
বেশ কয়েক দিন থেকে বাড়তে থাকা চিনির দাম কমিয়ে তিন স্তরে নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। একইভাবে কমানো হয়েছে পাম সুপার তেলের দরও। এতে এ দুটি পণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে। বেঁধে দেওয়া নতুন দর অনুযায়ী, খুচরায় চিনির দাম কেজিতে ৬ এবং পাম তেলের দাম লিটারে ১২ টাকার মতো কমেছে।
নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী, পাম সুপার তেল প্রতি লিটার খুচরায় সর্বোচ্চ ১৩৩ টাকায় বিক্রি হবে, যা এতদিন ১৪৫ টাকায় নির্ধারিত ছিল। মিল গেটে পাম তেল প্রতি লিটার ১২৮ এবং পরিবেশক পর্যায়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
একইভাবে পরিশোধিত খোলা চিনি প্রতি কেজি ৮৪ এবং প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৮৯ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে বর্তমানে খোলা চিনি ৯০ এবং প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিল গেটে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৭৯ এবং পরিবেশক পর্যায়ে ৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে প্যাকেটজাত চিনি মিল গেটে ৮২ এবং পরিবেশক পর্যায়ে ৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার ‘দ্য কন্ট্রোল অব অ্যাসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬’-এর ক্ষমতাবলে মিল গেট, পরিবেশক ও সর্বোচ্চ পর্যায়ে তেল-চিনির দাম নির্ধারণ করল। এর আগে বিভিন্ন সময় তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সবশেষ বাজার বিশ্লেষণ করে চিনি ও পাম তেলের দাম কমিয়ে ঠিক করে দেওয়া হলো।
চাল, লবণসহ অত্যাবশ্যকীয় অন্তত ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হবে বলে চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আইনি জটিলতার কারণে অনেক পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া কঠিন বলে সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন।
এদিকে, চিনি-তেলে সুখবর থাকলেও সবজিতে অস্বস্তি এখনো কাটেনি। প্রতিটি সবজিই কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৮০, চালকুমড়া পিস ৬০, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৫০, চিচিঙ্গা ৬০, পটোল ৬০, ঢ্যাঁড়শ ৭০, কচুর লতি ৮০, পেঁপের কেজি ৪০, বরবটির কেজি ৮০, ধুন্দুলের কেজি ৬০ টাকা।
এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১০০ টাকায়। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ভোজ্য তেল সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়।
তবে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।