রা.) থেকে একটি ভুল সংঘটিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে এই স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হুজুরে পাক (সা.) নিজে না খুলে দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এর সঙ্গে বাঁধা থাকব।’ নবী করিম (সা.) বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে আল্লাহ আদেশ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খুলব না।’ এভাবে দীর্ঘ ৫০ দিন পর হজরত আবু লুবাবা (রা.)–এর তওবা কবুল হলো। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে তাঁর বাঁধন খুলে দিলেন। এটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর অবস্থিত।


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় বন্ধ হয়েছে টাকা পাচার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় দুবাই শীর্ষে উঠেছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করছে।

গত ডিসেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




ডিসেম্বরে এলো দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বরে আগের বছরের চেয়ে ৬৪ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে, গত জুন মাসে গড়ে দৈনিক ৮ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ মাসে ব্যাংকগুলো ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

অবশ্য সাড়ে চার বছর আগে একক মাস হিসাবে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডি‌সেম্বর সময়ে অর্থাৎ ৬ মাসে এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি ডলার এবং নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫